শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর পেরিয়ে গেছে এক মাসেরও বেশি সময়। সেতুর কারণে মাদারীপুরের শিবচরবাসীর রাজধানী ঢাকা হয়ে উঠেছে খুবই কাছের দূরত্ব। ফলে রাজধানীতে কর্মরত শিবচরের মানুষ ছুটির দিন শুক্রবার এলেই নিয়মিত ফেরেন গ্রামে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ছুটি শেষে আবারও ফিরে যান কর্মস্থলে। পদ্মা সেতু চালুর আগে প্রতি সপ্তাহে বাড়ি ফেরার চিন্তা কল্পনাও করতে পারেননি তাঁরা।
বাড়ি ফিরতে নৌপথের ভোগান্তির পাশাপাশি লাগত দীর্ঘ সময়। যাদের নিজস্ব গাড়ি রয়েছে, তাঁরাও ফেরিঘাটের অসহনীয় ভোগান্তির কথা চিন্তা করে দীর্ঘদিন পর পর বাড়ি আসতেন। অথচ সেতু চালুর পর সময় পেলেই তাঁরা বাড়ি আসতে-যেতে পারছেন। এতে গ্রামের সঙ্গে শহুরেদের আত্মিক টানও বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবারের ছুটিতে শিবচরের বিভিন্ন গ্রামে আসা বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করে এই অভিব্যক্তি জানা গেছে।
ঢাকার একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন আজিজুল হক ওয়াসিম। সপ্তাহান্তে বাড়িতে আসা নিয়ে তিনি বলেন, ‘শিবচর থেকে ঢাকার দূরত্ব ৬০-৬৫ কিলোমিটার। ১ ঘণ্টায় পৌঁছানো যায়। সেতু চালুর আগে রাজধানীর সঙ্গ আমাদের যোগাযোগের বড় বাধা ছিল পদ্মা নদী। নদী পার হতে লঞ্চ, ফেরিতে দেড়-দুই ঘণ্টা ব্যয় হতো। রাতে নদী পার হওয়ার বিষয়টি ছিল অকল্পনীয়! ফলে ইচ্ছা করলেই বাড়ি ফেরা হতো না। কেবল দুই ঈদেই বাড়ি ফিরতাম।’
ওয়াসিম জানান, আগে কেবল সময়ই বেশি লাগত না, খরচও বেশি হতো। এখন আগের তুলনায় সময় এবং খরচ দুটোই কম লাগছে। এখন ঢাকা থেকে ২০০-২৫০ টাকা হলেই শিবচরে এসে নামা যায়। আবার ঢাকায় ফেরার সময় অনেক বাসই মাত্র ২০০ টাকা হলেই নিয়ে যায়।
আবু সাঈদ চৌধুরী সিফাত নামের উপজেলার উৎরাইল গ্রামের এক চাকরিজীবী বলেন, ‘আগে বাড়ি ফিরতে নানা হিসাব-নিকাশ করতে হতো। এখন কোনো ব্যাপারই না বাড়ি ফেরা। গভীর রাতেও বাড়ি আসা যায়। পদ্মা সেতু আমাদের জন্য আশীর্বাদ।’
বদরুল আলম চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘গ্রামের সঙ্গে টান বাড়ছে। আমরা এখন মন চাইলেই গ্রামে চলে আসতে পারছি। দুই-এক দিন কাটিয়ে আবার ঢাকায় যাচ্ছি। সব মিলিয়ে অন্যরকম এক প্রশান্তি। পদ্মা সেতু যে কত বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, তা বলে শেষ করা যাবে না।'
একাধিক বাসচালক জানান, প্রতি শুক্রবারই যাত্রীদের চাপ থাকে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বাড়ি ফেরা যাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে যায় অন্যান্য দিনের তুলনায় কয়েক গুণ। মূলত পদ্মা সেতুর ফলে বাড়ি ফিরতে কোনো ঝামেলা না থাকায় প্রতি সপ্তাহে শিবচরসহ আশপাশের এলাকার মানুষ বাড়ি ফিরছে নিয়মিত।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি দূর হয়েছে। এখন দক্ষিণাঞ্চল বিশেষ করে শিবচরের মানুষ প্রতি সপ্তাহে বাড়ি আসতে পারছে। শুক্রবার ঘরমুখো মানুষের চাপও থাকে মহাসড়কে। হাইওয়ে পুলিশের টিম রাতদিন মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছে।’
পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর পেরিয়ে গেছে এক মাসেরও বেশি সময়। সেতুর কারণে মাদারীপুরের শিবচরবাসীর রাজধানী ঢাকা হয়ে উঠেছে খুবই কাছের দূরত্ব। ফলে রাজধানীতে কর্মরত শিবচরের মানুষ ছুটির দিন শুক্রবার এলেই নিয়মিত ফেরেন গ্রামে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটিয়ে ছুটি শেষে আবারও ফিরে যান কর্মস্থলে। পদ্মা সেতু চালুর আগে প্রতি সপ্তাহে বাড়ি ফেরার চিন্তা কল্পনাও করতে পারেননি তাঁরা।
বাড়ি ফিরতে নৌপথের ভোগান্তির পাশাপাশি লাগত দীর্ঘ সময়। যাদের নিজস্ব গাড়ি রয়েছে, তাঁরাও ফেরিঘাটের অসহনীয় ভোগান্তির কথা চিন্তা করে দীর্ঘদিন পর পর বাড়ি আসতেন। অথচ সেতু চালুর পর সময় পেলেই তাঁরা বাড়ি আসতে-যেতে পারছেন। এতে গ্রামের সঙ্গে শহুরেদের আত্মিক টানও বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুক্রবারের ছুটিতে শিবচরের বিভিন্ন গ্রামে আসা বেশ কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করে এই অভিব্যক্তি জানা গেছে।
ঢাকার একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন আজিজুল হক ওয়াসিম। সপ্তাহান্তে বাড়িতে আসা নিয়ে তিনি বলেন, ‘শিবচর থেকে ঢাকার দূরত্ব ৬০-৬৫ কিলোমিটার। ১ ঘণ্টায় পৌঁছানো যায়। সেতু চালুর আগে রাজধানীর সঙ্গ আমাদের যোগাযোগের বড় বাধা ছিল পদ্মা নদী। নদী পার হতে লঞ্চ, ফেরিতে দেড়-দুই ঘণ্টা ব্যয় হতো। রাতে নদী পার হওয়ার বিষয়টি ছিল অকল্পনীয়! ফলে ইচ্ছা করলেই বাড়ি ফেরা হতো না। কেবল দুই ঈদেই বাড়ি ফিরতাম।’
ওয়াসিম জানান, আগে কেবল সময়ই বেশি লাগত না, খরচও বেশি হতো। এখন আগের তুলনায় সময় এবং খরচ দুটোই কম লাগছে। এখন ঢাকা থেকে ২০০-২৫০ টাকা হলেই শিবচরে এসে নামা যায়। আবার ঢাকায় ফেরার সময় অনেক বাসই মাত্র ২০০ টাকা হলেই নিয়ে যায়।
আবু সাঈদ চৌধুরী সিফাত নামের উপজেলার উৎরাইল গ্রামের এক চাকরিজীবী বলেন, ‘আগে বাড়ি ফিরতে নানা হিসাব-নিকাশ করতে হতো। এখন কোনো ব্যাপারই না বাড়ি ফেরা। গভীর রাতেও বাড়ি আসা যায়। পদ্মা সেতু আমাদের জন্য আশীর্বাদ।’
বদরুল আলম চৌধুরী নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘গ্রামের সঙ্গে টান বাড়ছে। আমরা এখন মন চাইলেই গ্রামে চলে আসতে পারছি। দুই-এক দিন কাটিয়ে আবার ঢাকায় যাচ্ছি। সব মিলিয়ে অন্যরকম এক প্রশান্তি। পদ্মা সেতু যে কত বড় পরিবর্তন নিয়ে এসেছে, তা বলে শেষ করা যাবে না।'
একাধিক বাসচালক জানান, প্রতি শুক্রবারই যাত্রীদের চাপ থাকে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত বাড়ি ফেরা যাত্রীদের সংখ্যা বেড়ে যায় অন্যান্য দিনের তুলনায় কয়েক গুণ। মূলত পদ্মা সেতুর ফলে বাড়ি ফিরতে কোনো ঝামেলা না থাকায় প্রতি সপ্তাহে শিবচরসহ আশপাশের এলাকার মানুষ বাড়ি ফিরছে নিয়মিত।
শিবচর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘পদ্মা সেতুর ফলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের ভোগান্তি দূর হয়েছে। এখন দক্ষিণাঞ্চল বিশেষ করে শিবচরের মানুষ প্রতি সপ্তাহে বাড়ি আসতে পারছে। শুক্রবার ঘরমুখো মানুষের চাপও থাকে মহাসড়কে। হাইওয়ে পুলিশের টিম রাতদিন মহাসড়কে দায়িত্ব পালন করছে।’
আরামদায়ক ও যানজটমুক্ত ভ্রমণের জন্য এখনো অনেকের কাছে পছন্দ ঢাকা-চাঁদপুর নৌপথ। তবে চাঁদপুর টার্মিনালে যাত্রীদের জন্য নেই তেমন সুযোগ-সুবিধা। স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদপুর আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
২৭ মিনিট আগেশরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু রক্ষা বাঁধের ১০০ মিটার ধসে পদ্মায় বিলীন হয়েছে। এতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে পদ্মা সেতু কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডসহ আশপাশের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থাপনা।
৩১ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপের টিস্যু কারখানায় আগুন লেগেছে। আজ সোমবার ভোরে এ আগুন লাগে। নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট কাজ করছে।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুজনকে আটক করে
৯ ঘণ্টা আগে