নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যকে আজকের মধ্যে সরিয়ে দিতে দাবি উঠেছে জাতীয় সংসদে। আজ রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ ও পীর ফজলুর রহমান এ দাবি করেন।
তাঁরা বলেন, শিক্ষার্থীরা তাঁদের যৌক্তিক কারণেই আন্দোলন করছেন। তাঁদের ওপর যে হামলা হয়েছে। এতে আমরা নিন্দা জানাই। তিনি আইয়ুব খান ও মোনায়েম খানের মতো শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছেন। উপাচার্যকে আজেকের মধ্যে প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান।
কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, গত কয়েদিন ধরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ভাইস চ্যাঞ্জেলারের বিরুদ্ধে, হাউজ টিউটরের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছেন পদত্যাগের দাবিতে। অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যেয় ১৬ জন এরই মধ্যে হাসপতালে ভর্তি হয়েছে।
তিনি বলেন, এতে কারো টনক নড়ছে না। শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, তোমাদের দাবি দাওয়া রেখে ঢাকা আসো আমার সঙ্গে আলোচনা করতে। আমরা সবাই ছাত্র আন্দোলন করে এসেছি, আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে কখনও কোনো ছাত্ররা কারো সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা আসবে না আমরা জানি। মন্ত্রীর উচিত ছিলো ওখানে ডাবল মাস্ক পরে যাওয়া। মোনায়েম খান বহুবার আমাদের বঙ্গভবনে ডেকেছেন।
জাপার এ সাংসদ বলেন, আমরা তখন ছাত্র ছিলাম, আমরা বিয়ের দাওয়াত পেতাম না, আমাদের মিলাদের দাওয়াতও দিতো না। কিন্তু বঙ্গবভবনের দাওয়াতও কিন্তু আমরা প্রত্যাখান করেছি। আমরা কখনও কোনো আন্দোলন করতে গিয়ে বঙ্গভবনের দাওয়াতে যাইনি। ছাত্ররা কেন আসবে আপনার কাছে। প্রত্যেকটা ছাত্র আন্দোলন এদেশে হয়েছে যৌক্তিকভাবে। যখনই যারা সরকারের থাকে সেই আন্দোলনকে তাঁরা অযৌক্তিক মনে করে।
তিনি বলেন, উপাচার্য কোনো স্থায়ী পদ না যে, সে চলে গেলে ওই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে। একটা উপাচার্যকে সরাতে গিয়ে ছাত্ররা যদি অনশন করে এর চেয়ে দুঃখজনক কিছু নেই। বুঝতে হবে তাঁর ওপরে ছাত্রদের কোনো আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই, কোনো ভালোবাসা নেই, শ্রদ্ধাবোধ নেই এবং থাকা উচিত না।
ফিরোজ রশীদ বলেন, তাঁর যদি বিন্দুমাত্র আত্মসম্মানবোধ থাকতো তিনি অবশ্যই এখান থেকে সরে আসতেন। তিনি জোর করে বসে আছেন পুলিশ ঘেরাও করে। এখানেই শেষ নয়, ছাত্ররা গিয়েছিলেন হাইজস টিউটরের সঙ্গে দেখা করতে, পারে নাই। ছাত্রদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করেছেন হাউজ টিউটর। সেখান থেকেই ঘটনার উৎপত্তি। তখন ছাত্রছাত্রীরা ভিসির কাছে গিয়েছিলো, ভিসি তাঁদের সরিয়ে দিয়েছে, কথা বলেননি। তারপরেই তাঁরা আন্দোলন করলো। আন্দোলন করার পরই পুলিশ ডেকে আনলো।
সাবেক এ ছাত্রনেতা বলেন, এটা কি আইয়ুব, মোনায়েম খানের আমল না কি যে, কথায় কথায় পুলিশ আনবেন। লাঠিপেটা করলো, কাঁদানে গ্যাস মারলো আমরা দেখলাম। কেন এটার উৎপত্তি হলো, কোনো ছাত্র আন্দোলনকে ছোট করে দেখা উচিত না। আমি মনে করি অবিলম্বে আর কোনো তদন্ত রিপোর্ট নয়, কারো সঙ্গে আলাপ-আলোচনা নয়, শিক্ষামন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী আছেন, উপাচার্যকে আজকের মধ্যেই ওখান থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে আসেন, ছাত্রদের ক্লাসে ফিরে যেতে সহায়তা করেন।
জাপার আরেক সাংসদ পীর ফজলুর রহমান বলেন, শাবিপ্রবিতে লাগাতার আন্দোলন চলছে। শিক্ষার্থীরা ভিসির সঙ্গে আলাপ করতে গেলে চার্জ গ্রেনেড হামলা, লাঠিপেটা করা হয়েছে। ছাত্রদের ওপর আক্রমণ করার কারণেই ভিসির পদত্যাগের দাবিতে তাঁরা আন্দোলন শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে ভিসি কোন আলোচনা না করার কারণে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে গিয়েছে।
তিনি বলেন, অনশনে অসুস্থ হয়ে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু ভিসি আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে নির্লজ্জের মতো পদে আছেন। যে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভিসিকে চায় না সেখানে তিনি লক্ষ্মীন্দরের বাসার মত সুরক্ষা নিয়ে বসে আছেন। তিনি পদত্যাগ করবেন না। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন না। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে না চাইলে সরকারের উচিত আজকের মধ্যে তাঁকে অব্যহতি দেওয়া।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্যকে আজকের মধ্যে সরিয়ে দিতে দাবি উঠেছে জাতীয় সংসদে। আজ রোববার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে পয়েন্ট অব অর্ডারে দাঁড়িয়ে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ ও পীর ফজলুর রহমান এ দাবি করেন।
তাঁরা বলেন, শিক্ষার্থীরা তাঁদের যৌক্তিক কারণেই আন্দোলন করছেন। তাঁদের ওপর যে হামলা হয়েছে। এতে আমরা নিন্দা জানাই। তিনি আইয়ুব খান ও মোনায়েম খানের মতো শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশ লেলিয়ে দিয়েছেন। উপাচার্যকে আজেকের মধ্যে প্রত্যাহার করে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান।
কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, গত কয়েদিন ধরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা ভাইস চ্যাঞ্জেলারের বিরুদ্ধে, হাউজ টিউটরের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে যাচ্ছেন পদত্যাগের দাবিতে। অনশনে থাকা শিক্ষার্থীদের মধ্যেয় ১৬ জন এরই মধ্যে হাসপতালে ভর্তি হয়েছে।
তিনি বলেন, এতে কারো টনক নড়ছে না। শিক্ষামন্ত্রী বলেছিলেন, তোমাদের দাবি দাওয়া রেখে ঢাকা আসো আমার সঙ্গে আলোচনা করতে। আমরা সবাই ছাত্র আন্দোলন করে এসেছি, আন্দোলনের মাঠ ছেড়ে কখনও কোনো ছাত্ররা কারো সঙ্গে দেখা করতে ঢাকা আসবে না আমরা জানি। মন্ত্রীর উচিত ছিলো ওখানে ডাবল মাস্ক পরে যাওয়া। মোনায়েম খান বহুবার আমাদের বঙ্গভবনে ডেকেছেন।
জাপার এ সাংসদ বলেন, আমরা তখন ছাত্র ছিলাম, আমরা বিয়ের দাওয়াত পেতাম না, আমাদের মিলাদের দাওয়াতও দিতো না। কিন্তু বঙ্গবভবনের দাওয়াতও কিন্তু আমরা প্রত্যাখান করেছি। আমরা কখনও কোনো আন্দোলন করতে গিয়ে বঙ্গভবনের দাওয়াতে যাইনি। ছাত্ররা কেন আসবে আপনার কাছে। প্রত্যেকটা ছাত্র আন্দোলন এদেশে হয়েছে যৌক্তিকভাবে। যখনই যারা সরকারের থাকে সেই আন্দোলনকে তাঁরা অযৌক্তিক মনে করে।
তিনি বলেন, উপাচার্য কোনো স্থায়ী পদ না যে, সে চলে গেলে ওই বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাবে। একটা উপাচার্যকে সরাতে গিয়ে ছাত্ররা যদি অনশন করে এর চেয়ে দুঃখজনক কিছু নেই। বুঝতে হবে তাঁর ওপরে ছাত্রদের কোনো আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই, কোনো ভালোবাসা নেই, শ্রদ্ধাবোধ নেই এবং থাকা উচিত না।
ফিরোজ রশীদ বলেন, তাঁর যদি বিন্দুমাত্র আত্মসম্মানবোধ থাকতো তিনি অবশ্যই এখান থেকে সরে আসতেন। তিনি জোর করে বসে আছেন পুলিশ ঘেরাও করে। এখানেই শেষ নয়, ছাত্ররা গিয়েছিলেন হাইজস টিউটরের সঙ্গে দেখা করতে, পারে নাই। ছাত্রদের সঙ্গে খুব খারাপ আচরণ করেছেন হাউজ টিউটর। সেখান থেকেই ঘটনার উৎপত্তি। তখন ছাত্রছাত্রীরা ভিসির কাছে গিয়েছিলো, ভিসি তাঁদের সরিয়ে দিয়েছে, কথা বলেননি। তারপরেই তাঁরা আন্দোলন করলো। আন্দোলন করার পরই পুলিশ ডেকে আনলো।
সাবেক এ ছাত্রনেতা বলেন, এটা কি আইয়ুব, মোনায়েম খানের আমল না কি যে, কথায় কথায় পুলিশ আনবেন। লাঠিপেটা করলো, কাঁদানে গ্যাস মারলো আমরা দেখলাম। কেন এটার উৎপত্তি হলো, কোনো ছাত্র আন্দোলনকে ছোট করে দেখা উচিত না। আমি মনে করি অবিলম্বে আর কোনো তদন্ত রিপোর্ট নয়, কারো সঙ্গে আলাপ-আলোচনা নয়, শিক্ষামন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রী আছেন, উপাচার্যকে আজকের মধ্যেই ওখান থেকে প্রত্যাহার করে নিয়ে আসেন, ছাত্রদের ক্লাসে ফিরে যেতে সহায়তা করেন।
জাপার আরেক সাংসদ পীর ফজলুর রহমান বলেন, শাবিপ্রবিতে লাগাতার আন্দোলন চলছে। শিক্ষার্থীরা ভিসির সঙ্গে আলাপ করতে গেলে চার্জ গ্রেনেড হামলা, লাঠিপেটা করা হয়েছে। ছাত্রদের ওপর আক্রমণ করার কারণেই ভিসির পদত্যাগের দাবিতে তাঁরা আন্দোলন শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিভাবক হিসেবে ভিসি কোন আলোচনা না করার কারণে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশনে গিয়েছে।
তিনি বলেন, অনশনে অসুস্থ হয়ে শিক্ষার্থীরা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। কিন্তু ভিসি আত্মসম্মান বিসর্জন দিয়ে নির্লজ্জের মতো পদে আছেন। যে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা ভিসিকে চায় না সেখানে তিনি লক্ষ্মীন্দরের বাসার মত সুরক্ষা নিয়ে বসে আছেন। তিনি পদত্যাগ করবেন না। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন না। স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে না চাইলে সরকারের উচিত আজকের মধ্যে তাঁকে অব্যহতি দেওয়া।
আরামদায়ক ও যানজটমুক্ত ভ্রমণের জন্য এখনো অনেকের কাছে পছন্দ ঢাকা-চাঁদপুর নৌপথ। তবে চাঁদপুর টার্মিনালে যাত্রীদের জন্য নেই তেমন সুযোগ-সুবিধা। স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদপুর আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেশরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু রক্ষা বাঁধের ১০০ মিটার ধসে পদ্মায় বিলীন হয়েছে। এতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে পদ্মা সেতু কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডসহ আশপাশের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থাপনা।
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপের টিস্যু কারখানায় আগুন লেগেছে। আজ সোমবার ভোরে এ আগুন লাগে। নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট কাজ করছে।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুজনকে আটক করে
৯ ঘণ্টা আগে