ফরিদপুর প্রতিনিধি
নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের সংঘর্ষে বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার ডাঙ্গী ইউনিয়ন ও ভবুকদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ডাঙ্গী বাজারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৫টি গুলি ছুড়ে পাঁচজনকে আটক করে।
আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ফরিদপুর-২ আসনের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের ডাঙ্গী বাজার এলাকায় ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের পাঁচটি দোকান ও চারটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া ওই উপজেলার ভবুকদিয়া গ্রামেও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পোড়ানো হয় এবং চারটি ঘরবাড়িও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ডাঙ্গী গ্রামের হাসান মেম্বারের নেতৃত্বে নৌকার সমর্থক যদুরদিয়া গ্রামের মিজান, নান্নু মাতুব্বরসহ শতাধিক লোক গাড়িতে করে উল্লাস করে যাওয়ার পথে ডাঙ্গী বাজারে পৌঁছালে তা বাধাগ্রস্ত করেন ডাঙ্গী নগরকান্দা গ্রামের কামাল মাতুব্বরের নেতৃত্বে ঈগল সমর্থকেরা। পরে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয় বলে জানা গেছে। আহতদের নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও বাজারের ব্যবসায়ী সবুজ মোল্যা বলেন, ‘আমরা জামালের ঈগল পাখির দল করছি দেইখ্যা নৌকার লোকজন আইস্যা আমার দোকান ভাঙচুর করছে এবং দোকান থাকা ৮৫ হাজার টাকা ও মালামাল নিয়ে গেছে।’
বাজারের অপর এক ওষুধের দোকানদার বলেন, ‘আমার দোকানের মালামাল নষ্ট করেছে এবং ষাট হাজার দামের একটি কম্পিউটার নিয়ে গেছে নৌকার সমর্থকেরা।’
নৌকার সমর্থক হাসান মেম্বার বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন যাবৎ লাবু চৌধুরীর সঙ্গে আছি। গতকালের নির্বাচনে নৌকার এজেন্টও ছিলাম। আমাদের এখানে মামার (লাবু চৌধুরী) লোকজন কম থাকায় গতকালই ওরা আমাদের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা করে। আজ যখন মামাকে ফুল দেওয়ার জন্য যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন কামালের নেতৃত্বে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। ওরা আগে থেকেই বাজারে দোকানে ঢাল-সড়কি এনে রাখছিল। পরে ওরা নিজেরাই দোকানপাট ভাঙচুর করে আমাদের নামে মামলা দেওয়ার জন্য।’
এ বিষয়ে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ডাঙ্গী বাজারে নৌকার সমর্থকেরা বিজয় উল্লাস করার সময় অপরপক্ষ বাধা দিলে সংঘর্ষ হয়। পরে নৌকার সমর্থকেরা পাল্টা আক্রমণ করে বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ১৫টি গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শাহাদাব আকবর চৌধুরী লাবুকে বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করা হয়। ৮৭ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে তিনি জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৮৫ হাজার ২৩২ ভোট।
নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ঈগল প্রতীকের সমর্থকদের সংঘর্ষে বাড়িঘর, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। আজ সোমবার ডাঙ্গী ইউনিয়ন ও ভবুকদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে ডাঙ্গী বাজারে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৫টি গুলি ছুড়ে পাঁচজনকে আটক করে।
আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে ফরিদপুর-২ আসনের নগরকান্দা উপজেলার ডাঙ্গী ইউনিয়নের ডাঙ্গী বাজার এলাকায় ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকদের পাঁচটি দোকান ও চারটি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। নৌকার সমর্থকদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া ওই উপজেলার ভবুকদিয়া গ্রামেও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় একটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে পোড়ানো হয় এবং চারটি ঘরবাড়িও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
ডাঙ্গী গ্রামের হাসান মেম্বারের নেতৃত্বে নৌকার সমর্থক যদুরদিয়া গ্রামের মিজান, নান্নু মাতুব্বরসহ শতাধিক লোক গাড়িতে করে উল্লাস করে যাওয়ার পথে ডাঙ্গী বাজারে পৌঁছালে তা বাধাগ্রস্ত করেন ডাঙ্গী নগরকান্দা গ্রামের কামাল মাতুব্বরের নেতৃত্বে ঈগল সমর্থকেরা। পরে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয় বলে জানা গেছে। আহতদের নগরকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক ও বাজারের ব্যবসায়ী সবুজ মোল্যা বলেন, ‘আমরা জামালের ঈগল পাখির দল করছি দেইখ্যা নৌকার লোকজন আইস্যা আমার দোকান ভাঙচুর করছে এবং দোকান থাকা ৮৫ হাজার টাকা ও মালামাল নিয়ে গেছে।’
বাজারের অপর এক ওষুধের দোকানদার বলেন, ‘আমার দোকানের মালামাল নষ্ট করেছে এবং ষাট হাজার দামের একটি কম্পিউটার নিয়ে গেছে নৌকার সমর্থকেরা।’
নৌকার সমর্থক হাসান মেম্বার বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন যাবৎ লাবু চৌধুরীর সঙ্গে আছি। গতকালের নির্বাচনে নৌকার এজেন্টও ছিলাম। আমাদের এখানে মামার (লাবু চৌধুরী) লোকজন কম থাকায় গতকালই ওরা আমাদের ওপর হামলা করার পরিকল্পনা করে। আজ যখন মামাকে ফুল দেওয়ার জন্য যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম, তখন কামালের নেতৃত্বে আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা করে। ওরা আগে থেকেই বাজারে দোকানে ঢাল-সড়কি এনে রাখছিল। পরে ওরা নিজেরাই দোকানপাট ভাঙচুর করে আমাদের নামে মামলা দেওয়ার জন্য।’
এ বিষয়ে নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান বলেন, ডাঙ্গী বাজারে নৌকার সমর্থকেরা বিজয় উল্লাস করার সময় অপরপক্ষ বাধা দিলে সংঘর্ষ হয়। পরে নৌকার সমর্থকেরা পাল্টা আক্রমণ করে বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ১৫টি গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি, অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, ফরিদপুর-২ (সালথা-নগরকান্দা) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী শাহাদাব আকবর চৌধুরী লাবুকে বেসরকারিভাবে জয়ী ঘোষণা করা হয়। ৮৭ হাজার ১৯৪ ভোট পেয়ে তিনি জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া ঈগল প্রতীকে পেয়েছেন ৮৫ হাজার ২৩২ ভোট।
জানাজার পর আমাকে ও ছেলে সাদ বিন আজিজুর রহমানকে র্যাব তাদের কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এরপর সাদকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। তখন আমি পাশের রুমে বসে ছিলাম। সাদকে অনেক টর্চার করা হচ্ছে আমি বুঝতে পারি। মনে হয় এ কারণেই সাদ তার মাকে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছিল।
৮ মিনিট আগেবরগুনার বেতাগী উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের মোকামিয়া লঞ্চঘাট থেকে উত্তর দিকে বেড়িবাঁধের দুই কিলোমিটার রাস্তা বেহাল। বেতাগী থেকে মোকামিয়া যেতে বেড়িবাঁধের প্রায় ৯ কিলোমিটার রাস্তার প্রায় ৭ কিলোমিটার পাকা হলেও মাত্র দুই কিলোমিটার রাস্তা এখনো কাঁচা। যে কারণে এই রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী মানুষ প্রতিদিন...
১৯ মিনিট আগেদিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে পৌর শহরের চকচকা গ্রামের কাঠিহারধর এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৬ মিনিট আগেশেরপুরে ছাত্র-জনতার তোপের মুখে পড়ে হাসপাতাল থেকে চলে যান শেরপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সেলিম মিঞা। আজ শনিবার সকালে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ শুরু করলে কার্যালয় ছেড়ে চলে যান তিনি।
১ ঘণ্টা আগে