প্রতিনিধি, শিবচর (মাদারীপুর)
আগামীকাল রোববার থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খোলার খবর শুনেই ঢাকা ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের লোকজন। আজ শনিবার ভোর থেকে এ নৌরুটের ফেরিতে হাজার হাজার যাত্রী পদ্মা পার হচ্ছেন। হঠাৎ করেই শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় জনসমাগমে ভরে উঠেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভিড় আরও বাড়তে শুরু করেছে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ থাকায় ফেরিতে যানবাহন উঠতে পারছে না। ঢাকায় ফেরার এই প্রতিযোগিতায় কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি জানতে চাইলে ঢাকাগামী কয়েকজন যাত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘাটে আবার কিসের স্বাস্থ্যবিধি? ঘাট কর্তৃপক্ষ কখনোই যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি ভাবেননি। ফেরিতে ওঠার কোনো শৃঙ্খলা ঘাটে কখনোই ছিল না। ফেরিঘাটের ২০০ মিটার দূর থেকেই যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়ার উৎসব চলছে। কর্তৃপক্ষই যেখানে শৃঙ্খলা বজায় রেখে পার করছে না, সেখানে সাধারণ যাত্রীরা কীভাবে শৃঙ্খলা বজায় রাখবে? যদি ভিড় কমলে ফেরিতে উঠতে চান, তাহলে সারা দিনেও পার হওয়া যাবে না।
যাত্রীরা আরও বলেন, জমানো টাকা শেষ। খেয়ে-না খেয়ে টিকে আছি। এখন কলকারখানা খুলবে। কাজে যোগ দিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাইরেও যেমন চলা যায় না, তেমনি সংক্রমণের ভয়ে ঘরে বসে থাকাও সম্ভব না। তাহলে পেটের চাহিদা কে মেটাবে?
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোর থেকেই নৌরুটে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। ফেরিতে ওঠার সড়ক আটকে যাত্রীরা ভিড় করে আছেন। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে থ্রি-হুইলারে চেপে যাত্রীরা ঘাটে আসছেন। শুধু তা-ই নয়, পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কারসহ অসংখ্য যানবাহন ফেরিতে ওঠার অপেক্ষায় ঘাটে রয়েছে। যাত্রীদের চাপে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে।
শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে আসা যাত্রী মো. মিলন বলেন, ‘লকডাউনের প্রথমেই বাড়িতে চইলা আসছিলাম। ঢাকায় হকারি করি। কল-কারখানা বন্ধ থাকায় আমার ব্যবসাও বন্ধ আছিল। কাল কলকারখানা খুলবে। তাই ঢাকা যাইতাছি।’
মো. মিলন আরও বলেন, 'প্যাডে (পেটে) ভাত না থাকলে স্বাস্থ্যবিধি দিয়া কী করমু? আর ঘাটে হাজার হাজার মানুষ যাইতাছে। স্বাস্থ্যবিধি কেমনে মানব?’
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে আসা পোশাককর্মী রহিমা বেগম বলেন, ‘গার্মেন্টস খোলার খবরে যাইতাছি। মনে শান্তি পাইছি খবর পাইয়া। কামকাইজ করতে না পারলে না খাইয়া মরতে হইবে।’
ঘাটসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ঘাটে যাত্রীদের যাওয়া-আসা থেমে নেই। লকডাউনের আগেও ভিড় ছিল। এখন আবার হাজার হাজার মানুষের ভিড়। এই ঘাট করোনা সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্র জানায়, আজ সকাল থেকে নৌরুটে ৪টি রো রো,৪টি কে-টাইপসহ মোট ১০টি ফেরি চলাচল করছে। গত দুই দিন বৈরী আবহাওয়া থাকায় নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়েছিল। ফলে নৌরুটে পদ্মা পারাপারের জন্য অপেক্ষারত পণ্যবাহী পরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে। এ ছাড়া সকাল থেকে ফেরিতে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। ঘাটে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটসহ ছোট-বড় অসংখ্য গাড়ি ফেরিতে পারাপার হচ্ছে। অপরদিকে, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় স্রোতের গতিও বৃদ্ধি পেয়ে ফেরি পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগছে।
ঘাট সূত্র আরও জানায়, বাস বন্ধ থাকায় বাংলাবাজার ঘাটে আসতে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল, গোপালগঞ্জ, পটুয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, পিরোজপুর, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ভেঙে ভেঙে মাহেন্দ্র, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাসে করে যাত্রীরা ঘাটে আসছেন। এসব যানবাহনে স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, নৌরুটে সকাল থেকে ১০টি ফেরি চলছে। পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রীর চাপ থাকায় ফেরিতে তাঁদেরও বহন করা হচ্ছে। যাত্রীদের চাপে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে।
বাংলাবাজার ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মো. জামালউদ্দিন বলেন, ঘাটে আজ সকাল থেকেই যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। শিল্প-কারখানা খোলার খবরে সব একসঙ্গে যেতে চাচ্ছে। ঘাটে যানবাহনেরও চাপ রয়েছে।
আগামীকাল রোববার থেকে রপ্তানিমুখী শিল্প-কারখানা খোলার খবর শুনেই ঢাকা ফিরতে শুরু করেছেন দক্ষিণাঞ্চলের লোকজন। আজ শনিবার ভোর থেকে এ নৌরুটের ফেরিতে হাজার হাজার যাত্রী পদ্মা পার হচ্ছেন। হঠাৎ করেই শিবচরের বাংলাবাজার ঘাট এলাকায় জনসমাগমে ভরে উঠেছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ভিড় আরও বাড়তে শুরু করেছে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ থাকায় ফেরিতে যানবাহন উঠতে পারছে না। ঢাকায় ফেরার এই প্রতিযোগিতায় কেউ মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি।
স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি জানতে চাইলে ঢাকাগামী কয়েকজন যাত্রী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঘাটে আবার কিসের স্বাস্থ্যবিধি? ঘাট কর্তৃপক্ষ কখনোই যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধির বিষয়টি ভাবেননি। ফেরিতে ওঠার কোনো শৃঙ্খলা ঘাটে কখনোই ছিল না। ফেরিঘাটের ২০০ মিটার দূর থেকেই যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া নেওয়ার উৎসব চলছে। কর্তৃপক্ষই যেখানে শৃঙ্খলা বজায় রেখে পার করছে না, সেখানে সাধারণ যাত্রীরা কীভাবে শৃঙ্খলা বজায় রাখবে? যদি ভিড় কমলে ফেরিতে উঠতে চান, তাহলে সারা দিনেও পার হওয়া যাবে না।
যাত্রীরা আরও বলেন, জমানো টাকা শেষ। খেয়ে-না খেয়ে টিকে আছি। এখন কলকারখানা খুলবে। কাজে যোগ দিতে হবে। এই পরিস্থিতিতে করোনার স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাইরেও যেমন চলা যায় না, তেমনি সংক্রমণের ভয়ে ঘরে বসে থাকাও সম্ভব না। তাহলে পেটের চাহিদা কে মেটাবে?
বাংলাবাজার ঘাট সূত্রে জানা গেছে, আজ ভোর থেকেই নৌরুটে ঢাকাগামী যাত্রীদের ভিড় বেড়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের ভিড় বাড়তে থাকে। ফেরিতে ওঠার সড়ক আটকে যাত্রীরা ভিড় করে আছেন। দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা থেকে থ্রি-হুইলারে চেপে যাত্রীরা ঘাটে আসছেন। শুধু তা-ই নয়, পণ্যবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, পিকআপ, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কারসহ অসংখ্য যানবাহন ফেরিতে ওঠার অপেক্ষায় ঘাটে রয়েছে। যাত্রীদের চাপে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে।
শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে আসা যাত্রী মো. মিলন বলেন, ‘লকডাউনের প্রথমেই বাড়িতে চইলা আসছিলাম। ঢাকায় হকারি করি। কল-কারখানা বন্ধ থাকায় আমার ব্যবসাও বন্ধ আছিল। কাল কলকারখানা খুলবে। তাই ঢাকা যাইতাছি।’
মো. মিলন আরও বলেন, 'প্যাডে (পেটে) ভাত না থাকলে স্বাস্থ্যবিধি দিয়া কী করমু? আর ঘাটে হাজার হাজার মানুষ যাইতাছে। স্বাস্থ্যবিধি কেমনে মানব?’
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে আসা পোশাককর্মী রহিমা বেগম বলেন, ‘গার্মেন্টস খোলার খবরে যাইতাছি। মনে শান্তি পাইছি খবর পাইয়া। কামকাইজ করতে না পারলে না খাইয়া মরতে হইবে।’
ঘাটসংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা বলেন, ঘাটে যাত্রীদের যাওয়া-আসা থেমে নেই। লকডাউনের আগেও ভিড় ছিল। এখন আবার হাজার হাজার মানুষের ভিড়। এই ঘাট করোনা সংক্রমণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
বিআইডব্লিউটিসির বাংলাবাজার ঘাট সূত্র জানায়, আজ সকাল থেকে নৌরুটে ৪টি রো রো,৪টি কে-টাইপসহ মোট ১০টি ফেরি চলাচল করছে। গত দুই দিন বৈরী আবহাওয়া থাকায় নৌরুটে ফেরি চলাচল ব্যাহত হয়েছিল। ফলে নৌরুটে পদ্মা পারাপারের জন্য অপেক্ষারত পণ্যবাহী পরিবহনের সংখ্যা বেড়েছে। এ ছাড়া সকাল থেকে ফেরিতে যাত্রীদের চাপ রয়েছে। ঘাটে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটসহ ছোট-বড় অসংখ্য গাড়ি ফেরিতে পারাপার হচ্ছে। অপরদিকে, পদ্মায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় স্রোতের গতিও বৃদ্ধি পেয়ে ফেরি পারাপারে দীর্ঘ সময় লাগছে।
ঘাট সূত্র আরও জানায়, বাস বন্ধ থাকায় বাংলাবাজার ঘাটে আসতে যাত্রীদের অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে। দক্ষিণাঞ্চলের বরিশাল, গোপালগঞ্জ, পটুয়াখালী, খুলনা, ফরিদপুর, শরীয়তপুর, পিরোজপুর, মাদারীপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ভেঙে ভেঙে মাহেন্দ্র, ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাসে করে যাত্রীরা ঘাটে আসছেন। এসব যানবাহনে স্বাভাবিকের তুলনায় অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে।
বিআইডব্লিউটিসি বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক মো. সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, নৌরুটে সকাল থেকে ১০টি ফেরি চলছে। পণ্যবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রীর চাপ থাকায় ফেরিতে তাঁদেরও বহন করা হচ্ছে। যাত্রীদের চাপে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে।
বাংলাবাজার ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মো. জামালউদ্দিন বলেন, ঘাটে আজ সকাল থেকেই যাত্রীদের ভিড় রয়েছে। শিল্প-কারখানা খোলার খবরে সব একসঙ্গে যেতে চাচ্ছে। ঘাটে যানবাহনেরও চাপ রয়েছে।
মাদারীপুরের কালকিনিতে বোমা হামলায় আহত মো. সুজন সরদার (৩২) নামের বিএনপির এক কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান সুজন। তিনি কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা
১ ঘণ্টা আগেপটুয়াখালী শহরের পিটিআই এলাকার একটি বাসায় স্ত্রী ও শিশুকে নির্যাতন এবং বাসার গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আইনজীবী দুলাল চন্দ্র দেবনাথ, পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতির সদস্য এবং দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এজিপি)।
১ ঘণ্টা আগেচার বছর ধরে প্রকল্প নেওয়া হলেও পরিবহনমালিকদের রাজনৈতিক প্রভাব ও অবৈধ বাসের দৌরাত্ম্যে আজ পর্যন্ত সফলতা আসেনি বাস রুট রেশনালাইজেশনের। ২০১৬ সালে প্রথম চিন্তা করা হয় ঢাকার বাসগুলোকে একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির আওতায় আনার। ২০১৮ সালে কমিটি করা হয়, আর ২০২১ সালে চালু হয় ঢাকা নগর পরিবহন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ
১ ঘণ্টা আগেবাজারে যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি তখন নীলফামারীর সৈয়দপুরে চালু হয়েছে বিনা লাভের সবজি বাজার। গণঅভূথ্যানের ১০০ তম দিন পূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শহরের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
২ ঘণ্টা আগে