কেউ চাঁদাবাজি করলে চাঁদাবাজদের ধরে তাঁর কাছ নিয়ে যাওয়ার জন্য নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য মো. খসরু চৌধুরী। আজ সোমবার সকালে দক্ষিণখানের ৫০ নম্বর ওয়ার্ডের জয়নাল মার্কেট এলাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে গরিব, দুস্থ ও অসহায় মানুষের মধ্যে ইফতারসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ নির্দেশ দেন।

সংসদ সদস্য খসরু চৌধুরী বলেন, ‘যারা আমাকে গন্ধ বানানোর জন্য, নষ্ট করার জন্য দাঁড়িয়ে আছে, তাদেরকে বলতে চাই—আল্লাহ আমাকে যা দিয়েছেন, তাতেই আমি খুশি। আমার আর অসৎ কোনো টাকার দরকার নাই। আমাদের কেসি ফাউন্ডেশন প্রতি মাসে ২০ লাখ টাকা দান-দক্ষিণা করে। যদি আমি দান-দক্ষিণা না করতাম, তাহলে কি আমি খাইতে পারতাম না? তাহলে কি আমার চান্দাবাজি করার দরকার আছে?’

হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি চান্দাবাজি করি না, চান্দাবাজদের মদদও দেই না। যারা চান্দাবাজি করবে, তাদেরকে ধরে নিয়ে আসবেন। পুলিশের কাছে দিবেন না, আমার কাছ নিয়ে আসবেন। আমি তাদেরকে দেখতে চাই।’

রমজান উপলক্ষে খসরু চৌধুরী বলেন, ‘আমরা যদি সবাই সবার জায়গা থেকে এগিয়ে আসি তাহলে, আমাদের এলাকার গরিব-দুঃখী মানুষ থাকবে না। প্রতি মোড়ে মোড়ে টিসিবির গাড়ি থাকবে, আপনারা সবাই চেষ্টা করবেন সেখান থেকে ন্যায্যমূল্যে পণ্য নেওয়ার।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি একা কিন্তু স্বয়ংসম্পূর্ণ না। আমি একা সবাইকে খুশি করতে পারব না।’

বয়স্ক অসহায় দুস্থদের সহযোগিতার তালিকার আহ্বান জানিয়ে নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে খসরু বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডের গরিব-দুস্থ তালিকা দিবেন। যেসব মহিলাদের ৬২ বছর ও পুরুষদের ৬৪ বছর, তাদের আমি আমার কেসি ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে প্রতি মাসে ২ হাজার টাকা করে দেব। কিন্তু বহুবার বলার পরও এখন পর্যন্ত পাই নাই। আশা করব তালিকাটা দেবেন।’

দক্ষিণখানের ৫০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মো. আওলাদ হোসেন খানের সৌজন্যে এসব সাহ্‌রি এবং ইফতারসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক এস এম মাহবুব আলম, দক্ষিণখান থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু হানিফসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।