এক হাজার ১৬১ কোটি টাকা দুর্নীতি: বিমানের ২১ কর্মকর্তা-কর্মচারীর জামিন শুনানি শেষ হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ০৮ মে ২০২৩, ১৩: ৫৮

১ হাজার ১৬১ কোটি টাকার দুর্নীতি মামলায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের সাবেক ও বর্তমান ২১ কর্মকর্তার জামিন আবেদনের ওপর শুনানি শেষ হয়নি। তাঁরা যেমন আছেন তেমন থাকবেন আগামী ২৮ মে পর্যন্ত। আজ সোমবার ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত ও ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আসাদুজ্জামান এই আদেশ দিয়েছেন। আদেশে বলা হয়েছে, ওই দিন আত্মসমর্পণকৃত আসামিদের জামিনের আবেদনের ওপর আরও শুনানি গ্রহণ করা হবে। এরপর তাঁদের জামিনের বিষয়ে আদেশ দেওয়া হবে।

আজ তাঁদের জামিন আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য ছিল। আসামিদের পক্ষে তিনজনের জামিন আবেদন শুনানি হয়। পরে রাষ্ট্রপক্ষ সময়ের আবেদন করেন। অন্যান্য আসামিদের পক্ষেও সময়ের আবেদন করা হয়। আদালত সময় মঞ্জুর করে পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের বিশেষ পিপি আহমেদ মীর আব্দুস সালাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ১৫ মার্চ ২১ আসামিরা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে আজ ৮ মে পর্যন্ত আসামিরা যেমন ছিলেন তেমন থাকবেন নির্দেশ দিয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করেন। এই মামলায় আরও দুজন আসামি আত্মসমর্পণ করেননি। 

গত ৮ ফেব্রুয়ারি মামলায় আত্মসমর্পণ করে আগাম জামিনের আবেদন করলে হাইকোর্ট এই কর্মকর্তাদের জামিন দিতে অস্বীকৃতি জানান ও তাঁদের ৩ সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের ওই নির্দেশনা অনুযায়ী ২১ জন আসামি জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি বিমানের সাবেক ফ্লাইট ক্যাপ্টেন (অপারেশন) ইশরাত আহমেদসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক। মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রথমে নিজেদের লাভের জন্য এবং পরে জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে ইজিপ্ট এয়ারের ২টি উড়োজাহাজ ইজারা ও পুনরায় সরবরাহ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস লিমিটেডের ১ হাজার ১৬১ কোটি টাকা লোকসান করেছে।

দুদক সূত্র জানায়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ২০১৪ সালে ইজিপ্ট এয়ারের কাছ থেকে ৫ বছরের চুক্তিতে ২টি বোয়িং ৭-২০০ ইআর মডেলের উড়োজাহাজ ইজারা নেয়। প্রথম বছরের শেষে ২টি উড়োজাহাজেরই ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে। ইঞ্জিনগুলো ১২-১৫ বছরের পুরোনো ছিল।

উড়োজাহাজ সচল রাখার জন্য ইজিপ্ট এয়ারের কাছ থেকে আরেকটি ইঞ্জিন ইজারা নেওয়া হয়। দেড় বছর পর সেটিও নষ্ট হয়ে যায়। এতে ৫ বছরে মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় এক হাজার ১০০ কোটি টাকা। বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির তদন্তে এসব তথ্য উঠে আসে।

বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি প্রথমে বিষয়টি খতিয়ে দেখে এবং ২টি উড়োজাহাজ ইজারা নেওয়ার ক্ষেত্রে অনিয়মের খোঁজ পায়। পরে দুদককে বিষয়টি খতিয়ে দেখার সুপারিশ করা হয়। এরপর দুই সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করে দুদক। অনুসন্ধান শেষে দুদক এই মামলা করে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তান-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের রেকর্ড ভাঙল ১৪ বছর পর

৩ মাসে ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা

এয়ারক্র্যাফটে স্বর্ণ পাওয়া গেলে কঠোর ব্যবস্থা: এনবিআর চেয়ারম্যান

রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু

ছাত্র সমন্বয়ক আম্মারের শাস্তি চায় রাবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৪ সংগঠন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত