শহীদুল ইসলাম, ঢাকা
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি দিন দিন কমছেএসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সরকার করোনার সংক্রমণ পাঁচ শতাংশের নিচে নামার আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে।
তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসে শিক্ষার্থী কিছুটা বাড়লেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ক্লাসে আসে না। যাদের কথা মাথায় রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে, সেই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি দিন দিন কমছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখনো করোনার ভয়, এসএসসি ও এইচএসসিতে মাত্র তিন বিষয়ে পরীক্ষা, বন্ধের সময় বাল্যবিবাহ, পরিবারের সঙ্গে আয়-রোজগারের কাজে যোগ দেওয়াসহ নানা কারণে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ক্লাসে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়লেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি দিন দিন কমছে। এ অবস্থায় দুর্গাপূজার ছুটি শেষে এসএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষা শুরুর পর এইচএসসির ক্লাস বন্ধ করার চিন্তা করছে সরকার।
রাজধানীর মণিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সায়েদা নার্গিস বলেন, ‘আমাদের সব শিক্ষার্থী স্কুলে আসছেন। তবে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি সব সময় কিছুটা কম থাকে। এটি স্বাভাবিক।’
ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘আধা ঘণ্টার দুটি ক্লাসে অংশ নিতে অনেক শিক্ষার্থীই এখনো ক্লাসে আসছে না। দীর্ঘ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী গ্রামে চলে গেছে। অনেকে এখনো ঢাকায় ফেরেনি। এ ছাড়া বার্ষিক পরীক্ষা হবে কি হবে না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না থাকায় অনেকে ক্লাসে নিয়মিত আসছে না।’
মাহবুবুর রহমানের মতো মনে করেন ঢাকা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু। তিনি বলেন, অল্প সময়ের জন্য দুয়েকটি বিষয়ের ক্লাসে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কম। করোনার সংক্রমণ কমলেও অভিভাবকেরা এখনো সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।
ঢাকার বাইরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও রয়েছে মিশ্র অবস্থা। প্রাথমিকে উপস্থিতি বাড়লেও মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকে উপস্থিতি এখনো কম। চট্টগ্রাম নগরের সাউথ এশিয়ান কলেজের প্রধান নির্বাহী তানভীরুল ইসলাম বলছেন, কলেজে ৬০ শতাংশের মতো শিক্ষার্থী আসছে, তাও অনিয়মিত। কেউ কেউ পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে।
প্রতিদিন ক্লাস হয় না বলে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসছে না। আবার দীর্ঘ দেড় বছর পর স্কুল খোলায় অনেকের মধ্যে পড়ালেখা নিয়ে আগ্রহ কম। এমনটি মনে করেন বরিশাল সদর উপজেলার আ. মজিদ খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা। তাঁর স্কুলে ৭৫ ভাগ ছাত্র-ছাত্রী আসছে।
ঠিক উল্টো চিত্র বরিশাল ইসলামিয়া কলেজে। এই কলেজের সহকারী অধ্যাপক আমিনুর রহমান ঝান্ডা বলেন, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ শিক্ষার্থী ক্লাসে আসছে।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল নগরীর চহুতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্চয় কুমার খান মনে করেন, করোনায় অনেক পরিবার পেশা বদল করে এলাকা ছেড়ে গেছে। আবার কোনো কোনো ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে।
নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার আলহাজ মোবারক হোসেন অনির্বাণ বিদ্যাতীর্থ উচ্চবিদ্যালয়ে মোট ৭৯০ শিক্ষার্থী। স্কুল চালুর পর গড়ে ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী আসছে না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান শাহিন বলেন, সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির প্রায় ৩০ ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে।
ময়মনসিংহ নগরীর গুহাইলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিতি প্রায় ৮০ শতাংশ বলে জানান সহকারী শিক্ষক শারমিন সুলতানা। নগরীর বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়েও প্রতিটি ক্লাসে গড়ে প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে আসছে। স্কুলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আনোয়ার কাদের বলেন, সর্দি জ্বর থাকলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসতে বারণ করা হয়।
শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, যারা এখনো ক্লাসে আসছে না, তাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এখন ৫২ শতাংশ এসএসসি এবং ৪১ শতাংশ এইচএসসি পরীক্ষার্থী ক্লাস করছে। এ ছাড়া দশম শ্রেণির ৫৩ শতাংশ, একাদশের ৪৯ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাস করছে। যেসব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে পঞ্চম শ্রেণির ৭১ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাস করছে। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত একেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একেক দিন একেক শ্রেণির ক্লাস হওয়ায় এসব শ্রেণির শিক্ষার্থী উপস্থিতির কোনো হিসাব হয়নি। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৬০ শতাংশের কিছু বেশি শিক্ষার্থী ক্লাসে আসছে।
এবার এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের গ্রুপভিত্তিক তিনটি করে নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে দেড় ঘণ্টা করে একেকটি পরীক্ষা নেওয়া হবে। ১৪ নভেম্বর থেকে এসএসসি ও ২ ডিসেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে।
অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন) অধ্যাপক মো. আমির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাত্র তিনটি করে বিষয়ে পরীক্ষা হবে।
সিলেবাসও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে অনেকে বাসায় পড়াশোনা করছে। করোনার ভয়েও অনেক অভিভাবক সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাতে চাচ্ছেন না। তা ছাড়া দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাজে যোগ দিয়েছে। বন্ধের মধ্যে কোনো কোনো ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে আমরা ধারণা করছি, ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী আর পড়াশোনার মধ্যে নেই।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এবং অপারেশন) মনীষ চাকমা বলেন, ‘বিদ্যালয় খোলার পর প্রথম দিকে প্রাথমিকে প্রায় ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে এলেও এখন প্রায় ৮০ শতাংশ আসছে। প্রাথমিকে উপস্থিতি দিন দিন বাড়ছে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি পেতে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ জন্য অনেকে ক্লাসে আসছে। করোনার সংক্রমণ কমে আসায় অভিভাবকেরাও সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন। এরপরও ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী কেন স্কুলে আসছে না, তাদের বিষয়ে খোঁজ নিতে শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষককের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি দিন দিন কমছেএসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে সরকার করোনার সংক্রমণ পাঁচ শতাংশের নিচে নামার আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়েছে।
তবে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাসে শিক্ষার্থী কিছুটা বাড়লেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী ক্লাসে আসে না। যাদের কথা মাথায় রেখে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হয়েছে, সেই এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের উপস্থিতি দিন দিন কমছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এখনো করোনার ভয়, এসএসসি ও এইচএসসিতে মাত্র তিন বিষয়ে পরীক্ষা, বন্ধের সময় বাল্যবিবাহ, পরিবারের সঙ্গে আয়-রোজগারের কাজে যোগ দেওয়াসহ নানা কারণে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম। শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে পদক্ষেপ নিতে হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, গত ১২ সেপ্টেম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পর ক্লাসে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়লেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিতি দিন দিন কমছে। এ অবস্থায় দুর্গাপূজার ছুটি শেষে এসএসসি এবং এসএসসি পরীক্ষা শুরুর পর এইচএসসির ক্লাস বন্ধ করার চিন্তা করছে সরকার।
রাজধানীর মণিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক সায়েদা নার্গিস বলেন, ‘আমাদের সব শিক্ষার্থী স্কুলে আসছেন। তবে এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার আগে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি সব সময় কিছুটা কম থাকে। এটি স্বাভাবিক।’
ডেমরার সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘আধা ঘণ্টার দুটি ক্লাসে অংশ নিতে অনেক শিক্ষার্থীই এখনো ক্লাসে আসছে না। দীর্ঘ দিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেক শিক্ষার্থী গ্রামে চলে গেছে। অনেকে এখনো ঢাকায় ফেরেনি। এ ছাড়া বার্ষিক পরীক্ষা হবে কি হবে না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না থাকায় অনেকে ক্লাসে নিয়মিত আসছে না।’
মাহবুবুর রহমানের মতো মনে করেন ঢাকা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সংগঠন অভিভাবক ঐক্য ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু। তিনি বলেন, অল্প সময়ের জন্য দুয়েকটি বিষয়ের ক্লাসে শিক্ষার্থীদের আগ্রহ কম। করোনার সংক্রমণ কমলেও অভিভাবকেরা এখনো সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন।
ঢাকার বাইরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও রয়েছে মিশ্র অবস্থা। প্রাথমিকে উপস্থিতি বাড়লেও মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকে উপস্থিতি এখনো কম। চট্টগ্রাম নগরের সাউথ এশিয়ান কলেজের প্রধান নির্বাহী তানভীরুল ইসলাম বলছেন, কলেজে ৬০ শতাংশের মতো শিক্ষার্থী আসছে, তাও অনিয়মিত। কেউ কেউ পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে।
প্রতিদিন ক্লাস হয় না বলে অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসছে না। আবার দীর্ঘ দেড় বছর পর স্কুল খোলায় অনেকের মধ্যে পড়ালেখা নিয়ে আগ্রহ কম। এমনটি মনে করেন বরিশাল সদর উপজেলার আ. মজিদ খান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা। তাঁর স্কুলে ৭৫ ভাগ ছাত্র-ছাত্রী আসছে।
ঠিক উল্টো চিত্র বরিশাল ইসলামিয়া কলেজে। এই কলেজের সহকারী অধ্যাপক আমিনুর রহমান ঝান্ডা বলেন, উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে মাত্র ৩০ থেকে ৩৫ ভাগ শিক্ষার্থী ক্লাসে আসছে।
বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও বরিশাল নগরীর চহুতপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্চয় কুমার খান মনে করেন, করোনায় অনেক পরিবার পেশা বদল করে এলাকা ছেড়ে গেছে। আবার কোনো কোনো ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে।
নীলফামারী জলঢাকা উপজেলার আলহাজ মোবারক হোসেন অনির্বাণ বিদ্যাতীর্থ উচ্চবিদ্যালয়ে মোট ৭৯০ শিক্ষার্থী। স্কুল চালুর পর গড়ে ৩০ শতাংশ শিক্ষার্থী আসছে না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রোকনুজ্জামান শাহিন বলেন, সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির প্রায় ৩০ ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে।
ময়মনসিংহ নগরীর গুহাইলকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উপস্থিতি প্রায় ৮০ শতাংশ বলে জানান সহকারী শিক্ষক শারমিন সুলতানা। নগরীর বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়েও প্রতিটি ক্লাসে গড়ে প্রায় ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে আসছে। স্কুলের জ্যেষ্ঠ শিক্ষক আনোয়ার কাদের বলেন, সর্দি জ্বর থাকলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসতে বারণ করা হয়।
শিক্ষাসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, যারা এখনো ক্লাসে আসছে না, তাদের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এখন ৫২ শতাংশ এসএসসি এবং ৪১ শতাংশ এইচএসসি পরীক্ষার্থী ক্লাস করছে। এ ছাড়া দশম শ্রেণির ৫৩ শতাংশ, একাদশের ৪৯ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাস করছে। যেসব মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণি রয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানে পঞ্চম শ্রেণির ৭১ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাস করছে। ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত একেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে একেক দিন একেক শ্রেণির ক্লাস হওয়ায় এসব শ্রেণির শিক্ষার্থী উপস্থিতির কোনো হিসাব হয়নি। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত ৬০ শতাংশের কিছু বেশি শিক্ষার্থী ক্লাসে আসছে।
এবার এসএসসি ও সমমান এবং এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের গ্রুপভিত্তিক তিনটি করে নৈর্বাচনিক বিষয়ে পরীক্ষা দিতে হবে। পরীক্ষার নম্বর কমিয়ে দেড় ঘণ্টা করে একেকটি পরীক্ষা নেওয়া হবে। ১৪ নভেম্বর থেকে এসএসসি ও ২ ডিসেম্বর থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হবে।
অধিদপ্তরের পরিচালক (মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন) অধ্যাপক মো. আমির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মাত্র তিনটি করে বিষয়ে পরীক্ষা হবে।
সিলেবাসও কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ কারণে অনেকে বাসায় পড়াশোনা করছে। করোনার ভয়েও অনেক অভিভাবক সন্তানদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠাতে চাচ্ছেন না। তা ছাড়া দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অনেকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কাজে যোগ দিয়েছে। বন্ধের মধ্যে কোনো কোনো ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে। এসব বিষয় মাথায় রেখে আমরা ধারণা করছি, ৭ শতাংশ শিক্ষার্থী আর পড়াশোনার মধ্যে নেই।’
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক (পলিসি এবং অপারেশন) মনীষ চাকমা বলেন, ‘বিদ্যালয় খোলার পর প্রথম দিকে প্রাথমিকে প্রায় ৬০ শতাংশ শিক্ষার্থী ক্লাসে এলেও এখন প্রায় ৮০ শতাংশ আসছে। প্রাথমিকে উপস্থিতি দিন দিন বাড়ছে।’
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি পেতে বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ জন্য অনেকে ক্লাসে আসছে। করোনার সংক্রমণ কমে আসায় অভিভাবকেরাও সন্তানদের স্কুলে পাঠাচ্ছেন। এরপরও ২০ শতাংশ শিক্ষার্থী কেন স্কুলে আসছে না, তাদের বিষয়ে খোঁজ নিতে শিক্ষা কর্মকর্তা ও শিক্ষককের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আরামদায়ক ও যানজটমুক্ত ভ্রমণের জন্য এখনো অনেকের কাছে পছন্দ ঢাকা-চাঁদপুর নৌপথ। তবে চাঁদপুর টার্মিনালে যাত্রীদের জন্য নেই তেমন সুযোগ-সুবিধা। স্থানীয়দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদপুর আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।
১৮ মিনিট আগেশরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা সেতু রক্ষা বাঁধের ১০০ মিটার ধসে পদ্মায় বিলীন হয়েছে। এতে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে পদ্মা সেতু কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডসহ আশপাশের বাড়িঘর, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য স্থাপনা।
২২ মিনিট আগেনারায়ণগঞ্জ সোনারগাঁয়ে মেঘনা গ্রুপের টিস্যু কারখানায় আগুন লেগেছে। আজ সোমবার ভোরে এ আগুন লাগে। নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট কাজ করছে।
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুই পক্ষে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১৭ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং দুজনকে আটক করে
৯ ঘণ্টা আগে