কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৮টি দানবাক্স (সিন্দুক) থেকে তিন মাস এক দিন পর এবার ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা পাওয়া গেছে। আজ শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে গণনা শেষে এ টাকার হিসাব পাওয়া যায়। বিপুল পরিমাণ দানের এ টাকা ছাড়াও দান হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা ও বেশ কিছু স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন গণনা কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ টি এম ফরহাদ।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খুলে এবার তিন কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা পাওয়া গেছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ান ডলার, সিংগাপুরী ডলার, সৌদি রিয়াল, মালয়েশিয়ান রিংগিট ভালো পরিমাণের স্বর্ণালংকার পাগলা মসজিদের দানবাক্সে জমা পড়েছে।
এর আগে সর্বশেষ গত ২ জুলাই দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৩ মাস ২০ দিনে এই দানবাক্সগুলো জমা পড়েছিল ১৬ বস্তা টাকা। দিনভর গণনা শেষে ১৬টি বস্তায় পাওয়া গেছে ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়। দান সিন্দুক থেকে টাকা খুলে প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় গণনা। প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে টাকা গণনা হয়। এই কাজে মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দান সিন্দুকগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালংকার, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন। কথিত আছে, খাস নিয়তে এ মসজিদে দান করলে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। সে জন্য দূর-দুরান্ত থেকেও অসংখ্য মানুষ এখানে এসে দান করে থাকেন।
মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা যায়, জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে এ মসজিদটির অবস্থান। দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। প্রাপ্ত দানের টাকা থেকে পাগলা মসজিদের এবং এই মসজিদ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও কবরস্থানের ব্যয় নির্বাহ করাসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সহায়তা করা হয়। পাশাপাশি গরিব ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কাজেও টাকা প্রদান করা হয়।
কথিত আছে, প্রায় ৫০০ বছর আগে বাংলার ১২ ভুঁইয়া বা প্রতাপশালী ১২ জন জমিদারের অন্যতম ঈশা খাঁর আমলে ‘দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা’ নামে একজন ব্যক্তি নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তী সময়ে ওই স্থানটিতে মসজিদটি নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ নামে পরিচিতি পায়।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ বলেন, ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব টাকা দিয়ে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তারপর টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৮টি দানবাক্স (সিন্দুক) থেকে তিন মাস এক দিন পর এবার ৩ কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা পাওয়া গেছে। আজ শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে গণনা শেষে এ টাকার হিসাব পাওয়া যায়। বিপুল পরিমাণ দানের এ টাকা ছাড়াও দান হিসেবে বৈদেশিক মুদ্রা ও বেশ কিছু স্বর্ণালংকার পাওয়া গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন গণনা কার্যক্রমের তত্ত্বাবধানে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ টি এম ফরহাদ।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খুলে এবার তিন কোটি ৮৯ লাখ ৭০ হাজার ৮৮২ টাকা পাওয়া গেছে। টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়ান ডলার, সিংগাপুরী ডলার, সৌদি রিয়াল, মালয়েশিয়ান রিংগিট ভালো পরিমাণের স্বর্ণালংকার পাগলা মসজিদের দানবাক্সে জমা পড়েছে।
এর আগে সর্বশেষ গত ২ জুলাই দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ৩ মাস ২০ দিনে এই দানবাক্সগুলো জমা পড়েছিল ১৬ বস্তা টাকা। দিনভর গণনা শেষে ১৬টি বস্তায় পাওয়া গেছে ৩ কোটি ৬০ লাখ ২৭ হাজার ৪১৫ টাকা।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দান সিন্দুকগুলো খোলা হয়। দান সিন্দুক থেকে টাকা খুলে প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় গণনা। প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে টাকা গণনা হয়। এই কাজে মাদ্রাসার ১১২ জন ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ জন স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।
প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ মসজিদটির দান সিন্দুকগুলোতে নগদ টাকা-পয়সা ছাড়াও স্বর্ণালংকার, গবাদিপশু, হাঁস-মুরগিসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন। কথিত আছে, খাস নিয়তে এ মসজিদে দান করলে মনোবাঞ্ছা পূর্ণ হয়। সে জন্য দূর-দুরান্ত থেকেও অসংখ্য মানুষ এখানে এসে দান করে থাকেন।
মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা যায়, জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে এ মসজিদটির অবস্থান। দেশের অন্যতম আয়কারী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত মসজিদটিকে পাগলা মসজিদ ইসলামি কমপ্লেক্স নামকরণ করা হয়েছে। প্রাপ্ত দানের টাকা থেকে পাগলা মসজিদের এবং এই মসজিদ কমপ্লেক্সের অন্তর্ভুক্ত মাদ্রাসা, এতিমখানা ও কবরস্থানের ব্যয় নির্বাহ করাসহ জেলার বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা, এতিমখানায় সহায়তা করা হয়। পাশাপাশি গরিব ছাত্রদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক কাজেও টাকা প্রদান করা হয়।
কথিত আছে, প্রায় ৫০০ বছর আগে বাংলার ১২ ভুঁইয়া বা প্রতাপশালী ১২ জন জমিদারের অন্যতম ঈশা খাঁর আমলে ‘দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিল কদর পাগলা’ নামে একজন ব্যক্তি নদীর তীরে বসে নামাজ পড়তেন। পরবর্তী সময়ে ওই স্থানটিতে মসজিদটি নির্মিত হয়। জিল কদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ নামে পরিচিতি পায়।
পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক কিশোরগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মাহমুদ পারভেজ বলেন, ঐতিহ্যবাহী পাগলা মসজিদে আন্তর্জাতিক মানের দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এর কাজ শুরু হবে। যার নামকরণ হবে ‘পাগলা মসজিদ ইসলামিক কমপ্লেক্স’। এটি নির্মাণে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা। সেখানে ৬০ হাজার মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারবেন।
জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শামীম আলম বলেন, মসজিদ কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এসব টাকা দিয়ে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। পরামর্শক নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তারপর টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ট্রাকের চাপায় রবিউল ইসলাম রবি (৪২) নামের এক স্কুলশিক্ষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ট্রাক চালক সুমন শেখকে (২৯) আটক করেছে পুলিশ।
১৮ মিনিট আগেবগুড়ায় চলতি আমন মৌসুমে ৩৩ টাকা কেজি দরে ধান এবং ৪৭ টাকা কেজি দরে চাল কিনবে খাদ্য বিভাগ। ১৭ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান এবং ১৭ নভেম্বর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সিদ্ধ ও আতপ চাল সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে।
২২ মিনিট আগেরাজশাহীতে যুবলীগ কর্মী মিম (২৮) হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এ কর্মসূচির আয়োজন করে নিহতের পরিবার। মানববন্ধন থেকে মিম হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
২৩ মিনিট আগেনাছিমা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামীর একার উপার্জনেই দুই সন্তানসহ আমাদের চারজনের সংসার চলে। সহায়-সম্পত্তি না থাকায় বাধ্য হয়ে তিনি ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ঢাকার সাভারে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে কয়েকজন একসঙ্গে থাকেন। আমার জানামতে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও সম্পৃক্ত নন। কিন্তু ১৬ নভেম্বর
২৫ মিনিট আগে