নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জনসাধারণের বাক স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এই আইন যে উদ্দেশ্যে প্রণয়ন করা হয়েছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে। বিভিন্ন সময় এ আইনটি সংশোধনের কথা বলা হলেও তা কেবল আশ্বাসই রয়ে গেছে। এই আইন বাতিলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শনিবার সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘নাগরিকের চোখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ শীর্ষক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন বক্তারা।
শনিবার সকালে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে এ আইনের অপব্যবহার আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা ব্যক্ত করেন বক্তারা।
সভার সঞ্চালক সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দেড় হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। ২০১৮ সালে ৯২৫ টি,২০১৯ সালে ১ হাজার ১৮৯টি এবং ২০২০ সালে ১ হাজার ১২৮টি মামলা হয়েছে।
আলোচনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানিয়া আমীর বলেন, ‘আমাদের দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকেরা একত্র হচ্ছেন না। আমরা আইনজীবীরা আইনি লড়াই করার জন্য প্রস্তুত। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে অনেক সাংবাদিক অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন। আমাদের দেশের অনেক জায়ান্ট (বড়) সাংবাদিকেরা বলছেন, “আমরা তো কাজ করতে পারি না, যদি এই আইনে ফেলে দেওয়া হয়।” আমি বলব এটা আপনাদের কর্তব্যে অবহেলা।’
এ সময় তানিয়া আমীর করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে জনগণের তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। ভ্যাকসিনের মধ্যে কি আছে তা পরীক্ষা করে না দেখে জনগণ বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন শাসক শ্রেণির স্বার্থে করা হয়েছে। আইনে অপব্যবহারের জন্য ফাঁকফোকর রাখা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে এই আইনের অপপ্রয়োগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে নতুন নতুন আইনের কথা বলা হচ্ছে যা দিয়ে নতুন নতুন ভাবে আমাদের হাত পা বাঁধার চেষ্টা হচ্ছে।’
এ সব আইনকে রুখে দিতে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান বদিউল আলম মজুমদার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান জানান, কেবলমাত্র আইনের জন্য বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ হয়েছে তা নয়। এর জন্য সামাজিক অবস্থাও দায়ী। প্রচলিত ডিজিটাল আইনটির কিছু ত্রুটি বেরিয়ে এসেছে। তবে দেশে অবশ্যই একটি ডিজিটাল আইন থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
মীজানুর রহমান বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ তে প্রশাসনের বিরুদ্ধে কেউ যেন কিছু বলতে না পারে এ জন্য কিছু জিনিস যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে। দেশে চার পাঁচজনকে হয়তো এই আইনের ভয় দেখিয়ে থামিয়ে রাখা যাচ্ছে, কিন্তু বিদেশে বসে অনেকেই এসব কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য সবার সঙ্গে বসে জাতিসংঘের সহায়তায় একটা আইন করতে হবে।
আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘আইনমন্ত্রীও স্বীকার করেছেন আইনটি সংশোধন হওয়া উচিত। আর মোস্তফা জব্বার সাহেব (টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী) আমাদের যা বলেছেন, তাতে আমরা আরও বেশি আতঙ্কিত। তিনি বলেছেন, মানুষের ডাটা প্রোটেকশন, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ এবং সমস্ত সার্ভার ও প্ল্যাটফর্মগুলোর সমস্ত কিছু তাঁরা বাংলাদেশে নিয়ে আসতে চান, যাতে কন্ট্রোল করা যেতে পারে।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সিজিএসের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলে আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রিট করার আহ্বান জানান।
জনসাধারণের বাক স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করেছে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন। সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক এই আইন যে উদ্দেশ্যে প্রণয়ন করা হয়েছিল, তা ব্যর্থ হয়েছে। বিভিন্ন সময় এ আইনটি সংশোধনের কথা বলা হলেও তা কেবল আশ্বাসই রয়ে গেছে। এই আইন বাতিলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। শনিবার সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘নাগরিকের চোখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ শীর্ষক ভার্চুয়াল মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন বক্তারা।
শনিবার সকালে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম জুমে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে এ আইনের অপব্যবহার আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা ব্যক্ত করেন বক্তারা।
সভার সঞ্চালক সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান জানান, বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২১ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দেড় হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। ২০১৮ সালে ৯২৫ টি,২০১৯ সালে ১ হাজার ১৮৯টি এবং ২০২০ সালে ১ হাজার ১২৮টি মামলা হয়েছে।
আলোচনায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানিয়া আমীর বলেন, ‘আমাদের দেশে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে সাংবাদিকেরা একত্র হচ্ছেন না। আমরা আইনজীবীরা আইনি লড়াই করার জন্য প্রস্তুত। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে অনেক সাংবাদিক অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন। আমাদের দেশের অনেক জায়ান্ট (বড়) সাংবাদিকেরা বলছেন, “আমরা তো কাজ করতে পারি না, যদি এই আইনে ফেলে দেওয়া হয়।” আমি বলব এটা আপনাদের কর্তব্যে অবহেলা।’
এ সময় তানিয়া আমীর করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার মাধ্যমে জনগণের তথ্য হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন। ভ্যাকসিনের মধ্যে কি আছে তা পরীক্ষা করে না দেখে জনগণ বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের ভ্যাকসিন দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন শাসক শ্রেণির স্বার্থে করা হয়েছে। আইনে অপব্যবহারের জন্য ফাঁকফোকর রাখা হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে এই আইনের অপপ্রয়োগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে নতুন নতুন আইনের কথা বলা হচ্ছে যা দিয়ে নতুন নতুন ভাবে আমাদের হাত পা বাঁধার চেষ্টা হচ্ছে।’
এ সব আইনকে রুখে দিতে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান বদিউল আলম মজুমদার।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান জানান, কেবলমাত্র আইনের জন্য বাক স্বাধীনতা রুদ্ধ হয়েছে তা নয়। এর জন্য সামাজিক অবস্থাও দায়ী। প্রচলিত ডিজিটাল আইনটির কিছু ত্রুটি বেরিয়ে এসেছে। তবে দেশে অবশ্যই একটি ডিজিটাল আইন থাকা উচিত বলে মনে করেন তিনি।
মীজানুর রহমান বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ তে প্রশাসনের বিরুদ্ধে কেউ যেন কিছু বলতে না পারে এ জন্য কিছু জিনিস যুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়েছে। দেশে চার পাঁচজনকে হয়তো এই আইনের ভয় দেখিয়ে থামিয়ে রাখা যাচ্ছে, কিন্তু বিদেশে বসে অনেকেই এসব কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য সবার সঙ্গে বসে জাতিসংঘের সহায়তায় একটা আইন করতে হবে।
আর্টিকেল নাইনটিনের দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘আইনমন্ত্রীও স্বীকার করেছেন আইনটি সংশোধন হওয়া উচিত। আর মোস্তফা জব্বার সাহেব (টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী) আমাদের যা বলেছেন, তাতে আমরা আরও বেশি আতঙ্কিত। তিনি বলেছেন, মানুষের ডাটা প্রোটেকশন, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ন্ত্রণ এবং সমস্ত সার্ভার ও প্ল্যাটফর্মগুলোর সমস্ত কিছু তাঁরা বাংলাদেশে নিয়ে আসতে চান, যাতে কন্ট্রোল করা যেতে পারে।’
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সিজিএসের চেয়ারম্যান মনজুর আহমেদ চৌধুরী। তিনি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলে আইনজীবীদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে রিট করার আহ্বান জানান।
রংপুরের পীরগাছা উপজেলায় ১০ দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সুমাইয়া (১০) নামের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে। সে ৬ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছে।
১২ মিনিট আগেসংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন নবগঠিত ময়নামতি উপজেলা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যসচিব দিদারুল আলম দিদার। তিনি বলেন, ‘কোনো এক অদৃশ্য কারণে অতীতে ময়নামতি অঞ্চল বৈষম্যের শিকার হয়েছে। এই অঞ্চল ঐতিহাসিক গুরুত্ব, ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় কোনোভাবেই বুড়িচং উপজেলার অংশ হওয়া উচিত ছিল না। আধুনিক সভ্যতায় তথ্যপ্রযুক্তির..
১৩ মিনিট আগেনোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার জিরতলী-চন্দ্রগঞ্জ সড়কে যাত্রীবাহী বাস ও সিএনজির মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়েছে। এতে বাস চাপায় সিএনজিতে থাকা আইরিন আক্তার (১৪) নামে এক যাত্রী নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন নিহতের ছোট বোন আঁখি আক্তার (৭)। ঘটনার পর দ্রুত পালিয়ে যায় বাসটি...
২৫ মিনিট আগেপাবনায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে মৎস্যজীবী দলের সাবেক নেতা নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন। আজ শনিবার সকালে সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের বেতেপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৩৬ মিনিট আগে