নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশের হাজার হাজার পরিবার প্রতিনিয়ত নদী ভাঙনের শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় ৩০ বছর পর চর জাগলে তা সরকারি খাস জমিতে পরিণত হয়। এতে জমির মালিকেরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন চাইছে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকেরা।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন ‘নদী ভাঙলে জমি খাস আইন বাতিল সংগ্রাম কমিটি'। সংগঠনটি নদীর সিকস্তি অঞ্চলে ডিএস, সিএস, এসএ ও আরএস রেকর্ড, চিটার ভলিউম দেখে প্রজাস্বত্ব বহাল ও খাজনা-খারিজ চালুসহ ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নের কথা বলেন।
মানববন্ধনের আয়োজকেরা জানান, দেশের নদী সিকস্তি অঞ্চলে বসবাসকারী তিন কোটি মানুষ জান-মালের ঝুঁকি নিয়ে সকল প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে অনাবাদযাগ্য উঁচু-নিচু জমি আবাদযাগ্য করে দেশের কৃষি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আন্দোলনে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, কৃষকের ভূমির অধিকার প্রতিষ্ঠায় যুগযুগ ধরে লড়াই করেছে। তাই স্বাধীনতার পর এ অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা ছিল তাদের ভাগ্যের বদল হবে কিন্তু স্বাধীন দেশে সমস্যার সমাধান হয়নি বরং ঔপনিবেশিক শাসন আমলের আদলে নতুন আইন ও আইনের সংশোধন করে বাপ-দাদার পৈতৃক জমির অধিকার হরণ করা হয়েছে। আইনের মারপ্যাঁচে আজ চরের মানুষ তার পৈতৃক জমির প্রজাস্বত্ব হারিয়েছে। ভূমি অফিস জেগে ওঠা চরে আগের মালিক বা তার উত্তরাধীকারকে জমি খারিজ দেয় না। বিগত সময়ে বিভিন্ন জরিপে নিজ নামে জমি-জমা রেকর্ড করা সত্ত্বেও ভূমি অফিস খাজনাদি না নেওয়ায় এসব অঞ্চলের মানুষ জমিজমা ক্রয়-বিক্রয় করতে পারছে না।
সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়ক জাহিদ হাসেন খান বলেন, 'আমরা বেদনার সঙ্গে আরও লক্ষ্য করি নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারানো মানুষের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের কোন ব্যবস্থা নেই। বর্তমানে বিশেষজ্ঞ সমীক্ষা ছাড়াই সারা দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে নদী খনন করার নামে চলছে বালু ব্যবসার মহাৎসব। বালু মাফিয়াচক্র ড্রেজিং-এর নামে কৃষকদের ফসলি জমি কেটে নিচ্ছে। নদীর পাড় সংরক্ষণও ঢালু সঠিক মাপমতো না করায় নদী খননের পরে জমিজমা ভেঙে আবার নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। নদী ভাঙন রোধে ও জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেই। তাই নদী সিকস্তি অঞ্চলের মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার সার্থেই লড়াই সংগ্রামে নামতে হয়েছে।'
মানববন্ধনে প্রবীণ কৃষক নেতা আব্দুল কাদের চাকলাদারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন খেতমজুর সমিতির সভাপতি ডা. ফজলুর রহমান, তেল-গ্যাস বিদ্যুৎ-বন্দর ও সুন্দরবন রক্ষায় জাতীয় কমিটির নেতা রুহিন হাসেন প্রিন্স, হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সংগ্রাম কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা আলতাফ হাসেন মাস্টার, গোলাম ফারুক বিএসসি, মুক্তিযাদ্ধা আশরাফ তালুকদার, হাবিবুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভূইয়া, আলী আক্কাস প্রমুখ।
দেশের হাজার হাজার পরিবার প্রতিনিয়ত নদী ভাঙনের শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। নদী ভাঙন কবলিত এলাকায় ৩০ বছর পর চর জাগলে তা সরকারি খাস জমিতে পরিণত হয়। এতে জমির মালিকেরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই অবস্থার পরিবর্তন চাইছে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকেরা।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন ‘নদী ভাঙলে জমি খাস আইন বাতিল সংগ্রাম কমিটি'। সংগঠনটি নদীর সিকস্তি অঞ্চলে ডিএস, সিএস, এসএ ও আরএস রেকর্ড, চিটার ভলিউম দেখে প্রজাস্বত্ব বহাল ও খাজনা-খারিজ চালুসহ ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নের কথা বলেন।
মানববন্ধনের আয়োজকেরা জানান, দেশের নদী সিকস্তি অঞ্চলে বসবাসকারী তিন কোটি মানুষ জান-মালের ঝুঁকি নিয়ে সকল প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে অনাবাদযাগ্য উঁচু-নিচু জমি আবাদযাগ্য করে দেশের কৃষি উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও সকল গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল আন্দোলনে বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, কৃষকের ভূমির অধিকার প্রতিষ্ঠায় যুগযুগ ধরে লড়াই করেছে। তাই স্বাধীনতার পর এ অঞ্চলের মানুষের প্রত্যাশা ছিল তাদের ভাগ্যের বদল হবে কিন্তু স্বাধীন দেশে সমস্যার সমাধান হয়নি বরং ঔপনিবেশিক শাসন আমলের আদলে নতুন আইন ও আইনের সংশোধন করে বাপ-দাদার পৈতৃক জমির অধিকার হরণ করা হয়েছে। আইনের মারপ্যাঁচে আজ চরের মানুষ তার পৈতৃক জমির প্রজাস্বত্ব হারিয়েছে। ভূমি অফিস জেগে ওঠা চরে আগের মালিক বা তার উত্তরাধীকারকে জমি খারিজ দেয় না। বিগত সময়ে বিভিন্ন জরিপে নিজ নামে জমি-জমা রেকর্ড করা সত্ত্বেও ভূমি অফিস খাজনাদি না নেওয়ায় এসব অঞ্চলের মানুষ জমিজমা ক্রয়-বিক্রয় করতে পারছে না।
সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়ক জাহিদ হাসেন খান বলেন, 'আমরা বেদনার সঙ্গে আরও লক্ষ্য করি নদী ভাঙনে সর্বস্ব হারানো মানুষের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের কোন ব্যবস্থা নেই। বর্তমানে বিশেষজ্ঞ সমীক্ষা ছাড়াই সারা দেশে হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে নদী খনন করার নামে চলছে বালু ব্যবসার মহাৎসব। বালু মাফিয়াচক্র ড্রেজিং-এর নামে কৃষকদের ফসলি জমি কেটে নিচ্ছে। নদীর পাড় সংরক্ষণও ঢালু সঠিক মাপমতো না করায় নদী খননের পরে জমিজমা ভেঙে আবার নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। নদী ভাঙন রোধে ও জলাবদ্ধতা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেই। তাই নদী সিকস্তি অঞ্চলের মানুষের অস্তিত্ব রক্ষার সার্থেই লড়াই সংগ্রামে নামতে হয়েছে।'
মানববন্ধনে প্রবীণ কৃষক নেতা আব্দুল কাদের চাকলাদারের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন খেতমজুর সমিতির সভাপতি ডা. ফজলুর রহমান, তেল-গ্যাস বিদ্যুৎ-বন্দর ও সুন্দরবন রক্ষায় জাতীয় কমিটির নেতা রুহিন হাসেন প্রিন্স, হকার্স ইউনিয়নের সভাপতি মুর্শিকুল ইসলাম শিমুল, সংগ্রাম কমিটির কেন্দ্রীয় নেতা আলতাফ হাসেন মাস্টার, গোলাম ফারুক বিএসসি, মুক্তিযাদ্ধা আশরাফ তালুকদার, হাবিবুর রহমান, আব্দুল মান্নান ভূইয়া, আলী আক্কাস প্রমুখ।
রাজধানীর উত্তরায় ‘চোর পেটানোকে’ কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও সাপ্পরো ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। এ সময় কলেজ হোস্টেলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের ৭ /সি নম্বর সড়কের হোস্টেল এলাকায় শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষ
৭ ঘণ্টা আগেপালানোর সময় বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসান। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৭ ঘণ্টা আগেজধানীর হাজারীবাগে সাইকেল চোর ধরতে গিয়ে খুন হয় কিশোর সাহাদাৎ হোসেন শান্ত। হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে হাজারীবাগ থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. শুকুর আলী (২২), মো. সিয়াম (২০) ও মো. শাকিল হোসেন (২৩)। তাঁদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে
৮ ঘণ্টা আগেবেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তাঁকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ডিবির একটি টিম তাঁকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে
৮ ঘণ্টা আগে