নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫। ৩৩ জনের মরদেহ এরই মধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত ক্ষতিগ্রস্ত ও হতাহতদের জন্য তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ঢাকা জেলা প্রশাসনের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আব্দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৪৫ জন মারা গেছে। তাদের মধ্যে ৩৯ জনকে শনাক্ত করা গেছে। বাকি ৬ জনকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে ৩৩ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ কে এম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘মরদেহ হস্তান্তরের কাজটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ করছে, আমরা তাদের সহায়তা করছি। নিহতদের যারা আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান নয়, তাদের আমরা ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা করেছি। আমরা সবার তথ্য সংগ্রহ করছি।’
এর আগে, আজ শুক্রবার সকাল থেকে পুলিশ নিহতদের স্বজনদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তা যাচাই-বাছাই করে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নিহতদের মরদেহ বুঝে নিতে অনেক আগে থেকেই ঢামেক হাসপাতালে অপেক্ষা করছেন স্বজনেরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ সালমান ফারসী মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া তদারক করছেন। তিন বলেন, ‘নিহতদের স্বজনেরা এসেছেন, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে। যাচাই-বাছাই শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের সাততলা ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, বেশ কয়েকজন নারী ও শিশুসহ ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের একাধিক সদস্য আছে। তারা সবাই ভবনটিতে থাকা রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিল।
গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটি সাততলা। এর নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত পুরোটাই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে নিচতলায় একাধিক কাপড়ের দোকান ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যের যন্ত্রাংশ বিক্রি হয়। দ্বিতীয় তলা থেকে শুরু করে ওপরের দিকে কাচ্চি ভাই, কেএফসি, পিজ্জা ইনসহ বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিচতলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। নিচতলায় লাগা আগুন দ্রুত ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভবনে আটকে পড়ে অনেক মানুষ। আতঙ্কিত লোকজন ওপরের দিকে উঠে যায়। ভবনে থাকা বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁর কর্মী এবং সেখানে যাওয়া মানুষ আগুনের মুখে আটকা পড়ে।
ধারণা করা হচ্ছে, আটকে পড়াদের অনেকে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিল। তারাই মূলত সেখানে আটকা পড়ে। এই অবস্থায় ভবনের তৃতীয় ও সপ্তম তলায় আটকে পড়ারা উদ্ধারের আকুতি জানাতে থাকে। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিসের টার্ন টেবিল ল্যাডার (টিটিএল) ব্যবহার করে আটকে পড়াদের নামিয়ে আনার কাজ শুরু করে। ফায়ারের ১২টি ইউনিট কাজ করে ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ১২টার দিকে ভবনের সামনে অবস্থান করতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসের বিশেষায়িত গাড়ি ‘রেফ্রিজারেটেড স্টোরেজ ট্রাক’। এটি মূলত মরদেহ বহনের গাড়ি। এই গাড়িতে করে মরদেহ নেওয়া হয় হাসপাতালে।
আরও পড়ুন—
রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের বহুতল ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৫। ৩৩ জনের মরদেহ এরই মধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থাপিত ক্ষতিগ্রস্ত ও হতাহতদের জন্য তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা ঢাকা জেলা প্রশাসনের জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আব্দুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ৪৫ জন মারা গেছে। তাদের মধ্যে ৩৯ জনকে শনাক্ত করা গেছে। বাকি ৬ জনকে এখনো শনাক্ত করা যায়নি।’ তিনি আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে ৩৩ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এ কে এম হেদায়েতুল ইসলাম বলেন, ‘মরদেহ হস্তান্তরের কাজটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ করছে, আমরা তাদের সহায়তা করছি। নিহতদের যারা আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান নয়, তাদের আমরা ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা করেছি। আমরা সবার তথ্য সংগ্রহ করছি।’
এর আগে, আজ শুক্রবার সকাল থেকে পুলিশ নিহতদের স্বজনদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে তা যাচাই-বাছাই করে মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। নিহতদের মরদেহ বুঝে নিতে অনেক আগে থেকেই ঢামেক হাসপাতালে অপেক্ষা করছেন স্বজনেরা।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ সালমান ফারসী মরদেহ হস্তান্তর প্রক্রিয়া তদারক করছেন। তিন বলেন, ‘নিহতদের স্বজনেরা এসেছেন, কাগজপত্র যাচাই-বাছাই চলছে। যাচাই-বাছাই শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৫০ মিনিটে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের সাততলা ভবনটিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, বেশ কয়েকজন নারী ও শিশুসহ ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে একই পরিবারের একাধিক সদস্য আছে। তারা সবাই ভবনটিতে থাকা রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়েছিল।
গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটি সাততলা। এর নিচ থেকে ওপর পর্যন্ত পুরোটাই বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হয়। এর মধ্যে নিচতলায় একাধিক কাপড়ের দোকান ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যের যন্ত্রাংশ বিক্রি হয়। দ্বিতীয় তলা থেকে শুরু করে ওপরের দিকে কাচ্চি ভাই, কেএফসি, পিজ্জা ইনসহ বেশ কয়েকটি রেস্তোরাঁ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নিচতলা থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়।
ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন লাগে। নিচতলায় লাগা আগুন দ্রুত ওপরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ভবনে আটকে পড়ে অনেক মানুষ। আতঙ্কিত লোকজন ওপরের দিকে উঠে যায়। ভবনে থাকা বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁর কর্মী এবং সেখানে যাওয়া মানুষ আগুনের মুখে আটকা পড়ে।
ধারণা করা হচ্ছে, আটকে পড়াদের অনেকে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিল। তারাই মূলত সেখানে আটকা পড়ে। এই অবস্থায় ভবনের তৃতীয় ও সপ্তম তলায় আটকে পড়ারা উদ্ধারের আকুতি জানাতে থাকে। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা সেখানে উদ্ধার অভিযান শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিসের টার্ন টেবিল ল্যাডার (টিটিএল) ব্যবহার করে আটকে পড়াদের নামিয়ে আনার কাজ শুরু করে। ফায়ারের ১২টি ইউনিট কাজ করে ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ১২টার দিকে ভবনের সামনে অবস্থান করতে দেখা যায় ফায়ার সার্ভিসের বিশেষায়িত গাড়ি ‘রেফ্রিজারেটেড স্টোরেজ ট্রাক’। এটি মূলত মরদেহ বহনের গাড়ি। এই গাড়িতে করে মরদেহ নেওয়া হয় হাসপাতালে।
আরও পড়ুন—
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারীর সঙ্গে বৈঠকের পরও কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় ফের মহাখালীতে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত রেল ও সড়ক পথ অবরোধ কর্মসূচি ডেকেছে শিক্ষার্থীরা
৩ মিনিট আগেছাত্র আন্দোলনে এক যুবককে গুলি–ককটেল বিস্ফোরণে আহত করার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীসহ ১৮৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। আজ সোমবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কফিল উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি মামলাটি দায়ের করেছেন। তিনি আনোয়ারা উপজেলার বারখাইন এলা
১৪ মিনিট আগেচলমান সংঘাতের জেরে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে এবার চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা জনগোষ্ঠীর ৫৬ নাগরিক পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁরা কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরের কুতুপালংস্থ হিন্দু রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছেন।
৩৯ মিনিট আগেসিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে নিখোঁজের ১৫ দিন পর মুদি দোকানির রইচ ফকির (৫৫) গলিত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
৪২ মিনিট আগে