নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা ও মোল্লার বই ডটকম নামের একটি অনলাইন বই বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হাফেজ মাহমুদুল হাছান (২৮)। ১০ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) রাত নয়টার পর অনলাইনে অর্ডার পাওয়া এক গ্রাহকের ঠিকানায় বই পৌঁছে দিতে গিয়ে নিখোঁজ হন হাছান। এর পর থেকে তাঁর সন্ধানের অপেক্ষায় পরিবার। এই ঘটনায় নিখোঁজ তরুণের বাবা মাওলানা জাফর আহমদ যাত্রাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ৯০৭) করেছেন।
নিখোঁজ অনলাইনে বই বিক্রেতা হাছান এক সন্তানের জনক। তিনি পরিবার নিয়ে যাত্রাবাড়ী থানার কুতুবখালী এলাকায় বসবাস করেন। ‘মোল্লার বই ডটকম’ নামের একটি অনলাইন বইয়ের ব্যবসাই তাঁর মূল পেশা। পাশাপাশি অনলাইনে অর্ডার পাওয়া বই নিজেই গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতেন তিনি।
হাছানের বাবা মাওলানা জাফর আহমদ বলেন, ‘আমার ছেলে আট দিন ধরে নিখোঁজ। থানায় জিডি করেছি। পুলিশও তাঁর সন্ধানে কাজ করছে। তাঁর এক মেয়ে রয়েছে। মেয়েটা সারা দিন বাবা-বাবা বলে তাঁকে খোঁজে। আমার ছেলে কোনো অপরাধ করে থাকলে পরিবারকে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে জানানো হোক। কিন্তু এভাবে কেউ তুলে নিয়ে যাবে এটা কোনোভাবে কাম্য নয়।’
জানা গেছে, অনলাইনে এক গ্রাহক হাছানকে অগ্রিম এক হাজার টাকা পাঠিয়ে বেশ কিছু বই অর্ডার করেন। তবে অর্ডারকারী গ্রাহকের দেওয়া নম্বর বন্ধ থাকায় সময়মতো বই পৌঁছে দিতে পারেননি। পরে গত ৯ ডিসেম্বর আবারও সচল হয় নম্বরটি। পরে হাছান যোগাযোগ করে বই পৌঁছে দেওয়ার কথা জানান। সেই অনুযায়ী পরের দিন ওই গ্রাহকের বাসায় বই পৌঁছে দিতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
হাছান নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরিটি তদন্ত করছেন যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহসীন আলী। তিনি জানান, হাছানের অবস্থান জানতে আমরা কাজ করছি। গ্রাহকের দেওয়া নম্বরটির রেকর্ড বলছে শুধু গত এক বছরে ব্যবহারকারী কেবল এই নম্বর দিয়ে হাছানকেই ফোন দিয়েছেন। ফলে সেই ফোন নম্বরের রেজিস্ট্রেশন এবং ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে নানা রহস্য তৈরি হয়েছে। সেই ফোন নম্বরের সিমের রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী ঠিকানা বলছে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায়।
হাছানের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে নিখোঁজের এক দিন পরে তাঁরই নম্বর ব্যবহার করে প্রথমে পাঁচ হাজার পরে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। সঙ্গে দেওয়া হয় বিকাশ নম্বর। সর্বশেষ গত ১৫ তারিখ আবারও কল করে বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।’
চাঁদা দাবির বিষয়ে এসআই মোহসিন আলী বলেন, ‘চাঁদা দাবির বিষয়টি পরিবার থেকে জানানো হয়েছে। আমরা কাজ করছি।’
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল আলম বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। তবে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি বিভিন্ন প্রতারক চক্রের কাজ বলে মনে করছি। কারণ নিখোঁজ হাছানের সন্ধান চেয়ে ফেসবুকে অনেক পোস্ট করা হয়েছে। সেই সূত্র ধরে প্রতারক চক্র পরিবারকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করছে।’
হাছানের নম্বর ব্যবহার করে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবির বিষয়ে মফিজুল আলম বলেন, ‘এগুলো স্ক্যামারদের কাজ। তারা সফটওয়্যারে নম্বর বাসিয়ে হুবহু নম্বর বানিয়ে এসব কল দিয়ে থাকে। তবে আমরা সব দিক মিলিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করছি।’
রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা ও মোল্লার বই ডটকম নামের একটি অনলাইন বই বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হাফেজ মাহমুদুল হাছান (২৮)। ১০ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) রাত নয়টার পর অনলাইনে অর্ডার পাওয়া এক গ্রাহকের ঠিকানায় বই পৌঁছে দিতে গিয়ে নিখোঁজ হন হাছান। এর পর থেকে তাঁর সন্ধানের অপেক্ষায় পরিবার। এই ঘটনায় নিখোঁজ তরুণের বাবা মাওলানা জাফর আহমদ যাত্রাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ৯০৭) করেছেন।
নিখোঁজ অনলাইনে বই বিক্রেতা হাছান এক সন্তানের জনক। তিনি পরিবার নিয়ে যাত্রাবাড়ী থানার কুতুবখালী এলাকায় বসবাস করেন। ‘মোল্লার বই ডটকম’ নামের একটি অনলাইন বইয়ের ব্যবসাই তাঁর মূল পেশা। পাশাপাশি অনলাইনে অর্ডার পাওয়া বই নিজেই গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিতেন তিনি।
হাছানের বাবা মাওলানা জাফর আহমদ বলেন, ‘আমার ছেলে আট দিন ধরে নিখোঁজ। থানায় জিডি করেছি। পুলিশও তাঁর সন্ধানে কাজ করছে। তাঁর এক মেয়ে রয়েছে। মেয়েটা সারা দিন বাবা-বাবা বলে তাঁকে খোঁজে। আমার ছেলে কোনো অপরাধ করে থাকলে পরিবারকে তাঁর অবস্থান সম্পর্কে জানানো হোক। কিন্তু এভাবে কেউ তুলে নিয়ে যাবে এটা কোনোভাবে কাম্য নয়।’
জানা গেছে, অনলাইনে এক গ্রাহক হাছানকে অগ্রিম এক হাজার টাকা পাঠিয়ে বেশ কিছু বই অর্ডার করেন। তবে অর্ডারকারী গ্রাহকের দেওয়া নম্বর বন্ধ থাকায় সময়মতো বই পৌঁছে দিতে পারেননি। পরে গত ৯ ডিসেম্বর আবারও সচল হয় নম্বরটি। পরে হাছান যোগাযোগ করে বই পৌঁছে দেওয়ার কথা জানান। সেই অনুযায়ী পরের দিন ওই গ্রাহকের বাসায় বই পৌঁছে দিতে গিয়ে নিখোঁজ হন তিনি।
হাছান নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরিটি তদন্ত করছেন যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোহসীন আলী। তিনি জানান, হাছানের অবস্থান জানতে আমরা কাজ করছি। গ্রাহকের দেওয়া নম্বরটির রেকর্ড বলছে শুধু গত এক বছরে ব্যবহারকারী কেবল এই নম্বর দিয়ে হাছানকেই ফোন দিয়েছেন। ফলে সেই ফোন নম্বরের রেজিস্ট্রেশন এবং ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে নানা রহস্য তৈরি হয়েছে। সেই ফোন নম্বরের সিমের রেজিস্ট্রেশন অনুযায়ী ঠিকানা বলছে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায়।
হাছানের বাবা বলেন, ‘আমার ছেলে নিখোঁজের এক দিন পরে তাঁরই নম্বর ব্যবহার করে প্রথমে পাঁচ হাজার পরে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। সঙ্গে দেওয়া হয় বিকাশ নম্বর। সর্বশেষ গত ১৫ তারিখ আবারও কল করে বিশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করা হয়।’
চাঁদা দাবির বিষয়ে এসআই মোহসিন আলী বলেন, ‘চাঁদা দাবির বিষয়টি পরিবার থেকে জানানো হয়েছে। আমরা কাজ করছি।’
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজুল আলম বলেন, ‘আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। তবে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবির বিষয়টি বিভিন্ন প্রতারক চক্রের কাজ বলে মনে করছি। কারণ নিখোঁজ হাছানের সন্ধান চেয়ে ফেসবুকে অনেক পোস্ট করা হয়েছে। সেই সূত্র ধরে প্রতারক চক্র পরিবারকে ফোন করে মুক্তিপণ দাবি করছে।’
হাছানের নম্বর ব্যবহার করে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ দাবির বিষয়ে মফিজুল আলম বলেন, ‘এগুলো স্ক্যামারদের কাজ। তারা সফটওয়্যারে নম্বর বাসিয়ে হুবহু নম্বর বানিয়ে এসব কল দিয়ে থাকে। তবে আমরা সব দিক মিলিয়ে গুরুত্বসহকারে কাজ করছি।’
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ব্যক্তিগত পার্ক গুঁড়িয়ে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রেলওয়ের বিভাগীয় সহকারী ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পরিচালিত উচ্ছেদ টিম পার্কটি গুঁড়িয়ে দেয়
৪৩ মিনিট আগেফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদেরকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় জিম্মিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা
২ ঘণ্টা আগেবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সংস্কারের জন্য তিন মাসের বেশি সময় দরকার হওয়ার কথা না। জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়। তাই আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে নির্বাচন দিতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বিমান পরিবহন, পর্যটন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, সংস্কার দোকান থেকে কেনার বিষয় না। এটি চলমান প্রক্রিয়া। কমিশনগুলো গণ মতামত নিচ্ছে। তার ভিত্তিতেই সংস্কার হবে। সংস্কার হবে কোনো গোষ্ঠীর জন্য নয় সমগ্র দেশের মানুষের জন্য।
২ ঘণ্টা আগে