ঢাবি প্রতিনিধি
গত সোমবার রাজধানীর শহীদ মিনারে মারধরের শিকার হন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. এ কে এম সাজ্জাদ হোসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয়ে তাঁকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে শাহবাগ থানায় অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।
সাজ্জাদ হোসেনের অভিযোগ, সোমবার রাতে তিনি শহীদ মিনারে বসেছিলেন। ঢাবির লোগো সংবলিত টিশার্ট পরা ৬-৭ জনের একটি দল তার কাছে এসে আইডি কার্ড দেখতে চায়। কিন্তু তিনি আইডি মেডিকেলে রেখে আসার কথা জানান। এরপরই তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। চড়থাপ্পড় দেওয়ায় কানে ও নাকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমার কাছে পরিচয়পত্র নেই, হাসপাতালে রেখে এসেছি। সবাই কী সব সময় পরিচয়পত্র নিয়ে ঘুরে? এ কথা বলার পর সঙ্গে সঙ্গে আমাকে একজন থাপ্পড় মেরে বসে। এরপর আরও ২-৩ জন এসে আমাকে চড়-থাপ্পড় মারা শুরু করে। চড়-থাপ্পড়ের পর তারা আমাকে শহীদ মিনার থেকে চলে যেতে জোর করতে থাকে। হঠাৎ একজন আমাকে সজোরে আবার থাপ্পড় মারে। আরেকজন আমার মুখে লাথি মারে। এ কারণে আমার নাক দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয়। মারধরকারীদের কেউ কেউ নেশাগ্রস্ত ছিল।’
শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মওদুত হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগটি জিডি হিসেবে নিয়েছি। কাজ চলছে।’
ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদকে মারধরের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনা। মারধরের ঘটনায় তদন্ত করে পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ। একই সঙ্গে উপাচার্য ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী চিকিৎসক।
আজ বুধবার সাজ্জাদ হোসেনের ওপর হামলার প্রতিবাদে শহীদ মিনারে মানববন্ধন করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ (ইচিপ)। মানববন্ধনে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মহিউদ্দিন জিলানী বলেন, ‘শুধু ডা. সাজ্জাদ নয় অনেকের সঙ্গেই এ রকম ঘটনা ঘটে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি এই ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা চাই আজকের মধ্যেই দোষীদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। তা না হলে আগামীকাল থেকে আমরা কর্মবিরতি পালন করব।’
ডা. মহিউদ্দিন জিলানী আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমাদের কোনো আক্ষেপ নেই। তাঁরা আমাদের ভাই। কিছু ছাত্রের জন্য পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনাম। আমরা এই সব বিপথগামী শিক্ষার্থীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুর্বৃত্তায়নের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। খেয়াল করে দেখবেনঢাবি ক্যাম্পাসে প্রায়শই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে, মানুষকে মারধর ও হেনস্তার ঘটনা ঘটছে। মাস্তানিতে সিদ্ধহস্ত হওয়ার জন্য ক্যাম্পাসের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের অপব্যবহার করে নির্যাতন, হেনস্তা করা হচ্ছে। ক্যাম্পাসের এই পরিস্থিতি আজকের নয়।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে যারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী তাঁদের কোনো বিচার হয় না। ঘটনার দুই দিন হয়ে গেল কিন্তু এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। যারা অপরাধী তাঁদের খোঁজার কোনো নাম গন্ধ নেই। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে শুধু যারা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী তারাই যে ক্ষতির শিকার হবে তা নয় সবার স্বাধীন চলাফেরার যে অধিকার সেটা বিঘ্নিত হবে। যারা সন্ত্রাসী করেছে তাদের লুকিয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই, ধরা পড়তেই হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ভুক্তভোগী চিকিৎসক অভিযোগ দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। কে বা কারা এই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত তা খুঁজে দেখার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং একই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করেছি।’
গত সোমবার রাজধানীর শহীদ মিনারে মারধরের শিকার হন ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. এ কে এম সাজ্জাদ হোসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয়ে তাঁকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে শাহবাগ থানায় অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তিনি।
সাজ্জাদ হোসেনের অভিযোগ, সোমবার রাতে তিনি শহীদ মিনারে বসেছিলেন। ঢাবির লোগো সংবলিত টিশার্ট পরা ৬-৭ জনের একটি দল তার কাছে এসে আইডি কার্ড দেখতে চায়। কিন্তু তিনি আইডি মেডিকেলে রেখে আসার কথা জানান। এরপরই তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয়। চড়থাপ্পড় দেওয়ায় কানে ও নাকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘আমার কাছে পরিচয়পত্র নেই, হাসপাতালে রেখে এসেছি। সবাই কী সব সময় পরিচয়পত্র নিয়ে ঘুরে? এ কথা বলার পর সঙ্গে সঙ্গে আমাকে একজন থাপ্পড় মেরে বসে। এরপর আরও ২-৩ জন এসে আমাকে চড়-থাপ্পড় মারা শুরু করে। চড়-থাপ্পড়ের পর তারা আমাকে শহীদ মিনার থেকে চলে যেতে জোর করতে থাকে। হঠাৎ একজন আমাকে সজোরে আবার থাপ্পড় মারে। আরেকজন আমার মুখে লাথি মারে। এ কারণে আমার নাক দিয়ে রক্ত পড়া শুরু হয়। মারধরকারীদের কেউ কেউ নেশাগ্রস্ত ছিল।’
শাহবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মওদুত হাওলাদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা অভিযোগটি জিডি হিসেবে নিয়েছি। কাজ চলছে।’
ইন্টার্ন চিকিৎসক ডা. সাজ্জাদকে মারধরের কারণে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে সমালোচনা। মারধরের ঘটনায় তদন্ত করে পদক্ষেপ নিতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ। একই সঙ্গে উপাচার্য ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী চিকিৎসক।
আজ বুধবার সাজ্জাদ হোসেনের ওপর হামলার প্রতিবাদে শহীদ মিনারে মানববন্ধন করেছে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদ (ইচিপ)। মানববন্ধনে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. মহিউদ্দিন জিলানী বলেন, ‘শুধু ডা. সাজ্জাদ নয় অনেকের সঙ্গেই এ রকম ঘটনা ঘটে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির সঙ্গে দেখা করেছি। তিনি এই ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা চাই আজকের মধ্যেই দোষীদের শনাক্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। তা না হলে আগামীকাল থেকে আমরা কর্মবিরতি পালন করব।’
ডা. মহিউদ্দিন জিলানী আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি আমাদের কোনো আক্ষেপ নেই। তাঁরা আমাদের ভাই। কিছু ছাত্রের জন্য পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বদনাম। আমরা এই সব বিপথগামী শিক্ষার্থীর বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করছি।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে ডাকসুর সাবেক সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দুর্বৃত্তায়নের মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। খেয়াল করে দেখবেনঢাবি ক্যাম্পাসে প্রায়শই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে, মানুষকে মারধর ও হেনস্তার ঘটনা ঘটছে। মাস্তানিতে সিদ্ধহস্ত হওয়ার জন্য ক্যাম্পাসের জুনিয়র শিক্ষার্থীদের অপব্যবহার করে নির্যাতন, হেনস্তা করা হচ্ছে। ক্যাম্পাসের এই পরিস্থিতি আজকের নয়।’
আখতার হোসেন বলেন, ‘ক্যাম্পাসে যারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী তাঁদের কোনো বিচার হয় না। ঘটনার দুই দিন হয়ে গেল কিন্তু এখন পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এই সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। যারা অপরাধী তাঁদের খোঁজার কোনো নাম গন্ধ নেই। এই পরিস্থিতি চলতে থাকলে শুধু যারা ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থী তারাই যে ক্ষতির শিকার হবে তা নয় সবার স্বাধীন চলাফেরার যে অধিকার সেটা বিঘ্নিত হবে। যারা সন্ত্রাসী করেছে তাদের লুকিয়ে থাকার কোনো সুযোগ নেই, ধরা পড়তেই হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. গোলাম রব্বানী বলেন, ‘ভুক্তভোগী চিকিৎসক অভিযোগ দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেও বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনাটি খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত। কে বা কারা এই অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত তা খুঁজে দেখার জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এবং একই সঙ্গে পুলিশ প্রশাসনকে অবহিত করেছি।’
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ব্যক্তিগত পার্ক গুঁড়িয়ে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রেলওয়ের বিভাগীয় সহকারী ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পরিচালিত উচ্ছেদ টিম পার্কটি গুঁড়িয়ে দেয়
৫ ঘণ্টা আগেফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদেরকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় জিম্মিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা
৬ ঘণ্টা আগেবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সংস্কারের জন্য তিন মাসের বেশি সময় দরকার হওয়ার কথা না। জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়। তাই আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে নির্বাচন দিতে হবে।
৬ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বিমান পরিবহন, পর্যটন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, সংস্কার দোকান থেকে কেনার বিষয় না। এটি চলমান প্রক্রিয়া। কমিশনগুলো গণ মতামত নিচ্ছে। তার ভিত্তিতেই সংস্কার হবে। সংস্কার হবে কোনো গোষ্ঠীর জন্য নয় সমগ্র দেশের মানুষের জন্য।
৭ ঘণ্টা আগে