কূটনৈতিক প্রতিবেদক
ঢাকা: বাংলাদেশে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিযোগিতা তীব্র হচ্ছে। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির (আইপিএস) নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের কাছে। দুটিতেই যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। আর এ অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এ নিয়ে বিরোধ সরাসরি সামনে চলে এল। এবার বাংলাদেশকে সরাসরি হুমকি দিল চীন।
ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং আজ সোমবার স্পষ্ট জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সামরিক জোট কোয়াডে যোগ দিলে তা বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত (সাবসটেনটিয়ালি ড্যামেজ) করবে। বাংলাদেশকে চীনবিরোধী কোনো জোটে কোনোভাবেই দেখতে চায় না বেইজিং। আজ ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিকাব) সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ঢাকার চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কোয়াডে আছে ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। বর্তমানে এই জোট ভারত মহাসাগরসহ দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া দিয়ে আসছে। আর চীন একে তার দেশের বিরোধী বলে বিবেচনা করে। আর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আইপিএস–এ যোগ দিতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায় ওয়াশিংটন। বাংলাদেশ এরইমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, সামরিক দিকে যোগ না দিলেও এর বাকি অংশে থাকবে। গত বছর ব্যবসাসংক্রান্ত আইপিএস–এর ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে বাংলাদেশ যোগ দেয়।
এ অঞ্চলে আইপিএস–এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের প্রভাব বিস্তারসহ ভূরাজনৈতিক অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহি তাঁর ঢাকা সফরে বিষয়টি আলোচনায় আনেন। এ সময় বাংলাদেশ কী বলেছিল, তা জানতে চাইলে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন সব সময়ে কোয়াডকে তার বিরুদ্ধে জোট হিসেবে বিবেচনা করে। কোয়াডকে অর্থনৈতিক, নিরাপত্তাসহ অন্যান্য জোট হিসেবে দেখা হয়। যা সত্যি নয়। কোয়াড করা হয়েছে চীনের জন্য। জাপান-যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কার করেই বলেছে, কোয়াড চীনের জন্য করা হয়েছে। ফলে অবশ্যই বাংলাদেশের এমন জোটে অংশ নেওয়া সমীচীন হবে না। কারণ তা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানায়, আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে এখনো সরকারের কোনো বক্তব্য নেই। যে মন্তব্য রাষ্ট্রদূত করেছেন, তার উত্তর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ থেকে আসতে হবে। কারণ বিষয়টি সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তবে বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত কোনো সামরিক জোটে যোগ দেয়নি। এমনকি আইপিএস–এর সঙ্গে থাকলেও তাতে সামরিক অংশে বাংলাদেশ নেই। বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ফলে চীনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কোনো কাজ করছে, তা চিন্তা করা অমূলক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম ও সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গেও টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁরা কেউ ফোন ধরেননি। বিষয়টিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখনই কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য নেই বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পররাষ্ট্রনীতির আলোকে বাংলাদেশ কোয়াডে যোগ দেবে না বলে মনে হয়। কারণ এটা একটা সামরিক জোট। আমাদের নীতিটাই হচ্ছে যুদ্ধ নয়, শান্তি। এটা নিয়ে ভূরাজনীতিও বিবেচনা করতে হবে। সরকার নিশ্চয়ই এ বিষয়টি আরও বিশদভাবে আলোচনা করবে। এখানে ভারত, আমেরিকা বা চীন কি করল সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা আমাদের দেশের স্বার্থ দেখব।’
এরকম পরিস্থিতিতে সমতা বজায় রেখে চলার ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো উপায় নেই বলে জানিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এম সিরাজুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘চীন আগে এ রকম কিছু করেনি। তারা পররাষ্ট্রনীতি ও অর্থনীতিকে সব সময়ে আলাদা রাখত। তবে এখন চীন বাংলাদেশের কাছে একটি পরিষ্কার অবস্থান চায়। এটা এখন বেইজিংয়ের নীতি। বাংলাদেশ পররাষ্ট্রনীতি ও কৌশলগত নীতি নেবে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে আর অর্থ নেবে চীন থেকে—তা হবে না। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে বাংলাদেশের সেই শক্তি নেই যে, আর সমতা বজায় রেখে চলতে পারবে। এর থেকে বের হওয়ার আর কোনো উপায় নেই।
বিষয়টিকে হুমকি হিসেবে দেখছেন না সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবির। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, চীনারা তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে। সেই চাপ থেকেই তারা তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে ফেলেছে। বাংলাদেশের উচিত হবে জাতীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ দেরি করেছে টিকা নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, কোভিড-১৯ টিকার যৌথ উৎপাদন নিয়ে বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে উৎপাদনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের টিকা উৎপাদনের অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। ফলে তা তৈরি করে উৎপাদনে যেতে সময় লাগবে। তবে বাংলাদেশে কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাদের অবস্থা ভালো। যারা এ ধরনের যৌথ উৎপাদন বাস্তবায়ন করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে উন্নত করে প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে উৎপাদন সম্ভব।
১২ মের চীনের উপহার দেওয়া টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে জানিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে চীনের টিকার প্রতি বিশ্বাস দেখিয়েছে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ইতিমধ্যে এর অনুমোদন দিয়েছে। যা বাংলাদেশ দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সিদ্ধান্ত দেখিয়েছে। যা বাংলাদেশ ও চীনের ভবিষ্যৎ সহযোগিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি জানান, ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে বাংলাদেশকে টিকা উপহারের প্রস্তাব দিয়েছিল চীন। কিন্তু বাংলাদেশ তা অনুমোদন দিতে তিন মাস সময় লাগিয়েছে। আর বর্তমানে চীনের টিকা কেনার লাইন অনেক বড়। বাংলাদেশ মাত্র ৩০ এপ্রিল কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশের এ সিদ্ধান্ত সময়মতো নেওয়া দরকার ছিল বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
রোহিঙ্গা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে লি জিমিং বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ার কারণে চীন রোহিঙ্গা ইস্যুতে নেপিদোর সঙ্গে যোগাযোগ করে পারেনি। ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী আলোচনা খুব শিগগিরই হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি না।
তিস্তায় চীনের ১০০ কোটি ডলারের প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, যদি বাংলাদেশের কাছ থেকে প্রকল্পের সমীক্ষা প্রতিবেদন আসে তবে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আন্তরিকভাবে বিবেচনা করবে চীন। চীনের কাছে প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানোর আগে বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই গবেষণার পরামর্শ দেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
বিদ্যুৎ প্রকল্পে বাংলাদেশি মৃত্যু নিয়ে চীন বিরোধী মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে চীনবিরোধী মনোভাবের বিষয়টি একদমই সত্যি নয়। তারা ছিলেন বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারীরা চীনের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ছিল এমন কোনো প্রতিবেদন তাঁরা দেখেননি।
ঢাকা: বাংলাদেশে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিযোগিতা তীব্র হচ্ছে। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড প্রকল্প নেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজির (আইপিএস) নিয়ে এসেছে বাংলাদেশের কাছে। দুটিতেই যোগ দিয়েছে বাংলাদেশ। আর এ অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এ নিয়ে বিরোধ সরাসরি সামনে চলে এল। এবার বাংলাদেশকে সরাসরি হুমকি দিল চীন।
ঢাকায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং আজ সোমবার স্পষ্ট জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে সামরিক জোট কোয়াডে যোগ দিলে তা বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত (সাবসটেনটিয়ালি ড্যামেজ) করবে। বাংলাদেশকে চীনবিরোধী কোনো জোটে কোনোভাবেই দেখতে চায় না বেইজিং। আজ ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ডিকাব) সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন ঢাকার চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও কোয়াডে আছে ভারত, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। বর্তমানে এই জোট ভারত মহাসাগরসহ দক্ষিণ চীন সাগরে সামরিক মহড়া দিয়ে আসছে। আর চীন একে তার দেশের বিরোধী বলে বিবেচনা করে। আর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আইপিএস–এ যোগ দিতে বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায় ওয়াশিংটন। বাংলাদেশ এরইমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে, সামরিক দিকে যোগ না দিলেও এর বাকি অংশে থাকবে। গত বছর ব্যবসাসংক্রান্ত আইপিএস–এর ভার্চ্যুয়াল সম্মেলনে বাংলাদেশ যোগ দেয়।
এ অঞ্চলে আইপিএস–এর মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের প্রভাব বিস্তারসহ ভূরাজনৈতিক অস্থিরতাকে কেন্দ্র করে চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল ওয়েই ফেঙ্গহি তাঁর ঢাকা সফরে বিষয়টি আলোচনায় আনেন। এ সময় বাংলাদেশ কী বলেছিল, তা জানতে চাইলে চীনের রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন সব সময়ে কোয়াডকে তার বিরুদ্ধে জোট হিসেবে বিবেচনা করে। কোয়াডকে অর্থনৈতিক, নিরাপত্তাসহ অন্যান্য জোট হিসেবে দেখা হয়। যা সত্যি নয়। কোয়াড করা হয়েছে চীনের জন্য। জাপান-যুক্তরাষ্ট্র পরিষ্কার করেই বলেছে, কোয়াড চীনের জন্য করা হয়েছে। ফলে অবশ্যই বাংলাদেশের এমন জোটে অংশ নেওয়া সমীচীন হবে না। কারণ তা আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে যথেষ্ট পরিমাণে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি দায়িত্বশীল সূত্র আজকের পত্রিকাকে জানায়, আনুষ্ঠানিকভাবে এ নিয়ে এখনো সরকারের কোনো বক্তব্য নেই। যে মন্তব্য রাষ্ট্রদূত করেছেন, তার উত্তর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ থেকে আসতে হবে। কারণ বিষয়টি সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। তবে বাংলাদেশের এখন পর্যন্ত কোনো সামরিক জোটে যোগ দেয়নি। এমনকি আইপিএস–এর সঙ্গে থাকলেও তাতে সামরিক অংশে বাংলাদেশ নেই। বাংলাদেশ এখন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিকে গুরুত্ব দিচ্ছে। ফলে চীনের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ কোনো কাজ করছে, তা চিন্তা করা অমূলক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম শাহরিয়ার আলম ও সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গেও টেলিফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁরা কেউ ফোন ধরেননি। বিষয়টিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এখনই কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য নেই বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ।
তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পররাষ্ট্রনীতির আলোকে বাংলাদেশ কোয়াডে যোগ দেবে না বলে মনে হয়। কারণ এটা একটা সামরিক জোট। আমাদের নীতিটাই হচ্ছে যুদ্ধ নয়, শান্তি। এটা নিয়ে ভূরাজনীতিও বিবেচনা করতে হবে। সরকার নিশ্চয়ই এ বিষয়টি আরও বিশদভাবে আলোচনা করবে। এখানে ভারত, আমেরিকা বা চীন কি করল সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আমরা আমাদের দেশের স্বার্থ দেখব।’
এরকম পরিস্থিতিতে সমতা বজায় রেখে চলার ছাড়া বাংলাদেশের আর কোনো উপায় নেই বলে জানিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত এম সিরাজুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘চীন আগে এ রকম কিছু করেনি। তারা পররাষ্ট্রনীতি ও অর্থনীতিকে সব সময়ে আলাদা রাখত। তবে এখন চীন বাংলাদেশের কাছে একটি পরিষ্কার অবস্থান চায়। এটা এখন বেইজিংয়ের নীতি। বাংলাদেশ পররাষ্ট্রনীতি ও কৌশলগত নীতি নেবে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের সঙ্গে আর অর্থ নেবে চীন থেকে—তা হবে না। যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে বাংলাদেশের সেই শক্তি নেই যে, আর সমতা বজায় রেখে চলতে পারবে। এর থেকে বের হওয়ার আর কোনো উপায় নেই।
বিষয়টিকে হুমকি হিসেবে দেখছেন না সাবেক রাষ্ট্রদূত এম হুমায়ূন কবির। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, চীনারা তাইওয়ান, দক্ষিণ চীন সাগর থেকে শুরু করে বিভিন্ন বিষয়ে বেশ চাপের মধ্যে রয়েছে। সেই চাপ থেকেই তারা তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে ফেলেছে। বাংলাদেশের উচিত হবে জাতীয় স্বার্থকে গুরুত্ব দেওয়া বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ দেরি করেছে টিকা নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং বলেন, কোভিড-১৯ টিকার যৌথ উৎপাদন নিয়ে বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে আলোচনা চলছে। বাংলাদেশের কিছু প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে উৎপাদনের জন্য আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তাদের টিকা উৎপাদনের অবকাঠামোর অভাব রয়েছে। ফলে তা তৈরি করে উৎপাদনে যেতে সময় লাগবে। তবে বাংলাদেশে কিছু প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যাদের অবস্থা ভালো। যারা এ ধরনের যৌথ উৎপাদন বাস্তবায়ন করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে উন্নত করে প্রযুক্তিগত জ্ঞান বিনিময়ের মাধ্যমে উৎপাদন সম্ভব।
১২ মের চীনের উপহার দেওয়া টিকা বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে জানিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ ইতিমধ্যে চীনের টিকার প্রতি বিশ্বাস দেখিয়েছে। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও ইতিমধ্যে এর অনুমোদন দিয়েছে। যা বাংলাদেশ দূরদৃষ্টি সম্পন্ন সিদ্ধান্ত দেখিয়েছে। যা বাংলাদেশ ও চীনের ভবিষ্যৎ সহযোগিতার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি জানান, ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে বাংলাদেশকে টিকা উপহারের প্রস্তাব দিয়েছিল চীন। কিন্তু বাংলাদেশ তা অনুমোদন দিতে তিন মাস সময় লাগিয়েছে। আর বর্তমানে চীনের টিকা কেনার লাইন অনেক বড়। বাংলাদেশ মাত্র ৩০ এপ্রিল কেনার প্রস্তাব দিয়েছে। বাংলাদেশের এ সিদ্ধান্ত সময়মতো নেওয়া দরকার ছিল বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
রোহিঙ্গা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে লি জিমিং বলেন, মিয়ানমারের পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ার কারণে চীন রোহিঙ্গা ইস্যুতে নেপিদোর সঙ্গে যোগাযোগ করে পারেনি। ত্রিপক্ষীয় চুক্তি অনুযায়ী আলোচনা খুব শিগগিরই হওয়ার সম্ভাবনা দেখছি না।
তিস্তায় চীনের ১০০ কোটি ডলারের প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, যদি বাংলাদেশের কাছ থেকে প্রকল্পের সমীক্ষা প্রতিবেদন আসে তবে তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আন্তরিকভাবে বিবেচনা করবে চীন। চীনের কাছে প্রকল্পের প্রস্তাব পাঠানোর আগে বাংলাদেশ সরকারকে অবশ্যই গবেষণার পরামর্শ দেন চীনা রাষ্ট্রদূত।
বিদ্যুৎ প্রকল্পে বাংলাদেশি মৃত্যু নিয়ে চীন বিরোধী মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, বাংলাদেশে চীনবিরোধী মনোভাবের বিষয়টি একদমই সত্যি নয়। তারা ছিলেন বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। আন্দোলনকারীরা চীনের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ছিল এমন কোনো প্রতিবেদন তাঁরা দেখেননি।
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ট্রাকের চাপায় রবিউল ইসলাম রবি (৪২) নামের এক স্কুলশিক্ষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ট্রাক চালক সুমন শেখকে (২৯) আটক করেছে পুলিশ।
৮ মিনিট আগেবগুড়ায় চলতি আমন মৌসুমে ৩৩ টাকা কেজি দরে ধান এবং ৪৭ টাকা কেজি দরে চাল কিনবে খাদ্য বিভাগ। ১৭ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান এবং ১৭ নভেম্বর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সিদ্ধ ও আতপ চাল সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে।
১২ মিনিট আগেরাজশাহীতে যুবলীগ কর্মী মিম (২৮) হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় নগরের সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে এ কর্মসূচির আয়োজন করে নিহতের পরিবার। মানববন্ধন থেকে মিম হত্যা মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।
১৩ মিনিট আগেনাছিমা খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামীর একার উপার্জনেই দুই সন্তানসহ আমাদের চারজনের সংসার চলে। সহায়-সম্পত্তি না থাকায় বাধ্য হয়ে তিনি ঢাকায় গিয়ে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। ঢাকার সাভারে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে কয়েকজন একসঙ্গে থাকেন। আমার জানামতে তিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও সম্পৃক্ত নন। কিন্তু ১৬ নভেম্বর
১৫ মিনিট আগে