নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চিকিৎসকদের ধর্মঘটসহ নানা ধরনের বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছেন ঢাকার আদালত। এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাহসিন হোসাইনের মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলার শুনানির সময় আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম রেজাউল করিম চৌধুরী এই প্রতিক্রিয়া জানান।
এই মামলায় ল্যাবএইডের পাঁচ চিকিৎসকসহ ছয়জনকে জামিন দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন- স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের সার্জন মো. সাইফুল্লাহ, সহকারী সার্জন সিকদার আল আমিন মাকসুদ, ডা. সাব্বির আহমেদ, ডা. মোশারফ হোসেন, ডা. এস এম মাশরাফি ইনসান কনক ও ল্যাবএইডের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার (ধানমন্ডি) মো. শাহজাহান।
বাদীপক্ষের আইনজীবী তানভীর আহমেদ সজীব জানান, জামিন শুনানির সময় বিচারক চিকিৎসকদের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেন, চিকিৎসকদের উদ্দেশে নানা প্রশ্ন করেন। বেশিরভাগ সময়ই তাঁরা নির্লিপ্ত ছিলেন।
শুনানির একপর্যায়ে বিচারক বলেন, ‘একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হলে বা কোনো চিকিৎসককে কারাগারে নেওয়া হলে আপনারা আন্দোলন করেন, কারণ কি? ট্রেড ইউনিয়ন যেভাবে আন্দোলন করে, আপনারাও সেভাবে আন্দোলন শুরু করেন; ধর্মঘট করেন।’
চিকিৎসকদের নিশ্চুপ দেখে আদালত আবার বলেন, ‘যেখানে অনেক চিকিৎসক থাকেন তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ তো অপরাধ করতে পারে। এ বিষয়ে কী বলেন?’
একজন চিকিৎসক তখন বলে ওঠেন, ‘জি, করতে পারেন।’ আদালত তখন বলেন, ‘তাহলে সেই অপরাধী চিকিৎসকের পক্ষ নিয়ে আপনারা যখন ধর্মঘট করেন, তখন অনেক রোগীও মারা যান। ঠিক কি না?
এর উত্তরে চিকিৎসকদের মধ্য থেকে কেউ বলেন, ‘ঠিক।’ আদালত তখন বলেন, ‘শত শত রোগী মারা যাওয়ার সেই দায়-দায়িত্ব আপনাদের। এ জন্যই তো আপনারা হত্যার দায়ে দায়ী।’
চিকিৎসকেরা একথার জবাবে কোনো কথা বলেননি।
ধানমন্ডির ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার এ এম শামীমসহ ছয় চিকিৎসক ও ল্যাবএইডের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার (ধানমন্ডি) মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে গত ২৬ জুন হত্যা মামলাটি করেন তাহসিনের বাবা মনির হোসেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ধানমন্ডি থানাকে মামলা করার নির্দেশ দেন।
ধানমন্ডি থানা মামলা নিবন্ধন করার পর ল্যাবএইডের পাঁচ চিকিৎসকসহ ছয়জন গত ৩ জুলাই হাইকোর্টে আগাম জামিন পান। হাইকোর্ট একই সঙ্গে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ছয়জন আজ সকালে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন। একই সঙ্গে জামিন আবেদন করেন। জামিন আবেদন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, মিজানুর রহমান মামুন ও গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের।
শুনানি শেষে আদালত আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। ওই তারিখে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হয়ে এ ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী মনির হোসেনের ছেলে তাহসিন কিছুদিন থেকে অসুস্থ বোধ করায় গত ২৭ মার্চ তাকে ল্যাবএইডের চিকিৎসক সাইফুল্লাহকে দেখানো হয়। তিনি তাৎক্ষণিক তাঁর ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। চিকিৎসক তাঁকে বলেন, তাঁর ছেলের অবস্ট্রাকটিভ স্মল গাঁট বা নাড়ির প্যাঁচ রয়েছে। যার কারণে তার পেটে ব্যথা ও সে মলত্যাগ করতে পারছে না। দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হবে। পরে গত ২৮ মার্চ অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর তাহসিনের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মাকসুদ বাদীকে জানান অস্ত্রোপচার সফল হয়নি। রোগীকে সুস্থ করতে হলে আবার অপারেশন করতে হবে।
এরপর গত ৬ এপ্রিল দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার করেন ডা. সাইফুল্লাহ। দ্বিতীয়বার অপারেশনের পরও রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। দীর্ঘ তিন মাস চিকিৎসা চলার পর গত ২৩ জুন তাহসিনের মৃত্যু হয়।
বাদী মামলার অভিযোগে আরও বলেন, ছেলের কী রোগ হয়েছে, সেটাই ডাক্তাররা জানাতে পারেননি। অথচ তার দুবার অপারেশন করা হয়েছে। এ সময় ছেলেকে ১৪৪ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। খরচ হিসেবে বিল দিতে হয়েছে প্রায় ২৭ লাখ টাকা। প্রথম অপারেশনের পর এখান থেকে রিলিজ নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলেন বাদী। কিন্তু ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ রোগীকে ছাড়পত্রও প্রদান করেনি।
চিকিৎসকদের ধর্মঘটসহ নানা ধরনের বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর ঘটনায় চিকিৎসকদের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেছেন ঢাকার আদালত। এইচএসসি পরীক্ষার্থী তাহসিন হোসাইনের মৃত্যুর ঘটনায় করা হত্যা মামলার শুনানির সময় আজ সোমবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম রেজাউল করিম চৌধুরী এই প্রতিক্রিয়া জানান।
এই মামলায় ল্যাবএইডের পাঁচ চিকিৎসকসহ ছয়জনকে জামিন দেওয়া হয়। তাঁরা হলেন- স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক ও ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের সার্জন মো. সাইফুল্লাহ, সহকারী সার্জন সিকদার আল আমিন মাকসুদ, ডা. সাব্বির আহমেদ, ডা. মোশারফ হোসেন, ডা. এস এম মাশরাফি ইনসান কনক ও ল্যাবএইডের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার (ধানমন্ডি) মো. শাহজাহান।
বাদীপক্ষের আইনজীবী তানভীর আহমেদ সজীব জানান, জামিন শুনানির সময় বিচারক চিকিৎসকদের প্রতি উষ্মা প্রকাশ করেন, চিকিৎসকদের উদ্দেশে নানা প্রশ্ন করেন। বেশিরভাগ সময়ই তাঁরা নির্লিপ্ত ছিলেন।
শুনানির একপর্যায়ে বিচারক বলেন, ‘একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হলে বা কোনো চিকিৎসককে কারাগারে নেওয়া হলে আপনারা আন্দোলন করেন, কারণ কি? ট্রেড ইউনিয়ন যেভাবে আন্দোলন করে, আপনারাও সেভাবে আন্দোলন শুরু করেন; ধর্মঘট করেন।’
চিকিৎসকদের নিশ্চুপ দেখে আদালত আবার বলেন, ‘যেখানে অনেক চিকিৎসক থাকেন তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ তো অপরাধ করতে পারে। এ বিষয়ে কী বলেন?’
একজন চিকিৎসক তখন বলে ওঠেন, ‘জি, করতে পারেন।’ আদালত তখন বলেন, ‘তাহলে সেই অপরাধী চিকিৎসকের পক্ষ নিয়ে আপনারা যখন ধর্মঘট করেন, তখন অনেক রোগীও মারা যান। ঠিক কি না?
এর উত্তরে চিকিৎসকদের মধ্য থেকে কেউ বলেন, ‘ঠিক।’ আদালত তখন বলেন, ‘শত শত রোগী মারা যাওয়ার সেই দায়-দায়িত্ব আপনাদের। এ জন্যই তো আপনারা হত্যার দায়ে দায়ী।’
চিকিৎসকেরা একথার জবাবে কোনো কথা বলেননি।
ধানমন্ডির ল্যাবএইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডাক্তার এ এম শামীমসহ ছয় চিকিৎসক ও ল্যাবএইডের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার (ধানমন্ডি) মো. শাহজাহানের বিরুদ্ধে গত ২৬ জুন হত্যা মামলাটি করেন তাহসিনের বাবা মনির হোসেন। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ধানমন্ডি থানাকে মামলা করার নির্দেশ দেন।
ধানমন্ডি থানা মামলা নিবন্ধন করার পর ল্যাবএইডের পাঁচ চিকিৎসকসহ ছয়জন গত ৩ জুলাই হাইকোর্টে আগাম জামিন পান। হাইকোর্ট একই সঙ্গে ছয় সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেন।
হাইকোর্টের আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে ছয়জন আজ সকালে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন। একই সঙ্গে জামিন আবেদন করেন। জামিন আবেদন শুনানি করেন অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, মিজানুর রহমান মামুন ও গোলাম কিবরিয়া জোবায়ের।
শুনানি শেষে আদালত আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন। ওই তারিখে মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে হাজির হয়ে এ ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানাতে নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, বাদী মনির হোসেনের ছেলে তাহসিন কিছুদিন থেকে অসুস্থ বোধ করায় গত ২৭ মার্চ তাকে ল্যাবএইডের চিকিৎসক সাইফুল্লাহকে দেখানো হয়। তিনি তাৎক্ষণিক তাঁর ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। চিকিৎসক তাঁকে বলেন, তাঁর ছেলের অবস্ট্রাকটিভ স্মল গাঁট বা নাড়ির প্যাঁচ রয়েছে। যার কারণে তার পেটে ব্যথা ও সে মলত্যাগ করতে পারছে না। দ্রুত অস্ত্রোপচার করতে হবে। পরে গত ২৮ মার্চ অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর তাহসিনের অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মাকসুদ বাদীকে জানান অস্ত্রোপচার সফল হয়নি। রোগীকে সুস্থ করতে হলে আবার অপারেশন করতে হবে।
এরপর গত ৬ এপ্রিল দ্বিতীয়বার অস্ত্রোপচার করেন ডা. সাইফুল্লাহ। দ্বিতীয়বার অপারেশনের পরও রোগীর অবস্থা খারাপ হতে থাকে। দীর্ঘ তিন মাস চিকিৎসা চলার পর গত ২৩ জুন তাহসিনের মৃত্যু হয়।
বাদী মামলার অভিযোগে আরও বলেন, ছেলের কী রোগ হয়েছে, সেটাই ডাক্তাররা জানাতে পারেননি। অথচ তার দুবার অপারেশন করা হয়েছে। এ সময় ছেলেকে ১৪৪ ব্যাগ রক্ত দিতে হয়েছে। খরচ হিসেবে বিল দিতে হয়েছে প্রায় ২৭ লাখ টাকা। প্রথম অপারেশনের পর এখান থেকে রিলিজ নিয়ে ভারতে চিকিৎসা করাতে চেয়েছিলেন বাদী। কিন্তু ল্যাবএইড কর্তৃপক্ষ রোগীকে ছাড়পত্রও প্রদান করেনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের নির্বাচনব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসের মুখোমুখি। গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে এই ব্যবস্থাকে পরিশুদ্ধকরণের কোনো বিকল্প নেই। আর এর অগ্রাধিকারগুলো হতে পারে বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন প্রণয়ন, নিয়োগ আইনে অনুসন্ধান কমিটিতে সরকারি ও...
৪ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুরে কাজীর দিঘীরপাড় এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী হিরালাল দেবনাথ হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। আজ শনিবার পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
৭ মিনিট আগেজিয়া স্মৃতি জাদুঘর বন্ধের সঙ্গে জড়িত কুশীলবদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় যারা শহীদ জিয়ার নাম মুছে দিয়েছিল ও এটির বন্ধের জন্য কাজ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
৪০ মিনিট আগেজামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, ‘জামায়াত আর্তমানবতার কল্যাণ সাধন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চায়। বাংলাদেশের সবুজ ভূখণ্ডে ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ করতে চায়। তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণে ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সমৃদ্ধ মানবিক বাংলাদেশ গঠনে জামায়াত প্রতি
১ ঘণ্টা আগে