নরসিংদীর রায়পুরায় কলার বাগান থেকে অজ্ঞাত দুই ব্যক্তির ক্ষতবিক্ষত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার বিকেলে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় জানান, আজ দুপুরে উপজেলার শেরপুর পূর্বপাড়া বিদিবাড়ি এলাকার কলার বাগানের পাশের জমিতে কাজ করতে গিয়ে অজ্ঞাত মরদেহ দুটি দেখতে পান স্থানীয় এক ব্যক্তি। বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে। মরদেহ দুটির মুখমণ্ডল ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর কারণে ক্ষতবিক্ষত হয়ে গেছে। তাই স্থানীয়রা চিনতে পারেনি। মৃত একজনের বাম হাত ভাঙা ও নাক-মুখ থেঁতলানো হয়েছে। অপরজনের গলাকাটাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে। 

শেরপুর গ্রামের বাসিন্দা শামীম মিয়া বলেন, ‘মরদেহ দুটির মুখমণ্ডল ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে বিকৃত করায় কেউ চিনতে পারছে না। ধারণা করা হচ্ছে, গতকাল রোববার দিবাগত রাতে দুজনকে কলার বাগানে এনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’ 

এ বিষয়ে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অর্ণিবান চৌধুরী বলেন, আজ দুপুরে ৯৯৯-এ খবর পেয়ে রায়পুরা থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। বিকেলে মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, গতকাল দিবাগত রাতে কোনো এক সময় ওই দুই ব্যক্তিকে এনে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মৃত দুই ব্যক্তির আনুমানিক বয়স ৩৫-৪০ বছর। 

অর্ণিবান চৌধুরী আরও বলেন, পিটিআই, সিআইডি, ডিবিসহ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা মরদেহ শনাক্ত ও জড়িতদের খুঁজে বের করতে কাজ করছে। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। 

এ ঘটনার খবর পেয়ে জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) অর্ণিবান চৌধুরী, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সত্যজিৎ কুমার ঘোষ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজগর হোসেন, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুর রহমানসহ পুলিশের বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।