ঢাবি প্রতিনিধি
ছাত্রলীগের তিন নেতাকে থানায় বেদম মারধরের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির অবস্থান নিয়ে অসন্তোষ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
মারধরের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি হল শাখা ছাত্রলীগ বিচার চেয়ে বিবৃতি দিলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগ কোনো বিবৃতি দেয়নি। একই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র ইউনিয়ন। তবে নীরব কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তারা আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি।
অবশ্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
এদিকে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহত নাঈমকে হাসপাতালে দেখতে যায় ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ। এ বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাংগাঠনিক একটি ডেকোরাম রয়েছে। যারা মারধরের শিকার হয়েছেন তারা কেন্দ্রীয় নেতা। আমাদের হলের নেতাদের বলে দিয়েছি, হল শাখাগুলো নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছে। হাসপাতালে থাকা নাঈমকে দেখতে গেছি।’
এ বিষয়ে যদি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কোনো ধরণের সহযোগিতা চাইলে তাঁরা সবসময় প্রস্তুত বলে জানান সৈকত।
এদিকে এডিসি হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি জানিয়ে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে গতকাল রোববার মানববন্ধন করেছে ঢাবি ছাত্রলীগের বিভিন্ন হলের নেতা-কর্মীরা।
আজ সোমবার দুপুরে হারুনকে চাকরি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগের একদল সাবেক নেতৃবৃন্দ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশের সামনে ‘গাজীপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি’ ও ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’–এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন সাবেক নেতা।
মানববন্ধনে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা জানান, এডিসি হারুন একজন শিক্ষার্থী বিদ্বেষী পুলিশ কর্মকর্তা। এর আগেও বিভিন্ন সময় তিনি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, কোর্টে আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করেছেন। অতি দ্রুত তাকে ফৌজদারি অপরাধের কারণে আইনের আওতায় না আনলে সাধারণ ছাত্র সমাজ রাজপথে নেমে আসবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ প্রকাশ
এ ছাড়া ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি না দেওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আরিফ মনোয়ার মাহিন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বই থেকে মুখস্ত করে নিজের কর্মীদের সামনে ২-৪ লাইন এস্থেটিক কথা বলাকে রাজনীতি বলে না। রাজনীতি মাঠের জিনিস, রাজপথের জিনিস। কর্মীর বিপদে রাজপথে আসেন, নাহলে দিনশেষে হাততালি দেওয়ার মতো কর্মী থাকবে না।’
ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন রানা গতকাল রোববার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ছাত্রলীগের সাবেক বর্তমান সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ করছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনান ভাই গতকাল থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছেন যেন এ ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি এডিসি হারুন পায়। কিন্তু কিছু সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের কীট আছে, যারা নানান অপকর্মে সবসময় লিপ্ত ছিল, এমনকি ছাত্রলীগের নামে কালিমা লেপন করতে সচেষ্ট ছিল ও আছে। তারা উল্টাপাল্টা লিখে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করছেন। তাদের বলি আপনারা সাবধান হোন নাহয় নিজেদের মুখ দেখাতে পারবেন না।’
মাস্টারদা সূর্যসেন হলের কার্যনির্বাহী সদস্য মিনহাজুল ইসলাম লিখেছেন, ‘চর্যাপদের কবিরা যেমন দ্রোহ করে নাই তেমনি এখনকার জারুল ফুলের কবিরাও করে না৷ খালি আহহা, উহহো করে গলা ফাটাইতে পারে৷’
রাকিব আরও লিখেছেন, ‘আমরা সেই ছাত্রলীগ ফিরে পেতে চাই, যে ছাত্রলীগের একজন কর্মীর জয় বাংলা স্লোগানে প্রকম্পিত হতো রাজপথ। আমরা এই ফুল, ফল, জারুল অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই।’
ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি কামাল খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, ‘সিংহের লেজে পা রাখার শখ হয়েছে উনার! সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের ঘনিষ্ঠ বন্ধু উনি! এটাই নাকি উনার ছাত্রলীগের পদ পরিচয়! মাননীয় নেত্রীকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে, ইনশাআল্লাহ দ্রুতই উনার বল্টু হারানো সংবাদ পাব বলে বিশ্বাস করি। পাশাপাশি উনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া যেতে পারে ৷ পিপিলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে!’
একই ধরনের পোস্ট দিতে দেখা গেছে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফরিদ, সূর্যসেন হল শাখার সদস্য মিনহাজুল ইসলামসহ কয়েকজনকে।
ডিএমপির তদন্তে আস্থা রাখতে চায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ
কেন্দ্রীয় নেতাদের বেধড়ক পিটুনির ঘটনায় মামলার পরিবর্তে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভাগীয় তদন্তে আস্থা রাখতে চায় ছাত্রলীগ। আজ সোমবার দুপুরে ডিএমপি কার্যালয়ে কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। একইসঙ্গে মামলা করা হবে না বলেও জানান তিনি।
ঘটনার পর ছাত্রলীগ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে জানিয়ে সাদ্দাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যুগে যুগে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ যে দায়িত্বশীলতা ও সুবিবেচনার পরিচয় দিয়েছে এর ওপর ভিত্তি করে বলতে পারি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এ বিষয়ে একটি নিয়মতান্ত্রিক সুস্পষ্ট সমাধান পাবে।’
মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেতাদের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তারা মামলা করবে কিন্তু ছাত্রলীগ নিষেধ করছে—এক সাংবাদিকের এমন মন্তব্যের জবাবে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে আজকে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। ডিএমপির তদন্ত কমিটির রিপোর্ট যেন দ্রুত দেওয়া হয় সে জন্য আমরা বলেছি। তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ সর্বোচ্চ শাস্তি যেন নিশ্চিত করা হয় সেটিও আমরা বলেছি। পরিবারকে মামলা করতে দেওয়া হচ্ছে না ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে—এ কথাটি মিথ্যা।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম, বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহম্মেদ মুনীম ও সমাজসেবা সম্পাদক মাহাবুবুর রহমানকে শাহবাগ থানার ভেতরে নিয়ে মারধর করেন এডিসি হারুন ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
এ ঘটনায় এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। গতকাল রোববার হারুনকে প্রথমে পিওএম এবং পরে এপিবিএনে বদলি করা হয়।
আরও পড়ুন
ছাত্রলীগের তিন নেতাকে থানায় বেদম মারধরের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) হারুন অর রশিদের বিষয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির অবস্থান নিয়ে অসন্তোষ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন সংগঠনটির নেতা-কর্মীরা। এ বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তাঁরা।
মারধরের ঘটনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৩টি হল শাখা ছাত্রলীগ বিচার চেয়ে বিবৃতি দিলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা ছাত্রলীগ কোনো বিবৃতি দেয়নি। একই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে ছাত্রদল ও ছাত্র ইউনিয়ন। তবে নীরব কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। তারা আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি।
অবশ্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ গতকাল রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ঘটনার বিচার দাবি করেছেন।
এদিকে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহত নাঈমকে হাসপাতালে দেখতে যায় ঢাবি শাখা ছাত্রলীগ। এ বিষয়ে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সাংগাঠনিক একটি ডেকোরাম রয়েছে। যারা মারধরের শিকার হয়েছেন তারা কেন্দ্রীয় নেতা। আমাদের হলের নেতাদের বলে দিয়েছি, হল শাখাগুলো নিন্দা ও প্রতিবাদ করেছে। হাসপাতালে থাকা নাঈমকে দেখতে গেছি।’
এ বিষয়ে যদি কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ কোনো ধরণের সহযোগিতা চাইলে তাঁরা সবসময় প্রস্তুত বলে জানান সৈকত।
এদিকে এডিসি হারুনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি জানিয়ে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে গতকাল রোববার মানববন্ধন করেছে ঢাবি ছাত্রলীগের বিভিন্ন হলের নেতা-কর্মীরা।
আজ সোমবার দুপুরে হারুনকে চাকরি থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে ছাত্রলীগের একদল সাবেক নেতৃবৃন্দ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাসবিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশের সামনে ‘গাজীপুর জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতি’ ও ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’–এর ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করেন ছাত্রলীগের কয়েকজন সাবেক নেতা।
মানববন্ধনে ছাত্রলীগের সাবেক নেতারা জানান, এডিসি হারুন একজন শিক্ষার্থী বিদ্বেষী পুলিশ কর্মকর্তা। এর আগেও বিভিন্ন সময় তিনি ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, কোর্টে আইনজীবী এবং সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করেছেন। অতি দ্রুত তাকে ফৌজদারি অপরাধের কারণে আইনের আওতায় না আনলে সাধারণ ছাত্র সমাজ রাজপথে নেমে আসবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ প্রকাশ
এ ছাড়া ছাত্রলীগ নেতাদের মারধরের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। অনেকেই এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি না দেওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আরিফ মনোয়ার মাহিন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘বই থেকে মুখস্ত করে নিজের কর্মীদের সামনে ২-৪ লাইন এস্থেটিক কথা বলাকে রাজনীতি বলে না। রাজনীতি মাঠের জিনিস, রাজপথের জিনিস। কর্মীর বিপদে রাজপথে আসেন, নাহলে দিনশেষে হাততালি দেওয়ার মতো কর্মী থাকবে না।’
ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন রানা গতকাল রোববার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ছাত্রলীগের সাবেক বর্তমান সবাই নিজ নিজ জায়গা থেকে নিন্দা ও প্রতিবাদ করছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বর্তমান সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনান ভাই গতকাল থেকে চেষ্টা করে যাচ্ছেন যেন এ ঘটনার সর্বোচ্চ শাস্তি এডিসি হারুন পায়। কিন্তু কিছু সাবেক ও বর্তমান ছাত্রলীগের কীট আছে, যারা নানান অপকর্মে সবসময় লিপ্ত ছিল, এমনকি ছাত্রলীগের নামে কালিমা লেপন করতে সচেষ্ট ছিল ও আছে। তারা উল্টাপাল্টা লিখে নিজেকে জাহির করার চেষ্টা করছেন। তাদের বলি আপনারা সাবধান হোন নাহয় নিজেদের মুখ দেখাতে পারবেন না।’
মাস্টারদা সূর্যসেন হলের কার্যনির্বাহী সদস্য মিনহাজুল ইসলাম লিখেছেন, ‘চর্যাপদের কবিরা যেমন দ্রোহ করে নাই তেমনি এখনকার জারুল ফুলের কবিরাও করে না৷ খালি আহহা, উহহো করে গলা ফাটাইতে পারে৷’
রাকিব আরও লিখেছেন, ‘আমরা সেই ছাত্রলীগ ফিরে পেতে চাই, যে ছাত্রলীগের একজন কর্মীর জয় বাংলা স্লোগানে প্রকম্পিত হতো রাজপথ। আমরা এই ফুল, ফল, জারুল অভিশাপ থেকে মুক্তি চাই।’
ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি কামাল খান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, ‘সিংহের লেজে পা রাখার শখ হয়েছে উনার! সাবেক সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের ঘনিষ্ঠ বন্ধু উনি! এটাই নাকি উনার ছাত্রলীগের পদ পরিচয়! মাননীয় নেত্রীকে ঘটনাটি জানানো হয়েছে, ইনশাআল্লাহ দ্রুতই উনার বল্টু হারানো সংবাদ পাব বলে বিশ্বাস করি। পাশাপাশি উনার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া যেতে পারে ৷ পিপিলিকার পাখা গজায় মরিবার তরে!’
একই ধরনের পোস্ট দিতে দেখা গেছে শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফরিদ, সূর্যসেন হল শাখার সদস্য মিনহাজুল ইসলামসহ কয়েকজনকে।
ডিএমপির তদন্তে আস্থা রাখতে চায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ
কেন্দ্রীয় নেতাদের বেধড়ক পিটুনির ঘটনায় মামলার পরিবর্তে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) বিভাগীয় তদন্তে আস্থা রাখতে চায় ছাত্রলীগ। আজ সোমবার দুপুরে ডিএমপি কার্যালয়ে কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুকের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। একইসঙ্গে মামলা করা হবে না বলেও জানান তিনি।
ঘটনার পর ছাত্রলীগ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে জানিয়ে সাদ্দাম বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যুগে যুগে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ যে দায়িত্বশীলতা ও সুবিবেচনার পরিচয় দিয়েছে এর ওপর ভিত্তি করে বলতে পারি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এ বিষয়ে একটি নিয়মতান্ত্রিক সুস্পষ্ট সমাধান পাবে।’
মারধরের শিকার ছাত্রলীগ নেতাদের পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে তারা মামলা করবে কিন্তু ছাত্রলীগ নিষেধ করছে—এক সাংবাদিকের এমন মন্তব্যের জবাবে ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে আজকে ডিএমপি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলেছি। ডিএমপির তদন্ত কমিটির রিপোর্ট যেন দ্রুত দেওয়া হয় সে জন্য আমরা বলেছি। তদন্তের মাধ্যমে আইনানুগ সর্বোচ্চ শাস্তি যেন নিশ্চিত করা হয় সেটিও আমরা বলেছি। পরিবারকে মামলা করতে দেওয়া হচ্ছে না ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে—এ কথাটি মিথ্যা।’
উল্লেখ্য, গত শনিবার রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ার হোসেন নাঈম, বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক শরীফ আহম্মেদ মুনীম ও সমাজসেবা সম্পাদক মাহাবুবুর রহমানকে শাহবাগ থানার ভেতরে নিয়ে মারধর করেন এডিসি হারুন ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
এ ঘটনায় এডিসি হারুনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সাময়িক বরখাস্তকালীন তিনি পুলিশ অধিদপ্তরে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। গতকাল রোববার হারুনকে প্রথমে পিওএম এবং পরে এপিবিএনে বদলি করা হয়।
আরও পড়ুন
কেঁদে কেঁদে বাবার কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছিল তিন বছরের শিশু মুসা; কিন্তু বাবা আহাদ মোল্লা থামেননি। গলা কেটে তিনি হত্যা করেন মুসাকে। এর আগে বড় ছেলে সাত বছরের রোহানকে একইভাবে হত্যা করেন আহাদ। তারপর নিজের গলায় ছুরি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এই ভয়াবহ ও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে গতকাল শনিবার সকালে রাজধানী
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরায় ‘চোর পেটানোকে’ কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও সাপ্পরো ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। এ সময় কলেজ হোস্টেলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের ৭ /সি নম্বর সড়কের হোস্টেল এলাকায় শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষ
৯ ঘণ্টা আগেপালানোর সময় বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসান। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৯ ঘণ্টা আগেজধানীর হাজারীবাগে সাইকেল চোর ধরতে গিয়ে খুন হয় কিশোর সাহাদাৎ হোসেন শান্ত। হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে হাজারীবাগ থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. শুকুর আলী (২২), মো. সিয়াম (২০) ও মো. শাকিল হোসেন (২৩)। তাঁদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে
১০ ঘণ্টা আগে