ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানের বিভাগীয় কক্ষে গিয়ে ফাইল তল্লাশি করে ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে। অধ্যাপক তানজীমের দাবি প্রক্টরের নির্দেশে তারা ব্যক্তিগত ফাইল তলব করে তথ্য নিয়েছে।
বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা সামাল দিতে না পারার দায়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীর পদত্যাগ দাবি করে গত সোমবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন প্রগতিশীল ও বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’। অধ্যাপক তানজীম শিক্ষক নেটওয়ার্কের একজন সংগঠক।
ব্যক্তিগত ফাইল তলব করার অভিযোগ এনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বরাবর চিঠি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এ অধ্যাপক। ফাইল তল্লাশি করে ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন তিনি।
তানজীমউদ্দিন তাঁর ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দিয়ে আসি সাড়ে বারোটা-একটা নাগাদ। এরপর বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ প্রক্টর অফিস থেকে দুজন কর্মচারী আমার বিভাগের অফিসে গিয়ে আমার ব্যক্তিগত ফাইল তল্লাশি করে! আমার স্থায়ী ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য নিয়ে যায়! আমার যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে আছে! সেই তথ্য জোগাড় করতে বিভাগে কেন কর্মচারী গেল আমার ব্যক্তিগত ফাইলের জন্য? কোনো তথ্য দরকার হলে তো রেজিস্ট্রার ভবনই যথেষ্ট! কোন ক্ষমতাবলে প্রক্টর একজন শিক্ষকের ব্যক্তিগত ফাইল তল্লাশি করতে তার দুজন কর্মচারীকে আমাদের বিভাগের অফিসে পাঠিয়েছে? তাকে এই এখতিয়ার কে দিল?
তানজীমউদ্দিন আরও লিখেছেন, ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি! সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় আমার স্থায়ী ঠিকানায় একজন এসআই গিয়ে জানায় যে, উনি আমার সম্পর্কে ভেরিফিকেশনের জন্য গেছেন। ওখান থেকে আমাকে ফোন দেওয়া হলে পুলিশ কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের একটা তালিকা করা হচ্ছে। সেই জন্য গেছেন! আবার জানালেন, ওনার বস বলতে পারবেন আসল কারণটা কী? সবকিছু মিলিয়ে আমি নিশ্চিত, প্রক্টর তার আত্মমর্যাদাশীল এই ‘মহাকাণ্ডটি’র সঙ্গে আছেন। ঘটনার পরম্পরা তাই নির্দেশ করে!
অপরাজনৈতিক সেবাদাসের মানসিকতা নিয়ে একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা কীভাবে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন? এই শিক্ষকেরা রাতের ঘুমানোর আগে ভালো কিছু কি চিন্তা করতে পারেন? একজন প্রক্টর কি আসলে শিক্ষক নাকি অন্য কিছু? ভিন্ন চিন্তার নিজ সহকর্মীদেরকে কি চোর-ডাকাত মনে করেন? কোন আত্মমর্যাদা নিয়ে শিক্ষক হিসেবে শ্রেণি কক্ষে যান? ইত্যাদি প্রশ্ন তোলেন অধ্যাপক তানজীম।
এদিকে তানজীমউদ্দীন খান মিথ্যাচার ও বাকসন্ত্রাস করছেন বলে মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।
প্রক্টরের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে আগামী ২২ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রকাশনা ও গবেষণা মেলা থেকে নিজের সকল প্রকাশনা ও গবেষণা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান।
অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন বলেন, আমি গণমাধ্যমে দেখেছি উনি আমাকে নিয়ে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তাতে আমি হতাশ হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরই একজন যখন আমাকে খারাপ ভাষা ব্যবহার করে মন্তব্য করে তাহলে আমার সেই বিষয়ে কিছু বলারও নেই। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ২২ অক্টোবরে শুরু হতে যাওয়া ‘প্রকাশনা ও গবেষণা মেলায়’ আমার কোনো গবেষণা কিংবা প্রদর্শন করব না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘সমাজ দিনদিন অস্থির হয়ে যাচ্ছে। এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো টেবিলে বসলে সমাধান হয়ে যায়। সেই বিষয়গুলো নিষ্প্রয়োজনে জাতীয় বিষয়ে রূপান্তর করা কোনোক্রমেই ভালো জিনিস নয়। আমার কাছে অধ্যাপক তানজীম লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমি বলেছি, উদ্বিগ্নের কারণ নেই। কোথাও কৌশলগত ভুল হতে পারে।’
এদিকে অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানের বিভাগীয় কক্ষ ব্যক্তিগত ফাইল থেকে তথ্য নেওয়ার বিষয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী) সহ বিভিন্ন বামপন্থী ছাত্র সংগঠন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানের বিভাগীয় কক্ষে গিয়ে ফাইল তল্লাশি করে ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির দুই সদস্যের বিরুদ্ধে। অধ্যাপক তানজীমের দাবি প্রক্টরের নির্দেশে তারা ব্যক্তিগত ফাইল তলব করে তথ্য নিয়েছে।
বিভিন্ন সময় ক্যাম্পাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা সামাল দিতে না পারার দায়ে প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানীর পদত্যাগ দাবি করে গত সোমবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন প্রগতিশীল ও বামপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক’। অধ্যাপক তানজীম শিক্ষক নেটওয়ার্কের একজন সংগঠক।
ব্যক্তিগত ফাইল তলব করার অভিযোগ এনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বরাবর চিঠি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের এ অধ্যাপক। ফাইল তল্লাশি করে ব্যক্তিগত তথ্য নিয়ে নেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন তিনি।
তানজীমউদ্দিন তাঁর ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে শিক্ষক নেটওয়ার্কের পক্ষ থেকে স্মারকলিপি দিয়ে আসি সাড়ে বারোটা-একটা নাগাদ। এরপর বিকেল সাড়ে তিনটা নাগাদ প্রক্টর অফিস থেকে দুজন কর্মচারী আমার বিভাগের অফিসে গিয়ে আমার ব্যক্তিগত ফাইল তল্লাশি করে! আমার স্থায়ী ঠিকানাসহ যাবতীয় তথ্য নিয়ে যায়! আমার যাবতীয় তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে আছে! সেই তথ্য জোগাড় করতে বিভাগে কেন কর্মচারী গেল আমার ব্যক্তিগত ফাইলের জন্য? কোনো তথ্য দরকার হলে তো রেজিস্ট্রার ভবনই যথেষ্ট! কোন ক্ষমতাবলে প্রক্টর একজন শিক্ষকের ব্যক্তিগত ফাইল তল্লাশি করতে তার দুজন কর্মচারীকে আমাদের বিভাগের অফিসে পাঠিয়েছে? তাকে এই এখতিয়ার কে দিল?
তানজীমউদ্দিন আরও লিখেছেন, ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি! সন্ধ্যা পৌনে সাতটায় আমার স্থায়ী ঠিকানায় একজন এসআই গিয়ে জানায় যে, উনি আমার সম্পর্কে ভেরিফিকেশনের জন্য গেছেন। ওখান থেকে আমাকে ফোন দেওয়া হলে পুলিশ কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের একটা তালিকা করা হচ্ছে। সেই জন্য গেছেন! আবার জানালেন, ওনার বস বলতে পারবেন আসল কারণটা কী? সবকিছু মিলিয়ে আমি নিশ্চিত, প্রক্টর তার আত্মমর্যাদাশীল এই ‘মহাকাণ্ডটি’র সঙ্গে আছেন। ঘটনার পরম্পরা তাই নির্দেশ করে!
অপরাজনৈতিক সেবাদাসের মানসিকতা নিয়ে একটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা কীভাবে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করেন? এই শিক্ষকেরা রাতের ঘুমানোর আগে ভালো কিছু কি চিন্তা করতে পারেন? একজন প্রক্টর কি আসলে শিক্ষক নাকি অন্য কিছু? ভিন্ন চিন্তার নিজ সহকর্মীদেরকে কি চোর-ডাকাত মনে করেন? কোন আত্মমর্যাদা নিয়ে শিক্ষক হিসেবে শ্রেণি কক্ষে যান? ইত্যাদি প্রশ্ন তোলেন অধ্যাপক তানজীম।
এদিকে তানজীমউদ্দীন খান মিথ্যাচার ও বাকসন্ত্রাস করছেন বলে মন্তব্য করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।
প্রক্টরের এমন মন্তব্যের প্রতিবাদে আগামী ২২ অক্টোবর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া প্রকাশনা ও গবেষণা মেলা থেকে নিজের সকল প্রকাশনা ও গবেষণা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন খান।
অধ্যাপক তানজীমউদ্দিন বলেন, আমি গণমাধ্যমে দেখেছি উনি আমাকে নিয়ে যে ভাষা ব্যবহার করেছেন তাতে আমি হতাশ হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনেরই একজন যখন আমাকে খারাপ ভাষা ব্যবহার করে মন্তব্য করে তাহলে আমার সেই বিষয়ে কিছু বলারও নেই। তাই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি আগামী ২২ অক্টোবরে শুরু হতে যাওয়া ‘প্রকাশনা ও গবেষণা মেলায়’ আমার কোনো গবেষণা কিংবা প্রদর্শন করব না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘সমাজ দিনদিন অস্থির হয়ে যাচ্ছে। এমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো টেবিলে বসলে সমাধান হয়ে যায়। সেই বিষয়গুলো নিষ্প্রয়োজনে জাতীয় বিষয়ে রূপান্তর করা কোনোক্রমেই ভালো জিনিস নয়। আমার কাছে অধ্যাপক তানজীম লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। আমি বলেছি, উদ্বিগ্নের কারণ নেই। কোথাও কৌশলগত ভুল হতে পারে।’
এদিকে অধ্যাপক মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খানের বিভাগীয় কক্ষ ব্যক্তিগত ফাইল থেকে তথ্য নেওয়ার বিষয়ে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী) সহ বিভিন্ন বামপন্থী ছাত্র সংগঠন।
চট্টগ্রামের পতেঙ্গা জেলে পাড়ায় আগুনে পুড়েছে ৩৭টি দোকান। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে আকমল আলী ঘাট এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
১৮ মিনিট আগেগাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ভোটকেন্দ্রে জামায়াত কর্মী শাহাবুল ইসলামকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলার অন্যতম আসামি মজনু মিয়া ওরফে মজনু হিরোকে (৪৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের সাতগিরি হিরো বাজার এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২২ মিনিট আগেনেত্রকোনার দুর্গাপুরে কৃষক রহিত মিয়া হত্যা মামলায় ৮ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও লাশ গুম করার অপরাধে আরও ৫ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে...
৩৫ মিনিট আগেবগুড়ার আদমদীঘিতে অজ্ঞাত (৫৫) এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। আজ রোববার দুপুরে উপজেলার সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের পূর্ব পাশের বট গাছের নিচ থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়
১ ঘণ্টা আগে