গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলেজের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা আল আমিনকে হত্যার অভিযোগে মিলন রহমান নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপরদিকে, আল আমিন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও তাদের বিচার দাবিতে আজ শনিবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন আল আমিনের স্বজন, সহপাঠী শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
নিহত মো. আল আমিন হোসাইন (১৯) কালিয়াকৈর উপজেলার বরিয়াবহ গ্রামের মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে। তিনি ওই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
গ্রেপ্তার মিলন রহমান কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুরের খয়েজ মার্কেট এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে। তিনি কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক। তাকে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার কালামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কালিয়াকৈর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও পৌর ছাত্রলীগের দ্বন্দ্বের জেরে উপজেলার চন্দ্রা এলাকার ডাইনকিনি সড়কে শাহ মখদুম মার্কেটের সামনে প্রকাশ্যে আল আমিন ও কামরুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে আল আমিন মারা যান।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় আল আমিনের পিতা বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে ছাত্রলীগের ১৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমন খানকে প্রধান আসামি করা হয়। মামলার আসামিরা সকলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের নেতা কর্মী।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মো. সাকিব, মো. হাসান, রউফ আহমেদ তারেক, সুজন সিকদার, মো. রিপন, জাহিদ হাসান খান, মো. আকাশ, মো. কাউছার, মো. মিনহাজ, মিলন রহমান, প্রেম কুমার, মো. সাকিব হোসেন, মো. হৃদয়, কামরুল ইসলাম, মো. বাদশা মিয়া, মো. শিপন হোসেন ও মো. সিফাত। এদের ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামিও রয়েছে।
এদিকে, আল আমিন হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও তাদের বিচার দাবিতে আজ শনিবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় মানববন্ধন করেছেন আল আমিনের স্বজন, সহপাঠী শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। এতে আল আমিনের বাবা, দাদি, নানা ও ফুফুসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মানবন্ধনে আল আমিনের পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে পুরো এলাকায় এক শোকাতুর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মানববন্ধন শেষে অংশ গ্রহণকারীরা নানা স্লোগান দিয়ে ও ফেস্টুনও ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।
মিছিলটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও চন্দ্রা-বলিয়াদি আঞ্চলিক সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় তারা আল আমিন মরলো কেন? জবাব চাই, প্রশাসন চুপ কেন? জবাব চাই ইত্যাদি ম্লোগান দেয়।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে নিহতের বাবা মোতালেব হোসেন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি বলেন, এ কেমন নোংরা রাজনীতি? মায়ের বুক খালি হলো। ছেলে কে হারিয়ে আমার যে কি যন্ত্রণা? আমি জানি। আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভা হত্যা করা হয়েছে। এখানে সাক্ষীর দরকার নাই, সিসি ক্যামেরার ভিডিও সাক্ষী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
এ সময় কাঁদতে কাঁদতে পড়ে যান নিহতের বৃদ্ধ নানা আমছের আলী। তিনিও কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমার একটামাত্র নাতিগো। আমার নাতি ওদের লগেই চলতো। ওরা আমার নাতিরে ডাইক্যা নিয়া কুপাইয়া মাইরা ফালাইছে। ও (আল আমিন) কী এমন অপরাধ করছিল? ওরে এইভাবে কুপাইয়া মারলি ক্যান। তোমরা আমার নাতিরে ফিরাইয়া আইন্যা দেও। যারা নানা ভাইরে মারছে, তাগো ফাঁসি চাই। নানার প্রলাপে বুকফাটা আহাজারি করেন নিহত আল আমিনের বৃদ্ধা দাদি মহরজান, বড় ফুফু আসমা বেগম, মামা হারুণ মিয়াসহ অন্যান্য স্বজনরা।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোপন সংবাদে ভিত্তিতে খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার কালামপুর এলাকা থেকে এজাহার নামিয় আসামি মিলন রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, মিলন রহমানকে হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলেজের ছাত্র ও ছাত্রলীগ নেতা আল আমিনকে হত্যার অভিযোগে মিলন রহমান নামে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অপরদিকে, আল আমিন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও তাদের বিচার দাবিতে আজ শনিবার মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন আল আমিনের স্বজন, সহপাঠী শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা।
নিহত মো. আল আমিন হোসাইন (১৯) কালিয়াকৈর উপজেলার বরিয়াবহ গ্রামের মো. মোতালেব মিয়ার ছেলে। তিনি ওই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন।
গ্রেপ্তার মিলন রহমান কালিয়াকৈর উপজেলার কালামপুরের খয়েজ মার্কেট এলাকার আবদুর রহমানের ছেলে। তিনি কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের ৬ নম্বর ওয়ার্ড শাখার সাধারণ সম্পাদক। তাকে গত শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার কালামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কালিয়াকৈর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও পৌর ছাত্রলীগের দ্বন্দ্বের জেরে উপজেলার চন্দ্রা এলাকার ডাইনকিনি সড়কে শাহ মখদুম মার্কেটের সামনে প্রকাশ্যে আল আমিন ও কামরুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করে। পরে আল আমিন মারা যান।
পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় আল আমিনের পিতা বাদী হয়ে গতকাল শুক্রবার সকালে ছাত্রলীগের ১৮ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলায় কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমন খানকে প্রধান আসামি করা হয়। মামলার আসামিরা সকলেই জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগ ও কালিয়াকৈর পৌর ছাত্রলীগের নেতা কর্মী।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মো. সাকিব, মো. হাসান, রউফ আহমেদ তারেক, সুজন সিকদার, মো. রিপন, জাহিদ হাসান খান, মো. আকাশ, মো. কাউছার, মো. মিনহাজ, মিলন রহমান, প্রেম কুমার, মো. সাকিব হোসেন, মো. হৃদয়, কামরুল ইসলাম, মো. বাদশা মিয়া, মো. শিপন হোসেন ও মো. সিফাত। এদের ছাড়াও অজ্ঞাতনামা আসামিও রয়েছে।
এদিকে, আল আমিন হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও তাদের বিচার দাবিতে আজ শনিবার সকালে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কালিয়াকৈর চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকায় মানববন্ধন করেছেন আল আমিনের স্বজন, সহপাঠী শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা। এতে আল আমিনের বাবা, দাদি, নানা ও ফুফুসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। মানবন্ধনে আল আমিনের পরিবারের সদস্যদের আহাজারিতে পুরো এলাকায় এক শোকাতুর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
মানববন্ধন শেষে অংশ গ্রহণকারীরা নানা স্লোগান দিয়ে ও ফেস্টুনও ব্যানার নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।
মিছিলটি ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও চন্দ্রা-বলিয়াদি আঞ্চলিক সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় তারা আল আমিন মরলো কেন? জবাব চাই, প্রশাসন চুপ কেন? জবাব চাই ইত্যাদি ম্লোগান দেয়।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে নিহতের বাবা মোতালেব হোসেন কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। তিনি বলেন, এ কেমন নোংরা রাজনীতি? মায়ের বুক খালি হলো। ছেলে কে হারিয়ে আমার যে কি যন্ত্রণা? আমি জানি। আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভা হত্যা করা হয়েছে। এখানে সাক্ষীর দরকার নাই, সিসি ক্যামেরার ভিডিও সাক্ষী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।
এ সময় কাঁদতে কাঁদতে পড়ে যান নিহতের বৃদ্ধ নানা আমছের আলী। তিনিও কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, ‘আমার একটামাত্র নাতিগো। আমার নাতি ওদের লগেই চলতো। ওরা আমার নাতিরে ডাইক্যা নিয়া কুপাইয়া মাইরা ফালাইছে। ও (আল আমিন) কী এমন অপরাধ করছিল? ওরে এইভাবে কুপাইয়া মারলি ক্যান। তোমরা আমার নাতিরে ফিরাইয়া আইন্যা দেও। যারা নানা ভাইরে মারছে, তাগো ফাঁসি চাই। নানার প্রলাপে বুকফাটা আহাজারি করেন নিহত আল আমিনের বৃদ্ধা দাদি মহরজান, বড় ফুফু আসমা বেগম, মামা হারুণ মিয়াসহ অন্যান্য স্বজনরা।
কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গোপন সংবাদে ভিত্তিতে খবর পেয়ে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার কালামপুর এলাকা থেকে এজাহার নামিয় আসামি মিলন রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, মিলন রহমানকে হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ফুটেজ দেখে চিহ্নিত করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত আছে।
রাজধানীর উত্তরায় ‘চোর পেটানোকে’ কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও সাপ্পরো ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। এ সময় কলেজ হোস্টেলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের ৭ /সি নম্বর সড়কের হোস্টেল এলাকায় শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষ
৬ ঘণ্টা আগেপালানোর সময় বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসান। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৬ ঘণ্টা আগেজধানীর হাজারীবাগে সাইকেল চোর ধরতে গিয়ে খুন হয় কিশোর সাহাদাৎ হোসেন শান্ত। হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে হাজারীবাগ থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. শুকুর আলী (২২), মো. সিয়াম (২০) ও মো. শাকিল হোসেন (২৩)। তাঁদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে
৭ ঘণ্টা আগেবেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তাঁকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ডিবির একটি টিম তাঁকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে
৭ ঘণ্টা আগে