শুক্রবার মধ্য রাত থেকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাবে ঢাকা টাঙ্গাইল বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যান চলাচল অনেকটাই কমে গেছে। বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে শনিবার প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে যান চলাচল। এতে বিপাকে পড়েছে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বাইরে আসা যাত্রীরা। এ ছাড়া জেলার বাসস্ট্যান্ড থেকেও যারা দেশের বিভিন্ন গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বের হয়েছে তাদেরেকে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে। 

আজ শনিবার মহাসড়কের আশেকপুর বাইপাস, রাবনা বাইপাস, এলেঙ্গাসহ বিভিন্ন পয়েন্টে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। সকাল ৮টায় মহাসড়কের এলেঙ্গা নামক স্থানে কথা মো. মনসুর ও আজহার আলী নামের দুই যাত্রীর সঙ্গে। তাঁদের মধ্যে আজহার আলী গাঝপিুরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তিনি বলেন, সকাল থেকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো যানবাহনে উঠতে পারছি না। অন্যদিনের তুলনায় আজ মহাসড়কে যানবাহন অনেক কম।

বঙ্গবন্ধু সেতুর সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান মাসুদ বাপ্পী বলেন, স্বাভাবিক দিনের চাইতে শনিবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সেতু দিয়ে ৫ হাজার ৮৪৯টি যানবাহন পারাপার করেছে। এটা অন্য দিনের চাইতে প্রায় অর্ধেক। তবে কী কারণে এ যানবাহন কম চলাচল করেছে তা বলতে পারছি না।

অপরদিকে তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন টাঙ্গাইলের নতুন বাসস্ট্যান্ডর বাস চালক ও যাত্রীরা। টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ড থেকে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় খুব কমসংখ্যক বাস ছেড়ে গেছে। 

আজ সকাল ১০ টায় টাঙ্গাইল নতুন বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ড এলাকায় প্রত্যেক কাউন্টারের সামনে বাস দাঁড়ানো। বিলাসবহুল এসি বাস সকাল সন্ধ্যা ও সোনিয়া বাস না ছাড়লেও ধলেশ্বরী ও ঝটিকাসহ লোকাল দু-একটি বাস ছেড়ে যাচ্ছে। তবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে তারা ভাড়া একটু বেশি নিচ্ছে। তবে নিরালা সুপার বাসে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে না। স্বাভাবিকভাবেই তাদের পরিবহনের বাসগুলো চলছে। 

সকাল ‘সন্ধ্যা বাস’ কাউন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ঢাকাগামী কলেজছাত্রী ইভা রহমান বলেন, ‘সকাল ৯ টায় বাসস্ট্যান্ডে এসেছি। কিন্তু দেড় ঘণ্টা যাবৎ ‘সোনিয়া’ ও ‘সকাল সন্ধ্যার’ কোনো বাস ছাড়েনি। ভাবছি এখন নিজ বাসায় চলে যাব। এভাবে আমাদের হয়রানি করার কোনো মানেই হয় না।’

ধলেশ্বরী পরিবহনের বাস চালক সোহেল মিয়া বলেন, ডিজেলের দাম প্রতি লিটারে ৩৪ টাকা বেড়েছে। তাই আগে ঢাকার ভাড়া ১৬০ টাকা হলেও আজকে ২০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।

নিরালা কাউন্টারের টিকিট মাস্টার শামীম মিয়া বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বাড়লেও আমরা আগের ঢাকার ভাড়া দু শ টাকাই নিচ্ছি। সরকারিভাবে ভাড়া বাড়ানোর পর আমরা ভাড়া বৃদ্ধি করব।’

জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি খন্দকার ইকবাল বলেন, ‘আমরা সকলকে বাস ছাড়তে বলেছি। তবে সরকারিভাবে ভাড়া নির্ধারিত করা না হলে আগের ভাড়াতেই যাত্রী বহন করার কথাও অবগত করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুতই ভাড়া সমন্বয় করা হবে।’