নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
মজুরি আন্দোলনে প্রাণ হারানো চার শ্রমিকের জন্য ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি। সমাবেশে পোশাকশ্রমিকদের গ্রেড বৈষম্য, ছাঁটাই ও টার্গেটের চাপ বন্ধ করা এবং শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, সরকার ঘোষিত নতুন মজুরি চলতি জানুয়ারি থেকে পেতে শুরু করছে পোশাকশ্রমিকেরা। প্রাপ্তির শুরুতেই শ্রমিকেরা আরেক দফা সংকট ও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। পাঁচ বছর পর মজুরি কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়েনি। শ্রমিকেরা ২৫ হাজার টাকা দাবি করলেও নির্ধারিত হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। যা দিয়ে এই বাজারে চলা কঠিন। এরই মধ্যে নির্ধারিত মজুরিও বিভিন্ন কারখানায় কার্যকর হয়নি। সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে যোগ হয়েছে গ্রেড ভেদে শ্রমিকদের ঠকানোর ব্যবস্থা।
তাসলিমা আখতার বলেন, গ্রেড কমানোর কথা বলে মালিকেরা চতুর্থ গ্রেডে যে হারে মজুরি বাড়িয়েছে, সেই সমান হারে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় গ্রেডে বৃদ্ধি না করে ইচ্ছেমতো মজুরি দিচ্ছে। ফলে জ্যেষ্ঠ ও দক্ষ শ্রমিকেরা বঞ্চিত হচ্ছে। কয়েক বছর ধরে কাজ করা শ্রমিকদের গ্রেডে এমনিতেই ইনক্রিমেন্টের কারণে বৃদ্ধি পায় মজুরি। কিন্তু ঘোষিত মজুরির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়েনি মজুরি। অবিলম্বে সব গ্রেডে জ্যেষ্ঠতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে সমান হারে মজুরি বৃদ্ধি নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।
তাসলিমা আরও বলেন, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের কারণে শ্রমিক গ্রেপ্তার-মামলা-নির্যাতনেই মালিকেরা থেমে থাকেননি। শুরু হয়েছে বিভিন্ন কারখানায় ছাঁটাই, টার্গেটের ভয়াবহ চাপ এবং বিনা ওভারটাইমে খাটানো বা ফাউ খাটানো। মজুরি বৃদ্ধির সঙ্গে কাজের চাপ বৃদ্ধিতে অমানবিক অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। এ সময় টার্গেটের চাপ বৃদ্ধি, ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধ করে ভয়মুক্ত, সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া নেতা ও শ্রমিকদের ওপর চাপানো মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে জামিনে মুক্ত হওয়া সব শ্রমিককে কারখানায় কাজে বহাল করতে হবে। তাঁদের পাওনা এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’
বক্তারা বলেন, মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে মোট চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের বদলে ধামাচাপার চেষ্টা হয়েছে। নিহত পরিবারকে সামান্য কিছু টাকা ধরিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দারিদ্র্যের কারণে এই শ্রমিকদের পরিবারের কেউ কেউ মামলা করার সুযোগ পাননি। এ সময় তাঁরা অবিলম্বে মজুরি আন্দোলনে প্রাণ হারানো শ্রমিকের জন্য ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
মজুরি আন্দোলনে প্রাণ হারানো চার শ্রমিকের জন্য ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতি। সমাবেশে পোশাকশ্রমিকদের গ্রেড বৈষম্য, ছাঁটাই ও টার্গেটের চাপ বন্ধ করা এবং শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।
আজ শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির কেন্দ্রীয় সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার বলেন, সরকার ঘোষিত নতুন মজুরি চলতি জানুয়ারি থেকে পেতে শুরু করছে পোশাকশ্রমিকেরা। প্রাপ্তির শুরুতেই শ্রমিকেরা আরেক দফা সংকট ও বঞ্চনার শিকার হয়েছেন। পাঁচ বছর পর মজুরি কাঙ্ক্ষিত হারে বাড়েনি। শ্রমিকেরা ২৫ হাজার টাকা দাবি করলেও নির্ধারিত হয়েছে ১২ হাজার ৫০০ টাকা। যা দিয়ে এই বাজারে চলা কঠিন। এরই মধ্যে নির্ধারিত মজুরিও বিভিন্ন কারখানায় কার্যকর হয়নি। সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে যোগ হয়েছে গ্রেড ভেদে শ্রমিকদের ঠকানোর ব্যবস্থা।
তাসলিমা আখতার বলেন, গ্রেড কমানোর কথা বলে মালিকেরা চতুর্থ গ্রেডে যে হারে মজুরি বাড়িয়েছে, সেই সমান হারে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় গ্রেডে বৃদ্ধি না করে ইচ্ছেমতো মজুরি দিচ্ছে। ফলে জ্যেষ্ঠ ও দক্ষ শ্রমিকেরা বঞ্চিত হচ্ছে। কয়েক বছর ধরে কাজ করা শ্রমিকদের গ্রেডে এমনিতেই ইনক্রিমেন্টের কারণে বৃদ্ধি পায় মজুরি। কিন্তু ঘোষিত মজুরির সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়েনি মজুরি। অবিলম্বে সব গ্রেডে জ্যেষ্ঠতা ও দক্ষতার ভিত্তিতে সমান হারে মজুরি বৃদ্ধি নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।
তাসলিমা আরও বলেন, মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে আন্দোলনের কারণে শ্রমিক গ্রেপ্তার-মামলা-নির্যাতনেই মালিকেরা থেমে থাকেননি। শুরু হয়েছে বিভিন্ন কারখানায় ছাঁটাই, টার্গেটের ভয়াবহ চাপ এবং বিনা ওভারটাইমে খাটানো বা ফাউ খাটানো। মজুরি বৃদ্ধির সঙ্গে কাজের চাপ বৃদ্ধিতে অমানবিক অবস্থা তৈরি করা হয়েছে। এ সময় টার্গেটের চাপ বৃদ্ধি, ছাঁটাই-নির্যাতন বন্ধ করে ভয়মুক্ত, সুষ্ঠু কর্মপরিবেশ নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাবুল হোসেন বলেন, ‘গ্রেপ্তার হওয়া নেতা ও শ্রমিকদের ওপর চাপানো মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। একই সঙ্গে জামিনে মুক্ত হওয়া সব শ্রমিককে কারখানায় কাজে বহাল করতে হবে। তাঁদের পাওনা এবং ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’
বক্তারা বলেন, মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে মোট চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। সরকারের পক্ষ থেকে এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচারের বদলে ধামাচাপার চেষ্টা হয়েছে। নিহত পরিবারকে সামান্য কিছু টাকা ধরিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। দারিদ্র্যের কারণে এই শ্রমিকদের পরিবারের কেউ কেউ মামলা করার সুযোগ পাননি। এ সময় তাঁরা অবিলম্বে মজুরি আন্দোলনে প্রাণ হারানো শ্রমিকের জন্য ন্যায়বিচার ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
মায়া চৌধুরীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) মোহনপুরের মাখন খালাসীর ছেলে শিপন খালাসী বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা (মামলা নম্বর ২৫) করেন। মামলায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৭০–৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
৯ মিনিট আগেসাবেক পাট ও বস্ত্র মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ব্যক্তিগত সহকারী (পিএ) আফজাল কবিরকে গ্রেপ্তার করেছে কক্সবাজার জেলা পুলিশ। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শহরের কলাতলী এলাকার হোটেল দি কক্সটুডের একটি কক্ষ থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
১৭ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরীর কাশিমপুর থানার বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা এক মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে চক্রবর্তী এলাকায় চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে আজ মঙ্গলবার পঞ্চম দিনের মতো বিক্ষোভ করছে। একই মহাসড়কের অন্য অংশ অবরোধ করেছে ডরিন গ্রুপের তিনটি কারখানার শ্রমিকেরা। ফলে এ সড়কে চলাচলকারী যাত্
২২ মিনিট আগে১৩১ বছর আগে ১৭ জন সদস্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি। এখন এর সদস্যসংখ্যা ৮ হাজারের মতো। বেসরকারি ব্যাংকে রাখা সমিতির ফিক্সড ডিপোজিটের (এফডিআর) টাকা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন সদস্যরা।
২৫ মিনিট আগে