সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে পরিচয়হীন তিন নারী মানসিক রোগীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। গত আগস্ট থেকে হাসপাতালে আসা এসব রোগীকে শারীরিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে এখন মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে মাসখানেক ধরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুরে সরেজমিনে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে তিন মানসিক রোগীর কারণে সৃষ্ট দুর্ভোগ ও ভোগান্তির কথা জানিয়ে সাধারণ রোগীরা তাঁদের দ্রুত এখান থেকে এই সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান।
একাধিক রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বয়স্ক এক মানসিক রোগী যেখানে সেখানে প্রস্রাব, পায়খানা করেন। দুর্গন্ধে আশপাশে থাকা যায় না। রুমের বাইরে গিয়ে শিশুদের খাওয়াতে হয়। তিনি সারাক্ষণ গালাগালি, চিল্লাচিল্লি করেন। যাকে–তাকে খামচি ও কামড় দেন। ভয়ে অনেক রোগী চলে গেছে। তাদের অনেকের বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার সামর্থ্য নেই। তিন মানসিক রোগীর এমন আচরণে সব সময় আতঙ্কে থাকেন তারা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে প্রায় ৩ লাখ মানুষ চিকিৎসা নিয়ে থাকে। শয্যাগুলো সচরাচর ফাঁকা থাকে না। অনেক সময় অতিরিক্ত রোগী ভর্তি করে মেঝেতে রাখতে হয়। এখন ডেঙ্গু ও ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ও পেটের সমস্যার রোগীরা বেশি রয়েছে এ হাসপাতালে।
আগস্টে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিচয়হীন এক নারী (৫০) মানসিক রোগীকে ভর্তি করা হয়। তাঁর একটি পায়ের আঙুল থেকে গোড়া পর্যন্ত পচা, পোকা ধরা ও দুর্গন্ধ ছিল। তাঁকে অপারেশন করে ও সেবা দিয়ে সুস্থ করা হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। তিনি মহিলা ওয়ার্ডের ১৬ নম্বর শয্যায় রয়েছেন। এ ছাড়া গত ১৮ অক্টোবরে ৮ মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা পরিচয়হীন এক নারী মানসিক রোগী (৩০) ও ৭ নম্বর শয্যায় পরিচয়হীন আনুমানিক ৭৫ বছর বয়সী আরেক নারী মানসিক রোগীকে ভর্তি করেছে পুলিশ। তাদের শারীরিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য কোনো মানসিক হাসপাতালে পাঠানো যাচ্ছে না।
পরিচয়হীন এই তিন রোগীর নির্বিচার আচরণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ। তারা বলছেন, সাধারণ রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে নানা সমস্যায় পরেছেন নার্স ও চিকিৎসকেরা।
হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ওয়ার্ড ইনচার্জ আফসান আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৭৫ বছর বয়সী মানসিক রোগী এক নার্সের হাতে কামড়ে দিয়েছেন। আরেকজনকে খামচি দিয়ে চামড়া তুলে ফেলেছেন। যে পরিচ্ছন্নতাকর্মী তাঁকে পরিষ্কার করতে যান, তিনি তাঁদের খামচি দেন এবং মারধর করেন। তাদের তিনজনের কারণে ওয়ার্ডে কন্ট্রোল রাখা যায় না। এখন হাসপাতালের অন্যান্য রোগীরা ও আমরা যারা সেবা দেই তারা সবাই মানসিকভাবে দুশ্চিন্তায় আছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুমান আরা আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘এই তিনজন পরিচয়হীন মানসিক রোগীকে শারীরিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়েছে। মানসিক চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা বা চিকিৎসক এই হাসপাতালে নেই। এ ছাড়া আমাদের লোকবল কম। বাইরে থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী এনে কাজ করাতে হয়।’তিনি আরও বলেন, ‘মানসিক রোগীদের
কর্মকাণ্ডে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য মানসিক হাসপাতালে পাঠানো দরকার। কোনো পরিচয় না থাকায় ব্যবস্থা নিতে থানা, সমাজ সেবা ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও দীর্ঘদিনে কোনো ব্যবস্থা হয় নাই।’
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুল হক বলেন, ‘থানায় জিডি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমাজ সেবা অফিসের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিলে আমরা সহযোগিতা করব।’
আর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সুমন মধু বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা সরাসরি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না। উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা একজন ম্যাজিস্ট্রেট লিখিতভাবে নির্দেশনা দিলে ঢাকার মীরপুর বা আরও হাসপাতাল রয়েছে, যা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের ব্যবস্থায় পাঠানো যেতে পারে।’
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরিফুল আলম তানভীর বলেন, ‘শুধু চিঠি চালাচালি করলে হবে না, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা থানায় জিডি করলে ওসি সাহেব ব্যবস্থা নিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে কাগজ পাঠালে আমরা সমাজসেবার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব।’
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে পরিচয়হীন তিন নারী মানসিক রোগীকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। গত আগস্ট থেকে হাসপাতালে আসা এসব রোগীকে শারীরিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে এখন মানসিক চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে মাসখানেক ধরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার অপেক্ষায় রয়েছেন।
আজ বুধবার দুপুরে সরেজমিনে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে তিন মানসিক রোগীর কারণে সৃষ্ট দুর্ভোগ ও ভোগান্তির কথা জানিয়ে সাধারণ রোগীরা তাঁদের দ্রুত এখান থেকে এই সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানান।
একাধিক রোগীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বয়স্ক এক মানসিক রোগী যেখানে সেখানে প্রস্রাব, পায়খানা করেন। দুর্গন্ধে আশপাশে থাকা যায় না। রুমের বাইরে গিয়ে শিশুদের খাওয়াতে হয়। তিনি সারাক্ষণ গালাগালি, চিল্লাচিল্লি করেন। যাকে–তাকে খামচি ও কামড় দেন। ভয়ে অনেক রোগী চলে গেছে। তাদের অনেকের বেসরকারি হাসপাতালে যাওয়ার সামর্থ্য নেই। তিন মানসিক রোগীর এমন আচরণে সব সময় আতঙ্কে থাকেন তারা।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ৫০ শয্যাবিশিষ্ট এই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে প্রায় ৩ লাখ মানুষ চিকিৎসা নিয়ে থাকে। শয্যাগুলো সচরাচর ফাঁকা থাকে না। অনেক সময় অতিরিক্ত রোগী ভর্তি করে মেঝেতে রাখতে হয়। এখন ডেঙ্গু ও ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ও পেটের সমস্যার রোগীরা বেশি রয়েছে এ হাসপাতালে।
আগস্টে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরিচয়হীন এক নারী (৫০) মানসিক রোগীকে ভর্তি করা হয়। তাঁর একটি পায়ের আঙুল থেকে গোড়া পর্যন্ত পচা, পোকা ধরা ও দুর্গন্ধ ছিল। তাঁকে অপারেশন করে ও সেবা দিয়ে সুস্থ করা হয়েছে বেশ কিছুদিন আগে। তিনি মহিলা ওয়ার্ডের ১৬ নম্বর শয্যায় রয়েছেন। এ ছাড়া গত ১৮ অক্টোবরে ৮ মাসের এক অন্তঃসত্ত্বা পরিচয়হীন এক নারী মানসিক রোগী (৩০) ও ৭ নম্বর শয্যায় পরিচয়হীন আনুমানিক ৭৫ বছর বয়সী আরেক নারী মানসিক রোগীকে ভর্তি করেছে পুলিশ। তাদের শারীরিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হলেও উন্নত চিকিৎসার জন্য কোনো মানসিক হাসপাতালে পাঠানো যাচ্ছে না।
পরিচয়হীন এই তিন রোগীর নির্বিচার আচরণে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ। তারা বলছেন, সাধারণ রোগীরা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। রোগীদের চিকিৎসা দিতে গিয়ে নানা সমস্যায় পরেছেন নার্স ও চিকিৎসকেরা।
হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স ও ওয়ার্ড ইনচার্জ আফসান আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৭৫ বছর বয়সী মানসিক রোগী এক নার্সের হাতে কামড়ে দিয়েছেন। আরেকজনকে খামচি দিয়ে চামড়া তুলে ফেলেছেন। যে পরিচ্ছন্নতাকর্মী তাঁকে পরিষ্কার করতে যান, তিনি তাঁদের খামচি দেন এবং মারধর করেন। তাদের তিনজনের কারণে ওয়ার্ডে কন্ট্রোল রাখা যায় না। এখন হাসপাতালের অন্যান্য রোগীরা ও আমরা যারা সেবা দেই তারা সবাই মানসিকভাবে দুশ্চিন্তায় আছি।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আঞ্জুমান আরা আজকের পত্রিকার এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘এই তিনজন পরিচয়হীন মানসিক রোগীকে শারীরিক চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়েছে। মানসিক চিকিৎসার কোনো ব্যবস্থা বা চিকিৎসক এই হাসপাতালে নেই। এ ছাড়া আমাদের লোকবল কম। বাইরে থেকে পরিচ্ছন্নতাকর্মী এনে কাজ করাতে হয়।’তিনি আরও বলেন, ‘মানসিক রোগীদের
কর্মকাণ্ডে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য মানসিক হাসপাতালে পাঠানো দরকার। কোনো পরিচয় না থাকায় ব্যবস্থা নিতে থানা, সমাজ সেবা ও উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েও দীর্ঘদিনে কোনো ব্যবস্থা হয় নাই।’
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুল হক বলেন, ‘থানায় জিডি করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সমাজ সেবা অফিসের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিলে আমরা সহযোগিতা করব।’
আর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সুমন মধু বলেন, ‘এ বিষয়ে আমরা সরাসরি কোনো ব্যবস্থা নিতে পারি না। উপজেলা প্রশাসনের নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা একজন ম্যাজিস্ট্রেট লিখিতভাবে নির্দেশনা দিলে ঢাকার মীরপুর বা আরও হাসপাতাল রয়েছে, যা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের ব্যবস্থায় পাঠানো যেতে পারে।’
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শরিফুল আলম তানভীর বলেন, ‘শুধু চিঠি চালাচালি করলে হবে না, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা থানায় জিডি করলে ওসি সাহেব ব্যবস্থা নিয়ে উপজেলা প্রশাসনকে কাগজ পাঠালে আমরা সমাজসেবার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেব।’
মাদারীপুরের কালকিনিতে বোমা হামলায় আহত মো. সুজন সরদার (৩২) নামের বিএনপির এক কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান সুজন। তিনি কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা
৩৩ মিনিট আগেপটুয়াখালী শহরের পিটিআই এলাকার একটি বাসায় স্ত্রী ও শিশুকে নির্যাতন এবং বাসার গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আইনজীবী দুলাল চন্দ্র দেবনাথ, পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতির সদস্য এবং দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এজিপি)।
৩৮ মিনিট আগেচার বছর ধরে প্রকল্প নেওয়া হলেও পরিবহনমালিকদের রাজনৈতিক প্রভাব ও অবৈধ বাসের দৌরাত্ম্যে আজ পর্যন্ত সফলতা আসেনি বাস রুট রেশনালাইজেশনের। ২০১৬ সালে প্রথম চিন্তা করা হয় ঢাকার বাসগুলোকে একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির আওতায় আনার। ২০১৮ সালে কমিটি করা হয়, আর ২০২১ সালে চালু হয় ঢাকা নগর পরিবহন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ
১ ঘণ্টা আগেবাজারে যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি তখন নীলফামারীর সৈয়দপুরে চালু হয়েছে বিনা লাভের সবজি বাজার। গণঅভূথ্যানের ১০০ তম দিন পূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শহরের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
১ ঘণ্টা আগে