অর্চি হক, ঢাকা
‘পঞ্চাশ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট দিয়াও সারা দিনে পাঁচটা ড্রেস বেচতে পারলাম না। শোরুম ভর্তি মাল, কিননের মানুষ নাই’—ক্রেতাশূন্য দোকানে বসে কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর পুলিশ প্লাজা বিপণিবিতানের এক বিক্রেতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিক্রেতা যখন পঞ্চাশ শতাংশ ছাড় দিয়েও ক্রেতা টানতে ব্যর্থ, তখন একই এলাকার আড়ংয়ের আউটলেটে উপচেপড়া ভিড়।
ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকায় তাপদাহ আর তীব্র যানজট উপেক্ষা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষ। আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডি, পান্থপথ, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বনশ্রী ও গুলশান এলাকার অভিজাত বিপণিবিতান ঘুরে দেখা যায়, নামী ব্রান্ডের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত ব্র্যান্ড বা ননব্র্যান্ডের দোকানে ভিড় কম।
আড়ংয়ের গুলশান লিংকরোড শাখায় আসা শামীমা সুলতানা বলেন, ‘আসাদগেট আর সায়েন্স ল্যাবের আড়ংয়ে প্রচণ্ড ভিড়। জামা কাপড় ভালো করে দেখা যায় না। মোহাম্মদপুর থেকে এখানে আসছি কেনাকাটা করতে। এখানেও ভিড়।’
সাব্বির আহমেদ নামের আরেক ক্রেতা জানান, গ্রামের বাড়িতে থাকা আত্মীয়-পরিজনদের জন্য ঈদের উপহার কিনতে এসেছেন তিনি। আড়ং ব্র্যান্ডটা শহর গ্রাম সবার কাছে সমান পরিচিত থাকায় এখান থেকেই কিনছেন।
বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেল, আড়ং, দেশীদশের মতো শোরুমগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়ে বিক্রয়কর্মীদের নাভিশ্বাস অবস্থা। দেশীদশের অঞ্জনসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিক্রয়কর্মী জানান, ছেলেদের পাঞ্জাবি আর মেয়েদের কূর্তি বেশি বিক্রি হচ্ছে। বসুন্ধরা সিটি বিপণিবিতানের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অত্যধিক গরমে ক্রেতাদের মধ্যে হালকা আর আরামদায়ক পোশাকের চাহিদাটাই বেশি। তবে নারী ক্রেতাদের মধ্যে অনেকেই পার্টি গাউন খুঁজছেন। বাচ্চা মেয়েদের মধ্যে পার্টি ফ্রকের চাহিদা বেশি।
গুলশানের পুলিশ প্লাজা বিপণিবিতান ঘুরেও দেখা যায় পরিচিত ব্র্যান্ডের দোকানেই ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। কাফরুল থেকে পুলিশ প্লাজায় কেনাকাটা করতে আসা হামিদা আক্তার জানান, কে ক্র্যাফটের শোরুম থেকে তিনটি পোশাক কিনেছেন তিনি। একই বিপণিবিতানে ৫০ শতাংশ ছাড়ের দোকান ছেড়ে কে ক্র্যাফট থেকে তিনটি পোশাক কেনার কারণ জানতে চাইলে মধ্যবয়সী এই নারী বলেন, ‘কে ক্র্যাফট তো সবাই চেনে। ছোট বোন আর ননদের জন্য দুটো ড্রেস নিয়েছি। কে ক্র্যাফট দেখলে ওরা বুঝবে জিনিসটা ভালো।’
বনশ্রী মূল সড়কের পাশে থাকা বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের ভিড় নেই বললেই চলে। বি ব্লকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিক্রেতা বলেন, ‘সারা বছর আমরা ঈদের সময়টার জন্য বসে থাকি। এই সময়েও ক্রেতা না থাকায় বাধ্য হয়ে বিশাল ছাড়ের ব্যানার টানাইছি। তবুও বিক্রি কম। তবে ক্রেতা সমাগম যেমনই থাকুক না কেন, দুই বছর পর এবার পুরো রমজান মাসজুড়ে দোকান খোলা রাখতে পারায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা।’ আর ক্রেতারা বলছেন মাস জুড়ে দোকান খোলা থাকায় তারা ধীরেসুস্থে দেখে বুঝে কেনাকাটা করতে পারছেন। দুই বছরের করোনা আতঙ্কের পর এবার ঈদে এটাই সবচেয়ে বড় আনন্দ বলে মনে করছেন তারা।
কেনাকাটা সম্পর্কিত পড়ুন:
‘পঞ্চাশ পার্সেন্ট ডিসকাউন্ট দিয়াও সারা দিনে পাঁচটা ড্রেস বেচতে পারলাম না। শোরুম ভর্তি মাল, কিননের মানুষ নাই’—ক্রেতাশূন্য দোকানে বসে কথাগুলো বলছিলেন রাজধানীর পুলিশ প্লাজা বিপণিবিতানের এক বিক্রেতা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই বিক্রেতা যখন পঞ্চাশ শতাংশ ছাড় দিয়েও ক্রেতা টানতে ব্যর্থ, তখন একই এলাকার আড়ংয়ের আউটলেটে উপচেপড়া ভিড়।
ঈদের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি থাকায় তাপদাহ আর তীব্র যানজট উপেক্ষা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষ। আজ সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডি, পান্থপথ, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, বনশ্রী ও গুলশান এলাকার অভিজাত বিপণিবিতান ঘুরে দেখা যায়, নামী ব্রান্ডের দোকানগুলোতে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। অপেক্ষাকৃত কম পরিচিত ব্র্যান্ড বা ননব্র্যান্ডের দোকানে ভিড় কম।
আড়ংয়ের গুলশান লিংকরোড শাখায় আসা শামীমা সুলতানা বলেন, ‘আসাদগেট আর সায়েন্স ল্যাবের আড়ংয়ে প্রচণ্ড ভিড়। জামা কাপড় ভালো করে দেখা যায় না। মোহাম্মদপুর থেকে এখানে আসছি কেনাকাটা করতে। এখানেও ভিড়।’
সাব্বির আহমেদ নামের আরেক ক্রেতা জানান, গ্রামের বাড়িতে থাকা আত্মীয়-পরিজনদের জন্য ঈদের উপহার কিনতে এসেছেন তিনি। আড়ং ব্র্যান্ডটা শহর গ্রাম সবার কাছে সমান পরিচিত থাকায় এখান থেকেই কিনছেন।
বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা গেল, আড়ং, দেশীদশের মতো শোরুমগুলোতে ক্রেতাদের ভিড়ে বিক্রয়কর্মীদের নাভিশ্বাস অবস্থা। দেশীদশের অঞ্জনসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিক্রয়কর্মী জানান, ছেলেদের পাঞ্জাবি আর মেয়েদের কূর্তি বেশি বিক্রি হচ্ছে। বসুন্ধরা সিটি বিপণিবিতানের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অত্যধিক গরমে ক্রেতাদের মধ্যে হালকা আর আরামদায়ক পোশাকের চাহিদাটাই বেশি। তবে নারী ক্রেতাদের মধ্যে অনেকেই পার্টি গাউন খুঁজছেন। বাচ্চা মেয়েদের মধ্যে পার্টি ফ্রকের চাহিদা বেশি।
গুলশানের পুলিশ প্লাজা বিপণিবিতান ঘুরেও দেখা যায় পরিচিত ব্র্যান্ডের দোকানেই ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। কাফরুল থেকে পুলিশ প্লাজায় কেনাকাটা করতে আসা হামিদা আক্তার জানান, কে ক্র্যাফটের শোরুম থেকে তিনটি পোশাক কিনেছেন তিনি। একই বিপণিবিতানে ৫০ শতাংশ ছাড়ের দোকান ছেড়ে কে ক্র্যাফট থেকে তিনটি পোশাক কেনার কারণ জানতে চাইলে মধ্যবয়সী এই নারী বলেন, ‘কে ক্র্যাফট তো সবাই চেনে। ছোট বোন আর ননদের জন্য দুটো ড্রেস নিয়েছি। কে ক্র্যাফট দেখলে ওরা বুঝবে জিনিসটা ভালো।’
বনশ্রী মূল সড়কের পাশে থাকা বিভিন্ন দোকান ঘুরে দেখা যায়, ক্রেতাদের ভিড় নেই বললেই চলে। বি ব্লকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বিক্রেতা বলেন, ‘সারা বছর আমরা ঈদের সময়টার জন্য বসে থাকি। এই সময়েও ক্রেতা না থাকায় বাধ্য হয়ে বিশাল ছাড়ের ব্যানার টানাইছি। তবুও বিক্রি কম। তবে ক্রেতা সমাগম যেমনই থাকুক না কেন, দুই বছর পর এবার পুরো রমজান মাসজুড়ে দোকান খোলা রাখতে পারায় সন্তুষ্ট প্রকাশ করছেন ব্যবসায়ীরা।’ আর ক্রেতারা বলছেন মাস জুড়ে দোকান খোলা থাকায় তারা ধীরেসুস্থে দেখে বুঝে কেনাকাটা করতে পারছেন। দুই বছরের করোনা আতঙ্কের পর এবার ঈদে এটাই সবচেয়ে বড় আনন্দ বলে মনে করছেন তারা।
কেনাকাটা সম্পর্কিত পড়ুন:
ভারতে পালানোর সময় যশোরের শার্শা সীমান্তে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণকে গ্রেপ্তার করেছে বিজিবি। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার শিকারপুর সীমান্ত থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাধা, হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামি তিনি।
৩ মিনিট আগেরাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত সরকারি তিতুমীর কলেজের ভেতরে আজও জড়ো হয়েছে শিক্ষার্থীরা। দাবি আদায় না হলে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাবে বলে জানিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এদিকে গতকালের পরিস্থিতির কারণে আজ মঙ্গলবার সকালে তিতুমীর কলেজের সামনে বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য অবস্থান নিয়েছেন।
২১ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ হন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ। সেই হত্যা মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
৪৩ মিনিট আগেমায়া চৌধুরীর বাড়িতে হামলার ঘটনায় গত সোমবার (১৮ নভেম্বর) মোহনপুরের মাখন খালাসীর ছেলে শিপন খালাসী বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা (মামলা নম্বর ২৫) করেন। মামলায় ৪১ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৭০–৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে