সাখাওয়াত ফাহাদ, ঢাকা
ঈদের আনন্দ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে শেষ মুহূর্তে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে রাজধানীবাসী ছুটছে নিজেদের গ্রামের বাড়িতে। ঈদের দুদিন আগে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাস, ট্রেন কিংবা লঞ্চ স্টেশনগুলোতে তাই রয়েছে বাড়ি ফেরা মানুষের বাড়তি চাপ। আজ শনিবার সন্ধ্যায় এই চাপ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ শনিবার দুপুরে সদরঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ভোলা, হাতিয়া, পটুয়াখালী, বরিশাল, চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করছেন। লঞ্চ আসা মাত্রই যাত্রীরা দল বেঁধে ওঠার চেষ্টা করছেন। তবে শনিবার দুপুর থেকে বেশির ভাগ লঞ্চে যাত্রীর চাপ কম বলে জানিয়েছেন লঞ্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, ঈদের সময় যেমন যাত্রী থাকার কথা তাঁর অর্ধেকও নেই।
সদরঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ লঞ্চই সকালে ঘাটে এসে দীর্ঘসময় বসে আছে। যাত্রীরাও লঞ্চে বসে থেকে বিরক্ত হচ্ছেন। লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দিনে একটাই ট্রিপ দেওয়া যায়। ঈদের সময় কম যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চালানো সম্ভব না। তাই যাত্রী পরিপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত লঞ্চ ছেড়ে যাবে না।
ভোলা যাচ্ছেন গার্মেন্টস কর্মী শাহিন ইসলাম। দীর্ঘসময় লঞ্চে বসে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুপুরের দিকে অনেক ধাক্কাধাক্কি করে লঞ্চে উঠলাম। কিন্তু এখন আর ছাড়ার কোন খবর নাই। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে লঞ্চে বসে আছি।’ পটুয়াখালী গামী আরেক যাত্রী নির্মল হালদার বলেন, ‘যাত্রীদের চাপ একটু কম এখন। সন্ধ্যায় বাড়তে পারে। তাই অনেক লঞ্চ এখনো সেই আশায় আছে। সন্ধ্যার আগে ছাড়বে না মনে হয়।’
কয়েকটি লঞ্চের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে দেখা যায়, আশানুরূপ যাত্রী না থাকায় তাঁরা হতাশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযান-১২ লঞ্চের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারখানাগুলো ভাগে ভাগে ছুটি হওয়ায় যাত্রীর এবার চাপ কম। অতিরিক্ত লাভের কোন সম্ভাবনা নাই।’
যাত্রীর চাপ বেশি না থাকলে কিছু লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নিতে দেখা গেছে। সেসব লঞ্চে ওঠার ক্ষেত্রে যাত্রীর হুলুস্থুল পরিস্থিতি দেখা গেছে। চাঁদপুরের লঞ্চে পরিবার নিয়ে ওঠা শাহ কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুইটা ছোট বাচ্চা, স্ত্রী, বৃদ্ধ বাবা-মা নিয়ে লঞ্চে কীভাবে যাব তা নিয়ে খুব শঙ্কায় ছিলাম। আবার গত কয়েক দিন ঘাটের পরিস্থিতি খবরে দেখেও চিন্তিত ছিলাম। শেষমেশ উঠতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। ওঠার সময় লঞ্চের সিঁড়িটা মনে হচ্ছিল জান্নাতে যাওয়ার পুলসিরাত। এখন নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে পারলেই হয়।’
লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বা ভাড়া আদায় করছে কী-না, লঞ্চের ছাদে যাত্রী না নেওয়া, ঘাটের পরিবেশ নিরাপদ রাখাসহ যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে নৌ পুলিশ, র্যাব ও নৌ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। নৌ পুলিশের এস আই নুর হোসেন বলেন, ‘ঘাটে যেন কোন নিয়ম ভঙ্গ না হয়, যাত্রীরা নিরাপদে যাত্রা করতে পারেন এবং কোন ধরনের হেনস্তার শিকার না হয় সেদিকে আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি।’
ঢাকা নদী বন্দর কর্মকর্তার দপ্তরের তথ্যানুযায়ী জানা গেছে, শনিবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৬৮টি লঞ্চ ফিরে এসেছে এবং ঘাট ছেড়ে গেছে ৭৮টি। ৪৫টি লঞ্চ ঘাট ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া যথাযথ নিয়ম না মেনে ঘাটের পাশ দিয়ে যাওয়া একটি বাল্কহেড, দুটি পণ্যবাহী জাহাজ ও একটি তেলের ট্যাঙ্কারকে সর্বমোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ঢাকা নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক (বন্দর) মো. আলমগীর কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিড় স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি। উপচে পড়া ভিড় বলা যাবে না। এখানে আমাদের নৌ-পুলিশ কাজ করছে, র্যাবের কন্ট্রোল রুম রয়েছে। এ ছাড়াও বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। তাঁরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় কিংবা যাত্রী নেওয়া হচ্ছে কী না তা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। লঞ্চগুলো যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছেড়ে যায় সেটা তদারকি করা হচ্ছে। আজকে সকাল থেকে ভিড় কিছুটা কম থাকলেও সন্ধ্যার দিকে কিছুটা চাপ বাড়তে পারে।’
ঈদের আনন্দ প্রিয়জনের সঙ্গে ভাগাভাগি করে নিতে শেষ মুহূর্তে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে রাজধানীবাসী ছুটছে নিজেদের গ্রামের বাড়িতে। ঈদের দুদিন আগে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে বাস, ট্রেন কিংবা লঞ্চ স্টেশনগুলোতে তাই রয়েছে বাড়ি ফেরা মানুষের বাড়তি চাপ। আজ শনিবার সন্ধ্যায় এই চাপ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
আজ শনিবার দুপুরে সদরঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ভোলা, হাতিয়া, পটুয়াখালী, বরিশাল, চাঁদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষেরা লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করছেন। লঞ্চ আসা মাত্রই যাত্রীরা দল বেঁধে ওঠার চেষ্টা করছেন। তবে শনিবার দুপুর থেকে বেশির ভাগ লঞ্চে যাত্রীর চাপ কম বলে জানিয়েছেন লঞ্চের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা। তাঁরা বলছেন, ঈদের সময় যেমন যাত্রী থাকার কথা তাঁর অর্ধেকও নেই।
সদরঘাটে সরেজমিনে দেখা যায়, অধিকাংশ লঞ্চই সকালে ঘাটে এসে দীর্ঘসময় বসে আছে। যাত্রীরাও লঞ্চে বসে থেকে বিরক্ত হচ্ছেন। লঞ্চ সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দিনে একটাই ট্রিপ দেওয়া যায়। ঈদের সময় কম যাত্রী নিয়ে লঞ্চ চালানো সম্ভব না। তাই যাত্রী পরিপূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত লঞ্চ ছেড়ে যাবে না।
ভোলা যাচ্ছেন গার্মেন্টস কর্মী শাহিন ইসলাম। দীর্ঘসময় লঞ্চে বসে আছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দুপুরের দিকে অনেক ধাক্কাধাক্কি করে লঞ্চে উঠলাম। কিন্তু এখন আর ছাড়ার কোন খবর নাই। প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে লঞ্চে বসে আছি।’ পটুয়াখালী গামী আরেক যাত্রী নির্মল হালদার বলেন, ‘যাত্রীদের চাপ একটু কম এখন। সন্ধ্যায় বাড়তে পারে। তাই অনেক লঞ্চ এখনো সেই আশায় আছে। সন্ধ্যার আগে ছাড়বে না মনে হয়।’
কয়েকটি লঞ্চের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে দেখা যায়, আশানুরূপ যাত্রী না থাকায় তাঁরা হতাশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অভিযান-১২ লঞ্চের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কারখানাগুলো ভাগে ভাগে ছুটি হওয়ায় যাত্রীর এবার চাপ কম। অতিরিক্ত লাভের কোন সম্ভাবনা নাই।’
যাত্রীর চাপ বেশি না থাকলে কিছু লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নিতে দেখা গেছে। সেসব লঞ্চে ওঠার ক্ষেত্রে যাত্রীর হুলুস্থুল পরিস্থিতি দেখা গেছে। চাঁদপুরের লঞ্চে পরিবার নিয়ে ওঠা শাহ কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুইটা ছোট বাচ্চা, স্ত্রী, বৃদ্ধ বাবা-মা নিয়ে লঞ্চে কীভাবে যাব তা নিয়ে খুব শঙ্কায় ছিলাম। আবার গত কয়েক দিন ঘাটের পরিস্থিতি খবরে দেখেও চিন্তিত ছিলাম। শেষমেশ উঠতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। ওঠার সময় লঞ্চের সিঁড়িটা মনে হচ্ছিল জান্নাতে যাওয়ার পুলসিরাত। এখন নিরাপদে বাড়ি পৌঁছাতে পারলেই হয়।’
লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রী বা ভাড়া আদায় করছে কী-না, লঞ্চের ছাদে যাত্রী না নেওয়া, ঘাটের পরিবেশ নিরাপদ রাখাসহ যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে নৌ পুলিশ, র্যাব ও নৌ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। নৌ পুলিশের এস আই নুর হোসেন বলেন, ‘ঘাটে যেন কোন নিয়ম ভঙ্গ না হয়, যাত্রীরা নিরাপদে যাত্রা করতে পারেন এবং কোন ধরনের হেনস্তার শিকার না হয় সেদিকে আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি।’
ঢাকা নদী বন্দর কর্মকর্তার দপ্তরের তথ্যানুযায়ী জানা গেছে, শনিবার সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত ৬৮টি লঞ্চ ফিরে এসেছে এবং ঘাট ছেড়ে গেছে ৭৮টি। ৪৫টি লঞ্চ ঘাট ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়া যথাযথ নিয়ম না মেনে ঘাটের পাশ দিয়ে যাওয়া একটি বাল্কহেড, দুটি পণ্যবাহী জাহাজ ও একটি তেলের ট্যাঙ্কারকে সর্বমোট ১ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ঢাকা নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক (বন্দর) মো. আলমগীর কবীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভিড় স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি। উপচে পড়া ভিড় বলা যাবে না। এখানে আমাদের নৌ-পুলিশ কাজ করছে, র্যাবের কন্ট্রোল রুম রয়েছে। এ ছাড়াও বিআইডব্লিউটিএ ও নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে। তাঁরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় কিংবা যাত্রী নেওয়া হচ্ছে কী না তা সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছে। লঞ্চগুলো যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ছেড়ে যায় সেটা তদারকি করা হচ্ছে। আজকে সকাল থেকে ভিড় কিছুটা কম থাকলেও সন্ধ্যার দিকে কিছুটা চাপ বাড়তে পারে।’
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ব্যক্তিগত পার্ক গুঁড়িয়ে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রেলওয়ের বিভাগীয় সহকারী ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পরিচালিত উচ্ছেদ টিম পার্কটি গুঁড়িয়ে দেয়
৩ ঘণ্টা আগেফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদেরকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় জিম্মিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা
৪ ঘণ্টা আগেবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সংস্কারের জন্য তিন মাসের বেশি সময় দরকার হওয়ার কথা না। জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়। তাই আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে নির্বাচন দিতে হবে।
৪ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বিমান পরিবহন, পর্যটন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, সংস্কার দোকান থেকে কেনার বিষয় না। এটি চলমান প্রক্রিয়া। কমিশনগুলো গণ মতামত নিচ্ছে। তার ভিত্তিতেই সংস্কার হবে। সংস্কার হবে কোনো গোষ্ঠীর জন্য নয় সমগ্র দেশের মানুষের জন্য।
৫ ঘণ্টা আগে