ফরিদপুর প্রতিনিধি
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহকে শোকজ নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটি। আজ বুধবার নোটিশটি পাঠান ওই আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন চৌধুরী। একই সঙ্গে কাল বৃহস্পতিবার সাড়ে ৩টার মধ্যে তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে লিখিত জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটির কাছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালানোর অভিযোগ আনেন। এরপরই এ নোটিশ পাঠানো হয় এবং অভিযোগদাতার বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, ‘আপনি ১৩ ডিসেম্বর ভাঙ্গা উপজেলাধীন শেখপুরা বাজারে মাইক ব্যবহার করে গণসংযোগ ও পথসভা করে নির্বাচনী কার্যকলাপ চালিয়েছেন। বাজারে জনসাধারণ, ব্যবসায়ী, দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময়কালে একটি সভা করেছেন।’
এ ছাড়া ফেসবুকের একটি ভিডিও লিংক নোটিশে যুক্ত করা হয়। যেটি আজ (বুধবার) সকালে নির্বাচনী গণসংযোগের লাইভ ভিডিও করা হয়েছে কাজী জাফর উল্যাহর ফেসবুক আইডি থেকে। ভিডিওর সূত্র ধরে অনুসন্ধানী কমিটির মাধ্যমে শোকজের চিঠিতে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরা হয়; যা সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১১(ক) এর পরিপন্থী বলে অনুসন্ধানী কমিটি জানায়।
আরও বলা হয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি গ্রহণ এবং স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে সভায় অংশগ্রহণ করা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার বিধি ৬(খ) ও ৬(গ) লঙ্ঘিত হয়েছে।
ভিডিও লিংকের বক্তব্যে কাজী জাফর উল্যাহকে বলতে শোনা যায়, ‘এমপি তো যে আছে, সে তো আমাদের এলাকার না। সে হলো মাদারীপুর থেকে শিবচরের। সে এসেছে এখানে বালি কাটতে, সে এসেছে টাকা বানাতে, আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে কি সে এসেছে? সে বলে, কাজী মাহাবুল্লাহ (কাজী জাফর উল্যাহর বাবা) একটা চোর। সে বলে, আমি ফকিরের গোষ্ঠীর লোক, ফকিন্নির ছেলে। আপনারা বুঝতে পারছেন, আমাদের যদি এ কথা কয়, কাজী মাহাবুল্লাহরে যদি এই কথা কয়, তাহলে আপনাদের কী অবস্থা করবে। তার যে কতটা হিংসা, বিদ্বেষ।’
এ ছাড়া গণসংযোগে কাজী জাফর উল্যাহর সরাসরি নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ার একটি বক্তব্য চিঠিতে তুলে ধরা হয়। বক্তব্যে কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ, এবার আমরা প্রমাণ করে দিব, এই এলাকার মানুষ তারা নৌকাকে ভালোবাসে। নৌকা প্রতীককে ভোট দেবে। কাজী জাফর উল্যাহকে ভোট দেবে।’ যা বিধিমালার বিধি ১২ সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অনুসন্ধানী কমিটি নোটিশে উল্লেখ করে।
এ বিষয়ে জানাতে কাজী জাফর উল্যাহর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে সংযোগ না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ। অপরদিকে মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তৃতীয়বারের মতো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরী।
এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচিত হন। ওই দুটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহ তাঁর কাছে পরাজিত হয়েছেন।
আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে ফরিদপুর-৪ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহকে শোকজ নোটিশ দিয়েছে নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটি। আজ বুধবার নোটিশটি পাঠান ওই আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ মঈন উদ্দীন চৌধুরী। একই সঙ্গে কাল বৃহস্পতিবার সাড়ে ৩টার মধ্যে তাঁকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হয়ে লিখিত জবাব দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সন চৌধুরী নির্বাচনী অনুসন্ধানী কমিটির কাছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে গণসংযোগ ও প্রচারণা চালানোর অভিযোগ আনেন। এরপরই এ নোটিশ পাঠানো হয় এবং অভিযোগদাতার বিষয়টি চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে বলা হয়, ‘আপনি ১৩ ডিসেম্বর ভাঙ্গা উপজেলাধীন শেখপুরা বাজারে মাইক ব্যবহার করে গণসংযোগ ও পথসভা করে নির্বাচনী কার্যকলাপ চালিয়েছেন। বাজারে জনসাধারণ, ব্যবসায়ী, দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও কুশল বিনিময়কালে একটি সভা করেছেন।’
এ ছাড়া ফেসবুকের একটি ভিডিও লিংক নোটিশে যুক্ত করা হয়। যেটি আজ (বুধবার) সকালে নির্বাচনী গণসংযোগের লাইভ ভিডিও করা হয়েছে কাজী জাফর উল্যাহর ফেসবুক আইডি থেকে। ভিডিওর সূত্র ধরে অনুসন্ধানী কমিটির মাধ্যমে শোকজের চিঠিতে তাঁর বক্তব্য তুলে ধরা হয়; যা সংসদীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর বিধি ১১(ক) এর পরিপন্থী বলে অনুসন্ধানী কমিটি জানায়।
আরও বলা হয়, যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি গ্রহণ এবং স্থানীয় পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে সভায় অংশগ্রহণ করা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার বিধি ৬(খ) ও ৬(গ) লঙ্ঘিত হয়েছে।
ভিডিও লিংকের বক্তব্যে কাজী জাফর উল্যাহকে বলতে শোনা যায়, ‘এমপি তো যে আছে, সে তো আমাদের এলাকার না। সে হলো মাদারীপুর থেকে শিবচরের। সে এসেছে এখানে বালি কাটতে, সে এসেছে টাকা বানাতে, আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে কি সে এসেছে? সে বলে, কাজী মাহাবুল্লাহ (কাজী জাফর উল্যাহর বাবা) একটা চোর। সে বলে, আমি ফকিরের গোষ্ঠীর লোক, ফকিন্নির ছেলে। আপনারা বুঝতে পারছেন, আমাদের যদি এ কথা কয়, কাজী মাহাবুল্লাহরে যদি এই কথা কয়, তাহলে আপনাদের কী অবস্থা করবে। তার যে কতটা হিংসা, বিদ্বেষ।’
এ ছাড়া গণসংযোগে কাজী জাফর উল্যাহর সরাসরি নৌকা মার্কায় ভোট চাওয়ার একটি বক্তব্য চিঠিতে তুলে ধরা হয়। বক্তব্যে কাজী জাফর উল্যাহ বলেন, ‘ইনশা আল্লাহ, এবার আমরা প্রমাণ করে দিব, এই এলাকার মানুষ তারা নৌকাকে ভালোবাসে। নৌকা প্রতীককে ভোট দেবে। কাজী জাফর উল্যাহকে ভোট দেবে।’ যা বিধিমালার বিধি ১২ সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বলে অনুসন্ধানী কমিটি নোটিশে উল্লেখ করে।
এ বিষয়ে জানাতে কাজী জাফর উল্যাহর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে সংযোগ না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৪ (ভাঙ্গা, সদরপুর ও চরভদ্রাসন) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফর উল্যাহ। অপরদিকে মনোনয়নবঞ্চিত হয়ে তৃতীয়বারের মতো স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান ওরফে নিক্সন চৌধুরী।
এর আগে ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচিত হন। ওই দুটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী কাজী জাফর উল্যাহ তাঁর কাছে পরাজিত হয়েছেন।
রাজধানীর উত্তরায় ‘চোর পেটানোকে’ কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও সাপ্পরো ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। এ সময় কলেজ হোস্টেলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের ৭ /সি নম্বর সড়কের হোস্টেল এলাকায় শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষ
৩ ঘণ্টা আগেপালানোর সময় বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসান। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৩ ঘণ্টা আগেজধানীর হাজারীবাগে সাইকেল চোর ধরতে গিয়ে খুন হয় কিশোর সাহাদাৎ হোসেন শান্ত। হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে হাজারীবাগ থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. শুকুর আলী (২২), মো. সিয়াম (২০) ও মো. শাকিল হোসেন (২৩)। তাঁদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে
৪ ঘণ্টা আগেবেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তাঁকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ডিবির একটি টিম তাঁকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে
৪ ঘণ্টা আগে