সখীপুরে ১৫ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ অক্টোবর ২০২২, ১৩: ৩৮
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২২, ১৪: ১৬

টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার ১৫টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নেই প্রধান শিক্ষক। সাতটি বিদ্যালয়ে মামলা জটিলতা এবং আটটিতে অবসর ও বদলিজনিত কারণে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের পাশাপাশি সংকট রয়েছে সহকারী শিক্ষকেরও। 

মামলা জটিলতায় প্রধান শিক্ষকের পদশূন্য বিদ্যালয়গুলো হলো ঘেচুয়া শান্তিনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছোট দীঘিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পাটজাগ সোনার বাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসানগঞ্জ চকচকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আলীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দামিয়া আজগরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও প্রতিমা বংকী (উত্তর) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। 

পাটজাগ সোনার বাংলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা আবদুল কাদের বলেন, ‘বিদ্যালয়টি ২০১০ সালে নিবন্ধন পায়। ওই সময় থেকেই আমি প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছি। বাছাই কমিটি আমাকে প্রধান শিক্ষক হিসেবে মনোনীত করলেও ভুলক্রমে গেজেটে আমার নাম আসেনি। এভাবে উপজেলার সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের জটিলতা তৈরি হয়েছে।’ 

হাসানগঞ্জ চকচকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়নাল আবেদীন জানান, গেজেটে যেসব শিক্ষকের নাম আসেনি। তাঁরা স্বীকৃতি চেয়ে মামলা করেছেন। 

এদিকে প্রধান শিক্ষক না থাকা উপজেলার আরও আটটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকের সংকট রয়েছে। ওই সব বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকেরাই প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। 

উপজেলার বেতুয়া পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় এক বছর আগে এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অবসরে গেছেন। এ ছাড়া এক শিক্ষক টাঙ্গাইলে ১৮ মাসের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী রয়েছে ১৪৩ জন। জ্যেষ্ঠ শিক্ষক নাসিমা আক্তার প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। 

ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা নাসিমা আক্তার বলেন, ‘ক্লাস ও অফিশিয়াল কাজ একসঙ্গে করা যায় না। শিক্ষকের সংকটে শিশুদের পাঠদান ব্যাহত হয়। এ ছাড়া শিক্ষকের সংকটে আমরা কেউ ঐচ্ছিক ছুটিও নিতে পারছি না।’ 

এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রাফিউল করিম বলেন, প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়টি সরকারিভাবে হয়ে থাকে। উপজেলার সাতটি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়ে মামলা চলমান। মামলা নিষ্পত্তি হলেই বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের জটিলতা কেটে যাবে। এ ছাড়া অন্য আটটি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়েও চাহিদা পাঠানো হয়েছে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত