নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
সরকার নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্তে জারি করা কোটা বাতিলের পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন হাইকোর্ট। যার প্রতিবাদে দেশজুড়ে শিক্ষার্থীরা কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করছেন। বুধবার (১০ জুলাই) এ বিষয়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপিল বিভাগ সাবজেক্ট ম্যাটারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছেন। সাবজেক্ট ম্যাটারে (বিষয়বস্তু) কোটা নেই, সেটিই চলবে। হাইকোর্টের রায়ের আগে যে অবস্থা ছিল সেটাই হলো। রায় পেলে আবেদন (লিভ টু আপিল) করব। তখন আপিল বিভাগ পূর্ণাঙ্গ রায় দেবেন।’
এদিকে পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে কোটা সংস্কার করবে সরকার। তাই এ নিয়ে আর আন্দোলন চান না ক্ষমতাসীনেরা। আন্দোলন মোকাবিলায় এখনই কঠোর হতে চায় না সরকার। তবে জনদুর্ভোগ বাড়লে কঠোর হওয়ার বিষয়েও ভাবনা আছে ক্ষমতাসীনদের কারও কারও। প্রধানমন্ত্রী দেশে আসার পরেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান তাঁরা।
সরকারের সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন যৌক্তিক এবং স্পর্শকাতর বিবেচনায় কোনো ধরনের বাধা দেয়নি তারা। তাই শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্বের কোনো ত্রুটি করা হয়নি। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদেরও সরকারের আন্তরিকতার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া দরকার। পাশাপাশি জনদুর্ভোগের বিষয়টিও মাথায় নিতে হবে। আর কোনো সড়ক বা রেলপথ অবরোধ করে কর্মসূচি নেওয়া হবে না—এমনটাই প্রত্যাশা সরকারের।
এদিকে বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেখানে তিনি আপিল বিভাগের আদেশের পরে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় বাস্তবসম্মত হবে বলেও আশা করেন তিনি। পরে সেখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে নেতাদের দিকনির্দেশনা দেন।
বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা বলেন, ‘আমাদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বলেছেন তিনি (ওবায়দুল কাদের)। শিক্ষার্থীরা আদালতের রায় না মানলে দেখা যাবে। পরের ব্যবস্থা পরে দেখা যাবে।’
শিক্ষার্থীদের মাঠ থেকে সরাতে সরকার জোর খাটাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওই নেতা বলেন, ‘আমরা এখনো এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিই নাই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করছি, শিক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করে আন্দোলন প্রত্যাহার করবে। এখন পর্যন্ত এ সিদ্ধান্তে আমরা আছি। আশা করি, তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে না। সেটা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই কঠোর হতে বাধ্য হবে।’
এদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘মাত্র আদালত পরিপত্র বাতিল করে স্থিতাবস্থা জারি করেছে। এরপরও তারা আন্দোলন করছে। এখন প্রধানমন্ত্রী রাতে দেশে ফিরছেন (স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫ মিনিটে বেইজিং ত্যাগ করেছেন)। তিনি আমাদের একটা দিকনির্দেশনা দেবেন।’
রাজনৈতিক বা নির্বাহী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কোটা নিয়ে কোনো সমাধানের পথে হাঁটবে না সরকার—এমনটিই জানিয়েছে সূত্র। সূত্র বলছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা এবং পরামর্শ মেনে কোটা সংস্কারের বিষয়টি সম্পন্ন করবে সরকার। এ ক্ষেত্রে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে একটি খসড়া পরিকল্পনাও তৈরি করা হয়েছে। তবে প্রক্রিয়াটা শুরু হবে পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পরই।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরাতো মোকাবিলা করার চিন্তা করতেছি না, আমরা সহনশীল হিসেবে দেখছি। ওরা শিক্ষার্থী, আমাদের সন্তান। ওইভাবে দেখছি। আদালতের সিদ্ধান্তের বাইরে আর কিছু ভাবার সুযোগ এখনো নেই।’ তবে এ আন্দোলনে একটি পক্ষ রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন তিনি।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থানে যাবে কিনা এমন প্রশ্নে নাছিম বলেন, ‘আমাদের এ ধরনের কোনো চিন্তাভাবনা নেই। সরকার কোটা বাতিল করেছে, তারাও কোটা বাতিল চায়, তাই সেখানে হার্ড লাইনে যাওয়ার চিন্তা নেই। নেত্রী আমাদের (আওয়ামী লীগ), সহযোগী সংগঠন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন।’
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবার তারা কী কর্মসূচি দেবে জানি না। আজকের পর তারা জনদুর্ভোগ সৃষ্টির মতো কোনো কর্মসূচি যদি দেয়, এ অচলাবস্থা নিরসনের জন্য কী ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সেই সিদ্ধান্ত তারা নেবে।’
সরকার নির্বাহী বিভাগের সিদ্ধান্তে জারি করা কোটা বাতিলের পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণা করেছিলেন হাইকোর্ট। যার প্রতিবাদে দেশজুড়ে শিক্ষার্থীরা কয়েক দিন ধরে আন্দোলন করছেন। বুধবার (১০ জুলাই) এ বিষয়ে চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
আদেশের পর অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপিল বিভাগ সাবজেক্ট ম্যাটারে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে বলেছেন। সাবজেক্ট ম্যাটারে (বিষয়বস্তু) কোটা নেই, সেটিই চলবে। হাইকোর্টের রায়ের আগে যে অবস্থা ছিল সেটাই হলো। রায় পেলে আবেদন (লিভ টু আপিল) করব। তখন আপিল বিভাগ পূর্ণাঙ্গ রায় দেবেন।’
এদিকে পূর্ণাঙ্গ রায় পেলে কোটা সংস্কার করবে সরকার। তাই এ নিয়ে আর আন্দোলন চান না ক্ষমতাসীনেরা। আন্দোলন মোকাবিলায় এখনই কঠোর হতে চায় না সরকার। তবে জনদুর্ভোগ বাড়লে কঠোর হওয়ার বিষয়েও ভাবনা আছে ক্ষমতাসীনদের কারও কারও। প্রধানমন্ত্রী দেশে আসার পরেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান তাঁরা।
সরকারের সূত্রে জানা গেছে, কোটা সংস্কার আন্দোলন যৌক্তিক এবং স্পর্শকাতর বিবেচনায় কোনো ধরনের বাধা দেয়নি তারা। তাই শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে সব ধরনের আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে দায়িত্বের কোনো ত্রুটি করা হয়নি। এ পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদেরও সরকারের আন্তরিকতার বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া দরকার। পাশাপাশি জনদুর্ভোগের বিষয়টিও মাথায় নিতে হবে। আর কোনো সড়ক বা রেলপথ অবরোধ করে কর্মসূচি নেওয়া হবে না—এমনটাই প্রত্যাশা সরকারের।
এদিকে বুধবার দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। সেখানে তিনি আপিল বিভাগের আদেশের পরে শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ফিরে যেতে অনুরোধ করেন। আদালতের পূর্ণাঙ্গ রায় বাস্তবসম্মত হবে বলেও আশা করেন তিনি। পরে সেখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে নেতাদের দিকনির্দেশনা দেন।
বৈঠকে উপস্থিত এক নেতা বলেন, ‘আমাদের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে বলেছেন তিনি (ওবায়দুল কাদের)। শিক্ষার্থীরা আদালতের রায় না মানলে দেখা যাবে। পরের ব্যবস্থা পরে দেখা যাবে।’
শিক্ষার্থীদের মাঠ থেকে সরাতে সরকার জোর খাটাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ওই নেতা বলেন, ‘আমরা এখনো এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিই নাই। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। আশা করছি, শিক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করে আন্দোলন প্রত্যাহার করবে। এখন পর্যন্ত এ সিদ্ধান্তে আমরা আছি। আশা করি, তারা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে না। সেটা করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই কঠোর হতে বাধ্য হবে।’
এদিকে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘মাত্র আদালত পরিপত্র বাতিল করে স্থিতাবস্থা জারি করেছে। এরপরও তারা আন্দোলন করছে। এখন প্রধানমন্ত্রী রাতে দেশে ফিরছেন (স্থানীয় সময় রাত ১০টা ৫ মিনিটে বেইজিং ত্যাগ করেছেন)। তিনি আমাদের একটা দিকনির্দেশনা দেবেন।’
রাজনৈতিক বা নির্বাহী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে কোটা নিয়ে কোনো সমাধানের পথে হাঁটবে না সরকার—এমনটিই জানিয়েছে সূত্র। সূত্র বলছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা এবং পরামর্শ মেনে কোটা সংস্কারের বিষয়টি সম্পন্ন করবে সরকার। এ ক্ষেত্রে সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থেকে একটি খসড়া পরিকল্পনাও তৈরি করা হয়েছে। তবে প্রক্রিয়াটা শুরু হবে পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পরই।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম–সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরাতো মোকাবিলা করার চিন্তা করতেছি না, আমরা সহনশীল হিসেবে দেখছি। ওরা শিক্ষার্থী, আমাদের সন্তান। ওইভাবে দেখছি। আদালতের সিদ্ধান্তের বাইরে আর কিছু ভাবার সুযোগ এখনো নেই।’ তবে এ আন্দোলনে একটি পক্ষ রাজনীতিকরণের চেষ্টা করছে বলে দাবি করেন তিনি।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় আওয়ামী লীগ কঠোর অবস্থানে যাবে কিনা এমন প্রশ্নে নাছিম বলেন, ‘আমাদের এ ধরনের কোনো চিন্তাভাবনা নেই। সরকার কোটা বাতিল করেছে, তারাও কোটা বাতিল চায়, তাই সেখানে হার্ড লাইনে যাওয়ার চিন্তা নেই। নেত্রী আমাদের (আওয়ামী লীগ), সহযোগী সংগঠন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সেই নির্দেশনা দিয়েছেন।’
জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আবার তারা কী কর্মসূচি দেবে জানি না। আজকের পর তারা জনদুর্ভোগ সৃষ্টির মতো কোনো কর্মসূচি যদি দেয়, এ অচলাবস্থা নিরসনের জন্য কী ব্যবস্থা নেবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, সেই সিদ্ধান্ত তারা নেবে।’
রাজধানী ঢাকার যানজট কমাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) দুই বিশেষজ্ঞের পরামর্শে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
৬ মিনিট আগেপাবনার ঈশ্বরদীর পাকশীতে মানিক হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আজ সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার পাকশী ইউনিয়নের রূপপুর মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। খুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম।
৩৬ মিনিট আগেগাজীপুর মহানগরের সারাবো এলাকায় বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে চন্দ্রা-নবীনগর মহাসড়ক অবরোধ করে চতুর্থ দিনের দিনের মতো বিক্ষোভ করছেন। আজ সোমবার সকাল ৯টা থেকে এ বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। ফলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে সড়কে চলাচলকারী মানুষকে চরম
১ ঘণ্টা আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ক্যাফেটেরিয়ার পূর্ব পাশে শিক্ষার্থীদের মারামারির ছবি ও ভিডিও করার সময় এক সাংবাদিককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রদলের নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী সাংবাদিক দৈনিক কালের কণ্ঠের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. জুনায়েত শেখ।
১ ঘণ্টা আগে