শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক এম এ মান্নান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
গাজীপুর মেট্রো থানা যুবদলের সদস্যসচিব সুমন খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় আজ বিকেলে তিনি মারা যান।
এর আগে গতকাল বুধবার রাতে এম এ মান্নানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ইউনাইটেড হসপিটালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকাকালে ২০১৫ সালে তাঁকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একাধিক মামলায় তিনি তিন বছর কারাবাসে থাকেন। কারাবাসে থাকাকালীন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ২০১৭ সালে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেলেও অসুস্থতার কারণে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারেননি তিনি।
এম এ মান্নানের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে গাজীপুর জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সভাপতি মো. ফজলুর হক মিলন বলেছেন, ‘গাজীপুরের জেলা বিএনপি আজ একজন দায়িত্বশীল অভিভাবক হারিয়েছে। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জেলা শাখা হয়েছে অভিভাবক শূন্য।’
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক এম এ মান্নানের মরদেহ তাঁর গাজীপুর মহানগরের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুর হক মিলন জানান, আগামীকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ জুমা গাজীপুর মহানগরীর রাজবাড়ি মাঠে এবং সর্বশেষ সালনা নাসির উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাঁর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
অধ্যাপক এমএ মান্নান গাজীপুর জেলা সদরের দক্ষিণ সালনায় গ্রামে ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মৃত কছিম উদ্দিন। তিনি সালনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন জয়দেবপুর রানী বিলাসমণি স্কুলে। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পড়েন ময়মনসিংহ মুসলিম হাই স্কুলে এরপর নবম ও দশম শ্রেণি ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে পড়ে এসএসসি পাস করেন। এইচএসসি ও ডিগ্রি পাস করেন ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে। এভাবেই ময়মনসিংহের শিক্ষাজীবন শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত রসায়নে এমএসসিতে ভর্তি হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে টঙ্গী কলেজে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তখন থেকেই শিক্ষকতার পাশাপাশি রাজনীতি ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সক্রিয় রেখেছেন। টঙ্গী কলেজ ছেড়ে পরে তিনি গাজীপুর কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে যোগদান করেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি দলের সদস্য থেকে শুরু করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মান্নানের রাজনৈতিক উত্থান শুরু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে। অবশ্য এর আগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে দলীয়ভাবে সালনা গ্রাম সরকার প্রধানের দায়িত্ব পান তিনি। পরে জাতীয় গ্রাম সরকারের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিবেরও দায়িত্বে ছিলেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবাস করেছেন অধ্যাপক এম এ মান্নান। তিনি ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর ও টঙ্গী) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দেশের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়ে এম এ মান্নান বিএনপি সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তিনি ২০১৩ সালের ২৬ জুন থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন।
অধ্যাপক এম এ মান্নান এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুর হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ রিয়াজুল হান্নান, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আক্তারুল আলম মাস্টার।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক ধর্মপ্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক এম এ মান্নান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
গাজীপুর মেট্রো থানা যুবদলের সদস্যসচিব সুমন খন্দকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ইউনাইটেড হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় আজ বিকেলে তিনি মারা যান।
এর আগে গতকাল বুধবার রাতে এম এ মান্নানের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ইউনাইটেড হসপিটালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র থাকাকালে ২০১৫ সালে তাঁকে বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একাধিক মামলায় তিনি তিন বছর কারাবাসে থাকেন। কারাবাসে থাকাকালীন তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে ২০১৭ সালে আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পেলেও অসুস্থতার কারণে রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করতে পারেননি তিনি।
এম এ মান্নানের মৃত্যুতে শোক জানিয়ে গাজীপুর জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সভাপতি মো. ফজলুর হক মিলন বলেছেন, ‘গাজীপুরের জেলা বিএনপি আজ একজন দায়িত্বশীল অভিভাবক হারিয়েছে। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জেলা শাখা হয়েছে অভিভাবক শূন্য।’
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, অধ্যাপক এম এ মান্নানের মরদেহ তাঁর গাজীপুর মহানগরের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হবে।
গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুর হক মিলন জানান, আগামীকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বাদ জুমা গাজীপুর মহানগরীর রাজবাড়ি মাঠে এবং সর্বশেষ সালনা নাসির উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাঁর তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
অধ্যাপক এমএ মান্নান গাজীপুর জেলা সদরের দক্ষিণ সালনায় গ্রামে ১৯৫০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবার নাম মৃত কছিম উদ্দিন। তিনি সালনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি পাস করে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন জয়দেবপুর রানী বিলাসমণি স্কুলে। সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণি পড়েন ময়মনসিংহ মুসলিম হাই স্কুলে এরপর নবম ও দশম শ্রেণি ময়মনসিংহ জিলা স্কুলে পড়ে এসএসসি পাস করেন। এইচএসসি ও ডিগ্রি পাস করেন ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে। এভাবেই ময়মনসিংহের শিক্ষাজীবন শেষ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ফলিত রসায়নে এমএসসিতে ভর্তি হন। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া শেষ করে টঙ্গী কলেজে শিক্ষক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। তখন থেকেই শিক্ষকতার পাশাপাশি রাজনীতি ও বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে নিজেকে সক্রিয় রেখেছেন। টঙ্গী কলেজ ছেড়ে পরে তিনি গাজীপুর কাজী আজিম উদ্দিন কলেজে যোগদান করেন।
দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি দলের সদস্য থেকে শুরু করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
মান্নানের রাজনৈতিক উত্থান শুরু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন থেকে। অবশ্য এর আগে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে দলীয়ভাবে সালনা গ্রাম সরকার প্রধানের দায়িত্ব পান তিনি। পরে জাতীয় গ্রাম সরকারের কেন্দ্রীয় সদস্যসচিবেরও দায়িত্বে ছিলেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবাস করেছেন অধ্যাপক এম এ মান্নান। তিনি ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে গাজীপুর-২ (গাজীপুর সদর ও টঙ্গী) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দেশের সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়ে এম এ মান্নান বিএনপি সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। তিনি ২০১৩ সালের ২৬ জুন থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন।
অধ্যাপক এম এ মান্নান এক ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফজলুর হক মিলন, সাধারণ সম্পাদক শাহ্ রিয়াজুল হান্নান, শ্রীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান ফকির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আক্তারুল আলম মাস্টার।
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ব্যক্তিগত পার্ক গুঁড়িয়ে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রেলওয়ের বিভাগীয় সহকারী ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পরিচালিত উচ্ছেদ টিম পার্কটি গুঁড়িয়ে দেয়
১৭ মিনিট আগেফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদেরকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় জিম্মিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা
১ ঘণ্টা আগেবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সংস্কারের জন্য তিন মাসের বেশি সময় দরকার হওয়ার কথা না। জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়। তাই আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে নির্বাচন দিতে হবে।
১ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বিমান পরিবহন, পর্যটন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, সংস্কার দোকান থেকে কেনার বিষয় না। এটি চলমান প্রক্রিয়া। কমিশনগুলো গণ মতামত নিচ্ছে। তার ভিত্তিতেই সংস্কার হবে। সংস্কার হবে কোনো গোষ্ঠীর জন্য নয় সমগ্র দেশের মানুষের জন্য।
২ ঘণ্টা আগে