মারুফ কিবরিয়া ও এম মনসুর আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে
দলের নির্দেশে সংসদ থেকে পদত্যাগ। পরে ছাড়লেন বিএনপির পদপদবিও। ফের শূন্য আসনে ভোটের লড়াইয়ে নাম লেখালেন। ‘সমর্থন’ পেলেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। সেই সমর্থনের ওপর ভর করেই প্রচারে সরব ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভুঁইয়া। কলার ছড়া প্রতীক নিয়ে এখন শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত তিনি।
এদিকে আবদুস সাত্তার ভুঁইয়া জোর প্রচার চালালেও নীরব অন্য প্রার্থীরা। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে যাঁকে ভাবা হচ্ছিল, সেই আবু আসিফ আহমেদ রীতিমতো নিখোঁজ। বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ মোটর গাড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। গত শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন বলে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী মেহেরুন্নিছা।
তবে এখন পর্যন্ত স্বামীর নিখোঁজের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি কিংবা কোথাও কোনো লিখিত অভিযোগও করেননি তিনি। এর ফলে আসিফ নিখোঁজ, নাকি আত্মগোপনে রয়েছেন তা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ অভিযোগ করে আসছিলেন, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য তাঁর ওপর প্রচণ্ড চাপ ছিল। তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার দায়িত্বে থাকা কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে হয়রানি করাসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছিল। তবে এর মধ্যেও তিনি নির্বাচন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু শুক্রবার রাত থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এর আগে গত বুধবার আবু আসিফের নির্বাচনী প্রচারণার দায়িত্বে থাকা মুসা মিয়াকে (৮০) হামলা ও সংঘর্ষের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আবু আসিফের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী ও তাঁর শ্যালক সাফায়েত সুমনও নিখোঁজ। তিনি আশুগঞ্জের লালপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নিছা জানান, ‘গত দুই দিন আমার স্বামী ঘরে ফেরেনি। আমাদের লোকজনও ভয়ে থাকছে। এজেন্ট নিয়োগ দিতে সমস্যা হচ্ছে। কাজের লোক এলেও ছবি তুলে রাখে। ভিডিও করে রাখে। এভাবে তো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। প্রতিনিয়ত আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে পুলিশ এসে অযথা তল্লাশি ও হয়রানি করছে। বাড়ির সামনেও কিছু পুলিশ আসা-যাওয়া করছে। তারা একজনকে জেতাবে, এটি আগে বললেই তো পারে। কেন আমাদের এত টাকা খরচ করাল? আমার ছোট ভাইকেও বুধবার থেকে পাচ্ছি না।’
এ বিষয়ে থানায় বা কোথাও লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। আমিও ভয়ের মধ্যে আছি। দ্রুত একটা কিছু করব।’
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে নিজ কর্মী-সমর্থক ছাড়াও সাত্তার পাশে পাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের। তাই প্রচারে বেশ চাঙা তিনি। তবে এই নির্বাচনের প্রচারে সাত্তার যতটা এগিয়ে, ঠিক বিপরীত পথেই হাঁটছেন অন্য প্রার্থীরা। জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা চার প্রার্থী অনেকটাই ধীরগতি নীতিতে রয়েছেন এই ভোটের প্রচারে।
উকিল আবদুস সাত্তার ছাড়াও এই উপনির্বাচনে ভোটের মাঠে রয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটর গাড়ি), জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আবদুল হামিদ ভাসানি (লাঙ্গল) ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম (গোলাপ ফুল)।
নির্বাচনী সভায় এমপির উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন
আসন্ন উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সমর্থন দিচ্ছেন উকিল আব্দুস সাত্তারকে। এ নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা না হলেও প্রশ্ন উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও নারী সংসদ সদস্য উম্মে সালমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদের নির্বাচনী সভায় অংশ নেওয়া নিয়ে। এই দুই এমপিকে কয়েক দিন ধরেই স্বতন্ত্র প্রার্থী সাত্তারের নির্বাচনী প্রচারে দেখা যায়।
উপনির্বাচনে জনসভায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি আচরণবিধি লঙ্ঘন কি না, এমন প্রশ্নে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম বলেন, এ ব্যাপারে প্রার্থীদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। তা ছাড়া নির্বাচনের সবকিছুই শান্তিপূর্ণভাবে চলছে।
দলের নির্দেশে সংসদ থেকে পদত্যাগ। পরে ছাড়লেন বিএনপির পদপদবিও। ফের শূন্য আসনে ভোটের লড়াইয়ে নাম লেখালেন। ‘সমর্থন’ পেলেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের। সেই সমর্থনের ওপর ভর করেই প্রচারে সরব ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভুঁইয়া। কলার ছড়া প্রতীক নিয়ে এখন শেষ মুহূর্তের প্রচারে ব্যস্ত তিনি।
এদিকে আবদুস সাত্তার ভুঁইয়া জোর প্রচার চালালেও নীরব অন্য প্রার্থীরা। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে যাঁকে ভাবা হচ্ছিল, সেই আবু আসিফ আহমেদ রীতিমতো নিখোঁজ। বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ মোটর গাড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। গত শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন বলে মৌখিকভাবে জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী মেহেরুন্নিছা।
তবে এখন পর্যন্ত স্বামীর নিখোঁজের বিষয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি কিংবা কোথাও কোনো লিখিত অভিযোগও করেননি তিনি। এর ফলে আসিফ নিখোঁজ, নাকি আত্মগোপনে রয়েছেন তা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে।
আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু আসিফ অভিযোগ করে আসছিলেন, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য তাঁর ওপর প্রচণ্ড চাপ ছিল। তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার দায়িত্বে থাকা কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে হয়রানি করাসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছিল। তবে এর মধ্যেও তিনি নির্বাচন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছিলেন। কিন্তু শুক্রবার রাত থেকে তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।
এর আগে গত বুধবার আবু আসিফের নির্বাচনী প্রচারণার দায়িত্বে থাকা মুসা মিয়াকে (৮০) হামলা ও সংঘর্ষের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেলহাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আবু আসিফের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারী ও তাঁর শ্যালক সাফায়েত সুমনও নিখোঁজ। তিনি আশুগঞ্জের লালপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নিছা জানান, ‘গত দুই দিন আমার স্বামী ঘরে ফেরেনি। আমাদের লোকজনও ভয়ে থাকছে। এজেন্ট নিয়োগ দিতে সমস্যা হচ্ছে। কাজের লোক এলেও ছবি তুলে রাখে। ভিডিও করে রাখে। এভাবে তো সুষ্ঠু নির্বাচন হয় না। প্রতিনিয়ত আমাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে পুলিশ এসে অযথা তল্লাশি ও হয়রানি করছে। বাড়ির সামনেও কিছু পুলিশ আসা-যাওয়া করছে। তারা একজনকে জেতাবে, এটি আগে বললেই তো পারে। কেন আমাদের এত টাকা খরচ করাল? আমার ছোট ভাইকেও বুধবার থেকে পাচ্ছি না।’
এ বিষয়ে থানায় বা কোথাও লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের পালিয়ে থাকতে হচ্ছে। আমিও ভয়ের মধ্যে আছি। দ্রুত একটা কিছু করব।’
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠেয় এই নির্বাচনে নিজ কর্মী-সমর্থক ছাড়াও সাত্তার পাশে পাচ্ছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের। তাই প্রচারে বেশ চাঙা তিনি। তবে এই নির্বাচনের প্রচারে সাত্তার যতটা এগিয়ে, ঠিক বিপরীত পথেই হাঁটছেন অন্য প্রার্থীরা। জাতীয় পার্টির প্রার্থীসহ প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকা চার প্রার্থী অনেকটাই ধীরগতি নীতিতে রয়েছেন এই ভোটের প্রচারে।
উকিল আবদুস সাত্তার ছাড়াও এই উপনির্বাচনে ভোটের মাঠে রয়েছেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত নেতা আবু আসিফ আহমেদ (মোটর গাড়ি), জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আবদুল হামিদ ভাসানি (লাঙ্গল) ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম (গোলাপ ফুল)।
নির্বাচনী সভায় এমপির উপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন
আসন্ন উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা সমর্থন দিচ্ছেন উকিল আব্দুস সাত্তারকে। এ নিয়ে তেমন কোনো সমস্যা না হলেও প্রশ্ন উঠেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী ও নারী সংসদ সদস্য উম্মে সালমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদের নির্বাচনী সভায় অংশ নেওয়া নিয়ে। এই দুই এমপিকে কয়েক দিন ধরেই স্বতন্ত্র প্রার্থী সাত্তারের নির্বাচনী প্রচারে দেখা যায়।
উপনির্বাচনে জনসভায় অংশ নেওয়ার বিষয়টি আচরণবিধি লঙ্ঘন কি না, এমন প্রশ্নে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ও উপনির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহগীর আলম বলেন, এ ব্যাপারে প্রার্থীদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ নেই। তা ছাড়া নির্বাচনের সবকিছুই শান্তিপূর্ণভাবে চলছে।
টাকার বিনিময়ে মামলার অভিযোগপত্র থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে, আসামির সঙ্গে এমন ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর রাজশাহীর এক ছাত্রদল নেতাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। অব্যাহতি পাওয়া এই নেতার নাম সাইমন রেজা। তিনি নগরের বোয়ালিয়া (পূর্ব) থানা ছাত্রদলের সদস্য ছিলেন।
৬ মিনিট আগেদুই সপ্তাহ ধরে ফাতেমা আক্তার শাপলা (২৮) নামের এক নারীর সঙ্গে সুসম্পর্ক হয় শিশুটির মা ফারজানা আক্তারের। সাবলেটের কথা বলে গত বৃহস্পতিবার তিনি আজিমপুরের ওই বাসায় ওঠেন।
১৬ মিনিট আগেমুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে মো. আলাউদ্দিন (৩৫) নামের এক অটোরিকশাচালকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার সকালে উপজেলার কেয়াইন ইউনিয়নের নিমতলা এলাকার ফুট ওভার ব্রিজের পশ্চিম পাশে তালুকদার পেট্রল পাম্পের কাছ থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। লাশের পাশে একটি রক্তমাখা চাকু পড়ে ছিল।
২৪ মিনিট আগেকুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) চলমান ‘শহীদ আব্দুল কাইয়ুম স্মৃতি আন্ত বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট’ অনিবার্য কারণে স্থগিত করা হয়েছে। আজ শনিবার কুবির শারীরিক শিক্ষা বিভাগের উপপরিচালক ও ক্রীড়া পরিচালনা কমিটির সদস্যসচিব মনিরুল আলম স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই তথ্য জানানো হয়।
১ ঘণ্টা আগে