নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে লাফিয়ে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও পার করছে কঠিন সময়। মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাজারে কমে গেছে বেচাবিক্রি।
জেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের আগে ও ঈদের পরে কয়েক দফায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। ঈদের পর ২৫ কেজি বস্তার চিনিগুঁড়া চালের দাম ছিল ১ হাজার ৯৫০ টাকা, যা এখন ২ হাজার ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে ৫০ কেজি ওজনের মিনিকেট চালের বস্তা ৩০০০-৩২০০ টাকা, স্বর্ণা চাল ১৯৫০-২১৮০ টাকা, পাইজাম চাল ২১২০-২৩৫০ টাকা, আটাইশ ২১৭০-২২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫০ কেজি ওজনের খোলা আটার মূল্য বস্তা প্রতি বেড়েছে ৫২০ টাকা। আগে ছিল ১৫৮০ টাকা, বর্তমানে ২১০০ টাকা।
খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৪০ টাকা আর বোতলজাত বিভিন্ন কোম্পানির সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৩০ টাকায়। সয়াবিন ২ লিটারের বোতল ৩৮৫ এবং ৫ লিটার ৯৮৫ টাকা। ৪০ টাকার রসুন বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। ৩২ টাকার পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ১০০ টাকার মসুর ডাল ১০৫ টাকা, বুট ডালের দাম ৫৬ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫ টাকা, জিরা ৩৭০ টাকা থেকে ৩৮০ এবং আদা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়।
গরুর মাংস ও মাছের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দাম। লেয়ার মুরগির দাম বেড়ে ২৫০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা হয়েছে। হাঁসের ডিম প্রতি পিসের মূল্য ১৬ এবং ব্রয়লার মুরগির ডিম ৭ টাকা থেকে বেড়ে ৯ টাকা ২০ পয়সা করে বিক্রি হচ্ছে।
জেলা শহরের ফকিরপুরের দিন মজুর আবদুল হামিদ বলেন, মা-বাবা, ৫ ভাই ও দুই ভাবি নিয়ে তাদের সংসার। দুই ভাই শ্রমিকের চাকরি করেন। শহরে থাকার সুবাদে আগ থেকে আটাইশ চালের ভাত রান্না করত তাদের ঘরে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির পর থেকে বাজার থেকে লোকাল চাল নিচ্ছেন। বাজারে সবকিছুর দাম বাড়লেও তাদের আয় তো বাড়েনি। তাই বেশি প্রয়োজনের বাইরে কোনো জিনিস কেনার ক্ষমতা নেই। আগে কোনো পণ্য তিন-চার কেজি একসঙ্গে কিনলেও এখন যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু নিচ্ছেন।
চৌমুহনীর একটি কলেজে অতিথি (গেস্ট) শিক্ষক মো. মাহবুব বলেন, একদিকে যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধি, অন্যদিকে বাজারের চলমান ঊর্ধ্বগতির কারণে বিপাকে পড়েছেন তিনি। গত তিন বছর ধরে কলেজে তিনি কর্মরত থাকলেও মাস শেষে নির্দিষ্ট বেতন পান। যে বেতন পাচ্ছেন, তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। নিজের ইচ্ছে থাকলেও পরিবারের জন্য বাড়তি বা পছন্দের একটি জিনিস কেনা যাচ্ছে না। টাকা খরচ করতে চিন্তা করে করতে হয়।
মাইজদী পৌর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আহম্মদ স্টোরের পরিচালক আবদুল করিম বলেন, ঈদের পর থেকে ছোলা বুট ছাড়া প্রতিটি দ্রব্যের মূল্য তিন থেকে চার দফায় বেড়েছে। রমজান ও ইদ-পরবর্তী কয়েক দিন বিক্রি ভালো থাকলেও গত ১০ দিন ধরে অর্ধেকের বেশি কমে গেছে বিক্রি। এর জন্য তিনি দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন।
ভোক্তা অধিকার নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিঞা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রমজানের আগে থেকে আমরা বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালাচ্ছি। ভোজ্যতেলের মজুদকারী ও বাজারে মূল্যতালিকা না থাকায় অনেকগুলো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড করা হয়েছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণে আমাদের অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।’
নোয়াখালীতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়ছে লাফিয়ে। এতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোও পার করছে কঠিন সময়। মূল্যবৃদ্ধির কারণে বাজারে কমে গেছে বেচাবিক্রি।
জেলার কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রমজানের আগে ও ঈদের পরে কয়েক দফায় বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম। ঈদের পর ২৫ কেজি বস্তার চিনিগুঁড়া চালের দাম ছিল ১ হাজার ৯৫০ টাকা, যা এখন ২ হাজার ৩৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বর্তমানে ৫০ কেজি ওজনের মিনিকেট চালের বস্তা ৩০০০-৩২০০ টাকা, স্বর্ণা চাল ১৯৫০-২১৮০ টাকা, পাইজাম চাল ২১২০-২৩৫০ টাকা, আটাইশ ২১৭০-২২৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫০ কেজি ওজনের খোলা আটার মূল্য বস্তা প্রতি বেড়েছে ৫২০ টাকা। আগে ছিল ১৫৮০ টাকা, বর্তমানে ২১০০ টাকা।
খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ২৪০ টাকা আর বোতলজাত বিভিন্ন কোম্পানির সরিষার তেল বিক্রি হচ্ছে ২৮০ থেকে ৩৩০ টাকায়। সয়াবিন ২ লিটারের বোতল ৩৮৫ এবং ৫ লিটার ৯৮৫ টাকা। ৪০ টাকার রসুন বেড়ে ৬০ টাকা হয়েছে। ৩২ টাকার পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ১০০ টাকার মসুর ডাল ১০৫ টাকা, বুট ডালের দাম ৫৬ টাকা থেকে বেড়ে ৬৫ টাকা, জিরা ৩৭০ টাকা থেকে ৩৮০ এবং আদা বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়।
গরুর মাংস ও মাছের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল থাকলেও বেড়েছে মুরগি ও ডিমের দাম। লেয়ার মুরগির দাম বেড়ে ২৫০ টাকা থেকে ২৮০ টাকা হয়েছে। হাঁসের ডিম প্রতি পিসের মূল্য ১৬ এবং ব্রয়লার মুরগির ডিম ৭ টাকা থেকে বেড়ে ৯ টাকা ২০ পয়সা করে বিক্রি হচ্ছে।
জেলা শহরের ফকিরপুরের দিন মজুর আবদুল হামিদ বলেন, মা-বাবা, ৫ ভাই ও দুই ভাবি নিয়ে তাদের সংসার। দুই ভাই শ্রমিকের চাকরি করেন। শহরে থাকার সুবাদে আগ থেকে আটাইশ চালের ভাত রান্না করত তাদের ঘরে। দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির পর থেকে বাজার থেকে লোকাল চাল নিচ্ছেন। বাজারে সবকিছুর দাম বাড়লেও তাদের আয় তো বাড়েনি। তাই বেশি প্রয়োজনের বাইরে কোনো জিনিস কেনার ক্ষমতা নেই। আগে কোনো পণ্য তিন-চার কেজি একসঙ্গে কিনলেও এখন যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু নিচ্ছেন।
চৌমুহনীর একটি কলেজে অতিথি (গেস্ট) শিক্ষক মো. মাহবুব বলেন, একদিকে যানবাহনের ভাড়া বৃদ্ধি, অন্যদিকে বাজারের চলমান ঊর্ধ্বগতির কারণে বিপাকে পড়েছেন তিনি। গত তিন বছর ধরে কলেজে তিনি কর্মরত থাকলেও মাস শেষে নির্দিষ্ট বেতন পান। যে বেতন পাচ্ছেন, তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে। নিজের ইচ্ছে থাকলেও পরিবারের জন্য বাড়তি বা পছন্দের একটি জিনিস কেনা যাচ্ছে না। টাকা খরচ করতে চিন্তা করে করতে হয়।
মাইজদী পৌর বাজারের মুদি ব্যবসায়ী আহম্মদ স্টোরের পরিচালক আবদুল করিম বলেন, ঈদের পর থেকে ছোলা বুট ছাড়া প্রতিটি দ্রব্যের মূল্য তিন থেকে চার দফায় বেড়েছে। রমজান ও ইদ-পরবর্তী কয়েক দিন বিক্রি ভালো থাকলেও গত ১০ দিন ধরে অর্ধেকের বেশি কমে গেছে বিক্রি। এর জন্য তিনি দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন।
ভোক্তা অধিকার নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক মো. কাউছার মিঞা বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রমজানের আগে থেকে আমরা বিভিন্ন বাজারে অভিযান চালাচ্ছি। ভোজ্যতেলের মজুদকারী ও বাজারে মূল্যতালিকা না থাকায় অনেকগুলো ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে অর্থদণ্ড করা হয়েছিল। বাজার নিয়ন্ত্রণে আমাদের অভিযান এখনো চলমান রয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দেশের নির্বাচনব্যবস্থা প্রায় ধ্বংসের মুখোমুখি। গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণে এই ব্যবস্থাকে পরিশুদ্ধকরণের কোনো বিকল্প নেই। আর এর অগ্রাধিকারগুলো হতে পারে বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন বাতিল করে নতুন করে নির্বাচন কমিশন নিয়োগ আইন প্রণয়ন, নিয়োগ আইনে অনুসন্ধান কমিটিতে সরকারি ও...
১১ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুরে কাজীর দিঘীরপাড় এলাকায় স্বর্ণ ব্যবসায়ী হিরালাল দেবনাথ হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করছে পুলিশ। আজ শনিবার পৃথক পৃথক স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।
১৪ মিনিট আগেজিয়া স্মৃতি জাদুঘর বন্ধের সঙ্গে জড়িত কুশীলবদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, ‘বিগত সরকারের সময় যারা শহীদ জিয়ার নাম মুছে দিয়েছিল ও এটির বন্ধের জন্য কাজ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
১ ঘণ্টা আগেজামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, ‘জামায়াত আর্তমানবতার কল্যাণ সাধন করে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে চায়। বাংলাদেশের সবুজ ভূখণ্ডে ইনসাফভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণ করতে চায়। তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন পূরণে ছাত্র-জনতার স্বপ্নের সমৃদ্ধ মানবিক বাংলাদেশ গঠনে জামায়াত প্রতি
১ ঘণ্টা আগে