লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন বশিকপুর এলাকার সেলিম পাটওয়ারীর ছেলে মো. ইছমাইল হোসেন (৩১), নন্দিগ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে সবুজ (৩১) ও একই এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে আজিজুল হক বাবলু (৩০। এর মধ্যে সবুজ ও ইছমাইল এজাহারভুক্ত আসামি। অন্যজনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম জিহাদীসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নিহত জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে জোড়া খুনের ঘটনার পর সাত সেকেন্ডর একটি সিসিটিভির ফুটেজে পুলিশের হাতে এসেছে। এতে দেখা যায়, ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাত ৯টায় ৫৬ মিনিটের সময় আবুল কাশেম জিহাদির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত দেওয়ান ফয়সালের নেতৃত্বে আটজনের একটি দল অস্ত্র হাতে মহড়া দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পোদ্দার বাজারের দিকে চলে যায়। এর আগে পোদ্দারহাট পশ্চিম বাজারে ব্রিজের পাশে নিহত আবদুল্লাহ আল নোমান ও রাকিব ইমামকে তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে হত্যা করে।
ফুটেজে থাকা দেওয়ান ফয়সালকে শনাক্ত করতে পারলেও বাকি সাতজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানায় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ সাতটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া আবুল কাশেম জিহাদির বিরুদ্ধে রয়েছে চারটি হত্যাসহ দেড় ডজন মামলা। দুজনই পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বশিকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদিসহ ৩৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদিসহ অন্য আসামিদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।’ খুবই শিগগিরই জিহাদিসহ অন্য আসামিরা ধরা পড়বে বলে আশা করেন তিনি। এ ছাড়া সিসিটিভির ফুটেজের বিষয়টিও নিশ্চিত করেন তিনি।
মামলার বাদী ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাশেম জিহাদির নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে দুজনকে হত্যা করে। এরপর সন্ত্রাসী দেওয়ান ফয়সালের নেতৃত্বে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে কমান্ড স্টাইলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পাশে অবস্থান করছিলেন হত্যার প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদি। কেউ তাদের ভয়ে সামনে আসেনি।’ এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার বাদী ও ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যেন কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আবুল কাশেম জিহাদির বিরুদ্ধে চারটি হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া কিলার দেওয়ান ফয়সালের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে করে পোদ্দার বাজার থেকে নাগের হাটে যাচ্ছিলেন জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম। পশ্চিম বাজার এলাকার ব্রিজের পাশে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তাদের গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুল্লাহ আল নোমান ঘটনাস্থলে মারা যান। গুরুতর আহত রাকিব ইমামকে উদ্ধার করে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনিও মারা যান।
লক্ষ্মীপুরে জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম হত্যার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন বশিকপুর এলাকার সেলিম পাটওয়ারীর ছেলে মো. ইছমাইল হোসেন (৩১), নন্দিগ্রামের মৃত আবদুল মান্নানের ছেলে সবুজ (৩১) ও একই এলাকার তাজুল ইসলামের ছেলে আজিজুল হক বাবলু (৩০। এর মধ্যে সবুজ ও ইছমাইল এজাহারভুক্ত আসামি। অন্যজনকে অজ্ঞাত আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কাশেম জিহাদীসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে নিহত জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল নোমানের বড় ভাই বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
এদিকে জোড়া খুনের ঘটনার পর সাত সেকেন্ডর একটি সিসিটিভির ফুটেজে পুলিশের হাতে এসেছে। এতে দেখা যায়, ঘটনার দিন মঙ্গলবার রাত ৯টায় ৫৬ মিনিটের সময় আবুল কাশেম জিহাদির ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত দেওয়ান ফয়সালের নেতৃত্বে আটজনের একটি দল অস্ত্র হাতে মহড়া দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে পোদ্দার বাজারের দিকে চলে যায়। এর আগে পোদ্দারহাট পশ্চিম বাজারে ব্রিজের পাশে নিহত আবদুল্লাহ আল নোমান ও রাকিব ইমামকে তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে হত্যা করে।
ফুটেজে থাকা দেওয়ান ফয়সালকে শনাক্ত করতে পারলেও বাকি সাতজনকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানায় পুলিশ। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ সাতটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া আবুল কাশেম জিহাদির বিরুদ্ধে রয়েছে চারটি হত্যাসহ দেড় ডজন মামলা। দুজনই পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী।
লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বশিকপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জিহাদিসহ ৩৩ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইতিমধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদিসহ অন্য আসামিদের ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।’ খুবই শিগগিরই জিহাদিসহ অন্য আসামিরা ধরা পড়বে বলে আশা করেন তিনি। এ ছাড়া সিসিটিভির ফুটেজের বিষয়টিও নিশ্চিত করেন তিনি।
মামলার বাদী ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাশেম জিহাদির নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাসীরা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে দুজনকে হত্যা করে। এরপর সন্ত্রাসী দেওয়ান ফয়সালের নেতৃত্বে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে কমান্ড স্টাইলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পাশে অবস্থান করছিলেন হত্যার প্রধান আসামি আবুল কাশেম জিহাদি। কেউ তাদের ভয়ে সামনে আসেনি।’ এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেন তিনি।
চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মামলার বাদী ও ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। যেন কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আবুল কাশেম জিহাদির বিরুদ্ধে চারটি হত্যাসহ বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া কিলার দেওয়ান ফয়সালের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মোটরসাইকেলে করে পোদ্দার বাজার থেকে নাগের হাটে যাচ্ছিলেন জেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল নোমান ও ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রাকিব ইমাম। পশ্চিম বাজার এলাকার ব্রিজের পাশে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তাদের গতিরোধ করে এলোপাতাড়ি কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে। এতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে আবদুল্লাহ আল নোমান ঘটনাস্থলে মারা যান। গুরুতর আহত রাকিব ইমামকে উদ্ধার করে প্রথমে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ঢাকা নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনিও মারা যান।
রাজধানীর উত্তরায় ‘চোর পেটানোকে’ কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও সাপ্পরো ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। এ সময় কলেজ হোস্টেলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের ৭ /সি নম্বর সড়কের হোস্টেল এলাকায় শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষ
৬ ঘণ্টা আগেপালানোর সময় বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসান। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৬ ঘণ্টা আগেজধানীর হাজারীবাগে সাইকেল চোর ধরতে গিয়ে খুন হয় কিশোর সাহাদাৎ হোসেন শান্ত। হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে হাজারীবাগ থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. শুকুর আলী (২২), মো. সিয়াম (২০) ও মো. শাকিল হোসেন (২৩)। তাঁদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে
৭ ঘণ্টা আগেবেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তাঁকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ডিবির একটি টিম তাঁকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে
৭ ঘণ্টা আগে