বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান
গত কয়েক দশকে সড়কপথ বান্দরবান জেলার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। এই সড়কপথগুলোতে চলাচলের জন্য বিভিন্ন স্থানে যে সেতু রয়েছে, তার বেশির ভাগই বেইলি সেতু। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এসব বেইলি সেতু এখন অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কয়েক দশক আগে নির্মিত এসব ইস্পাতের ফ্রেম ও পাটাতনে তৈরি সেতু যানবাহন চলাচলের কারণে নড়বড়ে ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এসব ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলও যে চরম ঝুঁকিপূর্ণ, তা সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যেই ফুটে উঠেছে। বান্দরবান সড়কপথে প্রায় প্রতিটি বেইলি সেতুরই দুই পাশে ‘ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু, ৫ টনের অধিক মালামাল বোঝাই ও ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ’—এমন সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় চরম ঝুঁকি নিয়েই পাঁচ টনের বেশি মালামাল নিয়েই পরিবহন পারাপার চলছে। কখনো কখনো ভারী যানবাহন চলাচল করার সময় সেতুর পাটাতন উঠে যায়, ভেঙে যায়, আবারও জোড়াতালি দিয়ে ঠিক করে যানবাহন চলাচলের উপযোগ করা হয়।
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার ৮টি সড়কে ১৩৩টি বেইলি সেতু ছিল। জেলায় ১৯৮০ সালের দিকে অস্থায়ীভাবে নির্মিত সড়কে এসব বেইলি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে নতুন আরসিসি সেতু তৈরি হয়েছে ৮৭টি, বাকি সেতুগুলোর মধ্যে ৪০টি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়।
এদিকে সম্প্রতি বান্দরবানের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, অনেকগুলো বেইলি সেতুই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা সড়কের বেইলি সেতুগুলো ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এসব সেতুর কোথাও পাটাতন উঠে গেছে, কোথাও পাটাতন পুরোনো হয়ে ভেঙে বা ছিদ্র হয়ে গেছে। গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বান্দরবান-চিম্বুক সড়কের শৈলপ্রপাত এলাকার বেইলি সেতু দিয়ে গাড়ি যাওয়ার সময় পাটাতন উঠে প্রায় চার ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে সংস্কার করে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়।
তবে গতকাল রোববার বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বান্দরবানে সড়ক বিভাগের ১৩৩টি সেতুর মধ্যে ৭৭টি সরাসরি সড়ক বিভাগ পরিচালনা করে। বাকি ৫৬টি বেইলি সেতু রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারকাজের জন্য সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ (ইসিবি) দেখাশোনা করছে।
বান্দরবান-রোয়াংছড়ি, বান্দরবান-রুমা, বান্দরবান-বাগমারা ও বান্দরবান-থানচি সড়কগুলোর অবস্থাও একই। এখানেও বেইলি সেতুগুলো পুরোনো হওয়ায় চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, এসব বেইলি সেতু যদি অগ্রাধিকার দিয়ে সংস্কার বা মেরামত করা না হয়, তাহলে বেইলি সেতু ভেঙে যেকোনো সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর আগে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় বেইলি সেতু ভেঙে গাড়িসহ দুর্ঘটনায় পড়ার ঘটনা ঘটেছে।
রুমা উপজেলার ঠিকাদার জসিম উদ্দিন, বাদশা মিয়াসহ কয়েকজন বলেন, ঠিকাদারি কাজের জন্য মালামাল ট্রাকে করে নিয়ে যান বিভিন্ন সময়। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে মালামালসহ ট্রাক পারাপারের সময় তাঁদের মনে ভয় জাগে, যদি সেতু ভেঙে পড়ে যায়।
বান্দরবানে বেড়াতে আসা পর্যটক বশির আহমদ, সাইফুল, নওশাদসহ কয়েকজন বলেন, বিভিন্ন সড়কে অনেকগুলো বেইলি সেতু দেখেছেন যেগুলোর পাটাতন নষ্ট, গাড়ি যাওয়ার সময় নড়বড়ে মনে হয়। এতে তাঁরা কিছুটা ভয়ে থাকেন।
বেইলি সেতুগুলোর পরিবর্তে আরসিসি সেতু নির্মাণ করা জরুরি মনে করেন, এসব সড়কে চলাচলকারী যাত্রী, পরিবহন মালিক-চালক সবাই।
অবশ্য সড়ক বিভাগের দাবি যতটা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়, তেমন ঝুঁকিপূর্ণ নয় সেতুগুলো। সড়ক বিভাগের কর্মীরা সেগুলো সংস্কার করছে। সম্প্রতি বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগরে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু সংস্কার করা হয়েছে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে বেইলি সেতুগুলোর সংস্কারকাজ শুরু হবে।
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইতিমধ্যে ১০টি বেইলি সেতু মেরামতের জন্য প্রাক্কলন তৈরি করা হয়েছে।
গত কয়েক দশকে সড়কপথ বান্দরবান জেলার যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। এই সড়কপথগুলোতে চলাচলের জন্য বিভিন্ন স্থানে যে সেতু রয়েছে, তার বেশির ভাগই বেইলি সেতু। সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে এসব বেইলি সেতু এখন অনেকটাই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কয়েক দশক আগে নির্মিত এসব ইস্পাতের ফ্রেম ও পাটাতনে তৈরি সেতু যানবাহন চলাচলের কারণে নড়বড়ে ও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
এসব ঝুঁকিপূর্ণ সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলও যে চরম ঝুঁকিপূর্ণ, তা সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্যেই ফুটে উঠেছে। বান্দরবান সড়কপথে প্রায় প্রতিটি বেইলি সেতুরই দুই পাশে ‘ঝুঁকিপূর্ণ বেইলি সেতু, ৫ টনের অধিক মালামাল বোঝাই ও ভারী যানবাহন চলাচল নিষেধ’—এমন সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় চরম ঝুঁকি নিয়েই পাঁচ টনের বেশি মালামাল নিয়েই পরিবহন পারাপার চলছে। কখনো কখনো ভারী যানবাহন চলাচল করার সময় সেতুর পাটাতন উঠে যায়, ভেঙে যায়, আবারও জোড়াতালি দিয়ে ঠিক করে যানবাহন চলাচলের উপযোগ করা হয়।
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ সূত্রে জানা যায়, জেলার ৮টি সড়কে ১৩৩টি বেইলি সেতু ছিল। জেলায় ১৯৮০ সালের দিকে অস্থায়ীভাবে নির্মিত সড়কে এসব বেইলি সেতু রয়েছে। এর মধ্যে নতুন আরসিসি সেতু তৈরি হয়েছে ৮৭টি, বাকি সেতুগুলোর মধ্যে ৪০টি বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনা করা হয়।
এদিকে সম্প্রতি বান্দরবানের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, অনেকগুলো বেইলি সেতুই মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বান্দরবান-চন্দ্রঘোনা সড়কের বেইলি সেতুগুলো ক্রমেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এসব সেতুর কোথাও পাটাতন উঠে গেছে, কোথাও পাটাতন পুরোনো হয়ে ভেঙে বা ছিদ্র হয়ে গেছে। গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে বান্দরবান-চিম্বুক সড়কের শৈলপ্রপাত এলাকার বেইলি সেতু দিয়ে গাড়ি যাওয়ার সময় পাটাতন উঠে প্রায় চার ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে সংস্কার করে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করা হয়।
তবে গতকাল রোববার বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, বান্দরবানে সড়ক বিভাগের ১৩৩টি সেতুর মধ্যে ৭৭টি সরাসরি সড়ক বিভাগ পরিচালনা করে। বাকি ৫৬টি বেইলি সেতু রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কারকাজের জন্য সেনাবাহিনীর প্রকৌশল বিভাগ (ইসিবি) দেখাশোনা করছে।
বান্দরবান-রোয়াংছড়ি, বান্দরবান-রুমা, বান্দরবান-বাগমারা ও বান্দরবান-থানচি সড়কগুলোর অবস্থাও একই। এখানেও বেইলি সেতুগুলো পুরোনো হওয়ায় চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
স্থানীয় লোকজন বলছেন, এসব বেইলি সেতু যদি অগ্রাধিকার দিয়ে সংস্কার বা মেরামত করা না হয়, তাহলে বেইলি সেতু ভেঙে যেকোনো সময় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এর আগে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলায় বেইলি সেতু ভেঙে গাড়িসহ দুর্ঘটনায় পড়ার ঘটনা ঘটেছে।
রুমা উপজেলার ঠিকাদার জসিম উদ্দিন, বাদশা মিয়াসহ কয়েকজন বলেন, ঠিকাদারি কাজের জন্য মালামাল ট্রাকে করে নিয়ে যান বিভিন্ন সময়। কিন্তু ঝুঁকিপূর্ণ সেতুর ওপর দিয়ে মালামালসহ ট্রাক পারাপারের সময় তাঁদের মনে ভয় জাগে, যদি সেতু ভেঙে পড়ে যায়।
বান্দরবানে বেড়াতে আসা পর্যটক বশির আহমদ, সাইফুল, নওশাদসহ কয়েকজন বলেন, বিভিন্ন সড়কে অনেকগুলো বেইলি সেতু দেখেছেন যেগুলোর পাটাতন নষ্ট, গাড়ি যাওয়ার সময় নড়বড়ে মনে হয়। এতে তাঁরা কিছুটা ভয়ে থাকেন।
বেইলি সেতুগুলোর পরিবর্তে আরসিসি সেতু নির্মাণ করা জরুরি মনে করেন, এসব সড়কে চলাচলকারী যাত্রী, পরিবহন মালিক-চালক সবাই।
অবশ্য সড়ক বিভাগের দাবি যতটা ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়, তেমন ঝুঁকিপূর্ণ নয় সেতুগুলো। সড়ক বিভাগের কর্মীরা সেগুলো সংস্কার করছে। সম্প্রতি বান্দরবানের লামা উপজেলার আজিজনগরে ঝুঁকিপূর্ণ সেতু সংস্কার করা হয়েছে। আগামী দু-তিন মাসের মধ্যে বেইলি সেতুগুলোর সংস্কারকাজ শুরু হবে।
বান্দরবান সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোসলেহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ইতিমধ্যে ১০টি বেইলি সেতু মেরামতের জন্য প্রাক্কলন তৈরি করা হয়েছে।
কক্সবাজারের উখিয়া নাফ নদ থেকে অপহৃত পাঁচ জেলের একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার উপজেলার আঞ্জুমান পাড়া সীমান্ত এলাকার থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
১৯ মিনিট আগেদিনাজপুরের খানসামা উপজেলার জিয়া সেতুতে ডাম্প ট্রাক চলাচল নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে অবরোধ করা হয়।
৩৩ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদী থেকে একটি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। তবে ওই লাশটি নারী না পুরুষের তা প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের পীরগাছা উপজেলায় ১০ দিন ধরে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না সুমাইয়া (১০) নামের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে। সে ৬ নভেম্বর থেকে নিখোঁজ রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে