প্রতিনিধি
লংগদু (রাঙামাটি): রাঙামাটির লংগদু উপজেলার পাঁচটি গ্রাম হলো—নতুনপাড়া, উত্তর ইয়ারিংছড়ি, আলুটিলা, রেংকাইজ্জা ও আটরকছড়া। এ গ্রামগুলোয় অন্তত ছয় শতাধিক পরিবারের বসবাস। তবে তিন যুগের বেশি সময় ধরে এই পাঁচ গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি একটি সেতু নির্মাণ করা। সেতু নির্মাণ হলে তাদের দুর্ভোগ কমবে।
গ্রামগুলোর বাসিন্দারা জানান, ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যর একটি সেতু নির্মাণের জন্য উপজেলার জনপ্রতিনিধি, মন্ত্রী, সাংসদসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আবেদন করেছেন তাঁরা। জনপ্রতিনিধিরা প্রত্যেকেই আশ্বস্ত করেছেন সেতুটি নির্মাণের ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ কথা রাখেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং সংবাদকর্মী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, উপজেলার আটরকছড়া ইউনিয়নের এই পাঁচ গ্রামে বসবাসরত জনসাধারণকে করল্যাছড়ি বাজারে, ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলার সঙ্গে যাতায়াতের জন্য (কাপ্তাই হ্রদের অংশ) মাইনী খালের এই অংশটি নৌকা অথবা বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয়। সাঁকো পার হতে গিয়ে চার বছরের এক শিশু পানিতে পড়ে মারাও গেছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।
বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে হাত ভেঙেছে স্থানীয় ইউপির সদস্য আব্দুর রহমানের। আব্দুর রহমান বলেন, ‘সাড়ে তিন বছর আগে সাঁকো পার হতে গিয়ে বাঁশ ভেঙে নিচে পড়ে যাই। এ সময় আমার একটি হাত ভেঙে যায়।’
করল্যাছড়ি আরএস উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মাসুম জানায়, এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি, এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কারও সহযোগিতা এখনো পাওয়া যায়নি। চৈত্র-বৈশাখ মাসে খালের পানি কমে গেলে সাঁকোটি ছোট করে দিতে হয় আবার বর্ষা এলে বড় করতে হয়। এভাবে বছরে দুবার সাঁকো নির্মাণে স্থানীয়দের ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। বুধবার করল্যাছড়ি বাজারে সাপ্তাহিক হাটের দিন। বাজারে গরু–ছাগল, হাঁস-মুরগি পারাপার নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় সবাইকে।
করল্যাছড়ি বাজার কমিটির সভাপতি নুরু মিয়া বলেন, নদীর ওই পাড়ে আমার বাড়ি। প্রতিদিন সাঁকো পার হয়ে আমাকে আসা-যাওয়া করতে হয়। এ ছাড়া আলুটিলা আনসার ক্যাম্পের সদস্যরাও এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন। এখানে একটি সেতু নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবি। অনেক মন্ত্রী, এমপি এই বাজারে এসেছিলেন, সবাই কথা দিয়েছিলেন সেতু নির্মাণের। কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৬ সালে জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন বাঁশের সাঁকোটি। তিনিও আশ্বাস দিয়েছিলেন এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তাও চার বছর গত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আটরকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঙ্গলকান্তি চাকমা বলেন, বিভিন্ন সভা-সেমিনারে সেতুটি নির্মাণের জন্য কথা বলেছি। এমপি, মন্ত্রী সবাই আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকার মানুষ খুবই দুর্ভোগে আছেন। সেতুটি হওয়া একান্ত জরুরি।
লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘করল্যাছড়ি বাজার এলাকার খালের ওপর এক শ মিটার দৈর্ঘ্যর সেতু নির্মাণের জন্য এলজিইডিতে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করি অনুমোদন হয়ে যাবে।’
লংগদু (রাঙামাটি): রাঙামাটির লংগদু উপজেলার পাঁচটি গ্রাম হলো—নতুনপাড়া, উত্তর ইয়ারিংছড়ি, আলুটিলা, রেংকাইজ্জা ও আটরকছড়া। এ গ্রামগুলোয় অন্তত ছয় শতাধিক পরিবারের বসবাস। তবে তিন যুগের বেশি সময় ধরে এই পাঁচ গ্রামের বাসিন্দাদের দাবি একটি সেতু নির্মাণ করা। সেতু নির্মাণ হলে তাদের দুর্ভোগ কমবে।
গ্রামগুলোর বাসিন্দারা জানান, ২০০ মিটার দৈর্ঘ্যর একটি সেতু নির্মাণের জন্য উপজেলার জনপ্রতিনিধি, মন্ত্রী, সাংসদসহ সংশ্লিষ্ট সবার কাছে আবেদন করেছেন তাঁরা। জনপ্রতিনিধিরা প্রত্যেকেই আশ্বস্ত করেছেন সেতুটি নির্মাণের ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কেউ কথা রাখেননি।
স্থানীয় বাসিন্দা এবং সংবাদকর্মী মো. আলমগীর হোসেন বলেন, উপজেলার আটরকছড়া ইউনিয়নের এই পাঁচ গ্রামে বসবাসরত জনসাধারণকে করল্যাছড়ি বাজারে, ইউনিয়ন পরিষদ এবং উপজেলার সঙ্গে যাতায়াতের জন্য (কাপ্তাই হ্রদের অংশ) মাইনী খালের এই অংশটি নৌকা অথবা বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হয়। সাঁকো পার হতে গিয়ে চার বছরের এক শিশু পানিতে পড়ে মারাও গেছে। আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।
বাঁশের সাঁকো থেকে পড়ে গিয়ে হাত ভেঙেছে স্থানীয় ইউপির সদস্য আব্দুর রহমানের। আব্দুর রহমান বলেন, ‘সাড়ে তিন বছর আগে সাঁকো পার হতে গিয়ে বাঁশ ভেঙে নিচে পড়ে যাই। এ সময় আমার একটি হাত ভেঙে যায়।’
করল্যাছড়ি আরএস উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মো. মাসুম জানায়, এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবি, এখানে একটি সেতু নির্মাণ করা। কিন্তু সংশ্লিষ্ট কারও সহযোগিতা এখনো পাওয়া যায়নি। চৈত্র-বৈশাখ মাসে খালের পানি কমে গেলে সাঁকোটি ছোট করে দিতে হয় আবার বর্ষা এলে বড় করতে হয়। এভাবে বছরে দুবার সাঁকো নির্মাণে স্থানীয়দের ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ হয়। বুধবার করল্যাছড়ি বাজারে সাপ্তাহিক হাটের দিন। বাজারে গরু–ছাগল, হাঁস-মুরগি পারাপার নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় সবাইকে।
করল্যাছড়ি বাজার কমিটির সভাপতি নুরু মিয়া বলেন, নদীর ওই পাড়ে আমার বাড়ি। প্রতিদিন সাঁকো পার হয়ে আমাকে আসা-যাওয়া করতে হয়। এ ছাড়া আলুটিলা আনসার ক্যাম্পের সদস্যরাও এই সাঁকো দিয়ে যাতায়াত করেন। এখানে একটি সেতু নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবি। অনেক মন্ত্রী, এমপি এই বাজারে এসেছিলেন, সবাই কথা দিয়েছিলেন সেতু নির্মাণের। কিন্তু এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। ২০১৬ সালে জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন বাঁশের সাঁকোটি। তিনিও আশ্বাস দিয়েছিলেন এখানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তাও চার বছর গত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে আটরকছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মঙ্গলকান্তি চাকমা বলেন, বিভিন্ন সভা-সেমিনারে সেতুটি নির্মাণের জন্য কথা বলেছি। এমপি, মন্ত্রী সবাই আশ্বাস দিয়েছেন। এলাকার মানুষ খুবই দুর্ভোগে আছেন। সেতুটি হওয়া একান্ত জরুরি।
লংগদু উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল বারেক সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘করল্যাছড়ি বাজার এলাকার খালের ওপর এক শ মিটার দৈর্ঘ্যর সেতু নির্মাণের জন্য এলজিইডিতে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করি অনুমোদন হয়ে যাবে।’
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ব্যক্তিগত পার্ক গুঁড়িয়ে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রেলওয়ের বিভাগীয় সহকারী ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পরিচালিত উচ্ছেদ টিম পার্কটি গুঁড়িয়ে দেয়
৮ ঘণ্টা আগেফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদেরকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় জিম্মিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা
৯ ঘণ্টা আগেবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সংস্কারের জন্য তিন মাসের বেশি সময় দরকার হওয়ার কথা না। জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়। তাই আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে নির্বাচন দিতে হবে।
৯ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বিমান পরিবহন, পর্যটন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, সংস্কার দোকান থেকে কেনার বিষয় না। এটি চলমান প্রক্রিয়া। কমিশনগুলো গণ মতামত নিচ্ছে। তার ভিত্তিতেই সংস্কার হবে। সংস্কার হবে কোনো গোষ্ঠীর জন্য নয় সমগ্র দেশের মানুষের জন্য।
৯ ঘণ্টা আগে