চৌদ্দগ্রামে নজরুল ইসলাম নামের এক লরি চালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাবুচি নামক স্থানে টেন স্টার হোটেলের সামনে থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

নজরুল ইসলাম (৫২) লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার পূর্ব বিঘা গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে। 

চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক আরিফ হোসেন জানান, সোমবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের টেন স্টার হোটেলের মালিক আকবর হোসেন খাঁজা পুলিশকে ফোন করে জানান তাঁর হোটেলের সামনে একটি লরি থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে। এ সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে চালকের আসনের দরজা খুলে একটি মরদেহ দেখতে পায়। এ সময় মরদেহের পাশে একটি মোবাইল পাওয়া যায়। মোবাইলে আসা কল রিসিভ করলে অপর প্রান্ত থেকে জানায় মৃত ব্যক্তির নাম নজরুল ইসলাম। মরদেহের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে নাক দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। সুরতহাল তৈরি করে মরদেহটি থানায় নিয়ে আসা হয়। 

হোটেলের মালিক আকবর হোসেন খাঁজা জানান, রোববার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৪টার সময় লরিটি তাঁর হোটেলে যাত্রাবিরতি করে। চালক খাওয়া-দাওয়া করে লরির ভেতরেই ঘুমিয়ে পড়ে। কিন্তু একদিন অতিবাহিত হলেও লরি তাঁর হোটেল ত্যাগ না করায় সন্দেহ হলে লরির দরজার সামনে গেলে পচা গন্ধ বের হতে থাকে। এ সময় তিনি থানা-পুলিশকে খবর দেন। 

খবর পেয়ে নজরুল ইসলামের শ্যালক মোশারেফ হোসেন থানায় আসেন। তিনি জানান, তাঁর ভগ্নিপতি নজরুল ইসলাম শনিবার সকাল আনুমানিক ১১টায় চট্টগ্রাম থেকে জিএসপি ইস্পাত বোঝাই করে টঙ্গীর উদ্দেশ্যে রওনা করে। কিন্তু গত দুই দিন যাবৎ তাঁর মোবাইল ফোনের রিংটোন বাজলেও কল রিসিভ না হওয়ায় তারা দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েন। পুলিশ ফোন রিসিভ করার পর তারা জানতে পারেন, নজরুল ইসলাম মারা গেছে। 

মোশারেফ হোসেন আরও বলেন, তাঁদের ধারণা নজরুল ইসলাম হার্ট অ্যাটাক করে মৃত্যুবরণ করেছেন। 

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে মরদেহটি উদ্ধার শেষে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, হার্ট অ্যাটাকে নজরুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।