পরশুরাম (ফেনী) প্রতিনিধি
এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় পরশুরামের কৃষকেরা আমন চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। কৃষকেরা জানান, বর্ষায় আমন চাষ হওয়ায় এটি সম্পূর্ণরূপে বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এখন বর্ষা মৌসুম চললেও বৃষ্টি হচ্ছে একেবারেই কম।
তবে কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, উদ্বেগের কিছু নেই। শ্রাবণের শেষ ভাগে বৃষ্টি হলেও চাষাবাদ ব্যাহত হবে না। কৃষকদের সেচ দিয়ে হলেও আমন চাষাবাদের জন্য জমি প্রস্তুত ও আমন লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মে-জুন মাসে আমনের বীজতলা নির্মাণ করে চারা লাগানো হয়। ৩০-৬৫ দিন বয়সের মধ্যে এই চারা রোপণ করে ফেলতে হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমনের অনেক বীজতলার বয়স শেষ হয়ে গেছে।
পরশুরাম উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, পরশুরামে চলতি আমন মৌসুমে ৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।, আমনের মৌসুম পেরিয়ে যাচ্ছে, তবু বৃষ্টি না হওয়ায় পরশুরামে মাত্র ২০০-৩০০ হেক্টর জমিতে এখন পর্যন্ত আমন চাষ হয়েছে। তাও পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। অথচ আমন মৌসুমে প্রায় সব কৃষকই আমন চাষাবাদ করে থাকেন। উপজেলায় কৃষি অফিসের নিবন্ধিত কৃষক রয়েছেন ১৫ হাজার ২৫০ জন। যদিও এর বাইরেও উপজেলায় প্রায় দ্বিগুণ কৃষক রয়েছেন।
কৃষকেরা জানান, খরচ কম হওয়ায় সব আবাদি জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করা হয়। তবে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে উপজেলার অনেক জমি অনাবাদি থেকে যাবে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। বৃষ্টি কম হওয়ায় পরশুরামে যে ২০০-৩০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান লাগানো হয়েছে, তাতেও পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। কয়েকটি স্থানে জমি ফেটে গেছে। এদিকে চলতি সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি না হলে আমনের চারা আর লাগানো যাবে না।
অনন্তপুর গ্রামের কৃষক জলকু মিয়া বলেন, সারা দেশের মতো পরশুরামেও আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় কেউ কেউ পুকুর ও নদী থেকে সেচ মেশিন দিয়ে পানি সেচ করে আমনের চারা রোপণ করছেন। চারা রোপণের মৌসুম প্রায় শেষ হলেও বেশির ভাগ চাষির জমি এখন অনাবাদি অবস্থায় পড়ে আছে।
সত্যনগর গ্রামের কৃষক আবদুল খালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্ষা চলে যাচ্ছে, বৃষ্টির দেখা নাই। শুকনো জমি ঘাসে ভরে যাচ্ছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি না হলে নতুন করে আমনের জন্য বীজতলা তৈরি করতে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পিন্টু কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উদ্বেগের কিছু নেই। শ্রাবণ মাসের শেষ দিকে বৃষ্টি হলেও আমন চাষ ব্যাহত হবে না। আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমন চাষাবাদের সময় রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় আমনের বীজতলার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৫০ শতাংশ আমন আবাদ শেষ হওয়ার কথা, অথচ বক্সমাহমুদ এলাকার দিকে যাঁরা আগাম আমন লাগিয়েছেন, তাঁরাও পানির সংকটে ভুগছেন। কৃষকদের সম্পূরক পানি সেচের মাধ্যমে আমন চাষাবাদের প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় পরশুরামের কৃষকেরা আমন চাষ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। কৃষকেরা জানান, বর্ষায় আমন চাষ হওয়ায় এটি সম্পূর্ণরূপে বৃষ্টির পানির ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এখন বর্ষা মৌসুম চললেও বৃষ্টি হচ্ছে একেবারেই কম।
তবে কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, উদ্বেগের কিছু নেই। শ্রাবণের শেষ ভাগে বৃষ্টি হলেও চাষাবাদ ব্যাহত হবে না। কৃষকদের সেচ দিয়ে হলেও আমন চাষাবাদের জন্য জমি প্রস্তুত ও আমন লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মে-জুন মাসে আমনের বীজতলা নির্মাণ করে চারা লাগানো হয়। ৩০-৬৫ দিন বয়সের মধ্যে এই চারা রোপণ করে ফেলতে হয়। কিন্তু পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় আমনের অনেক বীজতলার বয়স শেষ হয়ে গেছে।
পরশুরাম উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে আরও জানা গেছে, পরশুরামে চলতি আমন মৌসুমে ৫ হাজার ৮৫০ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।, আমনের মৌসুম পেরিয়ে যাচ্ছে, তবু বৃষ্টি না হওয়ায় পরশুরামে মাত্র ২০০-৩০০ হেক্টর জমিতে এখন পর্যন্ত আমন চাষ হয়েছে। তাও পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। অথচ আমন মৌসুমে প্রায় সব কৃষকই আমন চাষাবাদ করে থাকেন। উপজেলায় কৃষি অফিসের নিবন্ধিত কৃষক রয়েছেন ১৫ হাজার ২৫০ জন। যদিও এর বাইরেও উপজেলায় প্রায় দ্বিগুণ কৃষক রয়েছেন।
কৃষকেরা জানান, খরচ কম হওয়ায় সব আবাদি জমিতে আমন ধান চাষাবাদ করা হয়। তবে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে উপজেলার অনেক জমি অনাবাদি থেকে যাবে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন। বৃষ্টি কম হওয়ায় পরশুরামে যে ২০০-৩০০ হেক্টর জমিতে আমন ধান লাগানো হয়েছে, তাতেও পানির চরম সংকট দেখা দিয়েছে। কয়েকটি স্থানে জমি ফেটে গেছে। এদিকে চলতি সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি না হলে আমনের চারা আর লাগানো যাবে না।
অনন্তপুর গ্রামের কৃষক জলকু মিয়া বলেন, সারা দেশের মতো পরশুরামেও আশানুরূপ বৃষ্টি না হওয়ায় কেউ কেউ পুকুর ও নদী থেকে সেচ মেশিন দিয়ে পানি সেচ করে আমনের চারা রোপণ করছেন। চারা রোপণের মৌসুম প্রায় শেষ হলেও বেশির ভাগ চাষির জমি এখন অনাবাদি অবস্থায় পড়ে আছে।
সত্যনগর গ্রামের কৃষক আবদুল খালেক আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্ষা চলে যাচ্ছে, বৃষ্টির দেখা নাই। শুকনো জমি ঘাসে ভরে যাচ্ছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টি না হলে নতুন করে আমনের জন্য বীজতলা তৈরি করতে হবে।
উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পিন্টু কুমার দাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উদ্বেগের কিছু নেই। শ্রাবণ মাসের শেষ দিকে বৃষ্টি হলেও আমন চাষ ব্যাহত হবে না। আগস্টের মাঝামাঝি পর্যন্ত আমন চাষাবাদের সময় রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ায় আমনের বীজতলার মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে প্রায় ৫০ শতাংশ আমন আবাদ শেষ হওয়ার কথা, অথচ বক্সমাহমুদ এলাকার দিকে যাঁরা আগাম আমন লাগিয়েছেন, তাঁরাও পানির সংকটে ভুগছেন। কৃষকদের সম্পূরক পানি সেচের মাধ্যমে আমন চাষাবাদের প্রস্তুতি নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।’
রাজধানীর উত্তরায় ‘চোর পেটানোকে’ কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও সাপ্পরো ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। এ সময় কলেজ হোস্টেলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের ৭ /সি নম্বর সড়কের হোস্টেল এলাকায় শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষ
৫ ঘণ্টা আগেপালানোর সময় বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসান। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৫ ঘণ্টা আগেজধানীর হাজারীবাগে সাইকেল চোর ধরতে গিয়ে খুন হয় কিশোর সাহাদাৎ হোসেন শান্ত। হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে হাজারীবাগ থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. শুকুর আলী (২২), মো. সিয়াম (২০) ও মো. শাকিল হোসেন (২৩)। তাঁদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে
৬ ঘণ্টা আগেবেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তাঁকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ডিবির একটি টিম তাঁকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে
৬ ঘণ্টা আগে