আগে ঘর দিয়ে তারপর সমালোচনা করুন: চট্টগ্রামের ডিসি

প্রতিনিধি, পটিয়া (চট্টগ্রাম)
প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২১, ০৩: ০৪

আগে গৃহহীনদের ঘর উপহার দিয়ে তারপর সমালোচনা করুন। ষড়যন্ত্র করে লাখ লাখ গৃহহীনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর দেওয়ার পথ বন্ধ করা যাবে না। ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে ঘর, বিদ্যুৎ, পানিসহ অবকাঠামো সুবিধা—এমন মডেল প্রকল্প শুধু সরকারের পক্ষেই সম্ভব। 

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) দুপুরে ঝটিকা সফরে পটিয়া উপজেলায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর দেখতে গিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান এ বক্তব্য দেন। এর আগে তিনি ওপেন চ্যালেঞ্জ করেছেন—চট্টগ্রামে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে ত্রুটিমুক্ত কাজ হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলায় এখনো কোনো উপজেলায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরের মান নিয়ে প্রশ্ন ওঠেনি।

তবে দুর্বৃত্তের হামলায় বেশ কয়েকটি ঘর, প্রধানমন্ত্রীর নামফলক গুঁড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। 

এই সফরে সাংবাদিকদের উদ্দেশে জেলা প্রশাসক বলেন, গৃহহীনদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার বিশ্বের কাছে সুনাম অর্জন করেছে। চট্টগ্রামের প্রতিটি ঘর অত্যন্ত মজবুতভাবে করা হয়েছে। প্রতিটি ঘরে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ব্যয়ে পটিয়া এলাকায় ২৩০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এখানে নতুন লোকালয় গড়ে উঠছে। নতুন রাস্তা তৈরির কাজ চলছে। পুকুর খনন করা হয়েছে। এখানকার উপকারভোগীরা অবকাঠামোসহ যাবতীয় সুবিধার আওতায় এসেছে। 

এ সময় উপকারভোগী শামসুল আলম, রুমা আক্তার জানান—তাঁদের ঘর, জমি কিছুই ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর, সুপেয় পানি ও বিদ্যুৎ পাওয়ায় তাঁরা জেলা প্রশাসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। অন্যদিকে উপকারভোগী রুমকি চৌধুরী, আব্দুল কুদ্দুসসহ কয়েকজন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে জানান, রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের ফলক গুঁড়িয়ে দিয়েছে, ঘরের ভেন্টিলেটর ভেঙে দিয়েছে, স্থাপনায় ইট-পাটকেল ছুড়ে মারছে। 

এ প্রসঙ্গে মমিনুর রহমান বলেন, যুগ যুগ ধরে ভূমিদস্যুরা সরকারি খাস জায়গা দখলে করে আসছিল। সরকার অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে নিয়মিত ভূমি উদ্ধার করে আসছে। এখানেও যাদের স্বার্থের আঘাত হয়েছে তারা প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘরে হামলা চালিয়েছে। তাদের ছাড় দেওয়া হবে না বলেও তিনি হুঁশিয়ারি দেন। 

পটিয়ায় দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ঘরগুলো পরিদর্শন করে ১৫-২০ জনের একটি কমিটি গঠন ও নিয়মিত নিরাপত্তাব্যবস্থার পাশাপাশি হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন। প্রশাসন বলছে, সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এমন অপপ্রয়াস। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও হয়েছে।  

এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাজমুল আহসান, পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমদ, আরডিসি সুজন চন্দ্র রায়, এনসিডি ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব হোসেন ও পটিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সুপ্তশ্রী সাহা। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত