মূল ক্যাম্পাসে ফিরতে চবির চারুকলার শিক্ষার্থীদের আবারও সড়ক অবরোধ 

চবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২২, ১৮: ৪১

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটকে মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের দাবিতে আবারও সড়ক অবরোধ করে করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে বাদশাহ মিয়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা।

এ সময় স্লোগান ও প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করে অবস্থান অব্যাহত রাখেন আন্দোলনরতরা। পরে দুপুর ৩টায় প্রধানমন্ত্রী জনসভার পূর্বপ্রস্তুতির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনুরোধে তাঁরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেন। মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ২৮ তম দিনের মতো চলছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, আন্দোলনের ২৮ দিন পেরিয়ে গেলেও তাদের কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারেনি প্রশাসন ও স্থানান্তর বিষয়ে গঠিত কমিটি। একই সঙ্গে প্রশাসনের নির্দেশ থাকলেও চারুকলার শিক্ষকেরা এ বিষয়ে একাডেমিক কমিটির আর কোনো বৈঠকে বসেননি। পাশাপাশি তারা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চান। 

এর আগে গত ১৬ নভেম্বর থেকে তারা নগরীর চারুকলা ক্যাম্পাসে অবরোধ শুরু করেন। ২০ নভেম্বর একজন সহকারী প্রক্টর, চারুকলা ইনস্টিটিউটের পরিচালকসহ ১২ শিক্ষককে ১০ ঘণ্টার মতো শিক্ষকদের অবরুদ্ধ করে রাখেন তারা। পাশাপাশি ২৮ দিন ধরে তাঁদের ক্লাস বর্জন ও অবস্থান কর্মসূচি চলমান রয়েছে। গত ১০ নভেম্বরও সড়ক অবরোধ করেছিলেন তারা। 

 চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে বাদশাহ মিয়া সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরাআন্দোলনরত শিক্ষার্থী খন্দকার মাসরুর আল ফাহিম বলেন, ‘আমরা আজ (মঙ্গলবার) থেকে ফটকের বাইরে অবস্থান কর্মসূচি ও সড়ক অবরোধ করছি। প্রশাসন একটা কমিটি করেছিল। কিন্তু দুই সপ্তাহ পার হয়ে গেলেও কমিটি স্থানান্তর বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য দিতে পারছে না। তাহলে এই কমিটির মানে কী? আমরা প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। সমাধান না আসা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’ 

এ বিষয়ে ‘চারুকলাকে ক্যাম্পাসে স্থানান্তর’ বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল্লাহ মামুন বলেন, ‘আমরা তাদের ক্যাম্পাস স্থানান্তরের বিষয়ে সরকারি ও আইনি যে প্রক্রিয়া আছে সেগুলো বলেছি। গেজেটের কপি তাদের দেখিয়েছিলাম। তারাও আমাদের সঙ্গে সম্মত হয়েছিল। আমরা সুপারিশ করেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্ষদে সিদ্ধান্ত পাস হয়ে আসতে হবে। তারপর সরকারের সম্মতি নিয়ে চারুকলাকে স্থানান্তর করতে হবে। এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করব, বিশ্ববিদ্যালয়ও এই প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত