সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
‘পাহাড় ভাঙ্গি পড়িলেও এ্যাডেই আঁরার থাকন পরিবো। পাহাড় ভাঙ্গি পড়ি মরণ অইলেও আঁরার যাইবার কোনো জায়গা নাই।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা আসমা বেগম। ১৯৯১ সালের প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড়ের সময় সাগরের জোয়ারে তাঁর বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি পাহাড়ের পাড়ে থাকছেন।
শুধু আসমা বেগম নন। যেকোনো মুহূর্তে মৃত্যুঝুঁকি জেনেও সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে প্রায় ২০ হাজার পরিবার বসবাস করছে। একটানা বর্ষণে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরেও মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু এখনো নিরাপদ স্থানে সরে যাননি পাহাড়ে বসবাসরত লোকজন। প্রাণ সংশয়ে থাকা লোকজন আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিনযাপন করলেও নিজ বসতঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে অপারগতা প্রকাশ করছেন তাঁরা।
জানা গেছে, সীতাকুণ্ডে বর্ষা মৌসুম শুরুর পর পাহাড়ধসের আশঙ্কায় কয়েক দফা মাইকিং করে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় উপজেলা প্রশাসন। ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করলেও এ ব্যাপারে কর্ণপাত করেননি কেউ। পাহাড়ের বসতি ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার জায়গা না থাকায় মৃত্যুর ভয় নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ে বসবাস করছেন তাঁরা।
বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের পরিসংখ্যানে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা, পৌর সদর, কুমিরা, সলিমপুর ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ২৪৪ একর বনভূমি রয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার একর জায়গা বেদখলে। অবৈধ দখল হওয়া জায়গার ওপর প্রায় ২০ হাজার পরিবার ঘরবাড়ি তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে।
একইভাবে পৌর সদর, কুমিরা ও সোনাইছড়ির পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে প্রায় পাঁচ শতাধিক আদিবাসী পরিবার। ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে রক্ষা পেতে নিরাপদ স্থান হিসেবে উপকূলীয় এলাকার লোকজনও এ পাহাড়ে বসতি স্থাপন করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর, সোনাইছড়ি, কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, বারৈয়ারঢালা, লতিফপুর, ছোট দারোগারহাট ও বাড়বকুণ্ড আশ্রয়ণ প্রকল্প, সীতাকুণ্ড পৌর সদর এলাকায় পাহাড়ের টিলায় ও ঢালুতে বসতি স্থাপন করে বসবাস করছেন লোকজন। এ ছাড়া লতিফপুর, সলিমপুর ও কুমিরা এলাকায় সরকারি পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বসতি গড়ে তুলেছেন অনেকেই।
এখানে বসবাস করা ব্যক্তিদের অধিকাংশই দিনমজুর, রিকশাচালক, স্থানীয় জুটমিল-টেক্সটাইল মিলের কর্মচারী ও ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনযাপন করা লোকজন। বর্ষায় পাহাড়ধসের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষার্থে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হলেও পাহাড় থেকে সরতে রাজি নন তাঁরা। তাঁরা পাহাড়ের ঢাল কেটে টিন, শণ ও বাঁশ দিয়ে ছোট ছোট ঘর নির্মাণ করে সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। আবার অনেকে মাটির দেয়াল দিয়ে ঘর তৈরি করে বসবাস করছেন। অভিযোগ উঠেছে, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি গড়ে তোলা এসব লোকজনকে স্থায়ীভাবে সরিয়ে নেওয়ার কোনো উদ্যোগ প্রশাসন নিচ্ছে না। কেবল ভারী বৃষ্টি শুরু হলে উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করেই দায় সারে।
কুমিরার সুলতানা মন্দির এলাকার ত্রিপুরাপল্লির মানিক ত্রিপুরা বলেন, ১৯৭২ সালে তাঁরা ছোটকুমিরা এলাকা থেকে এসে সুলতানা মন্দির এলাকায় পাহাড়ে বসবাস করতে শুরু করেন। কয়েক বছর আগে জরিপ করার সময় তাঁদের জন্য ভূমির বন্দোবস্ত করার কথা বলা হয়। কিন্তু কিছুই হয়নি।
দক্ষিণ সোনাইছড়ি পাহাড়ের বাসিন্দা কাঞ্চন ত্রিপুরা এ প্রতিবেদককে প্রশ্ন করেন, পাহাড়ধসে প্রাণ গেলেও কী করার আছে? সরকার যত দিন ভূমির ব্যবস্থা করবে না, তত দিন ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হবে।
জঙ্গল সলিমপুর এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, বৃষ্টি শুরু হলে সরকারের লোকজন মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলেন। ধসে পড়ার আশঙ্কায় তাঁদের পাহাড় ছেড়ে দিতে বলে। কিন্তু কোথায় যাবেন তাঁরা। কে জায়গা দেবে তাঁদের।
সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর ইউনিয়নে পাহাড়ে বসবাসরত ৬৫টি পরিবারই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব পরিবারকে সমতলে পুনর্বাসন করা দরকার। অব্যবহৃত ও খাসজমিতে তাঁদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করবেন বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে যেকোনো সময় পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই মাইকিং করা হয়েছে। তবে কোনো পরিবার পাহাড়ের বসতি ছেড়ে অন্যত্র গেছে তা আমার জানা নেই।’
‘পাহাড় ভাঙ্গি পড়িলেও এ্যাডেই আঁরার থাকন পরিবো। পাহাড় ভাঙ্গি পড়ি মরণ অইলেও আঁরার যাইবার কোনো জায়গা নাই।’ কথাগুলো বলছিলেন চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের জঙ্গল সলিমপুর পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করা আসমা বেগম। ১৯৯১ সালের প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড়ের সময় সাগরের জোয়ারে তাঁর বাড়িঘর ভাসিয়ে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তিনি পাহাড়ের পাড়ে থাকছেন।
শুধু আসমা বেগম নন। যেকোনো মুহূর্তে মৃত্যুঝুঁকি জেনেও সীতাকুণ্ডের পাহাড়ে প্রায় ২০ হাজার পরিবার বসবাস করছে। একটানা বর্ষণে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরেও মাইকিং করা হয়েছে। কিন্তু এখনো নিরাপদ স্থানে সরে যাননি পাহাড়ে বসবাসরত লোকজন। প্রাণ সংশয়ে থাকা লোকজন আতঙ্কের মধ্য দিয়ে দিনযাপন করলেও নিজ বসতঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে অপারগতা প্রকাশ করছেন তাঁরা।
জানা গেছে, সীতাকুণ্ডে বর্ষা মৌসুম শুরুর পর পাহাড়ধসের আশঙ্কায় কয়েক দফা মাইকিং করে পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয় উপজেলা প্রশাসন। ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করলেও এ ব্যাপারে কর্ণপাত করেননি কেউ। পাহাড়ের বসতি ছেড়ে অন্যত্র যাওয়ার জায়গা না থাকায় মৃত্যুর ভয় নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে পাহাড়ে বসবাস করছেন তাঁরা।
বন বিভাগ ও উপজেলা প্রশাসনের পরিসংখ্যানে জানা যায়, সীতাকুণ্ডের বারৈয়াঢালা, পৌর সদর, কুমিরা, সলিমপুর ও সোনাইছড়ি ইউনিয়নে ১৬ হাজার ২৪৪ একর বনভূমি রয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে পাঁচ হাজার একর জায়গা বেদখলে। অবৈধ দখল হওয়া জায়গার ওপর প্রায় ২০ হাজার পরিবার ঘরবাড়ি তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাস করছে।
একইভাবে পৌর সদর, কুমিরা ও সোনাইছড়ির পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছে প্রায় পাঁচ শতাধিক আদিবাসী পরিবার। ঘূর্ণিঝড়ের কবল থেকে রক্ষা পেতে নিরাপদ স্থান হিসেবে উপকূলীয় এলাকার লোকজনও এ পাহাড়ে বসতি স্থাপন করেছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার জঙ্গল সলিমপুর, সোনাইছড়ি, কুমিরা, বাঁশবাড়িয়া, বারৈয়ারঢালা, লতিফপুর, ছোট দারোগারহাট ও বাড়বকুণ্ড আশ্রয়ণ প্রকল্প, সীতাকুণ্ড পৌর সদর এলাকায় পাহাড়ের টিলায় ও ঢালুতে বসতি স্থাপন করে বসবাস করছেন লোকজন। এ ছাড়া লতিফপুর, সলিমপুর ও কুমিরা এলাকায় সরকারি পাহাড় কেটে অবৈধভাবে বসতি গড়ে তুলেছেন অনেকেই।
এখানে বসবাস করা ব্যক্তিদের অধিকাংশই দিনমজুর, রিকশাচালক, স্থানীয় জুটমিল-টেক্সটাইল মিলের কর্মচারী ও ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবনযাপন করা লোকজন। বর্ষায় পাহাড়ধসের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষার্থে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হলেও পাহাড় থেকে সরতে রাজি নন তাঁরা। তাঁরা পাহাড়ের ঢাল কেটে টিন, শণ ও বাঁশ দিয়ে ছোট ছোট ঘর নির্মাণ করে সেখানে পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন। আবার অনেকে মাটির দেয়াল দিয়ে ঘর তৈরি করে বসবাস করছেন। অভিযোগ উঠেছে, পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি গড়ে তোলা এসব লোকজনকে স্থায়ীভাবে সরিয়ে নেওয়ার কোনো উদ্যোগ প্রশাসন নিচ্ছে না। কেবল ভারী বৃষ্টি শুরু হলে উপজেলা প্রশাসন মাইকিং করেই দায় সারে।
কুমিরার সুলতানা মন্দির এলাকার ত্রিপুরাপল্লির মানিক ত্রিপুরা বলেন, ১৯৭২ সালে তাঁরা ছোটকুমিরা এলাকা থেকে এসে সুলতানা মন্দির এলাকায় পাহাড়ে বসবাস করতে শুরু করেন। কয়েক বছর আগে জরিপ করার সময় তাঁদের জন্য ভূমির বন্দোবস্ত করার কথা বলা হয়। কিন্তু কিছুই হয়নি।
দক্ষিণ সোনাইছড়ি পাহাড়ের বাসিন্দা কাঞ্চন ত্রিপুরা এ প্রতিবেদককে প্রশ্ন করেন, পাহাড়ধসে প্রাণ গেলেও কী করার আছে? সরকার যত দিন ভূমির ব্যবস্থা করবে না, তত দিন ঝুঁকি নিয়ে থাকতে হবে।
জঙ্গল সলিমপুর এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন বলেন, বৃষ্টি শুরু হলে সরকারের লোকজন মাইকিং করে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলেন। ধসে পড়ার আশঙ্কায় তাঁদের পাহাড় ছেড়ে দিতে বলে। কিন্তু কোথায় যাবেন তাঁরা। কে জায়গা দেবে তাঁদের।
সোনাইছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনির আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, তাঁর ইউনিয়নে পাহাড়ে বসবাসরত ৬৫টি পরিবারই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এসব পরিবারকে সমতলে পুনর্বাসন করা দরকার। অব্যবহৃত ও খাসজমিতে তাঁদের পুনর্বাসনের চেষ্টা করবেন বলে তিনি জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাহাদাত হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে যেকোনো সময় পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে। তাই মাইকিং করা হয়েছে। তবে কোনো পরিবার পাহাড়ের বসতি ছেড়ে অন্যত্র গেছে তা আমার জানা নেই।’
রাজধানীর উত্তরায় ‘চোর পেটানোকে’ কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও সাপ্পরো ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। এ সময় কলেজ হোস্টেলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের ৭ /সি নম্বর সড়কের হোস্টেল এলাকায় শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষ
৬ ঘণ্টা আগেপালানোর সময় বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসান। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৬ ঘণ্টা আগেজধানীর হাজারীবাগে সাইকেল চোর ধরতে গিয়ে খুন হয় কিশোর সাহাদাৎ হোসেন শান্ত। হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে হাজারীবাগ থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. শুকুর আলী (২২), মো. সিয়াম (২০) ও মো. শাকিল হোসেন (২৩)। তাঁদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে
৭ ঘণ্টা আগেবেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তাঁকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ডিবির একটি টিম তাঁকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে
৭ ঘণ্টা আগে