মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার ও ইমরান হোসাইন, পেকুয়া
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় ২০০৫ সালে দুটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। তবে কেবল সেতুর কয়েকটি পিলার নির্মাণের পর বন্ধ হয়ে যায় কাজ। এর মধ্যে এখন কয়েকটি পিলার পানিতে ডুবু ডুবু অবস্থা। আবার কয়েকটি হেলে পড়েছে। এভাবে পড়ে আছে ১৫ বছর ধরে। এসব পিলারের ওপর আদৌ সেতুর কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
সে সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পেকুয়ার করিয়ারদিয়া ও মাতারবাড়ী দ্বীপের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া খালের (মাতামুহুরী নদীর শাখা) ওপর এই দুটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সরকারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীকে ঘিরে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। সেখানে কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দরসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। মাতারবাড়ীর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ১৫ বছর আগে সেতুর কাজ শুরু হলেও আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
এলজিইডি সূত্র জানায়, উজানটিয়া খালের ওপর ২০০৫ সালে সেতু নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়। পেকুয়ার কাটাফাঁড়ি-সোনালী বাজার-করিমদাদমিয়ার ঘাট ভায়া মাতারবাড়ী জিসি সড়কের ৭ কিলোমিটারের মাথায় ২০৪ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৪ দশমিক ২৬ মিটার প্রস্থ এই সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সেতুটির নাম দেওয়া হয় ‘পেকুয়া-মহেশখালী মৈত্রী সেতু’। সে সময় সেতুর আটটি পিলারের (মূল স্তম্ভ) কাজও শেষ করা হয়।
একই সময়ে উজানটিয়া খাল ও কোহেলিয়া নদীবেষ্টিত পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ছোট দ্বীপ করিয়ারদিয়ার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তুলতে আরেকটি সেতুর কাজ শুরু হয়। উজানটিয়া-করিয়ারদিয়া সংযোগ সড়কের সৈকত বাজার এলাকায় ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৪ দশমিক ২৬ মিটার প্রস্থ এই সেতু বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সেতুটির নামকরণ করা হয় ‘মহামিলন সেতু’। এই সেতুরও পিলার নির্মাণের পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
দুই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও কক্সবাজার-১ (চকরিয়া ও পেকুয়া) আসনের সাংসদ সালাহউদ্দিন আহমদ। দুই সেতুর কাজ পায় প্রতিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ঠিকাদার গিয়াস উদ্দিনের প্রতিষ্ঠান মেসার্স চকোরী কনস্ট্রাকশন। সেনাবাহিনী-সমর্থিত এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ঠিকাদার আত্মগোপনে চলে গেলে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়।
অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদার নির্মাণকাজে নানা অনিয়ম করেন। এতে কাজের ত্রুটি ও অতিরিক্ত বিল দিয়ে বিপাকে পড়ে এলজিইডি। দরপত্র অনুযায়ী ২০০৭ সালের জুনে সেতু দুটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কাজ শেষ না হওয়ায় ২০১০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতু দুটির কয়েকটি পিলার হেলে পড়েছে। কয়েকটি পিলার পানিতে ডুবু ডুবু। কিছু পিলারের মাথা থেকে রড কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় বাসিন্দা আলী আকবর ও নাসির উদ্দিন বলেন, ২০০৭ সালের দিকে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ও ইঞ্জিনচালিত নৌকার ধাক্কায় পিলার হেলে পড়ে।
এলজিইডির এক প্রকৌশলী বলেন, তিন বছর সময় বৃদ্ধি করা হলেও ঠিকাদার কাজ শেষ করেননি। সেতু দুটির পিলারের কাজ করে ঠিকাদার ৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বিল তুলে নেন। সে সময় ঠিকাদার গিয়াসের প্রতিষ্ঠান থেকে দাবি করা হয়, এক-এগারোর সুযোগ নিয়ে দুর্বৃত্তরা দুই সেতুর নির্মাণস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ রড, পাথর ও বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে গেছে।
পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী কমল কান্তি পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সময় বৃদ্ধির পরও কাজ শেষ না করায় ২০১০ সালের জুনে ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। সম্প্রতি উচ্চপর্যায়ের একটি দল সেতু দুটি পরিদর্শন করেছে। সেখানে নতুন করে প্রকল্প নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এলজিইডি মন্ত্রণালয় থেকে কয়েক দফায় সেতু দুটি পরিদর্শন করা হলেও কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। বারবার তাগাদা ও আবেদন করেও লাভ হয়নি। তিনি বলেন, সেতুগুলো বাস্তবায়ন হলে মাতারবাড়ী প্রকল্পের উন্নয়নকাজ আরও দ্রুত হতো। এখানকার উৎপাদিত লবণ ও চিংড়ি পরিবহন এবং যাতায়াতে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতো।
কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলায় ২০০৫ সালে দুটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল। তবে কেবল সেতুর কয়েকটি পিলার নির্মাণের পর বন্ধ হয়ে যায় কাজ। এর মধ্যে এখন কয়েকটি পিলার পানিতে ডুবু ডুবু অবস্থা। আবার কয়েকটি হেলে পড়েছে। এভাবে পড়ে আছে ১৫ বছর ধরে। এসব পিলারের ওপর আদৌ সেতুর কাজ বাস্তবায়ন সম্ভব কি না, তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
সে সময় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) পেকুয়ার করিয়ারদিয়া ও মাতারবাড়ী দ্বীপের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া খালের (মাতামুহুরী নদীর শাখা) ওপর এই দুটি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছিল।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সরকারের মহেশখালীর মাতারবাড়ীকে ঘিরে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। সেখানে কয়লাবিদ্যুৎকেন্দ্র ও গভীর সমুদ্রবন্দরসহ নানা প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। মাতারবাড়ীর সঙ্গে যোগাযোগের জন্য ১৫ বছর আগে সেতুর কাজ শুরু হলেও আজও বাস্তবায়ন হয়নি।
এলজিইডি সূত্র জানায়, উজানটিয়া খালের ওপর ২০০৫ সালে সেতু নির্মাণে দরপত্র আহ্বান করা হয়। পেকুয়ার কাটাফাঁড়ি-সোনালী বাজার-করিমদাদমিয়ার ঘাট ভায়া মাতারবাড়ী জিসি সড়কের ৭ কিলোমিটারের মাথায় ২০৪ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৪ দশমিক ২৬ মিটার প্রস্থ এই সেতু নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৬ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। সেতুটির নাম দেওয়া হয় ‘পেকুয়া-মহেশখালী মৈত্রী সেতু’। সে সময় সেতুর আটটি পিলারের (মূল স্তম্ভ) কাজও শেষ করা হয়।
একই সময়ে উজানটিয়া খাল ও কোহেলিয়া নদীবেষ্টিত পেকুয়া উপজেলার উজানটিয়া ইউনিয়নের ছোট দ্বীপ করিয়ারদিয়ার সঙ্গে সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা গড়ে তুলতে আরেকটি সেতুর কাজ শুরু হয়। উজানটিয়া-করিয়ারদিয়া সংযোগ সড়কের সৈকত বাজার এলাকায় ১৮০ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৪ দশমিক ২৬ মিটার প্রস্থ এই সেতু বাস্তবায়নে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৫ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। সেতুটির নামকরণ করা হয় ‘মহামিলন সেতু’। এই সেতুরও পিলার নির্মাণের পর কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
দুই সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তৎকালীন যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী ও কক্সবাজার-১ (চকরিয়া ও পেকুয়া) আসনের সাংসদ সালাহউদ্দিন আহমদ। দুই সেতুর কাজ পায় প্রতিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ঠিকাদার গিয়াস উদ্দিনের প্রতিষ্ঠান মেসার্স চকোরী কনস্ট্রাকশন। সেনাবাহিনী-সমর্থিত এক-এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ঠিকাদার আত্মগোপনে চলে গেলে নির্মাণকাজ বন্ধ হয়ে যায়।
অভিযোগ রয়েছে, ঠিকাদার নির্মাণকাজে নানা অনিয়ম করেন। এতে কাজের ত্রুটি ও অতিরিক্ত বিল দিয়ে বিপাকে পড়ে এলজিইডি। দরপত্র অনুযায়ী ২০০৭ সালের জুনে সেতু দুটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কাজ শেষ না হওয়ায় ২০১০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সময় বর্ধিত করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, সেতু দুটির কয়েকটি পিলার হেলে পড়েছে। কয়েকটি পিলার পানিতে ডুবু ডুবু। কিছু পিলারের মাথা থেকে রড কেটে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। স্থানীয় বাসিন্দা আলী আকবর ও নাসির উদ্দিন বলেন, ২০০৭ সালের দিকে পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ও ইঞ্জিনচালিত নৌকার ধাক্কায় পিলার হেলে পড়ে।
এলজিইডির এক প্রকৌশলী বলেন, তিন বছর সময় বৃদ্ধি করা হলেও ঠিকাদার কাজ শেষ করেননি। সেতু দুটির পিলারের কাজ করে ঠিকাদার ৫ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বিল তুলে নেন। সে সময় ঠিকাদার গিয়াসের প্রতিষ্ঠান থেকে দাবি করা হয়, এক-এগারোর সুযোগ নিয়ে দুর্বৃত্তরা দুই সেতুর নির্মাণস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ রড, পাথর ও বিভিন্ন মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে গেছে।
পেকুয়া উপজেলা প্রকৌশলী কমল কান্তি পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, সময় বৃদ্ধির পরও কাজ শেষ না করায় ২০১০ সালের জুনে ঠিকাদারের কার্যাদেশ বাতিল করা হয়। সম্প্রতি উচ্চপর্যায়ের একটি দল সেতু দুটি পরিদর্শন করেছে। সেখানে নতুন করে প্রকল্প নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
উজানটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, এলজিইডি মন্ত্রণালয় থেকে কয়েক দফায় সেতু দুটি পরিদর্শন করা হলেও কাজের কোনো অগ্রগতি নেই। বারবার তাগাদা ও আবেদন করেও লাভ হয়নি। তিনি বলেন, সেতুগুলো বাস্তবায়ন হলে মাতারবাড়ী প্রকল্পের উন্নয়নকাজ আরও দ্রুত হতো। এখানকার উৎপাদিত লবণ ও চিংড়ি পরিবহন এবং যাতায়াতে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতো।
সাবেক সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদের ছেলে রাকিবুজ্জামান আহমেদের রেলের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা ব্যক্তিগত পার্ক গুঁড়িয়ে দিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (১৮ নভেম্বর) রেলওয়ের বিভাগীয় সহকারী ভূসম্পত্তি কর্মকর্তা (ডিইও) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পরিচালিত উচ্ছেদ টিম পার্কটি গুঁড়িয়ে দেয়
৩ ঘণ্টা আগেফরিদপুরে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তাঁদেরকে প্রায় দুই ঘণ্টা জিম্মি করে রাখা হয়। পরে সাংবাদিক নেতাদের মাধ্যমে প্রশাসনের সহযোগিতায় জিম্মিদশা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়েছে। আজ সোমবার বিকেলে জেলার মধুখালী পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মহিষাপুর এলাকায় এ ঘটনা
৪ ঘণ্টা আগেবিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, সংস্কারের জন্য তিন মাসের বেশি সময় দরকার হওয়ার কথা না। জনগণ দ্রুত নির্বাচন চায়। তাই আগামী মার্চ-এপ্রিল মাসে নির্বাচন দিতে হবে।
৫ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের বিমান পরিবহন, পর্যটন ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, সংস্কার দোকান থেকে কেনার বিষয় না। এটি চলমান প্রক্রিয়া। কমিশনগুলো গণ মতামত নিচ্ছে। তার ভিত্তিতেই সংস্কার হবে। সংস্কার হবে কোনো গোষ্ঠীর জন্য নয় সমগ্র দেশের মানুষের জন্য।
৫ ঘণ্টা আগে