মাটিরাঙ্গা (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে জনবলে রসংকট। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর সংকটে মুখ থুবড়ে পড়েছে হাসপাতালের কার্যক্রম। অল্পসংখ্যক কর্মচারী দিয়ে কোনো রকমে চলছে হাসপাতালের কাজ। এতে রোগীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। এমনকি দূর থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা নানা ধরনের জটিলতায় পড়ছেন।
জানা গেছে, ৩১ শয্যার হাসপাতালটিতে প্রতিদিনই বহির্বিভাগের পাশাপাশি অনেক ভর্তিকৃত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। পর্যাপ্ত চিকিৎসক থাকলেও সীমিত জনবল নিয়ে রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন সেবিকারা। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর সংকটে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে হচ্ছে রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনদের।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক থাকার কথা ১৮ জন। বর্তমানে চিকিৎসক আছেন ১২ জন। সেবিকা ২২ জন থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে রয়েছেন ৭ জন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে ১০ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রয়েছেন, যেখানে ২৮ জনের পদ রয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের প্যাথলজির সরঞ্জামগুলো অকেজো এবং বিভিন্ন কারণে অচল হয়ে পড়ে আছে। কিছু সরঞ্জাম থাকলেও জনবলের সংকটে প্যাথলজির সেবা সঠিক সময়ে রোগীরা পাচ্ছেন না। পরীক্ষার জন্য যেতে হচ্ছে বিভিন্ন প্রাইভেট প্যাথলজি সেন্টারে। দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
বাইল্যাছড়ি থেকে সন্তান নিয়ে আসা ধনিলা ত্রিপুরা বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার সকালে সন্তানকে ভর্তি করার পর এক নারী এসে কোনো রকমে ঝাড়ু দিয়ে চলে গেছেন। তবু নোংরা দেখে নিজেকেই আবার পরিষ্কার করতে হয়েছে। একজন নারী কি পারেন পুরো হাসপাতাল পরিষ্কার রাখতে?’
ভর্তি হওয়া রোগী আবু বক্কর ছিদ্দিক ও তাঁর স্বজন দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালের ভেতরে দুর্গন্ধে থাকা যায় না। একজন নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী এসে দিনে একবার এসে পরিষ্কার করে চলে যান। পরে নিজেদেরই আবার পরিষ্কার করতে হয়। নার্সরা একবার এসে দেখে চলে যান। সকালে পরীক্ষা করে রিপোর্ট নিয়ে বসে আছি, বিকেল হয়ে গেছে, কিন্তু চিকিৎসকেরা আসছেন না।’
এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খায়রুল আলম বলেন, সম্প্রতি কিছু তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদোন্নতি হওয়ায় জনবলের তীব্র সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। শিগগিরই জেলা পরিষদের মাধ্যমে খালি পদগুলোতে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।
হাসপাতালের পরিবেশ সম্পর্কে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালে বিভিন্ন উন্নয়নকাজ চলমান থাকায় পরিবেশের কিছুটা বেহাল অবস্থা। দ্রুত সব সংকট কাটিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে আশা করছি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন জনবলের সংকট থাকায় গত বছরের ২৮ জুলাই দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘স্বজনেরাই পরিষ্কার করেন রোগীর ময়লা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে দেখা যায়, গত বছরের ১০ জুলাই করোনা প্রতিরোধে বিশেষ মতবিনিময় সভায় হাসপাতালে বেড, ওয়ার্ডবয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস এ নির্দেশ দেন। কিন্তু এখনো তা কার্যকর হয়নি।
খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘদিন ধরে রয়েছে জনবলে রসংকট। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর সংকটে মুখ থুবড়ে পড়েছে হাসপাতালের কার্যক্রম। অল্পসংখ্যক কর্মচারী দিয়ে কোনো রকমে চলছে হাসপাতালের কাজ। এতে রোগীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। এমনকি দূর থেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা নানা ধরনের জটিলতায় পড়ছেন।
জানা গেছে, ৩১ শয্যার হাসপাতালটিতে প্রতিদিনই বহির্বিভাগের পাশাপাশি অনেক ভর্তিকৃত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। পর্যাপ্ত চিকিৎসক থাকলেও সীমিত জনবল নিয়ে রোগীদের সেবা দিতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন সেবিকারা। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর সংকটে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করতে হচ্ছে রোগীর সঙ্গে থাকা স্বজনদের।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক থাকার কথা ১৮ জন। বর্তমানে চিকিৎসক আছেন ১২ জন। সেবিকা ২২ জন থাকার কথা থাকলেও বর্তমানে রয়েছেন ৭ জন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে ১০ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী রয়েছেন, যেখানে ২৮ জনের পদ রয়েছে। এ ছাড়া হাসপাতালের প্যাথলজির সরঞ্জামগুলো অকেজো এবং বিভিন্ন কারণে অচল হয়ে পড়ে আছে। কিছু সরঞ্জাম থাকলেও জনবলের সংকটে প্যাথলজির সেবা সঠিক সময়ে রোগীরা পাচ্ছেন না। পরীক্ষার জন্য যেতে হচ্ছে বিভিন্ন প্রাইভেট প্যাথলজি সেন্টারে। দিতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।
বাইল্যাছড়ি থেকে সন্তান নিয়ে আসা ধনিলা ত্রিপুরা বলেন, ‘আজ মঙ্গলবার সকালে সন্তানকে ভর্তি করার পর এক নারী এসে কোনো রকমে ঝাড়ু দিয়ে চলে গেছেন। তবু নোংরা দেখে নিজেকেই আবার পরিষ্কার করতে হয়েছে। একজন নারী কি পারেন পুরো হাসপাতাল পরিষ্কার রাখতে?’
ভর্তি হওয়া রোগী আবু বক্কর ছিদ্দিক ও তাঁর স্বজন দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘হাসপাতালের ভেতরে দুর্গন্ধে থাকা যায় না। একজন নারী পরিচ্ছন্নতাকর্মী এসে দিনে একবার এসে পরিষ্কার করে চলে যান। পরে নিজেদেরই আবার পরিষ্কার করতে হয়। নার্সরা একবার এসে দেখে চলে যান। সকালে পরীক্ষা করে রিপোর্ট নিয়ে বসে আছি, বিকেল হয়ে গেছে, কিন্তু চিকিৎসকেরা আসছেন না।’
এ বিষয়ে মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খায়রুল আলম বলেন, সম্প্রতি কিছু তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর পদোন্নতি হওয়ায় জনবলের তীব্র সংকটের সৃষ্টি হয়েছে। শিগগিরই জেলা পরিষদের মাধ্যমে খালি পদগুলোতে জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।
হাসপাতালের পরিবেশ সম্পর্কে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালে বিভিন্ন উন্নয়নকাজ চলমান থাকায় পরিবেশের কিছুটা বেহাল অবস্থা। দ্রুত সব সংকট কাটিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে বলে আশা করছি।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন জনবলের সংকট থাকায় গত বছরের ২৮ জুলাই দৈনিক আজকের পত্রিকায় ‘স্বজনেরাই পরিষ্কার করেন রোগীর ময়লা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদে দেখা যায়, গত বছরের ১০ জুলাই করোনা প্রতিরোধে বিশেষ মতবিনিময় সভায় হাসপাতালে বেড, ওয়ার্ডবয় ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস এ নির্দেশ দেন। কিন্তু এখনো তা কার্যকর হয়নি।
রাজধানীর উত্তরায় ‘চোর পেটানোকে’ কেন্দ্র করে এলাকাবাসী ও সাপ্পরো ডেন্টাল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এতে অন্তত সাতজন আহত হয়েছেন। এ সময় কলেজ হোস্টেলে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। উত্তরা ৯ নম্বর সেক্টরের ৭ /সি নম্বর সড়কের হোস্টেল এলাকায় শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৯টা থেকে সোয়া ১০টা পর্যন্ত সংঘর্ষ
২ ঘণ্টা আগেপালানোর সময় বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন বেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসান। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে বিমানবন্দর থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
৩ ঘণ্টা আগেজধানীর হাজারীবাগে সাইকেল চোর ধরতে গিয়ে খুন হয় কিশোর সাহাদাৎ হোসেন শান্ত। হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে হাজারীবাগ থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. শুকুর আলী (২২), মো. সিয়াম (২০) ও মো. শাকিল হোসেন (২৩)। তাঁদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে
৩ ঘণ্টা আগেবেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তাঁকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ডিবির একটি টিম তাঁকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে
৪ ঘণ্টা আগে