চবি প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রথম আলোর প্রতিনিধিকে মারধরের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকেরা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ও চিটাগং ইউনিভার্সিটি এক্স জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের (সিইউজিএন) মানববন্ধনে এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এতে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন।
চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য দেন চবিসাসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবাব আব্দুর রহিম ও সদস্য মারজান আক্তার। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খন্দকার আলী আর রাজী বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বরং খুশি হয়েছে সাংবাদিকদের মারধর করায়। কারণ সাংবাদিকেরা প্রশাসনের দুর্নীতি-অনিয়ম তুলে ধরছে। এসব কিছুর পেছনে অন্যতম কারণ হলো এখানে ভিসি, প্রো-ভিসি এগুলো হঠাৎ নাজিল হয়। নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে যদি তাঁরা আসতেন, তাহলে দায়বদ্ধতা থাকত। আমরা হামলাকারীদের বিচারের পাশাপাশি প্রশাসনও যেন নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে হয়, সেই প্রত্যাশা করি।’
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিমুল নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসনের দলীয়করণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, উনারাও কথা বলতে এবং ব্যবস্থা নিতে সাহস পান না। খুব বেশি দিন নেই, যখন আপনাদের ওপরও এমন হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না তারা। আপনারা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য এ উচ্ছৃংলদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। একদিন তারা আপনাদেরও মাথা ভেঙে দেবে। সেদিনও আমরা লিখব।’
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, ‘আজকে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে দাঁড়াতে হয়েছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা রাষ্ট্র সবার জন্য বিব্রতকর। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। মোশাররফ শাহের ওপর যে হামলা হয়েছে, এ ধরনের ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই প্রত্যাশা করি।’
সমকালের রিজওনাল এডিটর সারোয়ার সুমন বলেন, ‘এ ক্যাম্পাসে আমাদের আবেগ জড়িত। এখানে আমরাও সাংবাদিকতা করেছি, কিন্তু এমন মেরুদণ্ডহীন, নির্লজ্জ প্রশাসন কখনো দেখিনি। মারজান আক্তারের ঘটনায় কয়েক দফায় তদন্ত কমিটি করেও তারা ব্যবস্থা নিতে পারেনি। উপাচার্যকে বলতে চাই, আপনি বেশি দিন এ চেয়ারে থাকতে পারবেন না। তবে সম্মানের সঙ্গে যাবেন কি না সেটা আপনার সিদ্ধান্ত। আপনি ছাত্রলীগের মাথা না হয়ে শিক্ষার্থীদের মাথা হোন। এমন শাস্তির ব্যবস্থা করুন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলার সাহস না পায়।’
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী বলেন, আপনারা নিজেরা নিজেরা মারামারি করেন, উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুর চালান, এরপর আপনারা সাংবাদিকদের ওপরও হামলা চালান। আপনারা কি সত্যিই ছাত্রলীগ করেন কি না আপনাদের আচরণ দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই। আপনাদের অবস্থা তো শিবিরের চেয়েও খারাপ।
তপন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি উপাচার্য মহোদয়ের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনি কেন তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো সাংবাদিকবান্ধব মানুষ। উনি তো কখনো এ ধরনের ঘটনা মেনে নেবেন না। আমরা জানতে পেরেছি, আপনার ছত্রচ্ছায়ায় এখানে নিয়োগবাণিজ্য, চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়ম হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারেন, আমরা প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। তাই এক দিনের মধ্যেই তাদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব।’
সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামছুল ইসলাম বলেন, ‘আজ যে মুহূর্তে আমরা এ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করছি, শিক্ষার্থীদের তখন ক্লাসরুমে থাকার কথা ছিল। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম যখন সংবাদপত্রে দেখি, তখন আমরা খুশি হই। অপর দিকে যখন দেখি এ ক্যাম্পাসে আমাদের সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা শিরোনাম হচ্ছে, তখন আমরা কষ্ট পাই।’
শামছুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানি না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কষ্ট পায় কি না। আজকে আমাদের সহকর্মী মোশাররফ ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালের বেডে পরীক্ষা দিচ্ছে, যা কখনোই আমরা আশা করিনি। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লোক দেখানো ব্যবস্থা নেয়, অথচ যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাদের বিভাগে শাস্তির নোটিশ যায় না। তারা অনায়াসে পরীক্ষায় অংশ নেয়।’
ম. শামছুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আজকে বহিষ্কৃত ও অছাত্ররা হলে অবস্থান করছে। এতে করে আপনাদের ব্যর্থতা সুস্পষ্ট হয়েছে। আপনারা যদি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে চান, তাহলে হতে পারেন। আপনার এ চেয়ার কিছুদিন পরে থাকবে না। কিন্তু আজকে যারা ক্যাম্পাস সাংবাদিক, তারা আরও বড় সাংবাদিক হবে। তারা আপনাদের ছাড়বে না। আমরাও আপনাদের ছাড়ব না। মোশাররফের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করুন। যদি না পারেন, তাহলে প্রশাসনের চেয়ার ছেড়ে দিন। ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে বলতে চাই, আপনারা যদি সাংবাদিক নির্যাতনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেন, তাহলে আপনারাও সাংবাদিকদের রোষানলে পড়বেন।’
সিইউজেএনের সভাপতি হামিদ উল্লাহ বলেন, এ ক্যাম্পাসে তিনটি বিষয়কে ব্যবহার করে ছাত্রলীগ নৈরাজ্য চালাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও জয় বাংলা স্লোগানকে ব্যবহার করে নিয়োগ থেকে শুরু করে সব অনিয়মে এদের হাত রয়েছে। শিবির থেকে ছাত্রলীগ কারও চরিত্র পরিবর্তন হয়নি। আজকে যারা ছাত্রলীগের নামে নৈরাজ্য চালাচ্ছে, এদের খবর নিয়ে দেখেন এরা আগে কোন দলের অনুসারী ছিল।
হামিদ উল্লাহ বলেন, ‘আজকে অন্যায়–অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকেরা লিখছে বলেই তাদের ওপর হামলা হচ্ছে। ছাত্রলীগের মতো একটি সংগঠনের সভাপতি, যার কি না ১২-১৪ বছর আগে ছাত্রত্ব শেষ। পৃথিবীর কোনো দেশে সাংবাদিকদের ওপর এমন হামলার নজির নেই। আমরা এ রকম প্রতিবাদে আর দাঁড়াতে চাই না। আগামীতে আমরা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের বাড়ির সামনে দাঁড়াব।’
সিইউজেএনের সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ বলেন, ‘গত দুই বছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর বেশ কয়েকবার হামলা হয়েছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা নতুন কোনো ঘটনা নয়। হামলাকারীরা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মানবিক আচরণ পেয়েছে। মনে রাখবেন, আমরা লিখতে যেমন জানি, প্রতিবাদ জানাতেও জানি।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রথম আলোর প্রতিনিধিকে মারধরের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে চট্টগ্রামে কর্মরত সাংবাদিকেরা। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তাঁরা।
আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ও চিটাগং ইউনিভার্সিটি এক্স জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের (সিইউজিএন) মানববন্ধনে এই আলটিমেটাম দেওয়া হয়। এতে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য দেন।
চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমানের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে স্বাগত বক্তব্য দেন চবিসাসের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নবাব আব্দুর রহিম ও সদস্য মারজান আক্তার। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু।
মানববন্ধনে সংহতি জানিয়ে যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক খন্দকার আলী আর রাজী বলেন, ‘আমার মনে হয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা বরং খুশি হয়েছে সাংবাদিকদের মারধর করায়। কারণ সাংবাদিকেরা প্রশাসনের দুর্নীতি-অনিয়ম তুলে ধরছে। এসব কিছুর পেছনে অন্যতম কারণ হলো এখানে ভিসি, প্রো-ভিসি এগুলো হঠাৎ নাজিল হয়। নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে যদি তাঁরা আসতেন, তাহলে দায়বদ্ধতা থাকত। আমরা হামলাকারীদের বিচারের পাশাপাশি প্রশাসনও যেন নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে হয়, সেই প্রত্যাশা করি।’
যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শিমুল নজরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রশাসনের দলীয়করণ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, উনারাও কথা বলতে এবং ব্যবস্থা নিতে সাহস পান না। খুব বেশি দিন নেই, যখন আপনাদের ওপরও এমন হামলা চালাতে দ্বিধা করবে না তারা। আপনারা ক্ষমতা আঁকড়ে রাখার জন্য এ উচ্ছৃংলদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছেন। একদিন তারা আপনাদেরও মাথা ভেঙে দেবে। সেদিনও আমরা লিখব।’
সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সিরাজ উদ দৌল্লাহ বলেন, ‘আজকে সাংবাদিকদের মানববন্ধনে দাঁড়াতে হয়েছে। এটা বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা রাষ্ট্র সবার জন্য বিব্রতকর। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ক্যাম্পাসে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। মোশাররফ শাহের ওপর যে হামলা হয়েছে, এ ধরনের ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই প্রত্যাশা করি।’
সমকালের রিজওনাল এডিটর সারোয়ার সুমন বলেন, ‘এ ক্যাম্পাসে আমাদের আবেগ জড়িত। এখানে আমরাও সাংবাদিকতা করেছি, কিন্তু এমন মেরুদণ্ডহীন, নির্লজ্জ প্রশাসন কখনো দেখিনি। মারজান আক্তারের ঘটনায় কয়েক দফায় তদন্ত কমিটি করেও তারা ব্যবস্থা নিতে পারেনি। উপাচার্যকে বলতে চাই, আপনি বেশি দিন এ চেয়ারে থাকতে পারবেন না। তবে সম্মানের সঙ্গে যাবেন কি না সেটা আপনার সিদ্ধান্ত। আপনি ছাত্রলীগের মাথা না হয়ে শিক্ষার্থীদের মাথা হোন। এমন শাস্তির ব্যবস্থা করুন, যাতে ভবিষ্যতে কেউ সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলার সাহস না পায়।’
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী বলেন, আপনারা নিজেরা নিজেরা মারামারি করেন, উপাচার্যের বাসভবনে ভাঙচুর চালান, এরপর আপনারা সাংবাদিকদের ওপরও হামলা চালান। আপনারা কি সত্যিই ছাত্রলীগ করেন কি না আপনাদের আচরণ দেখে সেটা বোঝার উপায় নেই। আপনাদের অবস্থা তো শিবিরের চেয়েও খারাপ।
তপন চক্রবর্তী বলেন, ‘আমি উপাচার্য মহোদয়ের উদ্দেশে বলতে চাই, আপনি কেন তাদের প্রশ্রয় দিচ্ছেন? মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তো সাংবাদিকবান্ধব মানুষ। উনি তো কখনো এ ধরনের ঘটনা মেনে নেবেন না। আমরা জানতে পেরেছি, আপনার ছত্রচ্ছায়ায় এখানে নিয়োগবাণিজ্য, চাঁদাবাজিসহ নানা অনিয়ম হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে না পারেন, আমরা প্রয়োজনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। তাই এক দিনের মধ্যেই তাদের গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা করুন। অন্যথায় আমরা আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হব।’
সিইউজে সাধারণ সম্পাদক ম. শামছুল ইসলাম বলেন, ‘আজ যে মুহূর্তে আমরা এ ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করছি, শিক্ষার্থীদের তখন ক্লাসরুমে থাকার কথা ছিল। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম যখন সংবাদপত্রে দেখি, তখন আমরা খুশি হই। অপর দিকে যখন দেখি এ ক্যাম্পাসে আমাদের সংবাদকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা শিরোনাম হচ্ছে, তখন আমরা কষ্ট পাই।’
শামছুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা জানি না বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কষ্ট পায় কি না। আজকে আমাদের সহকর্মী মোশাররফ ছাত্রলীগের হামলার শিকার হয়ে হাসপাতালের বেডে পরীক্ষা দিচ্ছে, যা কখনোই আমরা আশা করিনি। আজকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ লোক দেখানো ব্যবস্থা নেয়, অথচ যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, তাদের বিভাগে শাস্তির নোটিশ যায় না। তারা অনায়াসে পরীক্ষায় অংশ নেয়।’
ম. শামছুল ইসলাম আরও বলেন, ‘আজকে বহিষ্কৃত ও অছাত্ররা হলে অবস্থান করছে। এতে করে আপনাদের ব্যর্থতা সুস্পষ্ট হয়েছে। আপনারা যদি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে চান, তাহলে হতে পারেন। আপনার এ চেয়ার কিছুদিন পরে থাকবে না। কিন্তু আজকে যারা ক্যাম্পাস সাংবাদিক, তারা আরও বড় সাংবাদিক হবে। তারা আপনাদের ছাড়বে না। আমরাও আপনাদের ছাড়ব না। মোশাররফের ওপর যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কার করুন। যদি না পারেন, তাহলে প্রশাসনের চেয়ার ছেড়ে দিন। ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দকে বলতে চাই, আপনারা যদি সাংবাদিক নির্যাতনে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেন, তাহলে আপনারাও সাংবাদিকদের রোষানলে পড়বেন।’
সিইউজেএনের সভাপতি হামিদ উল্লাহ বলেন, এ ক্যাম্পাসে তিনটি বিষয়কে ব্যবহার করে ছাত্রলীগ নৈরাজ্য চালাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু, প্রধানমন্ত্রী ও জয় বাংলা স্লোগানকে ব্যবহার করে নিয়োগ থেকে শুরু করে সব অনিয়মে এদের হাত রয়েছে। শিবির থেকে ছাত্রলীগ কারও চরিত্র পরিবর্তন হয়নি। আজকে যারা ছাত্রলীগের নামে নৈরাজ্য চালাচ্ছে, এদের খবর নিয়ে দেখেন এরা আগে কোন দলের অনুসারী ছিল।
হামিদ উল্লাহ বলেন, ‘আজকে অন্যায়–অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকেরা লিখছে বলেই তাদের ওপর হামলা হচ্ছে। ছাত্রলীগের মতো একটি সংগঠনের সভাপতি, যার কি না ১২-১৪ বছর আগে ছাত্রত্ব শেষ। পৃথিবীর কোনো দেশে সাংবাদিকদের ওপর এমন হামলার নজির নেই। আমরা এ রকম প্রতিবাদে আর দাঁড়াতে চাই না। আগামীতে আমরা প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের বাড়ির সামনে দাঁড়াব।’
সিইউজেএনের সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ বলেন, ‘গত দুই বছরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকদের ওপর বেশ কয়েকবার হামলা হয়েছে। সাংবাদিকদের ওপর হামলা নতুন কোনো ঘটনা নয়। হামলাকারীরা বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানোর পরিবর্তে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে মানবিক আচরণ পেয়েছে। মনে রাখবেন, আমরা লিখতে যেমন জানি, প্রতিবাদ জানাতেও জানি।’
হাফ শার্ট আর ছাই রঙের প্যান্ট পরে থাকা সাবেক আইজিকে প্রিজন থেকে সরাসরি গারদে নিয়ে যায়। দুই পাশে দুজন পুলিশ সদস্য তার হাত ধরে ছিলেন। তিনি ছিলেন মাথা নিচু করে। আব্দুল্লাহ আল মামুনের পর পরই গারদে রাখার জন্য নেওয়া হয় জিয়াউল আহসানকে। তিনি ফুল হাতা শার্ট ও কালো প্যান্ট আর কেডস পরে ছিলেন...
২৫ মিনিট আগেমানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় পুলিশের সাবেক আটজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হচ্ছে। তাঁদের মধ্যে মধ্যে পুলিশের সাবেক প্রধান ও ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালকও রয়েছেন...
১ ঘণ্টা আগেরংপুরের গঙ্গাচড়ায় গরুর খড় খাওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ ১২ জন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার বড়বিল ইউনিয়নের নগরবন্দ এলাকায় এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। আহতদের পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় উদ্ধার করে গঙ্গাচড়া উপজেলা স্বাস্থ্য...
১ ঘণ্টা আগেবিদ্যুতের অপচয় নিয়ন্ত্রণ এবং ভুতুড়ে বিলের হয়রানি থেকে গ্রাহকদের মুক্তি দিতে ২০০৪ সালে সারা দেশে প্রিপেইড মিটার বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেই থেকে সিলেট নগরের বিভিন্ন বাসাবাড়ি ও মার্কেটে প্রিপেইড মিটার বসানোর কাজ চলছে। ইতিমধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) আওতাধীন...
১ ঘণ্টা আগে