লক্ষ্মীপুরে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় আহত ২৫

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২১, ১৯: ২০

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার উত্তর চরবংশীর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুচিয়া মোড় এলাকায় নির্বাচন পরবর্তী দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। আহতদের রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আজ সোমবার বিকেলে বিজয়ী ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর বকসি ও পরাজিত প্রার্থী মফিজ দেওয়ানের সমর্থকের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, উত্তর চরবংশীর ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন জাহাঙ্গীর বকসি এবং পরাজিত হন মফিজ দেওয়ান। রোববার সকালে ভোট চলাকালীন জালভোট দেওয়া নিয়ে দুই ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হয়। সোমবার বিকেল ৩টার দিকে পরাজিত প্রার্থী মফিজ দেওয়ানের সমর্থকেরা কুচিয়া মোড় এলাকায় দোকানে বসে চা খাচ্ছিলেন। এ সময় রোববারের সংঘর্ষের জের ধরে জাহাঙ্গীর বকসির ভাই লিটন বকসির নেতৃত্বে পরাজিত প্রার্থী মফিজ দেওয়ানের সমর্থকদের ওপর হামলা করে। 

একপর্যায়ে মফিজ দেওয়ানের লোকজন জাহাঙ্গীর বকসির লোকজনকে ধাওয়া করলে দু-পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আরিফ হোসেন, আফছার দেওয়ান, মমিন দেওয়ান, মহিউদ্দিন, অভি দেওয়ান, রাসেল ব্যাপারী, জসিম ব্যাপারী, জামাল ব্যাপারী, মামুন হোসেনসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়। এ সময় কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়ভাবে ও রায়পুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 

পরাজিত প্রার্থী মফিজ দেওয়ান অভিযোগ করে বলেন, হঠাৎ করেই জাহাঙ্গীর বকসির ভাই লিটন বকসির নেতৃত্বে তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা, বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উল্টো তাঁর লোকজনের ওপর লাঠিচার্জ করেছে। এতে ১০ জন আহত হয়েছে। 

অপরদিকে বিজয়ী প্রার্থী জাহাঙ্গীর বকসি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, পরাজিত প্রার্থী মফিজ দেওয়ানের লোকজন তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলা ও বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। এতে তাঁর ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। 

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত