রুদ্র রুহান, বরগুনা
বরগুনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ‘ঘুষ’ নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এলজিইডি'র একজনকে চাকরিচ্যুত ও দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা হলেন-বরগুনার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের ফোরম্যান মো. জিয়াউর রহমান। এ ছাড়া বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন-এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান এবং এলজিইডির আমতলী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক মো. হুমায়ুন কবির।
গতকাল শনিবার এলজিইডি বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের ওয়ার্কশপ ইনচার্জ মো. জিয়াউর রহমানের ঘুষ নেওয়ার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভিডিওটি জুন মাসে ধারণ করা। ওই ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আগে ভাই মাল (টাকা) দিয়ে কথা বলেন।’ ভিডিওতে জিয়াউর রহমানকে গুনে গুনে ঘুষের টাকা নিতে দেখা যায়। পাশাপাশি পুকুর ও খাল খনন (আইপিসিপি) প্রকল্পের অধীনে ওই দপ্তরের কর্মকর্তাকে কত শতাংশ ঘুষ দিতে হয়, তা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের বুঝিয়ে বলতে শোনা যায় তাঁকে। এ সময় তিনি (জিয়াউর) সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের বলেন, প্রকল্প পরিচালক বাবদ ২২ হাজার টাকা, নির্বাহী প্রকৌশলীকে ২ শতাংশ অর্থাৎ ৫০ হাজার টাকা এবং এসও নজরুল ইসলামের জন্য তিনি ১৩ হাজার টাকা কেটে রেখেছেন। আর সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. হোসেন আলী মীর এবং হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিনের জন্য নির্ধারিত টাকা তাঁদের হাতে দিয়ে আসতে বলেন তিনি।
গত ১৮ জুলাই ধারণ করা আরও একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান একটি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি ঠিকাদারদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করছেন।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বরগুনার আমতলী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের আরও একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হিসাবরক্ষক মো. হুমায়ুন কবির অফিসকক্ষে ধূমপানরত অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের উদ্দেশ্যে বলছেন, ‘টাকা দিতে হবে, টাকা না দিলে কোনো বিল দেওয়া যাবে না। এ টাকা আমি একা খাই না। আপনারা টাকা কম দিলে আমি কি আমার পকেটের টাকা দিয়ে স্যারদের দেব।’
এর আগে ঘুষ লেনদেনকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জের ধরে উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান এবং একজন সংক্ষুব্ধ ঠিকাদার মো. ফরহাদ জোমাদ্দারের বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে প্রকাশ্য মারামারি ও ধস্তাধস্তির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তোলে।
ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, ধস্তাধস্তির সময় উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান এবং ঠিকাদার মো. ফরহাদ জোমাদ্দার একে অপরকে ‘সুদখোর’ এবং ‘ঘুষখোর’ বলে গালি দিয়ে কিল ঘুষি মারছেন এবং মাটিতে পড়েও তারা ধস্তাধস্তি করছেন।
এছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বরগুনার অধীনে আমতলী ও তালতলী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ২০২০ সালের ২৮ জুলাই ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৩টি লোহার সেতু সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করে এলজিইডি বরগুনা। ওই দরপত্র অনুয়ায়ী সেতু নেই এমন কোথাও নতুন করে সেতু নির্মাণের সুযোগ নেই। অথচ দরপত্রে উল্লেখিত ৩৩টি সেতুর মধ্যে একটি সেতুর বাস্তবে কোনো সন্ধান মেলেনি। চারটি বাঁশের সাঁকোকে সেতু দেখিয়ে তা সংস্কারের জন্য ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় এলজিইডি।
এ ঘটনায় এলজিইডি বরগুনার অনিয়ম-দুর্নীতি ও ভৌতিক সেতু নিয়ে গত বছরের আগস্ট মাসে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ওই ভৌতিক দরপত্রটি বাতিল করতে বাধ্য হয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগী ঠিকাদারদের অভিযোগ, বরগুনার এলজিইডি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, ‘আমরা ঠিকাদারেরা বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যক্ষ উন্নয়নকর্মী। সরকারের সব উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করে থাকি। দিন–রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে, পকেটের টাকা খরচ করে সরকারের উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করি। অথচ সেই কাজ বাস্তবায়নের পর বিল তুলতে গিয়ে ঘাটে ঘাটে আমাদের কড়ায়-গন্ডায় ঘুষের পার্সেন্ট গুনতে হয়।’
অপর একজন ঠিকাদার বলেন, ‘কাজ পেতে হলে ঘুষ দিতে হয়, ওয়ার্ক অর্ডার পেতে ঘুষ দিতে হয়, কাজ বাস্তবায়নের সময় তদারকি কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হয়, এরপর বিল পাওয়ার আগে হিসাবরক্ষকসহ অফিস সহকারী, উপসহকারী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী, এমনকি প্রকল্প পরিচালকসহ ঘাটে ঘাটে লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। এসব কারণে ঠিকাদারি পেশা থেকে এখন সরে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না।’
অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে এলজিইডির বরগুনা কার্যালয়ের ওয়ার্কশপ ইনচার্জ জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি অসুস্থ। আমি ফরিদপুরে ডাক্তার দেখাতে এসেছি। আমি শিগগিরই অফিসে আসব এবং এসে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে কথা বলব।’ তবে তিনি কবে অফিসে আসবেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আসব শিগগিরই।’
জানতে চাইলে বরগুনা সদর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘আপনি কোন ভিডিওর কথা বলছেন, তা আমি অবগত নই। ভিডিওতে যে টাকা দেখানো হয়েছে, ওই টাকা আমার ঈদের বেতন এবং বোনাসের টাকা। ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’
বরগুনার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস কে আরিফুল ইসলাম বলেন, টাকা গ্রহণের ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এ বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেননি।
জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল বলেন, ‘ঘুষ–দুর্নীতির এমন চিত্র কোনোভাবেই কাম্য নয়। সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ–দুর্নীতির কারণেই আমাদের দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের উচিত এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সচেতন নাগরিক কমিটি বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি আইনজীবী আনিসুর রহমান বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সারা দেশের স্থানীয় উন্নয়নে এ প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা অগ্রণী। এখানকার অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দৌরাত্ম্যে শুধু সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে তা নয়, সরকারের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে।
বরগুনা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ‘ঘুষ’ নেওয়ার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত এলজিইডি'র একজনকে চাকরিচ্যুত ও দুই কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা হলেন-বরগুনার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের ফোরম্যান মো. জিয়াউর রহমান। এ ছাড়া বরখাস্ত হওয়া দুই কর্মকর্তা হলেন-এলজিইডির সদর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান এবং এলজিইডির আমতলী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক মো. হুমায়ুন কবির।
গতকাল শনিবার এলজিইডি বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ের ওয়ার্কশপ ইনচার্জ মো. জিয়াউর রহমানের ঘুষ নেওয়ার ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এই ভিডিওটি জুন মাসে ধারণ করা। ওই ভিডিওতে তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘আগে ভাই মাল (টাকা) দিয়ে কথা বলেন।’ ভিডিওতে জিয়াউর রহমানকে গুনে গুনে ঘুষের টাকা নিতে দেখা যায়। পাশাপাশি পুকুর ও খাল খনন (আইপিসিপি) প্রকল্পের অধীনে ওই দপ্তরের কর্মকর্তাকে কত শতাংশ ঘুষ দিতে হয়, তা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের বুঝিয়ে বলতে শোনা যায় তাঁকে। এ সময় তিনি (জিয়াউর) সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের বলেন, প্রকল্প পরিচালক বাবদ ২২ হাজার টাকা, নির্বাহী প্রকৌশলীকে ২ শতাংশ অর্থাৎ ৫০ হাজার টাকা এবং এসও নজরুল ইসলামের জন্য তিনি ১৩ হাজার টাকা কেটে রেখেছেন। আর সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী মো. হোসেন আলী মীর এবং হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. মহিউদ্দিনের জন্য নির্ধারিত টাকা তাঁদের হাতে দিয়ে আসতে বলেন তিনি।
গত ১৮ জুলাই ধারণ করা আরও একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান একটি প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি ঠিকাদারদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করছেন।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বরগুনার আমতলী উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের আরও একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হিসাবরক্ষক মো. হুমায়ুন কবির অফিসকক্ষে ধূমপানরত অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের উদ্দেশ্যে বলছেন, ‘টাকা দিতে হবে, টাকা না দিলে কোনো বিল দেওয়া যাবে না। এ টাকা আমি একা খাই না। আপনারা টাকা কম দিলে আমি কি আমার পকেটের টাকা দিয়ে স্যারদের দেব।’
এর আগে ঘুষ লেনদেনকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জের ধরে উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান এবং একজন সংক্ষুব্ধ ঠিকাদার মো. ফরহাদ জোমাদ্দারের বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ ভবনের সামনে প্রকাশ্য মারামারি ও ধস্তাধস্তির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার ঝড় তোলে।
ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, ধস্তাধস্তির সময় উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান এবং ঠিকাদার মো. ফরহাদ জোমাদ্দার একে অপরকে ‘সুদখোর’ এবং ‘ঘুষখোর’ বলে গালি দিয়ে কিল ঘুষি মারছেন এবং মাটিতে পড়েও তারা ধস্তাধস্তি করছেন।
এছাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বরগুনার অধীনে আমতলী ও তালতলী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ২০২০ সালের ২৮ জুলাই ৪৬ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৩টি লোহার সেতু সংস্কারের জন্য দরপত্র আহ্বান করে এলজিইডি বরগুনা। ওই দরপত্র অনুয়ায়ী সেতু নেই এমন কোথাও নতুন করে সেতু নির্মাণের সুযোগ নেই। অথচ দরপত্রে উল্লেখিত ৩৩টি সেতুর মধ্যে একটি সেতুর বাস্তবে কোনো সন্ধান মেলেনি। চারটি বাঁশের সাঁকোকে সেতু দেখিয়ে তা সংস্কারের জন্য ৯ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় এলজিইডি।
এ ঘটনায় এলজিইডি বরগুনার অনিয়ম-দুর্নীতি ও ভৌতিক সেতু নিয়ে গত বছরের আগস্ট মাসে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে ওই ভৌতিক দরপত্রটি বাতিল করতে বাধ্য হয় এলজিইডি কর্তৃপক্ষ।
ভুক্তভোগী ঠিকাদারদের অভিযোগ, বরগুনার এলজিইডি অফিসে ঘুষ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন ঠিকাদার বলেন, ‘আমরা ঠিকাদারেরা বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যক্ষ উন্নয়নকর্মী। সরকারের সব উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করে থাকি। দিন–রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে, পকেটের টাকা খরচ করে সরকারের উন্নয়নকাজ বাস্তবায়ন করি। অথচ সেই কাজ বাস্তবায়নের পর বিল তুলতে গিয়ে ঘাটে ঘাটে আমাদের কড়ায়-গন্ডায় ঘুষের পার্সেন্ট গুনতে হয়।’
অপর একজন ঠিকাদার বলেন, ‘কাজ পেতে হলে ঘুষ দিতে হয়, ওয়ার্ক অর্ডার পেতে ঘুষ দিতে হয়, কাজ বাস্তবায়নের সময় তদারকি কর্মকর্তাকে ঘুষ দিতে হয়, এরপর বিল পাওয়ার আগে হিসাবরক্ষকসহ অফিস সহকারী, উপসহকারী প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী, সিনিয়র সহকারী প্রকৌশলী, এমনকি প্রকল্প পরিচালকসহ ঘাটে ঘাটে লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিতে হয়। এসব কারণে ঠিকাদারি পেশা থেকে এখন সরে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় দেখছি না।’
অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে এলজিইডির বরগুনা কার্যালয়ের ওয়ার্কশপ ইনচার্জ জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আমি অসুস্থ। আমি ফরিদপুরে ডাক্তার দেখাতে এসেছি। আমি শিগগিরই অফিসে আসব এবং এসে এ বিষয়ে আপনার সঙ্গে কথা বলব।’ তবে তিনি কবে অফিসে আসবেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি আসব শিগগিরই।’
জানতে চাইলে বরগুনা সদর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, ‘আপনি কোন ভিডিওর কথা বলছেন, তা আমি অবগত নই। ভিডিওতে যে টাকা দেখানো হয়েছে, ওই টাকা আমার ঈদের বেতন এবং বোনাসের টাকা। ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।’
বরগুনার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস কে আরিফুল ইসলাম বলেন, টাকা গ্রহণের ভিডিও ভাইরালের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এ বিষয়টি তিনি উল্লেখ করেননি।
জেলা নাগরিক অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন কামাল বলেন, ‘ঘুষ–দুর্নীতির এমন চিত্র কোনোভাবেই কাম্য নয়। সরকারি কর্মকর্তাদের ঘুষ–দুর্নীতির কারণেই আমাদের দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের উচিত এই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে অনতিবিলম্বে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
সচেতন নাগরিক কমিটি বরগুনা জেলা শাখার সভাপতি আইনজীবী আনিসুর রহমান বলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সারা দেশের স্থানীয় উন্নয়নে এ প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা অগ্রণী। এখানকার অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দৌরাত্ম্যে শুধু সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ব্যাহত হচ্ছে তা নয়, সরকারের ভাবমূর্তিও নষ্ট হচ্ছে।
মাদারীপুরের কালকিনিতে বোমা হামলায় আহত মো. সুজন সরদার (৩২) নামের বিএনপির এক কর্মী চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান সুজন। তিনি কালকিনি উপজেলার শিকারমঙ্গল গ্রামের বাসিন্দা
১১ মিনিট আগেপটুয়াখালী শহরের পিটিআই এলাকার একটি বাসায় স্ত্রী ও শিশুকে নির্যাতন এবং বাসার গ্যাস, পানি, বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অভিযোগ উঠেছে এক আইনজীবীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আইনজীবী দুলাল চন্দ্র দেবনাথ, পটুয়াখালী আইনজীবী সমিতির সদস্য এবং দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এজিপি)।
১৬ মিনিট আগেচার বছর ধরে প্রকল্প নেওয়া হলেও পরিবহনমালিকদের রাজনৈতিক প্রভাব ও অবৈধ বাসের দৌরাত্ম্যে আজ পর্যন্ত সফলতা আসেনি বাস রুট রেশনালাইজেশনের। ২০১৬ সালে প্রথম চিন্তা করা হয় ঢাকার বাসগুলোকে একটি নির্দিষ্ট কোম্পানির আওতায় আনার। ২০১৮ সালে কমিটি করা হয়, আর ২০২১ সালে চালু হয় ঢাকা নগর পরিবহন। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ
২৯ মিনিট আগেবাজারে যখন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের ঊর্ধ্বগতি তখন নীলফামারীর সৈয়দপুরে চালু হয়েছে বিনা লাভের সবজি বাজার। গণঅভূথ্যানের ১০০ তম দিন পূর্তি উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে শহরের ট্রাফিক পুলিশ বক্সের সামনে উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
৩৫ মিনিট আগে