মিজানুর রহমান রনি, উজিরপুর (বরিশাল)
উজিরপুর–সাতলা সড়কজুড়ে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। এই সড়কে এখন যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বরিশালের শাপলা বিল ও হারতা বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ীদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। অথচ সড়কটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উজিরপুর–সাতলা সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত। বিকল্প রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই খানাখন্দে ভরা সড়কটিতে যানবাহন চলছে। রাস্তাটি না হওয়ার কারণ জানতে চান স্থানীয় বাসিন্দারা।
সাতলা থেকে উজিরপুর ৩২ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়কই খানাখন্দের কারণে যানবাহন চলাচলের
অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকার জনসাধারণ।
স্থানীয় রুবেল, কামরুল, সফিকসহ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, উজিরপুর উপজেলার ৪ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের প্রধান সড়ক হচ্ছে সাতলা-উজিরপুর সড়ক। সড়কটির বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে ছোট–বড় হাজারো খানাখন্দে ভরা। এ কারণে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। উজিরপুরের মানুষের জন্য এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সড়কটি সংস্কার না করে কর্তৃপক্ষ গাফিলতি করছেন বলে তাঁদের অভিযোগ উঠেছে।
হারতা ইউপি চেয়ারম্যান হরেন রায় জানান, সাতলা-হারতা-উজিরপুর সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছে। সড়কটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচলের সময় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কটি মেরামত না করা হলে ৪ ইউনিয়নের মানুষের সঙ্গে উজিরপুরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বড়াকোঠার ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উজিরপুরের প্রধান সড়ক এটি। খানাখন্দ ও গর্তের কারণে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের চিকিৎসার জন্য উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে অনেক বেগ পেতে হয় ও জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়। দ্রুত রাস্তাটির দুই পাশে ৩ ফুট করে ৬ ফুট বৃদ্ধি করে মেরামত করা প্রয়োজন।’
সাতলা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী বাসের চালক আবুল হাসান বলেন, ‘সাতলা থেকে হারতা ও ওটরার চেরাগ আলী রাস্তার মাথা পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০০ থেকে ৪০০ টির মতো গর্ত রয়েছে। এর মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।’
হারতা এলাকার অটোগাড়ি চালক হরোলাল বলেন, ‘ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে অটো গাড়িতে যাত্রীরা উঠছে না। এ কারণে আয়–রোজগার কমে গেছে। সংস্কার বা মেরামত না করা হলে সড়কটি দিয়ে কোনো গাড়ি চলতে পারবে না।’
আলফাচালক রিয়াজ ভূইয়া বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়া উজিরপুর ডাকবাংলা থেকে চেরাগ আলী পর্যন্ত যেতে খুব ভয় করে। তাই সহজে এই রাস্তায় বেশি টাকা ভাড়া দিলেও যাত্রী নিয়ে যেতে চাই না। একবার আসা–যাওয়া করলে পরে গাড়ি চালানো সম্ভব হয় না।’
উপজেলা প্রকৌশলী মীর মাহিদুল ইসলাম সাতলার সড়কের করুন অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘রাস্তাটি অনেক বড়। এক সঙ্গে করা সম্ভব না। ওটরার চেরাগ আলী থেকে হারতা ৭ কিলোমিটার রাস্তাটির দরপত্র হয়েছে। পৌরসভার ডাকবাংলা থেকে চেরাগ আলী ও হারতা থেকে সাতলা পর্যন্ত সড়ক সংস্কার করার স্টিমেট পাঠানো হয়েছে। পাশ হয়ে আসলেই দরপত্র আহ্বান করা হবে। খানাখন্দ বাকি সড়কের ও স্টিমেট পাঠানো হবে পর্যায়ক্রমে।’
পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উজিরপুর থেকে সাতলা পর্যন্ত উজিরপুরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। দ্রুত এই সড়ক সংস্কার করা প্রয়োজন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ৪–৫ দিন আগে ওটরার চেরাগ আলী থেকে হারতা সড়ক সংস্কারে দরপত্র হয়েছে।’
উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু বলেন, ‘সাতলার সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। দ্রুত সড়কটি মেরামত জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি, ব্যবস্থা গ্রহণ করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।’
উজিরপুর–সাতলা সড়কজুড়ে খানাখন্দ ও বড় বড় গর্ত হয়ে গেছে। এই সড়কে এখন যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বরিশালের শাপলা বিল ও হারতা বাজারের মৎস্য ব্যবসায়ীদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। অথচ সড়কটি সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উজিরপুর–সাতলা সড়কটির বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় গর্ত। বিকল্প রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়েই খানাখন্দে ভরা সড়কটিতে যানবাহন চলছে। রাস্তাটি না হওয়ার কারণ জানতে চান স্থানীয় বাসিন্দারা।
সাতলা থেকে উজিরপুর ৩২ কিলোমিটার সড়কের মধ্যে প্রায় ১৫ কিলোমিটার সড়কই খানাখন্দের কারণে যানবাহন চলাচলের
অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন এলাকার জনসাধারণ।
স্থানীয় রুবেল, কামরুল, সফিকসহ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, উজিরপুর উপজেলার ৪ ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষের চলাচলের প্রধান সড়ক হচ্ছে সাতলা-উজিরপুর সড়ক। সড়কটির বেশির ভাগ এলাকাজুড়ে ছোট–বড় হাজারো খানাখন্দে ভরা। এ কারণে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। উজিরপুরের মানুষের জন্য এই সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অথচ সড়কটি সংস্কার না করে কর্তৃপক্ষ গাফিলতি করছেন বলে তাঁদের অভিযোগ উঠেছে।
হারতা ইউপি চেয়ারম্যান হরেন রায় জানান, সাতলা-হারতা-উজিরপুর সড়কটির বেহাল অবস্থার কারণে সাধারণ মানুষ ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছে। সড়কটি দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচলের সময় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সড়কটি মেরামত না করা হলে ৪ ইউনিয়নের মানুষের সঙ্গে উজিরপুরের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বড়াকোঠার ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘উজিরপুরের প্রধান সড়ক এটি। খানাখন্দ ও গর্তের কারণে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘অন্তঃসত্ত্বা মায়েদের চিকিৎসার জন্য উজিরপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিতে অনেক বেগ পেতে হয় ও জীবনের ঝুঁকি নিতে হয়। দ্রুত রাস্তাটির দুই পাশে ৩ ফুট করে ৬ ফুট বৃদ্ধি করে মেরামত করা প্রয়োজন।’
সাতলা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী বাসের চালক আবুল হাসান বলেন, ‘সাতলা থেকে হারতা ও ওটরার চেরাগ আলী রাস্তার মাথা পর্যন্ত কমপক্ষে ৩০০ থেকে ৪০০ টির মতো গর্ত রয়েছে। এর মধ্যেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালাতে হচ্ছে।’
হারতা এলাকার অটোগাড়ি চালক হরোলাল বলেন, ‘ভাঙাচোরা রাস্তার কারণে অটো গাড়িতে যাত্রীরা উঠছে না। এ কারণে আয়–রোজগার কমে গেছে। সংস্কার বা মেরামত না করা হলে সড়কটি দিয়ে কোনো গাড়ি চলতে পারবে না।’
আলফাচালক রিয়াজ ভূইয়া বলেন, ‘জীবনের ঝুঁকি নিয়া উজিরপুর ডাকবাংলা থেকে চেরাগ আলী পর্যন্ত যেতে খুব ভয় করে। তাই সহজে এই রাস্তায় বেশি টাকা ভাড়া দিলেও যাত্রী নিয়ে যেতে চাই না। একবার আসা–যাওয়া করলে পরে গাড়ি চালানো সম্ভব হয় না।’
উপজেলা প্রকৌশলী মীর মাহিদুল ইসলাম সাতলার সড়কের করুন অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘রাস্তাটি অনেক বড়। এক সঙ্গে করা সম্ভব না। ওটরার চেরাগ আলী থেকে হারতা ৭ কিলোমিটার রাস্তাটির দরপত্র হয়েছে। পৌরসভার ডাকবাংলা থেকে চেরাগ আলী ও হারতা থেকে সাতলা পর্যন্ত সড়ক সংস্কার করার স্টিমেট পাঠানো হয়েছে। পাশ হয়ে আসলেই দরপত্র আহ্বান করা হবে। খানাখন্দ বাকি সড়কের ও স্টিমেট পাঠানো হবে পর্যায়ক্রমে।’
পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উজিরপুর থেকে সাতলা পর্যন্ত উজিরপুরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। দ্রুত এই সড়ক সংস্কার করা প্রয়োজন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ৪–৫ দিন আগে ওটরার চেরাগ আলী থেকে হারতা সড়ক সংস্কারে দরপত্র হয়েছে।’
উজিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু বলেন, ‘সাতলার সড়কটি বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। দ্রুত সড়কটি মেরামত জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করি, ব্যবস্থা গ্রহণ করবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়।’
সুনামগঞ্জ-পাগলা-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের কাটাগাঙ্গ লোহার সেতুর পাটাতন ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার ২৭ ঘণ্টা পর যানচলাচল শুরু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেতুটির মেরামত কাজ শেষ হলে যানচলাচল শুরু হয়।
২ মিনিট আগেকক্সবাজারের উখিয়া নাফ নদ থেকে অপহৃত পাঁচ জেলের একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার উপজেলার আঞ্জুমান পাড়া সীমান্ত এলাকার থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
২৬ মিনিট আগেদিনাজপুরের খানসামা উপজেলার জিয়া সেতুতে ডাম্প ট্রাক চলাচল নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে অবরোধ করা হয়।
৪১ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে পদ্মা নদী থেকে একটি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করেছে নৌ পুলিশ। তবে ওই লাশটি নারী না পুরুষের তা প্রাথমিকভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
১ ঘণ্টা আগে