বরগুনা প্রতিনিধি
বরগুনা-১ আসন থেকে ছয়বার মনোনয়ন পেয়ে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। খাদ্য উপমন্ত্রী ছিলেন। একই সঙ্গে ৩৫ বছর ধরে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর দখলে। হেভিওয়েট এই প্রার্থী এবারও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তরুণ তুর্কি গোলাম সরোয়ার টুকুর কাছে রীতিমতো ধরাশায়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীও হতে পারেননি। বরগুনার আওয়ামী লীগের চার নেতার মধ্যে ভোটে তৃতীয় অবস্থানে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।
বরগুনায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী শম্ভুর বিপরীতে তিনজন দলীয় প্রার্থী ছিলেন। সবাইকে ছাপিয়ে গোলাম সরোয়ার টুকু ঈগল প্রতীকে ৬১ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম ছরোয়ার ফোরকান। তিনি কাঁচি প্রতীকে ৫৭ হাজার ৮৭৪ ভোট পেয়েছেন। নৌকা প্রতীকে ধীরেন্দ্র দেবনাথ ৫৪ হাজার ১৬৮ ভোট। দলীয় অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুর রহমান ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৫৪ ভোট।
বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত গোলাম সরোয়ার টুকু বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তরুণ এই নেতা ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত। বরগুনা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনেও তিনি শম্ভু প্যানেলের বিপরীতে গিয়ে দুবার ভিপি নির্বাচিত হন। এরপর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ পান। তিনি প্রথমবারের মতো কোনো নির্বাচনে অংশ নিয়েই বিজয়ী হয়েছেন।
প্রচারের শুরুতে গোলাম সরোয়ার টুকু ভোটারদের পরিবর্তনের ডাক দেন। টানা তিনবারের সংসদ সদস্য শম্ভুকে ‘অলস ও দুর্নীতিবাজ নেতৃত্ব’ আখ্যা দিয়ে তিনি এলাকার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে তরুণ নেতৃত্বে আস্থা রাখতে ভোটারদের আহ্বান জানান। মূলত শম্ভুর টানা ৩৫ বছরের আধিপত্যবাদ, পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি, দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অপশাসনের অবসানে তরুণ নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে এলাকার ভোটাররাও পরিবর্তনের জন্য পছন্দমতো যোগ্য নেতা বেছে নেওয়ার সুযোগ খুঁজছিলেন। এবার দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ সবার মধ্য থেকে তরুণ নেতা হিসেবে ভোটাররা ক্লিন ইমেজের টুকুকেই বেছে নিয়েছেন বলে অনেকে মত ব্যক্ত করেছেন।
শম্ভুর বিপরীতে দেড় লাখের বেশি ভোট
ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিপরীতে দলীয় তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী দেড় লাখের বেশি ভোট পেয়েছেন। আর প্রতিদ্বন্দ্বিতাও হয়েছে স্বতন্ত্র বনাম স্বতন্ত্র। টানা তিনবারের সংসদ সদস্য, হেভিওয়েট প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিপরীতে বিপুল ভোট দেওয়াকে জনগণের বিজয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় রাজনীতিকেরা।
শম্ভুর পরাজয়ের নেপথ্যে
সদর, আমতলী ও তালতলী—এই তিন উপজেলা নিয়ে বরগুনা-১ আসন। আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। বরগুনা-১ আসনে ১৯৯১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কখনো অন্য কোনো দল সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেননি। সপ্তমবারের মতো এবারও বরগুনা-১ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ থেকে বর্তমান মেয়াদ পর্যন্ত টানা তিনবারসহ মোট পাঁচবার তিনি বরগুনা-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। শম্ভু গত তিন মেয়াদ টানা সংসদ সদস্য থাকলেও এলাকার উন্নয়নে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেননি। এমনকি উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অনেকটাই নির্লিপ্ত। ফলে গত ১৫ বছরে বরগুনা জেলায় উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি; বিশেষ করে বরগুনা জেলায় সরকারের কোনো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি।
এ ছাড়া পায়রা বন্দর সেনাক্যাম্প, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জেলা পটুয়াখালীতে স্থাপিত হওয়ায় এ নিয়ে বরগুনা-১ আসনের ভোটারদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছিল। ভোটারদের বদ্ধমূল ধারণা, শম্ভুর নির্লিপ্ততার কারণেই এসব বড় উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাঁরা। এর ওপর ‘বরগুনা গুরুত্বপূর্ণ জেলা নয়’—এমন মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি।
দলীয় নেতা-কর্মীদের অনেকে বর্তমান সংসদ সদস্যের ওপর ভেতরে ভেতরে ক্ষুব্ধ ছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অনেকে দলীয় চাপে বাধ্য হয়ে নৌকার পক্ষে প্রচার চালালেও তলেতলে তাঁরা এবার দলীয় অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় লাভ করুক—এমনটাই চেয়েছেন। জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের অনেকে আবার নানা অজুহাতে শম্ভুর নির্বাচনী প্রচার থেকে নিজেদের কৌশলে আড়াল করে রেখেছিলেন।
ওয়ার্ড, উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা চাপে পড়ে নৌকার সমর্থন ও প্রচারে অংশ নিলেও ভেতরে ভেতরে তাঁরা এবার পরিবর্তন চেয়েছিলেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অনেকে শম্ভুর পক্ষে প্রচারে অংশ নিলেও তাঁরা এবার চাননি, ভোটে শম্ভু জিতুক।
জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শম্ভুকে মনোনয়ন দেওয়ায় আমরা এবার ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে পারছিলাম না। ভোটাররা নৌকায় ভোট দিতে ইচ্ছুক থাকলেও শম্ভুর প্রতি তাঁরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। ভোট চাওয়ার মতো কোনো উন্নয়ন তিনি করেননি। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও তিনি খোদ দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে কাজ করেছেন। তিনি “শম্ভু লীগ” সৃষ্টি করেছিলেন। যাদের আচরণে ভোটাররা রীতিমতো ক্ষিপ্ত। এসব কারণে ভোটাররা এবার শম্ভুর বিপরীতে ভোটবিপ্লব ঘটিয়েছেন।’
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, ‘এলাকার মানুষের দাবির কারণেই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। বর্তমান এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর অলস নেতৃত্বের কারণে বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের সময়টা আমরা মিস করেছি। তিনি এই জনপদকে অন্তত ৫০ বছর উন্নয়নে পিছিয়ে দিয়েছেন। মানুষ যে এখন আর অলস, দুর্নীতিবাজ ও আধিপত্যবাদী নেতৃত্ব চায় না—এই ফলাফল তারই প্রমাণ। আমি পিছিয়ে পড়া বরগুনা-১ আসনকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে সর্বাত্মক চেষ্টা করব এবং মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে নিরলস কাজ করব।’
এসব বিষয়ে কথা বলতে বরগুনা-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বরগুনা-১ আসন থেকে ছয়বার মনোনয়ন পেয়ে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। খাদ্য উপমন্ত্রী ছিলেন। একই সঙ্গে ৩৫ বছর ধরে জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পদ ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর দখলে। হেভিওয়েট এই প্রার্থী এবারও আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু তরুণ তুর্কি গোলাম সরোয়ার টুকুর কাছে রীতিমতো ধরাশায়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বীও হতে পারেননি। বরগুনার আওয়ামী লীগের চার নেতার মধ্যে ভোটে তৃতীয় অবস্থানে ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।
বরগুনায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী শম্ভুর বিপরীতে তিনজন দলীয় প্রার্থী ছিলেন। সবাইকে ছাপিয়ে গোলাম সরোয়ার টুকু ঈগল প্রতীকে ৬১ হাজার ৭৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী গোলাম ছরোয়ার ফোরকান। তিনি কাঁচি প্রতীকে ৫৭ হাজার ৮৭৪ ভোট পেয়েছেন। নৌকা প্রতীকে ধীরেন্দ্র দেবনাথ ৫৪ হাজার ১৬৮ ভোট। দলীয় অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী খলিলুর রহমান ট্রাক প্রতীকে পেয়েছেন ১৮ হাজার ৭৫৪ ভোট।
বেসরকারি ফলাফলে নির্বাচিত গোলাম সরোয়ার টুকু বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তরুণ এই নেতা ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত। বরগুনা সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনেও তিনি শম্ভু প্যানেলের বিপরীতে গিয়ে দুবার ভিপি নির্বাচিত হন। এরপর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ পান। তিনি প্রথমবারের মতো কোনো নির্বাচনে অংশ নিয়েই বিজয়ী হয়েছেন।
প্রচারের শুরুতে গোলাম সরোয়ার টুকু ভোটারদের পরিবর্তনের ডাক দেন। টানা তিনবারের সংসদ সদস্য শম্ভুকে ‘অলস ও দুর্নীতিবাজ নেতৃত্ব’ আখ্যা দিয়ে তিনি এলাকার কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নে তরুণ নেতৃত্বে আস্থা রাখতে ভোটারদের আহ্বান জানান। মূলত শম্ভুর টানা ৩৫ বছরের আধিপত্যবাদ, পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতি, দুর্নীতি, দুঃশাসন ও অপশাসনের অবসানে তরুণ নেতৃত্বের গুরুত্ব তুলে এলাকার ভোটাররাও পরিবর্তনের জন্য পছন্দমতো যোগ্য নেতা বেছে নেওয়ার সুযোগ খুঁজছিলেন। এবার দলীয় স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার সুযোগ সবার মধ্য থেকে তরুণ নেতা হিসেবে ভোটাররা ক্লিন ইমেজের টুকুকেই বেছে নিয়েছেন বলে অনেকে মত ব্যক্ত করেছেন।
শম্ভুর বিপরীতে দেড় লাখের বেশি ভোট
ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিপরীতে দলীয় তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী দেড় লাখের বেশি ভোট পেয়েছেন। আর প্রতিদ্বন্দ্বিতাও হয়েছে স্বতন্ত্র বনাম স্বতন্ত্র। টানা তিনবারের সংসদ সদস্য, হেভিওয়েট প্রার্থী ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর বিপরীতে বিপুল ভোট দেওয়াকে জনগণের বিজয় হিসেবে উল্লেখ করেছেন স্থানীয় রাজনীতিকেরা।
শম্ভুর পরাজয়ের নেপথ্যে
সদর, আমতলী ও তালতলী—এই তিন উপজেলা নিয়ে বরগুনা-১ আসন। আসনটি বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে ছিল। বরগুনা-১ আসনে ১৯৯১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত কখনো অন্য কোনো দল সংসদ সদস্য নির্বাচিত হতে পারেননি। সপ্তমবারের মতো এবারও বরগুনা-১ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০৮ থেকে বর্তমান মেয়াদ পর্যন্ত টানা তিনবারসহ মোট পাঁচবার তিনি বরগুনা-১ আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য। শম্ভু গত তিন মেয়াদ টানা সংসদ সদস্য থাকলেও এলাকার উন্নয়নে তেমন কোনো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেননি। এমনকি উন্নয়নের ক্ষেত্রে তিনি ছিলেন অনেকটাই নির্লিপ্ত। ফলে গত ১৫ বছরে বরগুনা জেলায় উল্লেখযোগ্য তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি; বিশেষ করে বরগুনা জেলায় সরকারের কোনো মেগা প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়নি।
এ ছাড়া পায়রা বন্দর সেনাক্যাম্প, মেডিকেল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় জেলা পটুয়াখালীতে স্থাপিত হওয়ায় এ নিয়ে বরগুনা-১ আসনের ভোটারদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছিল। ভোটারদের বদ্ধমূল ধারণা, শম্ভুর নির্লিপ্ততার কারণেই এসব বড় উন্নয়ন প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তাঁরা। এর ওপর ‘বরগুনা গুরুত্বপূর্ণ জেলা নয়’—এমন মন্তব্য করে ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি।
দলীয় নেতা-কর্মীদের অনেকে বর্তমান সংসদ সদস্যের ওপর ভেতরে ভেতরে ক্ষুব্ধ ছিলেন। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের অনেকে দলীয় চাপে বাধ্য হয়ে নৌকার পক্ষে প্রচার চালালেও তলেতলে তাঁরা এবার দলীয় অন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয় লাভ করুক—এমনটাই চেয়েছেন। জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের অনেকে আবার নানা অজুহাতে শম্ভুর নির্বাচনী প্রচার থেকে নিজেদের কৌশলে আড়াল করে রেখেছিলেন।
ওয়ার্ড, উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা চাপে পড়ে নৌকার সমর্থন ও প্রচারে অংশ নিলেও ভেতরে ভেতরে তাঁরা এবার পরিবর্তন চেয়েছিলেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অনেকে শম্ভুর পক্ষে প্রচারে অংশ নিলেও তাঁরা এবার চাননি, ভোটে শম্ভু জিতুক।
জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘শম্ভুকে মনোনয়ন দেওয়ায় আমরা এবার ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে পারছিলাম না। ভোটাররা নৌকায় ভোট দিতে ইচ্ছুক থাকলেও শম্ভুর প্রতি তাঁরা ক্ষুব্ধ ছিলেন। ভোট চাওয়ার মতো কোনো উন্নয়ন তিনি করেননি। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনেও তিনি খোদ দলীয় প্রার্থীর বিপরীতে কাজ করেছেন। তিনি “শম্ভু লীগ” সৃষ্টি করেছিলেন। যাদের আচরণে ভোটাররা রীতিমতো ক্ষিপ্ত। এসব কারণে ভোটাররা এবার শম্ভুর বিপরীতে ভোটবিপ্লব ঘটিয়েছেন।’
নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, ‘এলাকার মানুষের দাবির কারণেই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলাম। বর্তমান এমপি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর অলস নেতৃত্বের কারণে বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের সময়টা আমরা মিস করেছি। তিনি এই জনপদকে অন্তত ৫০ বছর উন্নয়নে পিছিয়ে দিয়েছেন। মানুষ যে এখন আর অলস, দুর্নীতিবাজ ও আধিপত্যবাদী নেতৃত্ব চায় না—এই ফলাফল তারই প্রমাণ। আমি পিছিয়ে পড়া বরগুনা-১ আসনকে উন্নয়নের শিখরে নিয়ে যেতে সর্বাত্মক চেষ্টা করব এবং মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার বাস্তব প্রতিফলন ঘটাতে নিরলস কাজ করব।’
এসব বিষয়ে কথা বলতে বরগুনা-১ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর মোবাইল ফোনে কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সপ্তম আন্তঃবিভাগ ফুটবল প্রতিযোগিতায় খেলাকে কেন্দ্র করে গণিত বিভাগ ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ধূপখোলায় দুই বিভাগের ম্যাচ শেষে এই সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
১২ মিনিট আগেরাজধানীর পল্লবীতে দুই সন্তানকে হত্যার ঘটনায় বাবাকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন নিহত শিশুদের মা রোজীনা বেগম। মামলায় শিশুদের বাবা আব্দুল আহাদ মোল্লাকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। তাঁর অবস্থা শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন...
১৫ মিনিট আগেকুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ট্রাকের চাপায় রবিউল ইসলাম রবি (৪২) নামের এক স্কুলশিক্ষক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ট্রাক চালক সুমন শেখকে (২৯) আটক করেছে পুলিশ।
১ ঘণ্টা আগেবগুড়ায় চলতি আমন মৌসুমে ৩৩ টাকা কেজি দরে ধান এবং ৪৭ টাকা কেজি দরে চাল কিনবে খাদ্য বিভাগ। ১৭ নভেম্বর থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধান এবং ১৭ নভেম্বর থেকে ১৫ মার্চ পর্যন্ত সিদ্ধ ও আতপ চাল সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে