পিরোজপুর প্রতিনিধি
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে আজ মঙ্গলবার সকালে পিরোজপুরের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। জেলার নদ-নদীতে জোয়ারের পানি কিছুটা বেড়েছে। ওই দিকে উপকূলীয় ১৪৪ কিলোমিটার এলাকার বেড়িবাঁধ অরক্ষিত হয়ে আছে। সব মিলিয়ে নদীপারের লাখো মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, পিরোজপুর জেলাসহ পাশের দ্বীপগুলোকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে উপকূলীয় এলাকার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হবে।
এদিকে পরিস্থিতি বিবেচনায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের আয়োজনে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা করেছে। সভায় বলা হয়েছে, জেলার সাতটি উপজেলায় ৪০৭ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় জেলা শহরসহ সাতটি উপজেলায় আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
জেলায় ৩৪৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১৪৪ কিলোমিটারই অরক্ষিত। মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া, সাপলেজা, ছোটমাছুয়া, খেতাচিড়া, মাঝেরচর এলাকার নিম্নাঞ্চলের মানুষ অনেকটাই আতঙ্কে সময় পার করছে। ইন্দুরকানি উপজেলার চরখালী, কালাইয়া, সাঈদখালী চর, ভান্ডারিয়ার তেলীখালী এলাকার মানুষেরও একই অবস্থা।
মঠবাড়িয়ার মাঝেরচর এলাকার মসিদ মিয়া বলেন, ‘আমরা খুব ভয়ে আছি। কী হবে কিছুই জানি না। জোয়ারে দ্বীপটি তলিয়ে গেলে তখন কেমন হবে বুঝতে পারছি না। সাইক্লোন শেল্টারের অবস্থা ভালো না। সেখানে মাঝেরচরের লোকজন তেমন যায় না। বড় কোনো আঘাত হানলে বহু প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।’
বড় মাছুয়া এলাকার জেলে ফরিদ মিয়া বলেন, কোনো বেড়িবাঁধ নেই এই এলাকায়। জোয়ার এলেই পানিতে তলিয়ে যায় বাড়িঘর। পানি বাড়লে বাড়িঘর, বিছানা—সব ডুবে যাবে। শুধু ঝড়ের সময় এসে আশ্রয়কেন্দ্রে না নিয়ে বেড়িবাঁধগুলো মেরামত করা দরকার।
সাঈদখালী চরের বাসিন্দা আজগর মোল্লা বলেন, ‘আগেই সাইক্লোন শেল্টারে গিয়ে বসে থাকলে আমাদের খাওয়াবে কে। ওখানে বিদ্যুৎ থাকে না, খাওয়ার পানি নেই। গরু বাছুর হাঁস মুরগি নিয়ে এমন আটকা থাকা অসম্ভব। কর্তাব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা দরকার।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের কাছে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ৫০ বান্ডিল টিন, ৪১২ টন চাল ও ৪ হাজার কম্বল রয়েছে। এ ছাড়া জনগণের সেবার জন্য ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে দুর্যোগপূর্ব ও পরবর্তী মানুষের সেবা দিতে ১৭০০ সিপিপি সদস্য ও ৩৫০ জন স্কাউট সদস্য কাজ করবেন। উপকূল এলাকার মানুষদের আজ সন্ধ্যার মধ্যেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হবে।
ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে আজ মঙ্গলবার সকালে পিরোজপুরের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে। জেলার নদ-নদীতে জোয়ারের পানি কিছুটা বেড়েছে। ওই দিকে উপকূলীয় ১৪৪ কিলোমিটার এলাকার বেড়িবাঁধ অরক্ষিত হয়ে আছে। সব মিলিয়ে নদীপারের লাখো মানুষ আতঙ্কে রয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের দেওয়া তথ্যমতে, পিরোজপুর জেলাসহ পাশের দ্বীপগুলোকে ৭ নম্বর বিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার রাত ৮টার মধ্যে উপকূলীয় এলাকার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হবে।
এদিকে পরিস্থিতি বিবেচনায় বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ মোকাবিলায় আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের আয়োজনে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির জরুরি সভা করেছে। সভায় বলা হয়েছে, জেলার সাতটি উপজেলায় ৪০৭ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় জেলা শহরসহ সাতটি উপজেলায় আটটি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
জেলায় ৩৪৪ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের মধ্যে ১৪৪ কিলোমিটারই অরক্ষিত। মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া, সাপলেজা, ছোটমাছুয়া, খেতাচিড়া, মাঝেরচর এলাকার নিম্নাঞ্চলের মানুষ অনেকটাই আতঙ্কে সময় পার করছে। ইন্দুরকানি উপজেলার চরখালী, কালাইয়া, সাঈদখালী চর, ভান্ডারিয়ার তেলীখালী এলাকার মানুষেরও একই অবস্থা।
মঠবাড়িয়ার মাঝেরচর এলাকার মসিদ মিয়া বলেন, ‘আমরা খুব ভয়ে আছি। কী হবে কিছুই জানি না। জোয়ারে দ্বীপটি তলিয়ে গেলে তখন কেমন হবে বুঝতে পারছি না। সাইক্লোন শেল্টারের অবস্থা ভালো না। সেখানে মাঝেরচরের লোকজন তেমন যায় না। বড় কোনো আঘাত হানলে বহু প্রাণহানির শঙ্কা রয়েছে।’
বড় মাছুয়া এলাকার জেলে ফরিদ মিয়া বলেন, কোনো বেড়িবাঁধ নেই এই এলাকায়। জোয়ার এলেই পানিতে তলিয়ে যায় বাড়িঘর। পানি বাড়লে বাড়িঘর, বিছানা—সব ডুবে যাবে। শুধু ঝড়ের সময় এসে আশ্রয়কেন্দ্রে না নিয়ে বেড়িবাঁধগুলো মেরামত করা দরকার।
সাঈদখালী চরের বাসিন্দা আজগর মোল্লা বলেন, ‘আগেই সাইক্লোন শেল্টারে গিয়ে বসে থাকলে আমাদের খাওয়াবে কে। ওখানে বিদ্যুৎ থাকে না, খাওয়ার পানি নেই। গরু বাছুর হাঁস মুরগি নিয়ে এমন আটকা থাকা অসম্ভব। কর্তাব্যক্তিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা দরকার।’
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের কাছে ৪ লাখ ৪০ হাজার টাকা, ৫০ বান্ডিল টিন, ৪১২ টন চাল ও ৪ হাজার কম্বল রয়েছে। এ ছাড়া জনগণের সেবার জন্য ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। অন্যদিকে দুর্যোগপূর্ব ও পরবর্তী মানুষের সেবা দিতে ১৭০০ সিপিপি সদস্য ও ৩৫০ জন স্কাউট সদস্য কাজ করবেন। উপকূল এলাকার মানুষদের আজ সন্ধ্যার মধ্যেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হবে।
মুক্তির দাবিতে খুলনা জেলা কারাগারে অনশনরত দুই জঙ্গির শারীরিক অবস্থা সংকটাপন্ন। আট দিন ধরে কারা হাসপাতালে রেখে স্যালাইনের মাধ্যমে তাঁদের খাবার দেওয়া হচ্ছে।
৯ মিনিট আগেনরসিংদীর রায়পুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুই বংশের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় হাতবোমা (ককটেল) বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধসহ বিভিন্নভাবে ১৬ জন আহত হন। গতকাল সোমবার উপজেলার চানপুর ইউনিয়নের কালিকাপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ বাধে।
৯ মিনিট আগেরাজধানীর মহাখালী থেকে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ প্রত্যাহার করলেও ফের কলেজের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। সচিবালয়ে শিক্ষা উপদেষ্টা ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আজ বিকেলে বৈঠক করে কোনো আশ্বাস পাননি শিক্ষার্থী। এই খবর ক্যাম্পাসে পৌঁছলে সন্ধ্যার দিকে শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নেন
১৩ মিনিট আগেসিলেটে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে গুলিতে নিহত সাংবাদিক এ টি এম তুরাব হত্যা মামলায় এক পুলিশ সদস্যের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
৩১ মিনিট আগে