বরগুনা প্রতিনিধি
মা, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বরগুনায় ফিরছিলেন বায়িং হাউসের কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন। লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মুহূর্তে উদ্ধারকারীদের একজন লাথি দিয়ে নদীতে ফেলে দেয় এক মেয়ে লামিয়াকে। পরে নদী থেকে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গুরুতর দগ্ধ হয়েছে লামিয়া, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর ইসমাইলের মা মমতাজ বেগমকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের মুহূর্তেই ইসমাইল হোসেন হারিয়ে ফেলেছেন তাঁর স্ত্রী রাজিয়া ও ছোট মেয়ে নুসরাতকে।
সপরিবারে ঢাকার উত্তর বাড্ডার সাঁতারকুলে থাকেন ইসমাইল হোসেন। গ্রামের বাড়ি বরগুনার সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নে। মেয়ে লামিয়া অষ্টম শ্রেণি আর নুসরাত দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘রাত পৌনে ৩টার দিকে চিৎকার-চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে যায়। সবাই ছোটাছুটি করছে। আমি তখন বোধশূন্য অবস্থা। একদিকে বৃদ্ধ মা, সঙ্গে শিশুকন্যা ও স্ত্রী। দ্রুত ছুটে যাই নিচে। লাইফ বয়া নিয়ে ফিরে এসে দেখি আমার মা ছাড়া আর কেউ সেখানে নেই। তখন আগুনে ছেয়ে গেছে গোটা লঞ্চ। মাকে নিয়ে কোনোমতে উদ্ধারকারী ট্রলারে উঠে তীরে আসি। মাকে তীরে রেখে ট্রলারে করে খুঁজতে যাই আমার স্ত্রী ও সন্তানদের। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাইনি। সকালে হাসপাতালে খুঁজে পাই মেয়ে লামিয়াকে। লামিয়ার মুখমণ্ডল আগুনে ঝলসে গেছে। আর মায়ের দুই হাত আগুনে পুড়ে বাঁকা হয়ে গেছে। তাদের দুজন চিকিৎসাধীন। ছোট মেয়ে নুসরাত আর স্ত্রী রাজিয়াকে খুঁজে পাইনি।’
ইসমাইল জানান, লামিয়ার সামনেই সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় কেউ একজন লাথি মেরে পানিতে ফেলে দেয় তাকে। পরে উদ্ধারকারী ট্রলারে করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বরগুনায় গ্রামের বাড়িতে থাকা ইসমাইল হোসেনের বড় মেয়ে তানজিলা ইমু বলে, ‘রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাবা-মা ও বোনদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। রাত ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে বাবা ফোন করে বলেন, “লঞ্চে আগুন লেগেছে, মা দোয়া করিস”, বলেই লাইন কেটে দেন। এরপর অনেক চেষ্টায় ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে বাবা কল রিসিভ করলে চিৎকার ছাড়া কিছু শুনিনি। সকালে বাবা, দাদি ও মেজ বোনের খোঁজ মিললেও মা আর ছোট বোন নুসরাতের এখনো খোঁজ পাইনি।’
মা, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ছুটিতে গ্রামের বাড়ি বরগুনায় ফিরছিলেন বায়িং হাউসের কর্মকর্তা ইসমাইল হোসেন। লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের মুহূর্তে উদ্ধারকারীদের একজন লাথি দিয়ে নদীতে ফেলে দেয় এক মেয়ে লামিয়াকে। পরে নদী থেকে উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
গুরুতর দগ্ধ হয়েছে লামিয়া, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। আর ইসমাইলের মা মমতাজ বেগমকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। তবে অগ্নিকাণ্ডের মুহূর্তেই ইসমাইল হোসেন হারিয়ে ফেলেছেন তাঁর স্ত্রী রাজিয়া ও ছোট মেয়ে নুসরাতকে।
সপরিবারে ঢাকার উত্তর বাড্ডার সাঁতারকুলে থাকেন ইসমাইল হোসেন। গ্রামের বাড়ি বরগুনার সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নে। মেয়ে লামিয়া অষ্টম শ্রেণি আর নুসরাত দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে।
ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘রাত পৌনে ৩টার দিকে চিৎকার-চেঁচামেচিতে ঘুম ভেঙে যায়। সবাই ছোটাছুটি করছে। আমি তখন বোধশূন্য অবস্থা। একদিকে বৃদ্ধ মা, সঙ্গে শিশুকন্যা ও স্ত্রী। দ্রুত ছুটে যাই নিচে। লাইফ বয়া নিয়ে ফিরে এসে দেখি আমার মা ছাড়া আর কেউ সেখানে নেই। তখন আগুনে ছেয়ে গেছে গোটা লঞ্চ। মাকে নিয়ে কোনোমতে উদ্ধারকারী ট্রলারে উঠে তীরে আসি। মাকে তীরে রেখে ট্রলারে করে খুঁজতে যাই আমার স্ত্রী ও সন্তানদের। কিন্তু কোথাও খুঁজে পাইনি। সকালে হাসপাতালে খুঁজে পাই মেয়ে লামিয়াকে। লামিয়ার মুখমণ্ডল আগুনে ঝলসে গেছে। আর মায়ের দুই হাত আগুনে পুড়ে বাঁকা হয়ে গেছে। তাদের দুজন চিকিৎসাধীন। ছোট মেয়ে নুসরাত আর স্ত্রী রাজিয়াকে খুঁজে পাইনি।’
ইসমাইল জানান, লামিয়ার সামনেই সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়। এ সময় কেউ একজন লাথি মেরে পানিতে ফেলে দেয় তাকে। পরে উদ্ধারকারী ট্রলারে করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বরগুনায় গ্রামের বাড়িতে থাকা ইসমাইল হোসেনের বড় মেয়ে তানজিলা ইমু বলে, ‘রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাবা-মা ও বোনদের সঙ্গে ফোনে কথা হয়। রাত ৩টা ২৫ মিনিটের দিকে বাবা ফোন করে বলেন, “লঞ্চে আগুন লেগেছে, মা দোয়া করিস”, বলেই লাইন কেটে দেন। এরপর অনেক চেষ্টায় ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে বাবা কল রিসিভ করলে চিৎকার ছাড়া কিছু শুনিনি। সকালে বাবা, দাদি ও মেজ বোনের খোঁজ মিললেও মা আর ছোট বোন নুসরাতের এখনো খোঁজ পাইনি।’
কক্সবাজারের চকরিয়ায় অবৈধ বালু পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি ট্রাক জব্দ করেছে বন বিভাগ। আজ শনিবার চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের ডুলাহাজারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়।
৩ মিনিট আগেসুনামগঞ্জ-পাগলা-জগন্নাথপুর-ঢাকা আঞ্চলিক মহাসড়কের কাটাগাঙ্গ লোহার সেতুর পাটাতন ভেঙে যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার ২৭ ঘণ্টা পর যানচলাচল শুরু হয়েছে। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সেতুটির মেরামত কাজ শেষ হলে যানচলাচল শুরু হয়।
৫ মিনিট আগেকক্সবাজারের উখিয়া নাফ নদ থেকে অপহৃত পাঁচ জেলের একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার উপজেলার আঞ্জুমান পাড়া সীমান্ত এলাকার থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।
৩০ মিনিট আগেদিনাজপুরের খানসামা উপজেলার জিয়া সেতুতে ডাম্প ট্রাক চলাচল নিয়ে দুই পক্ষের বিরোধে সড়ক অবরোধ করা হয়েছে। আজ শনিবার বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে অবরোধ করা হয়।
৪৪ মিনিট আগে