গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
‘কোনো গাড়ি ওভারটেক করতে কিংবা সাইড দিতে গেলেই মনে হতো এই বুঝি বাস উল্টে গেল, মারা যাচ্ছি! ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাস ছাড়ার পর থেকে প্রতি মুহূর্তেই মারা যাওয়ার অজানা আতঙ্কে কেটেছে। বাসের সব যাত্রী বারবার চালককে আস্তে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেছে, কিন্তু সে কারও কথাই শোনেনি।’
গত বৃহস্পতিবার রাতে বরিশালের গৌরনদীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডোবায় পড়ে যাওয়া হানিফ পরিবহনের বাসটির যাত্রী অনিমেষ (২৭) আজকের পত্রিকার কাছে এভাবে ব্যক্ত করছিলেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। তিনি আহত হয়ে গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অনিমেষ উজিরপুর উপজেলার বাসিন্দা।
তিনি বলেন, ‘নিজের ইচ্ছেমতো বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়েছেন চালক। পরে আতঙ্কিত যাত্রীদের আশঙ্কাই সত্য হলো। গৌরনদীর মাহিলাড়া ইউনিয়নের বেজহার নামের একটি স্থানে এসে বিপরীত দিক থেকে একটি বাসকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের ডোবায় পড়ে যায়।’
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডোবায় পড়ে যায়। এ ঘটনায় যশোরের মনিরামপুর উপজেলার দুর্বাডাঙ্গা গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে সেলিম রেজা (৩৮) নিহত হন এবং ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অনিমেষ দাস আরও বলেন, ‘ঢাকা সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় হানিফ পরিবহনের বাসটি ৩৫-৪০ জন যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ঢাকার যানজট এলাকা পার হয়ে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেস সড়কে ঢুকতেই বেপরোয়া গাড়ি চালাতে শুরু করেন চালক। দুর্ঘটনাকবলিত হওয়ার আগেও ছয়-সাতটি স্থানে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ভাঙ্গার পরে একটি বাসকে সাইড দিতে গিয়ে এমনভাবে গাড়ি ঘুরিয়েছিলেন, তাতে অনেক যাত্রী তাঁদের সিট থেকে আরেক সিটে গিয়ে পড়েছিলেন।’
আহত অপর এক বাসযাত্রী শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট গ্রামের নাসির উদ্দিন (৩৪)। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে কোনো কোনো যাত্রী চালককে আস্তে বাস চালানোর অনুরোধ করার পরেও বাসচালক দেলোয়ার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে গতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিল। দুর্ঘটনার ভয়ে বাসের কোনো যাত্রী গাড়িতে বসে ঘুমাতে পারেনি।’
আহত বাসযাত্রী নিপা আক্তার (২৫) বলেন, ‘চালক দেলোয়ার হোসেন (৩৫) ঢাকা থেকে বাসটি ছাড়ার পর বেপরোয়া গতিতে ছুটছিলেন। আমরা বারবার তাঁকে নিষেধ করলেও তিনি তা শোনেননি। বেপরোয়া গতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
এ বিষয়ে বাসটির সুপারভাইজার বেল্লাল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কার কথা কে শোনে! ঢাকা থেকে গাড়ি ছাড়ার পর বলছি, ওস্তাদ রাস্তা ভিজা গাড়ি আস্তে চালান, এত স্পিড নিয়ে ওভারকেট করিয়েন না। সাইড দিতে গিয়ে এবং ওভারকেট করতে গিয়ে যখন বারবার ঝুঁকিতে পড়ছিল, তখনো বলছি, ওস্তাদ আস্তে চালান, নইলে বিপদ হতে পারে। সেই বিপদেই পড়তে হলো।’
এ ঘটনায় নিহত সেলিম রেজার স্ত্রীর বড় ভাই ও মামলার বাদী ঝালকাঠির পলাশ মাহমুদ (৪২) জানান, তাঁর ভগ্নিপতি যশোরের মনিরামপুরে থেকে ব্যবসা করেন। তাঁর বোন (সেলিমের স্ত্রী) শারমিন আক্তার বরিশাল জেলা সদরে নার্স হিসেবে চাকরি করেন। সেই সূত্রে আট বছরের মেয়ে ও দুই বছরের ছেলেকে নিয়ে বরিশালে বাসা ভাড়া করে থাকেন তাঁরা। সেলিম রেজা প্রতি বৃহস্পতিবার বরিশালে এসে স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে থেকে শনিবার যশোরে চলে যান।
এ বিষয়ে গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ বিপুল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট, পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশসহ স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। বাসটি পানিতে পড়ে অর্ধেক ডুবে গিয়েছিল। ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে উদ্ধারকাজ শেষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল মোল্লা আজকের পত্রিকাকে জানান, লাশ উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে শুক্রবার সকালে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হাইওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও তাঁর সহকারী পলাতক রয়েছেন।
‘কোনো গাড়ি ওভারটেক করতে কিংবা সাইড দিতে গেলেই মনে হতো এই বুঝি বাস উল্টে গেল, মারা যাচ্ছি! ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে বাস ছাড়ার পর থেকে প্রতি মুহূর্তেই মারা যাওয়ার অজানা আতঙ্কে কেটেছে। বাসের সব যাত্রী বারবার চালককে আস্তে গাড়ি চালানোর জন্য অনুরোধ করেছে, কিন্তু সে কারও কথাই শোনেনি।’
গত বৃহস্পতিবার রাতে বরিশালের গৌরনদীতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডোবায় পড়ে যাওয়া হানিফ পরিবহনের বাসটির যাত্রী অনিমেষ (২৭) আজকের পত্রিকার কাছে এভাবে ব্যক্ত করছিলেন তাঁর অভিজ্ঞতার কথা। তিনি আহত হয়ে গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অনিমেষ উজিরপুর উপজেলার বাসিন্দা।
তিনি বলেন, ‘নিজের ইচ্ছেমতো বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালিয়েছেন চালক। পরে আতঙ্কিত যাত্রীদের আশঙ্কাই সত্য হলো। গৌরনদীর মাহিলাড়া ইউনিয়নের বেজহার নামের একটি স্থানে এসে বিপরীত দিক থেকে একটি বাসকে সাইড দিতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের ডোবায় পড়ে যায়।’
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ডোবায় পড়ে যায়। এ ঘটনায় যশোরের মনিরামপুর উপজেলার দুর্বাডাঙ্গা গ্রামের আবদুর রশিদের ছেলে সেলিম রেজা (৩৮) নিহত হন এবং ১০ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। আহতদের গৌরনদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অনিমেষ দাস আরও বলেন, ‘ঢাকা সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় হানিফ পরিবহনের বাসটি ৩৫-৪০ জন যাত্রী নিয়ে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ঢাকার যানজট এলাকা পার হয়ে বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেস সড়কে ঢুকতেই বেপরোয়া গাড়ি চালাতে শুরু করেন চালক। দুর্ঘটনাকবলিত হওয়ার আগেও ছয়-সাতটি স্থানে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ভাঙ্গার পরে একটি বাসকে সাইড দিতে গিয়ে এমনভাবে গাড়ি ঘুরিয়েছিলেন, তাতে অনেক যাত্রী তাঁদের সিট থেকে আরেক সিটে গিয়ে পড়েছিলেন।’
আহত অপর এক বাসযাত্রী শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট গ্রামের নাসির উদ্দিন (৩৪)। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে কোনো কোনো যাত্রী চালককে আস্তে বাস চালানোর অনুরোধ করার পরেও বাসচালক দেলোয়ার হোসেন ক্ষিপ্ত হয়ে গতি আরও বাড়িয়ে দিচ্ছিল। দুর্ঘটনার ভয়ে বাসের কোনো যাত্রী গাড়িতে বসে ঘুমাতে পারেনি।’
আহত বাসযাত্রী নিপা আক্তার (২৫) বলেন, ‘চালক দেলোয়ার হোসেন (৩৫) ঢাকা থেকে বাসটি ছাড়ার পর বেপরোয়া গতিতে ছুটছিলেন। আমরা বারবার তাঁকে নিষেধ করলেও তিনি তা শোনেননি। বেপরোয়া গতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।’
এ বিষয়ে বাসটির সুপারভাইজার বেল্লাল হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘কার কথা কে শোনে! ঢাকা থেকে গাড়ি ছাড়ার পর বলছি, ওস্তাদ রাস্তা ভিজা গাড়ি আস্তে চালান, এত স্পিড নিয়ে ওভারকেট করিয়েন না। সাইড দিতে গিয়ে এবং ওভারকেট করতে গিয়ে যখন বারবার ঝুঁকিতে পড়ছিল, তখনো বলছি, ওস্তাদ আস্তে চালান, নইলে বিপদ হতে পারে। সেই বিপদেই পড়তে হলো।’
এ ঘটনায় নিহত সেলিম রেজার স্ত্রীর বড় ভাই ও মামলার বাদী ঝালকাঠির পলাশ মাহমুদ (৪২) জানান, তাঁর ভগ্নিপতি যশোরের মনিরামপুরে থেকে ব্যবসা করেন। তাঁর বোন (সেলিমের স্ত্রী) শারমিন আক্তার বরিশাল জেলা সদরে নার্স হিসেবে চাকরি করেন। সেই সূত্রে আট বছরের মেয়ে ও দুই বছরের ছেলেকে নিয়ে বরিশালে বাসা ভাড়া করে থাকেন তাঁরা। সেলিম রেজা প্রতি বৃহস্পতিবার বরিশালে এসে স্ত্রী-সন্তানদের সঙ্গে থেকে শনিবার যশোরে চলে যান।
এ বিষয়ে গৌরনদী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ বিপুল হোসেন জানান, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট, পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশসহ স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধারকাজ শুরু করেন। বাসটি পানিতে পড়ে অর্ধেক ডুবে গিয়েছিল। ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে উদ্ধারকাজ শেষ হয়। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
গৌরনদী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম রসুল মোল্লা আজকের পত্রিকাকে জানান, লাশ উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবার থেকে শুক্রবার সকালে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হাইওয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। দুর্ঘটনার পর বাসের চালক ও তাঁর সহকারী পলাতক রয়েছেন।
জধানীর হাজারীবাগে সাইকেল চোর ধরতে গিয়ে খুন হয় কিশোর সাহাদাৎ হোসেন শান্ত। হত্যার সঙ্গে জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে হাজারীবাগ থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. শুকুর আলী (২২), মো. সিয়াম (২০) ও মো. শাকিল হোসেন (২৩)। তাঁদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ধারালো একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে
২২ মিনিট আগেবেসরকারি টেলিভিশন দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তাঁকে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয় নেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে ডিবির একটি টিম তাঁকে নিজ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে
৪০ মিনিট আগেরাষ্ট্রবিজ্ঞানী রওনক জাহান বলেছেন, ‘আমরা আর স্বৈরাচার চাই না, তবে যেসব স্বৈরাচার তৈরি হয়েছে, তারা আইন ভঙ্গ করে কিংবা আইন বাদ দিয়ে তৈরি হয়েছে। এখন রাষ্ট্র সংস্কারের কথা আসছে। রাষ্ট্র সংস্কারের আগে রাজনীতির সংস্কার হওয়া দরকার।’
১ ঘণ্টা আগেনারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ওমর আলী নামের এক বৃদ্ধের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়া এলাকায় শীতলক্ষ্যা নদী থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগে