সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ রুবিনা মীরা বলেছেন, আমেরিকা ষড়যন্ত্রকারী, তাদের এ দেশে খবরদারি করতে দেওয়া হবে না। আজ বুধবার বরিশালে এক মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।

নগরের  অভিজাত কনভেনশন হলে বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত হয় এই মতবিনিময় সভা। এতে সভাপতিত্ব করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বেসরকারি সংস্থা এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউট এর প্রেসিডেন্ট এম . হুমায়ুন কবির।

সভায় আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা অর্থনৈতিক বৈষম্যের কথা তুলে ধরে দেশের ৬০ ভাগ লোকের সম্পদ ১০ ভাগের কাছে থাকায় হতাশা ব্যক্ত করেন। 

মতবিনিময় সভার আলোচ্য বিষয় ছিল ‘দ্বৈত উত্তরণ: নির্বাচন ও উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় আসন্ন উত্তরণ- জনপ্রত্যাশা ও অংশীজনদের দায়িত্ব’।

সভায় ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা সভাপতি নজরুল হক নিলু বলেন, নির্বাচন আসায় বিদেশিদের আনাগোনা বিশেষ করে আমেরিকার নগ্ন হস্তক্ষেপ দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না।

জাতীয় শ্রমিক পার্টির নেতা আ. মান্নান বলেন, মানুষ যখন শোষণ নির্যাতনের মধ্যে পরে তখনই বাধ্য হয়ে শক্তিশালীর কাছে যায়। যে কারণে দেশে আমেরিকা, চীনের উপস্থিতি বিরাজমান।

বিএনপি নেতা নাজিম উদ্দিন পান্না বলেন, আজকে যারা আমেরিকার সমালোচনা করছেন, তারাই তো মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা চীনকে সমর্থন করছেন।

বাসদ এর বরিশাল জেলা সদস্যসচিব মনীষা চক্রবর্তী বলেন, সরকার হিরো আলম, ১১ ভাগ ভোট পড়া নিয়ে চিন্তায় পড়েছে। আমরা বহি:শক্তির হস্তক্ষেপ চাই না। কিন্তু সরকার তো জনগণের কথাভাবে না। ব্যবসায়ীদের হয়ে দারোয়ানের ভূমিকা পালন করছে। 
গণফোরাম নেতা হিরন কুমার দাস মিঠু বলেন, আমেরিকা, চীন, ভারত কেন আমাদের দেশের বিষয়ে নাক গলায়।

মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টির নগর আহ্বায়ক মহসিন উল ইসলাম হাবুল বলেন, আওয়ামী লীগ কখনোই ভিন্নমতকে প্রশ্রয় দেয়নি। ৪টি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়কের সুষ্ঠু হলো এখন কেন প্রধানমন্ত্রী ভয় পান? সাহস থাকলে আমেরিকাকে লাল কার্ড দেখান। তা পারবেন না কারণ আমেরিকা বিনা শর্তে বছরে ৯৮ হাজার কোটি টাকা অনুদান দেয়।

জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম শাহিন বলেন, সরকার ডিজিটাল আইন পরিবর্তনের নামে একই বোতলের ভিন্ন রুপ দেখিয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড: তালুকদার মো. ইউনুস বলেন, ১১ ভাগ, ১২ ভাগ ভোট যাই পরুক, নির্বাচন তো হয়েছে। 

মতবিনিময় সভায় রাস্ট্রদুত এম . হুমায়ুন কবির বলেন, এটি প্রকাশ হলো যে দেশে বৈষম্য, দুর্নীতি বাড়ছে। সকলের অংশগ্রহণে নির্বাচনী পরিবেশ তৈরিতে আলোচনার কোনো বিকল্প নেই।