পটুয়াখালীতে ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশে ছাত্রলীগের হামলার অভিযোগ উঠেছে। এতে ছাত্রদলের অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে তিনজন গুরুতর আহত অবস্থায় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ২টার দিকে শহরের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শফিউল বাসার উজ্জ্বল।

এদিকে এ ঘটনার জন্য ছাত্রদল নেতারা ছাত্রলীগকে অভিযুক্ত করলেও অন্যদিকে ছাত্রলীগ নেতারা এ ঘটনাকে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের ঘটনা বলে দাবি করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের গাড়ির বহরের ওপর হামলার প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে জেলা ছাত্রদল। মিছিলটি সবুজবাগ মোড় থেকে শুরু হয়ে তিতাস এলাকা হয়ে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। এ সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা চালান।

হামলায় জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শফিউল বাসার উজ্জ্বল, সিনিয়র সহসভাপতি মেহেদী হাসান শামীম, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আল-আমিন হাওলাদার ও সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. জাকারিয়া আহমেদসহ অন্তত ২০ জন আহত হন। 

আহতদের মধ্যে গুরুতর আহত মো. আল-আমিন হাওলাদার ও মো. জাকারিয়া আহমেদকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এ ঘটনায় শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। 

জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শফিউল বাসার উজ্জ্বল বলেন, ‘জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফের নেতৃত্বে ২০-২৫টি মোটরসাইকেলে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। এতে ছাত্রদলের জেলা নেতাসহ ২৫-৩০ নেতা-কর্মী আহত হন।’ 

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফ বলেন, ‘এ ঘটনাটি ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ বিরোধের বহিঃপ্রকাশ। দীর্ঘদিন ধরে পটুয়াখালীতে বিএনপি ও তাঁদের প্রতিটি সংগঠন দুটি দলে বিভক্ত হয়ে চলছে। এ ঘটনাটিও ওই দুই দলের আধিপত্যের জেরেই ঘটেছে। এ ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী সম্পৃক্ততা নেই।’ 

পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, এ ধরনের ঘটনার বিষয় তাঁর জানা নেই। কেউ অভিযোগও করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।